নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব ধর্মের চেয়ে কোন বড় ধর্ম নাই এই জগত সংসারে।

মোঃ শিলন রেজা

আমার নাম মুহাম্মদ শাহিদ শিলন রেহমান। আমি মেহেরপুর জেলার পিরোজপুর গ্রামে আমার ছোট বেলা কাটিয়েছি। আমি এইচএসসি পাশ করি ঢাকা মোহাম্মদ পুরের বাবর রোডের ছোট্ট একটা বেসরকারি কলেজে থেকে। কলেজ টার নাম হল, ঢাকা এডিনবার্গ ইন্টারন্যাশনাল কলেজ। পরে আমি একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

মোঃ শিলন রেজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনগনের দাবী – তত্ত্বাবধায়ক, নির্দলীয় নিরপেক্ষ নাকি সর্বদলীয় সরকার প্রধান!!

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

গত দেড় বছরেরও অধিক সময় ধরে নির্বাচন কালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে হাসিনা সরকার ও খালেদা ম্যাডামের দর কষাকষি চলে আসছে। কেন এই দর কষাকষি? আমরা খুব ভাল করে জানি প্রতিটি দল কোন রকম স্বার্থ সাড়া কোন সুত্রের অবতারণা করেনা। নিজে নিজের অবস্থান কে পাকাপোক্ত করতেই তাদের নিজেদের মতামত কে জনগনের উপর চাপিয়ে দিয়েছে সর্বদা। কিন্তু এই দুটি দলের বাইরে যেহেতু আমাদের কোন তৃতীয় ব্যক্তি কে আগামি বাংলাদেশের সরকার প্রধান ভাবতে জনগন পারেনা সেই জন্যই ঘুরে ফিরে এদের কাছেই এসে জনগন আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য। এখন আসি উক্ত তিন পদ্ধতির পোস্ট মরডেম ব্যাখ্যায়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারঃ

আমাদের দেশের প্রধান ক্ষমতার অধিপতি যে সরকার নয় তা জনগন আবারো প্রমাণ দিয়েছে। প্রথম আলোর রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে দেশের ৯২% মানুষ নির্বাচন কালীন সরকার হিসাবে তত্ত্বাবধায়ক সমর্থন করে। তাঁর মানে জনগন আর যায় করুক না কেন ভুল প্রতিকে সীল মারবে না। এইটা তো গেল একেবারে ভাসমান জনগনের চাওয়া। এখন আসি দলীয় বুদ্ধিজিবিদের যুক্তি ও চাওয়া তে। আওয়ামি বুদ্ধিজীবী এবং সাংসদেরা একটা কথা সব সময় বলে আর তা হল তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে মহামান্য হাই কোর্ট। এবং উক্ত সরকার এবং তাদের কাজগুলো সব কিছুই অবৈধ ছিল। এখন জনগনের তরফ থেকে আমার প্রশ্ন সেইসব সল্পভাবিত আওয়ামি বুদ্ধিজীবীদের কাছে, যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার কে তারা অবৈধ সরকার হিসাবে প্রমাণ করেছে তাহলে সেই সরকারের দ্বারা নির্বাচিত সরকারও তো অবৈধ হওয়ার কথা। কি তাই নই কি? তাছাড়া বড় প্রশ্ন হচ্ছে ফকরুদ্দিন মইনুদ্দিন দেশের নির্বাচন কালীন তিনমাস সময় কে তিন বছরে প্রলম্বিত করে কি কোন অপরাধ করেনি? যদি দেশের ক্ষমতা জিম্মি করে হাসিনা-খালেদা কে জেলে ভরে কোন অন্যায় করে থাকে তাঁর অবশ্যই শাস্তি চাই আমরা জনগন। আওয়ামি সরকার কেন তাদের আইনের আওতায় আনলও না। তাহলে জনগন এর থেকে কি বুঝবে। আমি একটা কথা বলব কোন গাছের যদি একটা ডাল পচে যায় তবে কি পুরো গাছ টাকেই উপড়ে ফেলতে হবে নাকি ডাল টা কেটে সমাধান করতে হবে?

নির্দলীয় নাকি সর্বদলীয়ঃ

এই ক্ষেত্রেও জনগন তাঁর প্রত্যাশার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে আর তা আমরা টেলিভিশনের পর্দায় সর্বদা দেখি। একুশে টিভির সাংবাদিক কনক সারওার একটা অনুষ্ঠান করেন নাম হচ্ছে জনতার আদালত। এই অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে দেখি জনগন নির্দলীয় সরকার এর চাওয়াতে একমত। একটা বিষয় লখ্য করেন একজন এম্পি বা মন্ত্রি থাকা অবস্থায় বিরোধী দলের সাথে নির্বাচন করবে সেখানে যদি কোন রকমের কারচুপির কথা বিরোধী দল পুলিশ কে বলে পুলিশ কি শুনবে তাদের কথা। বিরোধী দলের প্রতি পুলিশের বর্তমান মনোভাব দেখেই অনুমান কর্মা যায় যে বিরোধী দলের নেতা মানেই কাশিম পুরের জেলের দরোজা। কিছুদিন আগে একটা সংবাদ পত্রের খবরে দেখলাম জামাল পুরের ম্যাজিস্ট্রেট ভোট চাইলেন নৌকা মার্কায়। তাহলে কি বুঝলেন। কিভাবে হাসিনা আপা আগামি নির্বাচন সুষ্ঠু করবেন। উনি যদি হাজারো উন্নতি করে থাকে তবে নির্দলীয় সরকারে আস্তে উনার বাধা কোথায়।

যায়হউক বেশি কথা আর বলব না তাহলে আবার আমি ইলিয়াস আলির মত গুম হয়ে যাব। আমার আবার পরিক্ষা চলছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.