![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জুলাই গনঅভ্যূত্থানের বর্ষপুর্তিতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া রাজনৈ্তিক দল এনসিপি জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসাবে গতকাল গোপালগঞ্জ যায়। গতকাল গোপালগঞ্জে দিনব্যপী সংঘর্ষের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ধরনের বক্তব্য দেখা যাচ্ছে যে, এনসিপির সেখানে যাওয়াই উচিত হয় নাই, সবাইতো জানেই যে , গোপালঞ্জে আওয়ামিলীগের ঘাটি!! এই ধরনের বক্তব্য প্রদানকারীদের উদ্দেশ্যে প্রথমেই বলতে চাই যে, মুক্তিযুদ্ধ চেতনার ব্যবসা ও মুজিববাদের ধুয়া তুলে পিলখানা ম্যসাকার , শাপলা চত্বর ম্যসাকার , ১৭ বছর ধরে গুম খুন , আয়নাঘর ,২০২৪ এ গনহারে ছাত্র জনতা গনহত্যা এবং নিজ দেশের স্বার্বভৌমত্ব আরেক দেশের কাছে বিকিয়ে দেয়া বিতাড়িত পলাতক আওয়ামিলীগকে যারা এখনও একটা রাজনৈ্তিক দল বলে মনে করে তাদের চিন্তা চেতনায় খুব বড় ধরনের সমস্যা আছে।
গতকালের ঘটনাটা মুলত একটা ফাদ ছিল। এনসিপির নেতৃবৃন্দদের মেরে ফেলার বিড়াট একটা প্ল্যান ছিল যেটা নাহিদ ইসলামের প্রেস ব্রিফিং এ পরিষ্কার হয়েছে। নাহিদ বলেছে যে ,গোপালঞ্জের স্থানীয় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও প্রসাষনের পক্ষ থেকে গ্রীন সিগনাল নিয়েই গোপালগঞ্জে রওনা হয়েছিল তারা। অন্যান্য জেলার মতই কোন প্রকার ্পুলিশ প্রটেকশন ছাড়াই গোপালগঞ্জে গিয়েছিল এনসিপি। রওনা দেবার আগেও গতকাল সকালে সারজিস হাসান ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানায় - গোপালগঞ্জ থেকে এক ভাই মেসেজ দিয়েছে-
"ভাই অনেক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এসবে কান দিয়েন না। আমরা গোপালগঞ্জের মানুষ একটা জিনিস খুব ভালো করে বুঝে গেছি- খারাপ সময়ে শেখ হাসিনা সবার আগে নিজের পরিবারের সদস্যদেরকে সেফ জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছে। এরপর নিজে সেফ জায়গায় চলে গেছে। কিন্তু আমাদেরকে, আমাদের পরিবারকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে ফেলে গেছে। সুবিধা নিয়েছে গুটিকয়েক মানুষ কিন্তু ভুক্তভোগী আমরা সবাই। যে আমাদের কথা চিন্তা করেননি, তার কথা আমাদের চিন্তা করার সময় নাই। আমরা এতটা বলদ না যে- তার কথায় এখনও মানুষকে প্রতিপক্ষ বানাবো, আপনাদের মুখোমুখি দাঁড়াবো, জীবনটাকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিব! আপনারা আপনাদের মত করে প্রোগ্রাম করেন। চিন্তার কোন কারণ নাই।"
গোপালগঞ্জ পুলিশ ও প্রসাষনের ক্লিয়ারেন্স এবং লীগের নেতাদের পজিটিভ ম্যসেজ পুরোটাই ছিল একটা ফাদ। এনসিপি এই ফাদে পা দিয়ে , গোপালগঞ্জে প্রবেশ করার পর গতকাল পর্যন্ত যা ঘটেছে তার সাক্ষি আমরা সবাই।এনসিপির সভাস্থল কেবল ভাংচুরই নয়, তাদের গাড়ী বহরে হামলা করা হয় ।পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেবার পর এনসিপি নেতারা জানায় যে, কার্যালয়ে পুলিশ সুপার অনুপস্থিত এবং পুলিশ অনেকটাই নিষ্ক্রিয় ভুমিকায় রয়েছে। তারা আরো জানায় যে, চারিদিকে মাইকিং করে পুলিশ কার্যালয় আক্রমনের আহবান জানানো হচ্ছে। বুঝাই যাচ্ছে গোপালি পুলিশ , প্রসাষন এবং লীগের নেতা কর্মীরা মিলেমিশেই গতকাল শেষ করে দিতে চেয়েছিল মৃত্যূভয়কে অতিক্রম করে যাওয়া জুলাই যোদ্ধাদের। কিন্তু ইন্টারিম সরকার ও সেনাবাহিনী নস্যাৎ করে দেয় ষঢ়যন্ত্রকারীদের ঘৃন্য প্ল্যান । গতকালের ঘটনায় দল মত নির্বিশেষে সবাই আরেক দফা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা আলমগীর তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত এনসিপি নেতাদের উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে , জামাত শিবির রাজপথে নেমে তীব্র প্রতিবাদ জারী রেখেছে , বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আবারো রাস্তায় নেমে এসেছে। আওয়ামিলীগ প্রশ্নে আবারো পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই দেশ , এই দেশের কোন জেলাকেই আর কোন রাজনৈতিক দলের বাপের সম্পত্তি করতে দেয়া হবে না। এই দেশের প্রতিটা ইঞ্চি এই দেশের সবার ।
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৩০
ঢাবিয়ান বলেছেন: নিরপেক্ষতার সংজ্ঞা কি ? সন্ত্রাসীদের পক্ষালম্বন ?
২| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:১৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: গোপালগঞ্জে আম্লিগের চরিত্র প্রকাশ পেয়েছে জাতি আবারো ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৪০
ঢাবিয়ান বলেছেন: গতকাল আরেক দফা পতন হয়েছে ফ্যসিবাদের। কিছু অনলাইন এক্টিভিস্ট বিএনপির মুখোষ পড়ে বিএনপিকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল। জুলকারনাইন সায়ের এর অন্যতম। বিএনপি হাইকমান্ড এই দুমুখো সাপদের ফাদে পা দেয়নি। দেশের বৃহত্তম রাজনৈ্তিক দল হিসাবে তারা রাজনৈ্তিক প্রজ্ঞা দেখিয়েছে। গনতান্ত্রিক রাজনৈ্তিক ধারায় ভোটের রাজনীতিতে যত অনৈক্য বা বিভাজন থাকুক না কেন , দেশের স্বার্থে দল মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৩৭
ঢাবিয়ান বলেছেন:
৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:২০
মেঘনা বলেছেন: এনসিপি কি মুজিবের সমাধি ভাঙার পরিকল্পনা করেছিল? জামাতীরা মুজিবের কবরকে এত ভয় পায় কেন?
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:১২
ঢাবিয়ান বলেছেন: এনসিপি জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসাবে গোপালগঞ্জে গিয়েছিল গোপাল্গঞ্জের মানুষের মন জয় করতে।
৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:১৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের ইতিহাসে কবে কোন রাজনৈতিক দল সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক কামান নিয়ে রাজনৈতিক সভা করতে যায়?
বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন রাজনৈতিক দলর সন্ত্রাসি কাজে রাষ্ট্র এভাবে প্রোটেক্ট, প্রোমোট করে? করতে বারাক ওবামার মত রীতিমতো কন্ট্রোল রুম খুলে গালাগালি করে গুলির নির্দেশ দেয়?
একমাত্র 'ছিপিপার্টি'।
এরপরও ছিপিপার্টির কোন নেতাকর্মী আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি। একটা চুলের টোকাও লাগে নি।
পুলিশ ও আর্মিরও কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি।
এরপরেও গ্রামবাসীদের ধর ধর স্লোগান শুনে ভয় পেয়ে হামাগুড়ি দিয়ে ইদুরের মত ট্যাঙ্কে লুকায়ে ট্যাঙ্কের ছিপি আটকায়।
আর কথিত দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী কন্ট্রোল রুম থেকে নির্দেশ পেয়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করলো। রাতে আরো মারছে।
আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত।
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৩৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: গ্রেনেড, ককটেল, লাঠি সোঠা নিয়ে আক্রমনে নামা সন্ত্রাসীদের গ্রামবাসী বলছেন কেন? নাহিদদের মেরে ফেলার প্ল্যানতো সেনাবাহিনী ব্যার্থ করে দিল। জ্বলুনিটা আর সহ্য হচ্ছে না, তাই না?
৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা ঐক্যবদ্ধই ছিলাম। কিন্তু জা-শি নাপাকে ব্যবহার করতে যেয়েই বিভক্তি সৃষ্টি করেছে।
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৩৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: এই ঐক্য ইনশাআল্লাহ আগামিতেও কায়েম থাকবে।ভোটের রাজনীতির হিসাব নিকাশ একদিকে এবং দেশের স্বার্থে জাতীয় ঐক্য আরেক দিকে।
৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৫৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: তাই নাকি? জাতি ঐক্যবদ্ধ হলে হয়েছে উল্টা দিক থেকে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের ফ্যাসিস্টদের আক্রমণের প্রতিবাদে একসাথে বিবৃতি দেওয়া মানেই ঐক্যবদ্ধ হওয়া নয়।
জা-শির সাথে আর কোনদিনই বিএনপির ঐক্য আর সম্ভব হবে না। বাংলাদেশের মানুষ রাজাকার-আলবদরদের মাইরের উপরে থাকা দেখতে চায়। ফ্যাসিস্ট বিতাড়িত হওয়ার পরে মানুষ আশা করে যে এই কাজটা বিএনপি করবে। সে হিসেবে একই সাথে জা-শি এবং ফ্যাসিস্টকে দৌড়ের উপরে রাখার যোগ্যতাই রাজনীটির মাঠে বিএনপির যোগ্যতা।
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:১৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: বিএনপি হাইকমান্ড গতকাল ঐক্য ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছে। আপনার কমেন্টের বাকি অংশ আওয়ামি ন্যরেটিভ।
৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৫২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
APC APC APC
৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৫
এভো বলেছেন: গোপালগঞ্জ উত্তপ্ত করল কে ?
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:২৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: আওয়ামিলীগের বিরুদ্ধে দেয়া বক্তব্যে যারা উত্তপ্ত হয়েছে তারা আওয়ামিলীগের লোকজন। সাধারন জনগন এতে উত্তপ্ত হবে কেন? যাই হোক গতকালের ঘটনায় উঠে এসেছে যে, পলাতক সব আওয়ামিলীগের নেতা কর্মী গোপাল্গঞ্জে গিয়ে ঘাটি গেড়েছে। এই ঘাটি এখন গুড়িয়ে দেয়া হবে। ইন্টারিম সরকার বলেছে যে, এই বর্বরতার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। বাংলাদেশের মাটিতে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে- এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।
১০| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৩৬
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: গোপালীদের বাংলাদেশ ছাড়া করলে নতুন সূর্যদয় হবে ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: আচ্ছা, আপনারা নিরপেক্ষ হতে পারছেন না কেন? সমস্ত রাগ ক্ষোভ আওয়ামীলীগের উপরে ঢেলে দিচ্ছেন। লাইনে আসেন। নিরপেক্ষ হোণ।