নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

একজন দেশপ্রেমীক

একজন দেশপ্রেমীক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুপকথার রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন যারা....

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

নিঃস্ব রাষ্ট্রনায়কের কথা আসলেই সবার আগে মনে আসে খোলাফায়ে রাশেদিনের আমলের কথা বিশেষত হযরত উমরের কথা। সেই ইউটোপিয়ান জমানার কথা বাদ দিলেও মধ্যযুগেও বেশ কয়েকজন নিঃস্ব সুলতান ও সম্রাটের নাম পাওয়া যায় ইতিহাসে। দিল্লীর সুলতান নাসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহ, মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকারী ছিলেন না। আর আধুনিক যুগে এসে উপমহাদেশ তো যেন দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের আঁতুড়ঘর হয়ে পড়েছে। ফলে এখানে ঠিক সে অর্থে নিরাভরণ নেতা পাওয়া দুষ্কর। তবে অসম্ভব নয়।
এই যেমন নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার কথাই ধরা যাক। বেশ কয়েক বছর তীব্র রাজনৈতিক টানাপড়েনের পর হিমালয় দুহিতার প্রধানমন্ত্রীত্বে আসীন হওয়া এই ৭৫ বছরের বৃদ্ধের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বলতে কিছুই নেই। এমনকি জীবনে বিয়েও করেননি তিনি। টেনেটুনে তাঁর কাছে আছে দুটি মোবাইল ফোন। পত্রিকায় আগে পড়েছি উরুগুয়ের গদীনশীন প্রেসিডেন্ট হোসে মুজিকার সম্পর্কে। সুশীল কৈরালার আগে তিনিই ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র রাষ্ট্রনায়ক। সাবেক বামপন্থী গেরিলা মুজিকার সম্পত্তি বলতে একটি ১৯৮৬ মডেলের ভক্সওয়াগন গাড়ি। থাকেন স্ত্রীর খামারবাড়িতে। এমনকি প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রাপ্য মোট মাসিক পারিতোষিকের ৯০% দিয়ে দেন রাজকোষে। কারণ বউয়ের কামাইয়েই দিব্যি চলে যায় তাঁর দিন।
তবে উপমহাদেশে নেপালের সুশীল কৈরালা বাদে যে একদমই এমন রাষ্ট্রনায়ক নেই, সেটাও বলা যাবে না। আমরা স্মরণ করতে পারি পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের কথা। কার্নালের নবাবযাদা হয়েও ১৯৫১ সালে আততায়ীর হাতে নিহত হবার সময় কপর্দকশূন্য অবস্থায় স্ত্রী রানা লিয়াকত আলী খান আর দুই কিশোর ছেলেকে অকূল পাথারে ভাসিয়ে যান তিনি। স্মরণ করা যায় ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর কথা। যার চলনবলন ছিল সম্পূর্ণ দেহাতির মতো। একবার কোন এক সরকারী বৈঠকে যাবার সময় ফুটপাথে ডাব বিক্রি হতে দেখে গাড়ীর চালকের কাছ থেকে দুই আনা ধার করে ডাব কিনে তৃষ্ণা নিবারণ করতে হয়েছিলো তাঁকে। তিনিও স্ত্রী-সন্তানকে পথে বসিয়েই আচমকা মারা যান। পরবর্তীতে ভারত সরকার শাস্ত্রীর অসহায় পরিবারকে একটি ফ্ল্যাট ও বড় ছেলেকে অশোক লেল্যান্ডে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসিত করে।
এমনকি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ঘোরতরভাবে বিভক্ত বাংলাদেশের সৎ অন্তঃকরণের আওয়ামী লীগাররাও মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সততা আর নিরাভরণ চরিত্রের কথা স্বীকার করে থাকেন। মৃত্যুকালে আসবাবপত্র আর বগুড়ার গাবতলীতে পৈত্রিক সম্পত্তি বাবদ যার কাছে প্রায় ৬৪০০০ টাকার সম্পত্তি ছিল, যিনি বিদেশ সফরে যাবার সময় স্ত্রীর ভগ্নীপতির সুট অলটার করে নিয়ে পড়তেন। মেজর জেনারেল মঈনুল হোসেন চৌধুরীর বইতে পড়েছি, ১৯৭৯ সালে ঐতিহাসিক চীন সফরে যাবার পর বেগম জিয়া একজোড়া পশমি মোজা কিনতে চাইলে জিয়া তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, "আমি গরীব দেশের নির্ধন প্রেসিডেন্ট। আমাদের খালি পা থাকাটা জরুরী।" যার রিপু করা সাফারি সুটের পাশে আজ তাঁরই রাজনৈতিক উত্তরসূরিদের রোশনাই দেখতে বড্ড বেশি বেমানান আর কুৎসিত লাগে...

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: সত্যি কথা কইয়েন না। এরাও পেটাবে ওরাও।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

"এমনকি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ঘোরতরভাবে বিভক্ত বাংলাদেশের সৎ অন্তঃকরণের আওয়ামী লীগাররাও মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সততা আর নিরাভরণ চরিত্রের কথা স্বীকার করে থাকেন। মৃত্যুকালে আসবাবপত্র আর বগুড়ার গাবতলীতে পৈত্রিক সম্পত্তি বাবদ যার কাছে প্রায় ৬৪০০০ টাকার সম্পত্তি ছিল, যিনি বিদেশ সফরে যাবার সময় স্ত্রীর ভগ্নীপতির সুট অলটার করে নিয়ে পড়তেন। "

-জিয়া বলতেন, "ব্লাডি সিভিলিয়ান"; কারণ, উনি জানতেন, আপনার মত কোটী বাংগালী বাংলাদেশে আছেন। উপরে যা লিখেছেন, উহা আপনি না বুঝেই লিখেছেন,

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ভাল লাগল

নতুন করে কিছূ তথ্য পেলাম

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: ইতিহাস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.