নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

একজন দেশপ্রেমীক

একজন দেশপ্রেমীক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধূর্ত বৃটিশদের নাম পরিবর্তন করার কৌশল!

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২০

ব্রিটিশরা নিজেদের অজ্ঞতাহেতু প্রাচ্যদেশীয় নামগুলোকে বিকৃত করে অভিহিত করতো। যেমন ষোড়শ শতকে এদেশে আসা ইংরেজ পরিব্রাজক রালফ ফিচ মুঘল সম্রাট জালাল উদ্দীন মোহাম্মদ আকবরের নাম লিখেছিলেন 'জেবালদিম ইচেবর'। মসনদ-ই-আলা ঈসা খানের নাম হয়েছিলো ইসাকান (Issacan)। নবাব সিরাজ উদ দৌলার নাম যেরকম করে লেখা হয়েছিলো, তার পাঠ ছিলো স্যার রজার ডওলার (Sir Roger Dowler)!
প্রারম্ভিকভাবে ব্রিটিশরা হিন্দুদের জেন্টু আর মুসলিমদের মুর বা মোহামেডান নামে অভিহিত করতো। ব্রিটিশদের মিত্রতা লাভ করায় হিন্দুরা তাদের নাম সংশোধন করতে সমর্থ হলেও পরাজিত শক্তি হবার দরুন সেই সৌভাগ্য মুসলিমদের ছিলোনা। ফলে সরকারীভাবেও মুসলিমরা মুর বা মোহামেডান হয়েই ছিলো বিগত শতকের ত্রিশের দশকের শেষ পর্যন্ত। ১৯৩৭ সালে প্রথমবার ক্ষমতাসীন হয়েই বাংলার প্রধানমন্ত্রী এ কে ফজলুল হক এর সুরাহা করতে উদ্যোগী হন। তাঁর প্রচেষ্টাতেই বাংলায় সরকারী দস্তাবেজে মোহামেডান শব্দের পরিবর্তে মুসলমান (Mussalman) শব্দ ব্যবহারের আইন জারী হয়। অবশ্য এর জন্য বাংলার প্রধানমন্ত্রীকে দুয়োধ্বনী আর তাঁর বাড়ীকে পচা ডিমের বর্ষণ হজম করতে হয়। ফজলুল হক এমনি এমনিই শেরে বাংলা খেতাব পাননি।
সেই Mussalman পরে Muslim হয়ে আল্লাহ ফজলে একটি স্বাধীন দেশও বাগিয়ে নেয়। ভাবতে কৌতুকই লাগে, ৭৫ বছর আগেও যাদের নামও আইনিভাবে স্বীকৃত ছিলোনা, আজ তারাই ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে যৌনমিলন করছে আর ঠোঁট ঝোলানো উটের মতো হাসছে...!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আত্ম পরচিয় বিস্মিৃত আর চেতনা বিস্মৃত জাতির এমনইতো হবার কথা!!! নয়?

তারা কিন্তু নিজেদেরে ব্যাপারে শতভাগ টনটনে!

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগলো।

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: কলকাতার পত্রিকাগুলোও মুসলিম নাম বিকৃত করে, সুরাবর্দি (সোহরাওয়ার্দী), আক্রম (আকরাম), মুকুলেশ (মুখলেছ) এ ধরণের আরো আছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.