![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা বিষয় লক্ষ করলাম সবাই বলতেছে মিডিয়া হিলারীর পক্ষে ছিল কিন্তু জনগণ ট্রাম্পকে চেয়েছিলো তাই ট্রাম্পই নির্বাচিত হয়েছে।কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বেশিরভাগ জনগণ কিন্তু হিলারীর পক্ষেই ছিলো।আর হিলারীর পক্ষে ছিলো বলেই মোট প্রাপ্ত ভোটের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের চেয়েও হিলারী ২,০২,৩৪০ ভোট বেশি পেয়েছিল।
এখন এটা স্পষ্ট যে বেশিরভাগ জনগণের রায় হিলারীর পক্ষেই ছিলো। শুধু ইলেক্টরাল কলেজ ভোটের মারপ্যাচে পড়ে হিলারী পরাজিত হয়েছে।
কিন্তু এই ইলেক্টরাল কলেজ প্রথা যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সাথে খাপ খায় না, এটা কারো অবিদিত নয়। এটা ১৭৮৭ সালে প্রণীত এক বিশেষ বিধানের আলোকে রচিত পদ্ধতি। তখনকার আমেরিকা ছিলো মারাত্মকভাবে জনবিরল, আকারে ছোট। দেশটিতে তখন দাসপ্রথা তুঙ্গে ছিলো। শহরাঞ্চল এবং সার্বিক যোগাযোগব্যবস্থা ছিলো অপ্রতূল। দেশটির জাতীয়তাবাদ, রাষ্ট্রীয় সংহতির প্রতি নাগরিকদের দায়িত্ববোধ ছিলো নেহায়েত গঠন পর্যায়ে। সম্ভবত এসব প্রেক্ষাপটে নাগরিকদের সার্বজনীন বদলে সংঘের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্টরাল কলেজের প্রবর্তন করা হয়েছিলো।
গতকালই নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেলো সার্বজনীন ভোটে হিলারী ক্লিনটন ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ২,০২,৩৪০ ভোট বেশি পেয়েছেন। অর্থাৎ ইলেক্টরাল কলেজের ভোটের বদলে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক জনরায়, অর্থাৎ এক মাথা এক ভোট প্রক্রিয়ায় যদি শাসক নির্বাচনের ক্ষমতা থাকতো, তবে মার্কিনীরা কিন্তু ঠিকই হিলারী ক্লিনটনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছিলো...!
১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৬
একজন দেশপ্রেমীক বলেছেন: সেটাই। বেশিরভাগ জনগণ তো হিলারীকেই ভোট দিয়েছে, তাহলে জনগণ ট্রাম্পকে চাইলো কই!
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমাদের দেশের আসন ভিত্তিক নির্বাচনেরও এটা একটা ত্রুটি। আসনের ভিত্তিতে দল নির্বাচিত হয়...
১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৭
একজন দেশপ্রেমীক বলেছেন: হুম, ঠিক বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে আমেরিকাতে নির্বাচনে জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটে না। ইলেকটোরাল কলেজ একটি বাজে ধারনা। এটা রাখা মানে জনগণের রায়কে হেয় করা।জনগনের ভোট বেশী পেলেও কলেজ কম থাকার কারণে তিনি বাদ গেলেন। এটা একটা পচা পদ্ধতি।