![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ থেকে ৫৮ বছর আগে ১৯৫৬ সালের ২৯ অক্টোবর ব্রিটেন, ফ্রান্স ও ইসরাইলী অক্ষশক্তি আক্রমণ করে মিশরের সিনাই উপত্যকা। মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জামাল আবদুন নাসের আসোয়ান বাঁধ নির্মাণের জন্য পশ্চিমের সাহায্য চাইলে তারা অর্থ সাহায্য দিতে অস্বীকার করে। ক্ষুব্ধ নাসের পশ্চিমকে শায়েস্তা করতে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সুয়েজ খালের উপর চলে আসা অ্যাংলো-ফরাসী মালিকানাধীন সুয়েজ ক্যানেল কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ বাতিল করে মিশরের সার্বভৌমত্বে সুয়েজ খালের জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। এই সিদ্ধান্তের পেছনে রাজনৈতিক কারণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক কারণও ক্রিয়াশীল ছিল। প্রেসিডেন্ট নাসের চাচ্ছিলেন সুয়েজ খাল জাতীয়করণের মাধ্যমে এর থেকে প্রাপ্ত বিপুল আয় দিয়ে তিনি আসোয়ানের বাঁধ ও জলাধার নির্মাণে সমর্থ হবেন।
যাহোক, ব্রিটেন ও ফ্রান্স সুয়েজ খালের উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারানো বরদাস্ত করতে প্রস্তুত ছিলোনা। তারা ইসরাইলকে সাথে নিয়ে মিশরে স্থল ও আকাশপথে আক্রমণ চালায়। ১৯৫৬ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলা এই যুদ্ধে পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে বীরত্বের সাথে লড়াই করে মিশরীয়রা। সোভিয়েত ইউনিয়ন এসময় মিশরের পাশে দাঁড়িয়েছিলো। এই যুদ্ধ থেকেই পরবর্তী কয়েক বছরের জন্য মিশর-সোভিয়েত মৈত্রীর সম্পর্ক স্থাপিত হয়। অন্যদিকে ব্রিটেন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যকার সাপেনেউলে সম্পর্ক নতুন মাত্রা পায়।
এই যুদ্ধে ব্রিটেন নেতৃত্বাধীন অক্ষশক্তি পরাজিত হয়। শোচনীয় ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি ইডেন। মিশর ও সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজনৈতিক বিজয় অর্জিত হয়। বিজয়গর্বে গর্বিত সোভিয়েত নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভ হাঙ্গেরি আক্রমণ করে তথাকার পশ্চিমাপন্থী বিদ্রোহীদের পরাজিত ও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। তবে ইতিহাসে ১৯৫৬ সালের সুয়েজ যুদ্ধের সবচেয়ে বড় মর্তবা হচ্ছে এই, সুয়েজ যুদ্ধে পরাজয়ের মাধ্যমে বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে ব্রিটেনের একক ভূমিকার চিরসমাপ্তি ঘটে
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এখন আম্রিকার দিন দেখার অপেক্ষা