নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

একজন দেশপ্রেমীক

একজন দেশপ্রেমীক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়....

০৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩

খাজা সলিমুল্লাহ, নওয়াব আলী চৌধুরী, চৌধুরী কাজেম উদ্দীন আহমদ সিদ্দিকী, সিরাজুল ইসলাম, কাজী গোলাম মোহাম্মদ ফারুকী, আবদুল ওয়াহেদ, শামসুল হুদা, কাজী মোহাম্মদ আফজাল প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ বড় নেক এক উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে নিজেদের শ্রম, ধন ব্যয় করেছিলেন।
বহু বড় বড় রুইকাতলার বাঁধা তাদের ঠেলতে হয়েছে। এদের সবার নাম উচ্চারণ এখন নিরাপদ নয়। তবে কয়েকজনের নাম বলা নিরাপদ। যেমন, তখনকার প্রখ্যাত আইনজীবী রাশবিহারী ঘোষ, ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশুতোষ মুখার্জি (শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির পিতা), সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, নীলরতন সরকার প্রমুখ। এদের মধ্যে অনেককেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বিভিন্নভাবে আত্মীকরণ করে সামলাতে হয়েছিলো। কাউকে উপাচার্যও করতে হয়েছিলো। বাংলার বাইরে থেকে মদনমোহন মালব্য, স্বামী শ্রদ্ধানন্দ প্রমুখের হুংকার সামলাতে হয়েছে।
আজ প্রতিষ্ঠার ৯৬ বছরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় আছে! সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, এই বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি করেছে রাশবিহারী ঘোষ, যদুনাথ সরকারদের অন্ধ অনুসারীদের। ১৯২৬ সালে 'রঙ্গিলা রসুল' নামে একটি চটি কিতাব লিখেছিলেন স্বামী শ্রদ্ধানন্দ। নামেই বইটির বিষয়বস্তু ফুটে ওঠে বিধায় এর তাবসেরা আর করছিনা।
শ্রদ্ধানন্দও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধী ছিলেন। সেই ঘটনার ৯৮ বছর পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজায় 'নূরানী চাপা' নামক ব্লগের লেখকের 'জানাজা' পড়াতে দেখেছি। দেখেছি কিভাবে সেই ঘৃণ্য প্রচারণার স্বপক্ষে ইনিয়েবিনিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথাদের পক্ষ নিতে। সবসময় দেখি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়ে গর্বের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের ব্রিটিশের পো ধরা নাইট নবাব বলে গালমন্দ করতে। আরেক পক্ষ সমাবর্তন বক্তব্যে রাষ্ট্রপ্রধানের দেয়া চটুল ভাষণের লুৎফ ওঠাতে ব্যস্ত।
এগুলোকেই যদি এদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক আঙ্গিনায় রাখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীট অবদান হিসেবে দেখি, তবে তা আমার পক্ষে অনুচিত ও ধৃষ্টতাপূর্ণ বলে প্রতীয়মান হবে।
এতো অজ্ঞানতা, কৃতঘ্নতা আর অন্ধকারকে সমুন্নত রেখে চললেও সত্যি সত্যিই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলার তাজ, বাংলার বাতিঘর। গত ৯৬ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয় এদেশকে যা দিয়েছে তার পরিমাণও বিস্তর। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সর্বাঙ্গীণ শুভকামনাও একান্তই এই মনের গভীরতম প্রদেশ থেকে উৎসারিত। কোন সাচ্চা দেশপ্রেমিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমঙ্গল কামনা করতে পারেনা, এর কোন ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে নিগুড় মহা শয়তানী করতে পারেনা...।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: যারা প্রতিষ্টা করলো তাদের নাম গন্ধ নাই আর যার বিরোধীতা করেছে তারা আজ সন্মানিত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.