নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব ধর্মের চেয়ে কোন বড় ধর্ম নাই এই জগত সংসারে।

মোঃ শিলন রেজা

আমার নাম মুহাম্মদ শাহিদ শিলন রেহমান। আমি মেহেরপুর জেলার পিরোজপুর গ্রামে আমার ছোট বেলা কাটিয়েছি। আমি এইচএসসি পাশ করি ঢাকা মোহাম্মদ পুরের বাবর রোডের ছোট্ট একটা বেসরকারি কলেজে থেকে। কলেজ টার নাম হল, ঢাকা এডিনবার্গ ইন্টারন্যাশনাল কলেজ। পরে আমি একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

মোঃ শিলন রেজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসার স্বার্থপরতা –মেয়ে বনাম ছেলে [সামান্য 18+]

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

গুণীজনেরা সবসময় একটা গৎবাঁধা পুস্তক সর্বস্ব কথা সর্বদা বলেন যে “ভালোবাসা স্বর্গীয় একটা বিষয় এখানে না থাকে কোন স্বার্থ না থাকে কোন ঐশ্বর্য প্রীতি বা রুপের কুহলিকা। ভালোবাসা না মানে জাত ধর্মকুল না মানে উচু নিচুর বিভেদ। ভালোবাসা মানুষের মাঝে মশাল হয়ে আসে তাঁর জীবন কে আলোকিত করতে হটাত দক্ষিনা হাওয়ার মত। ভালোবাসা নিঃস্বার্থ একটা চাওয়া”

এতক্ষণ তো শুনলেন পুস্তক-পুস্ট বলি সর্বস্ব মহাজ্ঞানীয় সিনেমাটিক ডায়ালগ। আমার মনে হয় উপরের কথা গুলো শুনেনি এমন একজন কে খুজে বের কর্মা বহুত কঠিন। আমার বিশ্লেষণ মতে পৃথিবীর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাবহুল স্বার্থপরতার প্রামাণিক দৃষ্টান্ত একমাত্র ভালবাসার মধ্যেই বিদ্যমান। প্লিজ পাঠক ধৈর্যহারা না হয়ে আমার বিশ্লেষণ টা একটু পড়ুন...।

ছেলেদের ক্ষেত্রেঃ

ছেলেরা আসলে বহুপ্রেমাংখিত উপযোগী। একটা ছেলে একসাথে একটা মেয়ে নিয়েই চিন্তা করেনা বলে বিয়ের চিন্তা সম্পূর্ণ বর্জন করে, অনেকে আবার আমার মত বলতে পারেন ছেলেরা আসলে ভালবাসার মধ্যে বিয়ে নামক সারথলব্ধ বিষয় কে আনায়ন করে না। আসল ঘটনা ভিন্ন, ছেলেরা আসলে ভালবাসাকে একটা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। তারা প্রেম কর্মা অবস্থায় কোন একটি মেয়ে এসে যদি জিজ্ঞাসা করে ভাই আপনি কি কখনো কারো প্রেমে পড়েছেন?? কি উত্তর দেবেন বলে মনে করেন আপনি? ছেলেটা স্বভাবতই বলে বসবে না তো আমার তো কোন গার্ল ফ্রেন্ড নাই। তবে আপনার যদি কোন সমস্যা না থাকে তবে...

কিছু কৃপণ প্রকৃতির ছেলে অবশ্য বলে হ্যা আমার গার্ল ফ্রেন্ড আছে। এখন বলুন তো সেই ছেলেটা কেন এমন কথা বলবে? আপনি কি মনে করেন তাঁর সততার জন্যে বলবে? না আসল ঘটনা কিন্তু ভিন্ন ছেলেটা তাঁর একটা গার্ল ফ্রেন্ডের যন্ত্রণায় অস্থির, একজনার আবদার কে ভালভাবে পুরন করতে সে ব্যর্থ বলে নতুন করে যন্ত্রণা বাড়াতে চাচ্ছে না। তবে আপনারা নিশ্চিত থাকেন যখন তাঁর অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আসবে তখন ছেলেটি সেই স্রৌতলব্ধ ভালোবাসা কে মনে করে আপসোস করবে। তবে একটা কথা অবশ্য ছেলেদের কে সবসময় মেয়েদের উপরে স্থান দিবে টা হচ্ছে ভালবাসার মধ্যে ছেলেরা শুধুই এঞ্জয় খুজতে থাকে কোন স্বার্থ বা উদ্দেশ্য হাসিল নয়।

মেয়েদের ক্ষেত্রেঃ

ভালোবাসা কে স্বার্থপরতার চরম পর্যায়ে উপনীত করার বৈপ্লবিক পরিবর্তন টা শুরু হয়েছে মেয়েদের কাছ থেকে। মেয়েরা প্রায় একটা কথা বলে যে, আমরা একবার যাকে ভালবাসি তাকে সারাজীবনে ভুলতে পারি না। একটু ভাল করে লক্ষ্য করুন তো তাদের কথাগুলার মাঝে কোন উদ্দেশ্য বা স্বার্থ লুকিয়ে আছে কিনা? না বের করতে পারলেন না তো? আচ্ছা আমি একটু খোলসা করে বলি, দেখেন মেয়েরা ভালবাসার শুরুটাই করে একটা স্বার্থ এবং উদ্দেশ্য নিয়ে। মেয়েদের কে ভালবাসতে হলে সবছেলেকে এই কথা টা শুনতে হয়। আমাকে বিয়ে করবে তো? আমার সাথে বেইমানি করবে না তো, আমাকে ভুলে যাবে না তো?

কিছু কি বুঝলেন পাঠক? বুঝেন নাই তো? আমি বলছি, ভালভাসার সজ্ঞা যেখানে বলে যে এই বিষয় টা একটা নিঃস্বার্থ বিষয় এখানে কেন বিয়ে বিষয়ে অশান্তি বাড়ন্ত থার্ড ক্লাস সেন্টিমেন্টাল কেন প্রস্তাবিত হবে। ভালবাসতে হলেই কি বিয়ে করতে হবে নাকি?

মেয়েদের আরও কিছু স্বার্থবাদী আশা দেখেন, তাঁর ভালবাসার মানুষ তাকে ভাল একটা জব করতে হবে, তাঁর সব চাওয়া পাওয়া কে পূর্ণ করতে হবে না হলে সেইরাতে ভালোবাসা একটু গালাগালি মন্দবাসাও হতে দেরি নিবেনা।

মেয়েদের নিয়ে আরেকটা বিষয় আছে আপনারা প্রায় লক্ষ্য করবেন মেয়েদের কি নিয়ে ডেটিং বা রেস্টুরেন্ট যেখানেই যান না কেন ম্যানিব্যাগের পরবর্তী অবস্থা করুন হবেই, কিছু ক্ষেত্রে আবার অতি শিয়াল প্রকৃতির ছেলের পুরা উলটা হতে পারে তবে টা কিঞ্চিৎ।

রাস্তা দিয়ে পাঁচটা ছেলে হেটে গেলে তাঁর মধ্যে সবথেকে সুন্দর ছেলেটার দিকে মেয়েরা আকৃষ্ট কেন হবে, এক ধরনের স্বার্থপরতা কি আসছে না বলুন? আবার বিবাহ পরবর্তী যতরকম পরকীয়া আমাদের মনুষ্য সমাজে চালুক্রিত আছে তাঁর মধ্যে মেয়েদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ৭৩%। কারণ মেয়েরা সম্মতি না দিলে কখনো পরকীয়াতে রুপান্তর সম্ভব নয়।

পরিমার্জন পরাপ্তেঃ ভালবাসার মাঝে একটা সুপ্ত স্বার্থপরতা যে বিদ্যমান সেটা অবশ্য ভালবাসার শাব্দিক অর্থই বলে দেই {ভালোবাসা=Best House}। এইটা অবশ্য একটা চিরস্থায়ী সত্যে পরিবর্তিত হয়ে গেছে যে ভালবাসার পেছনে এতগুলো স্বার্থপরতা এবং উদ্দেশ্যই ভালোবাসা কে মানুষের কয়াছে এতো রঙ্গিন করে তুলেছে। সেইজন্যই বিদ্রোহী কবির সাথে মিলাতে গিয়ে বলতে হয়,

হে স্বার্থপরতা তুমি ভালোবাসা কে করেছ এতো রঙ্গিন,

দিয়েছে তুমি মরে কপতকপতির মনে স্থান।।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.