নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা পরীক্ষার প্রশ্ন!!!

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৩


এবারের এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে উপড়ের প্রশ্নটি এসেছে ! সুত্র ঃ একুশে সংবাদ

৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা-২ সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে লেখা হয়, 'প্রখ্যাত সাহিত্যিক আনিসুল হক লেখালেখি করে সুনাম অর্জন করতে চান। একুশের বইমেলায় তাড়াহুড়ো করে তিনি বই প্রকাশ করেন। পাঠকদের কাছে তার লেখা খাপছাড়া মনে হয়। ফলে পাঠকদের কাছে তিনি সমাদৃত হন না।’

সেই অনুচ্ছেদের নিচে ৫টি প্রশ্ন করা হয়েছে: (ক) ‘যশ’ শব্দের অর্থ কী? (খ) ‘লেখা ভালো হইলে সুনাম আপনি আসিবে।’ উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। (গ) আনিসুল হক কোন কারণে ব্যর্থ, তা ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার আলোকে ব্যাখ্যা কর। (ঘ) সাহিত্যের উন্নতিকল্পে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনায় লেখকের পরামর্শ বিশ্লেষণ কর।’ সুত্রঃ সময় নিউজ

স্তম্ভিত হয়ে গেছি প্রশ্নগুলো দেখে । বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রনয়ন ও মডারেশনের বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে । প্রশ্নপত্র প্রণয়নে সাধারণ নির্দেশনা না মানা এই প্রশ্নপত্র এতগুলো ধাপ পার হল কি করে? একজন শিক্ষক আবোল তাবোল প্রশ্ন করল এবং মডারেশন কমিটি কি তা চোখ বন্ধ করে পাশ করে দিল? শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে প্রশ্ন প্রনয়নকারী শিক্ষক ও মডারেটরদের নাকি চিহ্নিত করা হয়েছে। জনগনের জন্য কি এটুকু তথ্যই যথেষ্ঠ ? চিহ্নিতদের নাম কেন প্রকাশ করা হবে না? কেন পত্রিকায় এসব কুলাঙ্গারদের ছবি আমরা দেখব না? পত্রিকায় যদি অন্য ধরনের অপরাধ করা অপরাধীর ছবি প্রকাশ করা যায় তবে এদের ছবি কেন প্রকাশ করা যাবে না? শিক্ষা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা কুলাঙ্গাররা কি অন্য অপরাধীদের তুলনায় কম মাত্রার অপরাধী ? আমিতো বলব বরং আরো অনেক বেশি মাত্রার অপরাধী এরা। এই যে লাখ লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলে এমন প্রশ্নপত্রের মুখোমুখি হল তাদের অনুভুতিটা ভেবে দেখুন একবার। ধর্মীয় উস্কানিমুলক প্রশ্ন বা জনৈক কথা সাহিত্যিককে ব্যঙ্গ করা প্রশ্নের উত্তর কিভাবে লিখবে যাতে নাম্বার কমে না যায় , ভেবে ভেবে নিশ্চই তাদের মনের ভেতর ঝড় বয়ে যাচ্ছিল! পরীক্ষার্থীদের মনোজগতে কি ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে একবারো কি ভেবে দেখেছি আমরা ?

এমন মারাত্মক অপরাধের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা না করা হলে এ ধরনের অপরাধ চলতেই থাকবে। প্রতি বছর প্রশ্ন ফাসে জড়িত অনেককে ধরা হয়েছে বলে পত্রিকায় খবর আসে। কিন্ত তারপরেও প্রশ্নফাশ অবিরাম চলছেতো চলছেই। এর প্রধান কারন হচ্ছে শক্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না এসব মারাত্মক অপরাধের বিরুদ্ধে। কেবল তদন্ত চলছে, অপরাধী চিহ্নিত করা হয়েছে বলেই দায় শেষ করে দেয়া হয় প্রতিবার। মানুষও দিন কয়েক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়ে ভুলে যায় সব কিছু । অপেক্ষায় থাকে নতুন কোন ইস্যূ এলে আবারো নব উদ্যোমে ঝাপিয়ে পড়ার। এভাবেই চলছে দেশ!

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২

রানার ব্লগ বলেছেন: প্রশ্নকারী পালাতক

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০১

ঢাবিয়ান বলেছেন: পত্রিকায় কেবল এসেছে এই শিক্ষকবৃন্দ এবং মডারেটরদের চিহ্নিত করা হয়েছে কিন্ত তাদের নামধাম প্রকাশ করা হয়নি। পলাতক বিষয়ক খবর পড়িনি ।

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,




এগুলো সৃজনশীল মাথার সৃজনশীল কর্ম। যেদিন থেকে এই সৃজনশীল চর্চা শুরু হয়েছে সে সময় থেকেই এমন অপরূপ সৃজনশীলতা দেখতে হচ্ছে আমাদের। আর তাতে ততোই পরিষ্কার হচ্ছে আমাদের দায়িত্বশীলদের অদক্ষতা আর কাজে কামাই দেয়ার কেচ্ছা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন। চাটুকারিতাকে সৃজনশীলতার পর্যায়ে নিয়ে গেছে মোসাহেবের দল যার ফলাফল এখন দেখতে পারছি চোখের সামনে।

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ধরণের প্রশ্ন যারা তৈরি করেছে তাদের গ্রেফতার করে বিচার করা উচিত।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: চিহ্নিত শিক্ষকবৃন্দ এবং মডারেটরদের নাম ধাম প্রকাশ পেলে হয়ত কিছু আশা করা যেত। কিন্ত পরিচয় প্রকাশ না করা হলে তাদের শাস্তি প্রক্রিয়া কিভাবে নিশ্চিত হবে?

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৩৩

সোহানী বলেছেন: আমি ফেসবুকে দেখে ভেবেছি এটা ফান। এখনতো দেখছি সত্য!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

সব পাগল হয়ে গেছে মনে হচ্ছে................

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: পাগল হয়নি আপু। মোসাহেবি, চাটুকারিতাকে প্রশ্রয় দানের ফলাফল এসব। ক্ষমতাসীনদের সুনজরে থাকার প্রচেষ্টায় এখন দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ নিজের বিবেক বুদ্ধি সব খুইয়ে বসেছে। দেশে শিক্ষা ক্যডারে কর্মরত বন্ধুদের মুখে সরকারী কলেজের প্রিন্সিপাল ও ক্ষমতাবান বিভিন্ন শিক্ষকদের কার্যকলাপ শুনলে চমকে উঠি। কিন্ত কোন অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে প্রমোশন আটকে যায়, এমনকি সরকারী চাকুরি পর্যন্ত চলে যেতে পারে বলে সবাই দেখেও না দেখার ভান করে।

৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: এমন তো হবার কথাই ছিল। ৯৯৩ কোটি টাকার একটা অনুদান এসেছিল শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য। টাকা হজম করতে কিছু একটা করতে হবে, তাই প্রস্তাব করা হলো কাঠামো বদ্ধ প্রশ্ন পদ্ধতির, বলা হল এতে নোটবই আর কোচিং একেবারে উঠে যাবে। কিন্তু এই পদ্ধতি চালু করতে শিক্ষকদের পর্যাপ্ত ট্রেনিং দেয়া দরকার ছিল, তা না করে তড়িঘড়ি করে ২০১০ সালে এই পদ্ধতি চালু হলো, নতুন নামকরণ হলো সৃজনশীল পদ্ধতি। কেউ জানে না এর নিয়ম-কানুন, ফলে ছাত্ররা দলে দলে কোচিং এ যেতে লাগল। নোটবই দেখে শিক্ষক প্রশ্ন করতে লাগলেন। ফলাফল, একযুগ পার হলেও সবাই যে তিমিরে ছিল সেখানেই রইল।

মন্দ কি! সবকিছু তিমিরে ঢেকে দেবার প্রথম পদক্ষেপ শিক্ষাঙ্গনে অন্ধকার করে দেয়া।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব ভাল লাগল আপু, ব্লগে আবারো আপনাকে সক্রিয় হতে দেখে।

সৃজনশীল পদ্ধতি শুনতে বেশ চমকপ্রদ লাগে। আমাদের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় ( আশি/ নব্বই দশকে) এত চমকপ্রদ শব্দ আমরা শুনিনি কিন্ত এটুকু বলতে পারি যে শিক্ষার মান অনেক উন্নত ছিল। আমাদের সময়ে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ছিল হাতে গোনা এবং ভাল ছাত্র ছাত্রীরা সেখানে পড়তে যেত না। ধনী ব্যক্তিরাও সন্তানকে বাংলা মিডিয়ামের নামকরা স্কুলে ঢোকাতে স্কুলকে অনেক টাকা ডোনেশন দিয়ে চেষ্টা করত। অনিয়ম বলতে গেলে সেই আমলে এটুকুই ছিল বিড়াট অনিয়ম। আর এখন মধ্যবিত্তরাও সব বিলাশিতা বাদ দিয়ে চেষ্টা করে সন্তানকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াতে ।

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: নষ্ট রাজনৈতিক ক্ষমতায় রাস্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় শিক্ষার নামে এক শ্রেণীর শিক্ষক নামের কুলাংগারের অসভ্যতা চরম আকার ধারণ করেছে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: একমত আপনার সাথে। যে যত বড় চাটুকার সে তত বেশি ক্ষমতাবান এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ।

৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনা দেশকে ডিজিটাল করে দিয়েছেন। দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: মহাসড়ক, উড়াল সড়কে যখন উন্নয়ন গিয়ে পৌছায় তখন প্রশ্নপত্রের অবস্থা এমনটা হওয়াই খুব স্বাভাবিক।

৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫১

অন্ধঘোড়া বলেছেন: এরাই না অসাম্প্রদায়িকতার বুলি আওড়ায়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.