নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাহিদার শেষ আমার কাছে , আমি সুখী, রাজ্য- প্রজাহীন রাজা , ......

অর্ধ চন্দ্র

আমি মানুষ,আমি গর্বিত এবং দৃঢ় চিত্তে ভীষণ উচ্ছ্বাসিত, স্বপ্নীল সোঁনার বাংলার বিশ্বে মাথা উঁচু, আপনা পূর্ণতা নিয়ে।

অর্ধ চন্দ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

....... রীতিমতো চমকে ওঠার মতো উদ্বেগ !!!!

২০ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:২০



########
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সাথে জড়িত গ্রামীণফোনের একটি স্পর্শকাতর ইউনিটের নিয়ন্ত্রণ স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে রয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি গোয়েন্দা বিভাগ। আর এর নেপথ্যে রয়েছে যুদ্ধাপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের পুত্র আলি আহমেদ তাহকিক। এমতাবস্থায় জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকগণ।

রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ যে মোবাইল টেলিফোন নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত এবং যার মাধ্যমে সরকারি ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গোপনীয় এবং স্পর্শকাতর বিষয়ে তথ্য আদান-প্রদান হয়ে থাকে, সেই নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত গ্রামীণফোনের ইউনিটটি স্বাধীনতা এবং সরকারবিরোধী কতিপয় কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারের শীর্ষ গোয়েন্দা বিভাগ। যার ফলে যেকোন সময় রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গোপনীয় ও স্পর্শকাতর তথ্য দেশবিরোধী গোষ্ঠীর নিকট পাচার হয়ে যাবার আশঙ্কা করছে গোয়েন্দা বিভাগ।

রাষ্ট্রের সকল গোয়েন্দা সংস্থা এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় নিয়োজিত সকল সংস্থা প্রচলিত আইনে মোবাইল টেলিফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে এবং বিভিন্ন কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ ও তথ্যের আদান-প্রদান করে। এই সংস্থাগুলোর সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করছে NTMC (National Telecom Monitoring Cell) যা সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সদস্যবৃন্দ দ্বারা পরিচালিত। প্রতিটি মোবাইল অপারেটর-এর মতই গ্রামীণফোনেরও একটি LIC (Lawful Interception Cell) আছে যা NTMC-এর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে। উক্ত সেলটি গ্রামীণফোনের কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্স বিভাগের অধীনে কর্মরত ডিরেক্টর-স্টেইকহোল্ডার রিলেশন্স-এর ইসতিয়াক হোসেন চৌধুরী দ্বারা পরিচালিত।

ইসতিয়াক হোসেন চৌধুরীর বিষয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি বিভিন্ন সময় কট্টর সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রদান করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিণতি হবে, এধরনের বক্তব্য প্রদান। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে তার একটি বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “১৫ই আগস্টের আগেও তো বুঝতে পারে নাই যে এমনটি হবে।” এছাড়াও ২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে পূর্ণ সমর্থন করে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন ইসতিয়াক হোসেন চৌধুরী, এমন তথ্যও বেড়িয়ে এসেছে তদন্ত প্রতিবেদনে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রামীণফোনের যে বিভাগটি সরকারের সাথে বিভিন্ন রেগুলেটরি এবং কৌশলগত বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে তার শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা ইসতিয়াক হোসেন চৌধুরীর মত সরকারবিরোধী মনোভাবাপন্ন এবং সরকারের পতনের আকাঙ্ক্ষা লালন করা ব্যক্তি কিভাবে NTMC-এর মত স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে তা যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এর ফলে সরকারের যেকোন গোপন তথ্য সহজেই রাষ্ট্রবিরোধী শিবিরে পাচার হয়ে যেতে পারে।

এদিকে, ইসতিয়াক হোসেন চৌধুরীই শুধু নন, গ্রামীণফোনের এই স্পর্শকাতর ইউনিটটিতে এমন সব ব্যক্তি কর্মরত আছেন যারা কেবল সরকারবিরোধীই নন, যুদ্ধাপরাধীদের সাথেও ব্যক্তিগতভাবে সম্পর্কিত। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল এবং ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন আল-বদর বাহিনীর প্রধান আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের পুত্র আলী আহমেদ তাহকিক। তিনি গ্রামীণফোনের স্টেইকহোল্ডার রিলেশন্স ডিপার্টমেন্টের রিলেশনশিপ ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। আর উক্ত ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর হচ্ছেন ইসতিয়াক হোসেন চৌধুরী। এই ইসতিয়াক হোসেন চৌধুরী যার সরাসরি আনুকূল্যে উক্ত পদে বহাল আছেন তিনি হচ্ছেন গ্রামীণফোনের কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্সের প্রধান কানাডা প্রবাসী মাহমুদ হোসেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বেড়িয়ে এসেছে যে, মাহমুদ হোসেন রাষ্ট্রীয় আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে তার প্রাপ্ত বেতনের সমুদয় অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন।

উল্লেখ্য, গ্রামীণফোনের কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্সে কর্মরত যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদের ছেলে তাহকিক, ইসতিয়াক হোসেন চৌধুরী এবং মাহমুদ হোসেন, এই তিনজনের পয়েন্টসম্যান হিসেবে কাজ করছেন LIC (Lawful Interception Cell)-এর ম্যানেজার মশিউর রহমান। গ্রামীণফোনের সাথে সরকারি সংস্থাগুলোর যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করেন তিনি।

এমতাবস্থায়, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার সাথে জড়িত গ্রামীণফোনের এই স্পর্শকাতর ইউনিটটি স্বাধীনাতবিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সরকারের শীর্ষ গোয়েন্দা বিভাগ। এ ব্যাপারে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ বলে মনে করে গোয়েন্দা বিভাগ। অন্যথায় সরকারি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী গোষ্ঠীর নিকট পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তারা
( তথ্য- বিডিজার্নাল )

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

sdfsdfsdsdfsdfssdfeq বলেছেন: প্রশ্ন হলো, ১৯৭৫ ঘটনার পূনরাবৃত্তি হলে কতজন মানুষ দু:খিত হবে? শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের কিছু পা চাটা কুত্তা ছাড়া কেউই গুরুত্ব দিবেনা।
আরও ভালো হবে, যদি শেখ + জিয়া দুই পরিবারকেই একসাথে বিদায় করা যায়!
দেশের ক্যান্সার এই দুই পরিবার।

২৩ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:২২

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: আর দেশ হবে আবগান পাকির ভাই ভাই ! বাঃ কি চমৎকার !!!

২| ২১ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:৪০

দধীচি বলেছেন: ঢাকা এয়ারপোর্টে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র এর অফিস কার্যক্রম নিয়মিত চলে। একটা সাধিন দেশে আরেক রাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগ নির্বিঘ্নে চলছে। এটাও কি উদ্বেগজনক নয়? হাম্বাদের কি এসব চোখে পরে না?

৩| ২১ শে মে, ২০১৫ রাত ১:২৬

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: কি মজা কি মজা?? যেখানে জনগণের ভোটাধিকার তথা মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে ভিন্ন দেশের সহযোগিতায় সেখানে এই ধরনের সংবাদ চমকের আর কি হল??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.