![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ কে ফজলুল হককে কেন শের-ই-বাংলা বলা হয়, সেটা নিয়ে তেমন মাথা ঘামাইনি। আমি মনে করতাম, ফজলুল হকের অনবদ্য রাজনৈতিক জীবনই তাঁকে বঙ্গ শার্দূলে তবদিল করেছে। আমি জানতাম, ১৯৪০ এর দশকের শুরুতে তিনি যখন মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন, তখন মুসলিম লীগ সমর্থক পত্রিকাগুলো তাঁর শের-ই-বাংলা উপাধীকে অধিকতর জনপ্রিয় করে তোলে। যদিও আবহমান বাংলায় তাঁর প্রতি আরোপিত সবচেয়ে মর্যাদাবান সম্বোধন ছিলো 'হক সাহেব'।
তবে ফজলুল হকের বঙ্গ শার্দূল হবার পেছনে যে তাঁর কিছু অনবদ্য শারীরিক সক্ষমতাও অনুঘটক হতে পারে, তা সিরিয়াসলি ভাবিনি। তবে এখন মনে হয় শের-ই-বাংলা নামক অবিস্মরণীয় এই উপাধীর পেছনে মহাকাব্যিক রাজনৈতিক জীবনের চেয়েও বেশি অনুঘটক হয়েছিলো, তাঁর অনবদ্য দৈহিক শক্তি ও তুখোড় মগজ। রাজনীতিতে এটা বিরল।
ফজলুল হকের জীবনী পাঠে জানা যায়, কৈশোরে ছয় ফুটের বেশি উচ্চতা ও শারীরিক শক্তির দিক থেকে ফজলুল হক মশহুর হয়ে পড়েন। এর সাথে ছিলো বজ্রের মতো ভারী কণ্ঠস্বর। লং জাম্প, দৌঁড়, সাঁতার, লাঠিবাজী, পাঞ্জা, বৃক্ষারোহণ, কাবাডির মতো পুরুষালী খেলাধুলায় তাঁর আগে কেউ ছিলোনা। কাবাডির সময় পাঁচজন মিলেও তাঁকে ধরে রাখতে পারতো না। নারকেল গাছে উঠে তিনি অনায়াসে পাঁচ জোড়া নারকেল নিয়ে নামতে পারতেন। তিনি শখের বশে ঘুসি হাঁকিয়ে ঝুনা নারকেল ছিলতেন, আস্ত সুপারি দাঁতে চিবিয়ে ভাঙ্গতে পারতেন। একবার এক আফগানের সাথে পাঞ্জা লড়তে গিয়ে তার আঙ্গুল মচকে দিয়েছিলেন হক সাহেব।
ফজলুল হকের খাওয়াতেও ছিলো কিংবদন্তী। তিনি নিজেই নাকি স্বীকার করেছেন, হাটের সবচেয়ে বড় কাঁঠালটি তিনি একা সাবাড় করতে পারতেন। এক সঙ্গে ২০ ডাবের পানি, ৪ জগ খেজুরের রস খাওয়ার রেকর্ড ছিলো তাঁর। অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রীত্ব করার সময় ১৯৪৩ সালে একবার তাঁর একাদিক্রমে ৪৫ ফজলি আম সাবাড়ের কথা অনেক শুনেছি। জীবনসায়ান্হে যখন তাঁকে তরল খাবার খেতে হতো, তখন নাকি তিনি আক্ষেপ করে বলতেন, "হাতীর লাগে কলার বাগান। শুধু পানি খেলে কি সে বাঁচে!"
মেধা শক্তির দিক থেকেও হক সাহেবকে ঘিরে কিংবদন্তীর ছড়াছড়ি। শুনেছি, কোন পড়া তিনি একবারের বেশি পড়তেন না। দাবা খেলায় তিনি কোনদিন হারেননি। মাতৃভাষা ছাড়াও ইংরেজি ও ফার্সীতে তিনি নাকি পণ্ডিত ছিলেন। এতোটাই পণ্ডিত যে, আদালতে ইংরেজিতে সওয়াল জওয়াব করার সময় ইংরেজ জজেরা প্রায়ই তাঁকে থামিয়ে তাঁর বলা কঠিন কোন শব্দের মানে বুঝতে চাইতেন! অবিশ্বাস্যই বটে...!
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
একা উনার খাওয়া যোগাতে গিয়ে মনে হয়, ১৯৪৩ সালে বাংলায় দুর্ভিক্ষ হয়েছিল?
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৬
জগতারন বলেছেন:
চাঁদগাজী; পয়েন্দাবাদ!!
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭
খোলা মনের কথা বলেছেন: তিনি শখের বশে ঘুসি হাঁকিয়ে ঝুনা নারকেল ছিলতেন, আস্ত সুপারি দাঁতে চিবিয়ে ভাঙ্গতে পারতেন। পুরাতন বয়স্ক লোকদের মুখে একথা গুলো অনেক শুনেছি কোনদিন দেখেনি। একটু বলবার ক্যাটগারির মানুষ হলেই তার সাথে এই বাক্য গুলো জুড়ে থাকতো।
যায়হোক শেরে বাংলার সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে পেরে ভাল লাগলো।
৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮
টারজান০০০০৭ বলেছেন: @ চাঁদগাজী , ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ কি কারণে হইছিলো তা কি ভুইল্লা গেছেন ? নাকি ভাসুরের নাম মুখে নিলে পাপ হইবো ! লর্ড ম্যাকলের প্ল্যান এতো সুষ্ঠুভাবে সফল হইছে যে ভাসুরের পিন্ডি শেরে বাংলার ঘাড়ে চাপানোর লোকও কায়েম হইয়া গ্যাছে ! সাবাস !
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:
শীত বিদায় নিয়েছে, বসন্ত চলছে। শীত ও বসন্তের কম্বিনেশনে আমার ডিজাইন করা চিত্র দিয়ে প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে পোষ্ট দাতাকে শুভেচ্ছা।
হক সাহেবের প্রচলিত মিথ কথাগুলো ব্লগে আনার জন্য ধন্যবাদ।