![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহুল আকাংখিত নতুন রাজনৈতিক দল, জাতীয় নাগরিক পার্টির গতকাল আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। মানিক মিয়া এভিনিউতে সম্পুর্ন ভিন্ন ধারার এক রাজনৈ্তিক দলের সমাবেশ আমরা দেখলাম। মঞ্চে কোন চেয়ার ছিল না। দলের সব নেতৃবৃন্দ একসাথে মঞ্চের ফ্লোরে বসেছিল । আলাদা করে বিশেষ কাউকে প্রাধান্য দিতে দেখা যায়নি। নেতা নেত্রীদের সবাইকে একই কাতারে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। একের পর এক নেতা এসে তাদের বক্তব্য রেখে গেছে। নেতাদের বক্তব্য কেমন লেগেছে , তা নিয়ে আলোচনা করতেই এই পোস্টের অবতারনা।
জুলাই বিপ্লবের কান্ডারি ধীর স্থির স্বভাবের নাহিদ ইসলাম সবার শেষে বক্তব্য রেখেছে। বরাবরের মতই স্বান্তভাবে সে তার বক্তব্য রেখেছে। পরিবারতন্ত্রের বদলে মেধা ও যোগ্যতার মানদণ্ডে প্রকৃত গনতান্ত্রিক একটা রাজনৈ্তিক দল গঠনের কথা জানিয়েছে নাহিদ। তার বক্তব্যের প্রতিটা বাক্যে জনগনের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে। ধীর, স্থির স্বভাবের এই নাহিদকে দেখলে বোঝার উপায় নাই যে , সে কতটা দৃঢ়চেতা ও নির্ভীক এক তরুন। জুলাই মাসে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে নাহিদই প্রথম গুম এর শিকার হয়। আয়নাঘরে নিদারুন টর্চারের শিকার হয়ে সে যখন ফিরে আসে , তখন ভেবেছিলাম এরপর তাকে আমরা আর আন্দোলনে দেখতে পাব না। আওয়ামিলীগ আমলে যারাই গুমের শিকার হয়েছে , তারা সবাই ছাড়া পেলেই নিভৃতে চলে যেত। জনসমক্ষে তাদের আর দেখা যেত না। গুম সংক্রান্ত কোন কথাই তাদের মুখ থেকে বের করা সম্ভব হত না। কারনটা সহজেই অনুমেয়। নাহিদই প্রথম ব্যক্তি যে বিবিসি বাংলায় তার গুম হবার কথা প্রকাশ করে এবং আয়নাঘরে নিয়ে শারীরিক টর্চারের প্রমান সাংবাদিকদের সামনে উন্মোচন করে। আসলে এই তরুনেরা তখন মৃত্যূ্ভয়কে অতিক্রম করে ফেলেছিল। জুলাই এ নিহত শহীদদের কাতারে সামিল হবার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিল। সেই নাহিদকে যখন উপদেষ্টা পদে দেখেছি, এক বিন্দু পরিবর্তন তার মাঝে দেখতে পাইনি। এত অল্প বয়সে ক্ষমতা হাতে পেয়েও , এক বিন্দু অহংকার তার মাঝে প্রকাশ পায়নি।আবার দেশের প্রয়োজনে ক্ষমতা ছেড়েও এসেছে খুব স্বাভাবিকভাবে। এই প্রজন্মের তরুনেরা বুঝিয়ে দিয়েছে ক্ষমতা আসলে ব্যক্তিগত কোন প্রাপ্তি নয় , রাস্ট্রীয় ক্ষমতার অর্থ হচ্ছে জনগনের সেবক।
জুলাই বিপ্লবের আরেক সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদের এর সহজ সরল আঞ্চলিক টানে বক্তব্য বরাবরই ভাল লাগে। তাকে দেখলেই আমার জুলাই এর সেই দিনের কথা মনে পড়ে যায় । গুম হয়ে যাওয়া আসিফ, বারেক ও রিফাত রশিদের জন্য কাদঁতে কাদঁতে বক্তব্য দেয়ার সময় রাস্তায় শুয়ে পড়ে হলেও আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষনা দিয়েছিল এই হান্নান। এই ছেলেগুলো যেভাবে জনগনকে রাস্তায় নেমে আসতে অনুপ্রানিত করেছে , তা আসলে ভুলবার নয়। তবে গতকাল তার বক্তব্যে নাহিদ ইসলামকে '' গনতন্ত্রের ইমাম '' বলাটা ভাল লাগে নাই। এইসব চাটুকারীতা সুলভ আচরন থেকে ছাত্রদের দূরে থাকতে হবে।
জুলাই বিপ্লবের দুই আলোচিত নেতা হচ্ছে সারজিস ও হাসনাত। এই দুইজনকে লোভ দেখিয়ে আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিল বিগত লীগ সরকার। সেদিন যদি তারা টাকা ও ক্ষমতার কাছে বিক্রি হয়ে যেত , তাহলে স্বৈরাচারী পতনের এই আন্দোলন সফল হত কিনা সন্দেহ। অনেক আন্দোলনই সফলতার মুখ দেখে না ষঢ়যন্ত্রকারীদের কারনে । সেই সময়ে প্রাথমিকভাবে সমন্বয়কদের মাঝে কিছু ভুল বোঝাবোঝি তৈরী হলেও খুবই দ্রুততার সাথেই তারা সেটা মিটিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ছয় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ককে সব সময় এক সাথেই দেখা গেছে। হাসনাত ও সারজিস বিপ্লবের পরে আরো নজর কেড়েছে তাদের জ্বালাময়ী বক্তৃতায় । দুইজনেই এক্স বিতার্কিক হওয়ায় তাদের বক্তব্য সব সময়েই অত্যন্ত ক্লিয়ার এবং টূ দ্যা পয়েন্ট। এদের সাথে টকশোতে বিতর্ক করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হয়েছে অনেক বক্তাই।
এবার আসি নাগরিক কমিটি থেকে আসা কিছু নেতাদের বিষয়ে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এরা পরিচিত মুখ নয়। এরা সমন্বয়কও ছিল না। এরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেপথ্যে কাজ করেছে। এদের মাঝে অন্যতম হচ্ছে আখতার হোসেন এবং মাহফুজুল আলম। এরা দুই জনেই ঢাবিতে আইন বিভাগে সহপাঠী ছিল এবং ঢাবি শিক্ষক আসিফ নজরুলের ছাত্র। তবে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে যারা এসেছে তাদের কাউকেই তেমন প্রমিজিং মনে হয়নি। আখতারের বেশ ভুষা , বক্তৃতা কোনটাই নজর কাড়ার মত নয়। সে বিবেচনায় মাহফুজ বরং এগিয়ে । মাহফুজের বক্তব্য বরাবরই বস্তুনিষ্ঠ , তথ্য নির্ভর এবং জোড়ালো। নাগরিক কমিটির আরেক নেতা নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীর বক্তৃতাতো আরো সাদামাটা। গতকাল অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে কিছুটা বিশৃংখলা তৈ্রী হলে সে যেভাবে হাত নাড়িয়ে মানুষজনকে ধমকাচ্ছিল তা খুবই দৃষ্টিকটু ছিল। পরে সারজিস এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টিতে তিনজন নারী নেত্রীকে দেখা গেছে যাদের মাঝে একজন হচ্ছেন তাসনীম জারা। তাসনিম জারা যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজের একজন চিকিৎসক ও ‘সহায় হেলথ’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাংলাদেশের শীর্ষ মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরে উচ্চতর পড়াশোনা করতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং সেখান থেকে সর্বোচ্চ ফলাফল (ডিসটিঙ্কশন) অর্জন করে ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। নতুন দলে এই সিলেকশনটা খুবই ভাল হয়েছে। ভবিষ্যতে মেধাবী ও যোগ্য মানুষেরা রাজনীতিতে আগ্রহী হবে। তাসনিম তার বক্তব্যে বলেছেন, '' আমরা রাজনীতি ক্ষমতা দখলের জন্য করতে আসিনি। জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে এসেছি। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে যেকেউ তার যোগ্যতা ও সততার ভিত্তিতে জনগণকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। এতে তার পারিবারিক পরিচয় মুখ্য হয়ে উঠবে না। ''। আরেক গুরুত্বপুর্ন নেত্রী সামান্তা শারমিনকে নাগরিক কমিটি গঠন করার পরেই প্রথম দেখেছি। কিসের বিবেচনায় সে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে এত গুরুত্বপুর্ন পদ পেল বোধগম্য নয়। গতকাল ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তার বক্তব্য শুনেছি। একেবারেই সাদামাটা। তার বক্তব্য মানুষের মাঝে প্রভাব বিস্তার করার মত নয়। সে তুলনায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম অনেক বেশী প্রমিজিং । নুসরাত পরিচিত মুখ এবং তার ভাল বক্তৃতা দেবার ক্ষমতা আছে।
অনেকেই হয়ত বলবেন যে পরিচিত মুখ এবং ভাল বক্তৃতা দেয়াটাকে আমি এতটা গুরুত্ব দিচ্ছি কেন? আমাদের মনে রাখতে হবে যে, সামনে যখন এই নতুন দল ইলেকশন প্রচারনাতে নামবে, তখন তাদের বক্তৃতাই একমাত্র সম্বল যা জনগনের মাঝে প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম। আওয়ামিলীগ ও বিএনপি নেতাদের কোন ধরনের যোগ্যতার প্রয়োজন নাই। তারা টাকা দিয়েই প্রসাষন, ভোটার সব ম্যনেজ করে আমাদের দেশে যা ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং হিসাবে পরিচিত। এদের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে প্রয়োজন জোরালো বক্তৃতা দেবার ক্ষমতা। এছাড়া জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনে প্রাইভ্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের খুবই গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা ছিল। লাশ কিন্তু বেশিরভাগ প্রাইভেট ইউনির পড়েছিল। তাই প্রাইভেট ইউনি থেকে একজন প্রতিনিধি নেতৃত্বের ভুমিকায় নেয়া আবশ্যক ছিল। যাই হোক সব মিলিয়েই প্রাথমিকভাবে একটা দল গঠিত হয়। ভুল ত্রুটি শূধরে নেবার অনেক সময় পড়ে আছে সামনে। সবচেয়ে বড় কথা পরবর্তীতে যোগ্যতার ভিত্তিতেই প্রত্যেককে দলে টিকে থাকতে হবে।
১৭ বছর ধরে জেকে বসা বাংলাদেশের ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম স্বৈরশাষককে উৎখাত করা এই অকুতোভয় তরুনের দল দেশের সকল গলে পচে যাওয়া সিস্টেম ভেঙ্গে চুরে একটা সভ্য , সুন্দর দেশ গড়ুক , সেই শুভকামনা রইল।
০২ রা মার্চ, ২০২৫ সকাল ৮:৩৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০১ লা মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:২৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ভালো কিছু হোক।
০২ রা মার্চ, ২০২৫ সকাল ৮:৩৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: সেটাই সবার প্রত্যাশা
৩| ০১ লা মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহেলা করাটা একটা বড় ভুল বা অপরাধ। বেশীর ভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, এটাও ঠিক না। নাহিদ অনেক পরিপক্ব। বাকিদের আবেগ নির্ভরতা কমাতে হবে। রাজনীতির পথ অনেক কঠিন। ভুল করলে পরে বিপদে পড়বে। এরা ঐক্য ধরে রাখতে পারবে কি না এটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। গণঅভ্যুত্থান করা আর ভোটের রাজনীতি এক জিনিস না। বয়সের কারণেও এরা অনেক কিছু এখন বুঝবে না। জনগণের কাছাকাছি থাকতে না পারলে বিপদে পড়বে। ১৯৭১ সাল নিয়ে উলটাপালটা কথা বললে ভোট পাবে না।
আওয়ামীলীগের অপরাধী নেতা এবং কর্মীদের শাস্তি হতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে এবং পলাতক, তাদেরকে বাদ দিয়ে বাকিদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া উচিত।
ভবিষ্যতে বিএনপি হবে আওয়ামীলীগের উদ্ধারকর্তা। এটা ছাত্রদের মাথায় রাখতে হবে। বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ মিলে চেষ্টা করবে প্রচলিত অপরাজনীতিকে টিকিয়ে রাখার।
০২ রা মার্চ, ২০২৫ সকাল ৮:৫১
ঢাবিয়ান বলেছেন: প্রাইভেট ইউনির অনেকেই এই নতুন দলে যোগ দিয়েছে। নর্থ সাউথ ইউনির একটা ছেলে বক্তব্যও দিয়েছিল। তবে নেতৃস্থানীয় পদে একজনকে নেয়া যেত।
ঐক্য ধরে রাখাটাই আসল চ্যলেঞ্জ। তবে হয়ত এরা পারবে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনটা একটা বিড়াট ফ্যক্টর হিসাবে কাজ করবে এই ঐক্য ধরে রাখতে।
আওয়ামিলীগ নেতাদের শাস্তি দেয়ার দাবীতো সেই কবে থেকেই করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও কি তাদের বিচার হচ্ছে ? আর বিচার হলে কিন্ত আওয়ামিলীগের রাজনীতি করার অধিকারও থাকার কথা নয়। দেশদ্রোহিতা, রাস্ট্রীয় সম্পদ পাচার সহ যেসব ভয়াবহ অপরাধ তারা করেছে, এরপরে আর সেই দলের আইনিভাবেই রাজনীতি করতে পারার অধিকার থাকতে পারার কথা নয়। আপনি কেন এই জল্লাদদের রাজনীতি করার পক্ষে মত দিচ্ছেন , একেবারেই বোধগম্য নয়।
৪| ০১ লা মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৪০
ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:
এরা পুর্বসুরীরা পাকী বাহিনীর মিলিশিয়া হয়েছিলো; এরা আমােরিকা পক্ষে জল্লাদ হয়েছিলো; দেখা যাক, বাংগালী ভালুকদের সাথে কিভাবে টিকে।
৫| ০১ লা মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৫৮
ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:
৪ নং মন্তব্যে টাইপো:
*এদের পুর্বসুরীরা পাকী বাহিনীর মিলিশিয়া ( রাজাকার )হয়েছিলো; এরা আমােরিকার পক্ষে জল্লাদ হয়েছিলো; দেখা যাক, বাংগালী ভালুকদের সাথে কিভাবে , কত সময় টিকে।
০২ রা মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:১০
ঢাবিয়ান বলেছেন: নিত্য নতুন নিক খুলে আপনার অপপ্রচার চালিয়ে যেতে থাকুন।
৬| ০২ রা মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:৩৬
সরকার পায়েল বলেছেন: গৃহপালিত জীব নিয়ে বলার কিছু নাই l এরা জামাতের পোষ্য না বোঝার কিছু নাই l জামাত নিজেই দুই সিট্ একক ভাবে পাবে না এদের দিবে কি ⁉️ কিছু হাউ কেউ করবে এরপর অন্যদলগুলো মুতে দিবে এবং এরা ভেসে যাবে l এই হচ্ছে এদের ভবিষ্যৎ l
০২ রা মার্চ, ২০২৫ সকাল ৮:৫৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনাদের এই পাকি , জামাত এইসব ট্যগিং এখন একেবারেই অকার্যকর। আওয়ামিলীগ যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বিরোধিমত দমনের এই অপ কৌশল মানুষ ভয়ে মুখ বুজে সহ্য করত। আর এখন যারা বলে তাদের দিকে মানুষ সন্দেহের দিকে তাকায়। তাদের অর্থ সম্পদের বিষয়ে খোজ নিতে উৎসাহী হয়।
৭| ০২ রা মার্চ, ২০২৫ রাত ১:২৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মাত্রই এরা দল গঠন করলো। সমালোচনা করতে চাইলে যে কারো সমালোচনা করা যায়, তবে এদের দল হিসাবে সমালোচনা করা টু আর্লি। দেখা যাক, সময়ের সাথে সাথে এরা দেশের রাজনীতিতে কিভাবে অভিযোজিত হয়। আমি খুব নিরপেক্ষভাবে এদের কর্মকান্ডের দিকে নজর রাখছি; তবে আমি আন্তরিকভাবেই চাই যে, এরা দেশে একটা সুস্থধারার রাজনীতির প্রবর্তন করুক আর সেটাকে কন্টিনিউ করুক।
তাদের জন্য আমার শুভকামনা।
০২ রা মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:০৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার মনে হয় গঠনমুলক সমালোচনা্র প্রয়োজন আছে।। তাহলে তারা ভুল ত্রুটি শুধরে নিতে পারবে। এই যেমন নতুন এই দলে একজন সমকামী থাকা নিয়ে সমালোচনার পর তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছে। দেশে একটা সুস্থধারার রাজনীতি প্রবর্তন করার জন্যই তাদের জনমতের দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। তবে রাজনৈ্তিক দল ও তাদের অনুসারীদের মিথ্যাচার, আক্রমনাত্মক কমেন্ট একেবারেই উপেক্ষা করতে হবে।
৮| ০২ রা মার্চ, ২০২৫ সকাল ৭:১৭
রাসেল বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ মিলে চেষ্টা করবে প্রচলিত অপরাজনীতিকে টিকিয়ে রাখার।
রাজনীতিবিদরা নাকি নীতিবান, আদর্শবান, দেশপ্রেমিক, সুশাসক। এদের পক্ষে আবার কিছু লোক দালালি করে। হাস্যকর, লজ্জাস্কর ।
০২ রা মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:০৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের প্রচলিত রাজনৈতিক দলের পক্ষে যারা দালালী করে , তারা আসলে রাজনৈ্তিক সুবিধাভোগী। পরিবারতন্ত্রের মত বিশাক্ত ধারার রাজনীতি কোন অবস্থাতেই সমর্থনযোগ্য নয়।
৯| ০২ রা মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:৩৫
রোবোট বলেছেন: সমাবেশের অর্থায়নের উৎস কি?
০২ রা মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:০৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: আওয়ামিলীগ , বিএনপির টাকার উৎস কি ? এদের নেতারা ঘন ঘন কিভাবে বিদেশ ভ্রমন করে ? মাউন্ট এলিজাভেথ হাস্পাতালে কিভাবে লাখ লাখ ডলারের চিকিৎসা করায় ? বিদেশে কিভাবে প্রপার্টি করে ? আমাদের এসব প্রশ্ন আগে তোলা উচিত। ৫৩ বছর ধরে আমরা এই দুই দলকেতো শুধু দেশটাকে লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করতেই দেখলাম।
ছাত্রদের এই নতুন দল একটা সমাবেশ করছে, সেই অর্থের উৎস জানতে চাইছেন। যদি তারা সরকারের কাছ থেকে পেয়েও থাকে , তাহলে বলব এতদিনে সরকার একটা কাজের কাজ করছে। জনগনের টাকা জনগনের উদ্দেশে খরচ করছে। কারন জাতীয় নাগরিক পার্টি যা করছে বা বলছে তা জনগনের স্বার্থে।
১০| ০২ রা মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:১১
নতুন বলেছেন: আয়ামীলীগ, বিএনপি সহ যারা এই নতুন দলের পেছনে লেগেছে তারা ভয় পেয়েছে।
এটা নতুন একটা দল, এটাকে ভয় পারার কিছু নাই। জনগনের সামনে সবাই তাদের কথা তুলে ধরবে, জনগনের যাকে পছন্দ তাদের পক্ষে রায় দেবে। ভয় পাবার কারন কি?
নতুন দলের অনেক সমস্যা থাকবে, তবে প্রথমদিন যতটুকু দেখেছি তাতে অনেক ভেবে চিন্তেই এগুচ্ছে সেটা বোঝা যায়।
আশা করি তারা জনগনের থেকে সমালোচনা শুনবে, নিজেদের সুধরে নেবে। তবেই অন্যদের থেকে দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবে।
০২ রা মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:১৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: লীগ, বিএনপি ভয় পাচ্ছে কারন সারজিস , নাহিদেরা এখন পরিবারতন্ত্রের সম্পুর্ন বীপরিতে অবস্থান নিয়েছে। তাদের অবস্থান এখন জনগনের পক্ষে। পরিবার তন্ত্রের নামে যে মধ্যযুগের রাজতন্ত্রের ধারা দেশে চালু আছে , তার অবসান ঘটাতেই হবে।
নতুন দলে অনেক সমস্যই থাকবে। তবে তারা যাতে বিপথে না যায় , তাই তাদেরকে সব সময় আমাদের গাইড করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা তাদের দলে যেন গনতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত থাকে , সেদিকে তাদের খেয়াল রাখতে হবে।
১১| ০২ রা মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:৫১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ১৫/১৭ বছর ধইরা কত কিছু হয়া গেল কেউ তো তখন অর্থায়নের হিসাব খুঁজে না। অথবা বলারও তো সাহস ছিল না। আর এখন আইছে অর্থায়নের হিসাব চাইতে।
নতুন দলের জন্য শুভকামনা
আমি আশাবাদী। নতুন কিছুর সৃষ্টিতে আনন্দিত হয়েছি
০২ রা মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:২৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: মেজাজ খারাপ হয়ে এই সব প্রশ্ন শুনলে। আমিতো বলব , এই নতুন দল যদি কিংস পার্টি হয়েও থাকে তবে সেটা খুবই ভাল কথা আমাদের জন্য। এই প্রথম তাহলে দেশের সরকার দেশ গড়ার জন্য প্রস্তুত করছে দেশের তরুনদের। এর আগেতো আমরা দেশের সম্পদ কেবল বিদেশে পাচার হইতেই দেখতাম।
১২| ০২ রা মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার মনে হয় গঠনমুলক সমালোচনা্র প্রয়োজন আছে। হ........এইটা ঠিক। তবে এরা শুরু না করতেই ব্লগে ক্রমাগত যেইভাবে এদের বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু হইছে, দেখলে মেজাজ ঠিক থাকে না। আর যারা এক জায়গাতে অযৌক্তিক বিষোদগার কইরা আরেক জায়গাতে আইসা সাধু সাজে, তাদের নাম-কা-ওয়াস্তে তথাকথিত গঠনমূলক সমালোচনার কোন গুরুত্ব থাকে? সেইটা হয় ল্যাদানো, আর আমি ল্যাদানো দেখতে পারি না। আপনের এই পোষ্টেই কিছু নমুনা আছে!! কাজেই গঠনমূলক সমালোচনা (??) কে করতেছে, সেইটাও গুরুত্বপূর্ণ।
০২ রা মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৩২
ঢাবিয়ান বলেছেন: কোনটা গঠনমুলক সমালোচনা আর কোনটা উদ্দেশ্যমুলক আক্রমন , অপপ্রচার সেইটা ছাত্ররা ভালই বুঝে । তবে আর যারা এক জায়গাতে অযৌক্তিক বিষোদগার কইরা আরেক জায়গাতে আইসা সাধু সাজে -- কার উদ্দেশ্যে কইসেন, খুব ভাল করেই বুঝেছি। আর জনৈক বারংবার নিক বদলকারীর কথা নাহয় নাই বলি
১৩| ০২ রা মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৩৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মানুষ পরিবার তন্ত্র থেকে মুক্তি চায়।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:১২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শুভ কামনা নতুন দলের জন্য।