![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফাইজ় তাইয়েব আহমেদ এর ফেসবুক পোস্ট থেকে জানলাম - ন্যাশনাল বার্ন ইন্সটিটিউট হস্পাতালের (শহীদুল্লাহ হলের পাশে) সামনে ব্যাপক সংখ্যক উৎসুক জনতার ভিড়, এতে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতালের পানি, জরুরি সামগ্রী এবং অক্সিজেনের গাড়িও ঢুকতে পারছে না।কিছু লোক জোর করে হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করছে। হসপিটালের ভবনে ডাক্তার এবং নার্সরা সময়মতো লিফট এবং অপরাপর সাপ্লাই ব্যবহার করতে পারছেন না। জনতার অতিরিক্ত উপস্থিতির কারণে পুরা হাস্পাতাল স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে!!
জিডি পাইলট ছেলেটা কন্ট্রোল রুমের ইজেক্ট বাটন টিপে প্যরাসুট দিয়ে নেমে পড়ার অর্ডার উপেক্ষা করে প্লেনটাকে ফাকা জায়গায় সরিয়ে ক্র্যাশ ল্যন্ড করার প্রচেষ্টায় প্রান হারায়। এমন বিরোচিত মৃত্যূ মনে হয় শুধু এই দেশের তরুনেরাই বেছে নিতে পারে। দুর্ঘটনার পর মাইলস্টোন স্কুল প্রাঙ্গনে সেনাবাহীনি ও ফায়ার সার্ভিস খুবই দক্ষতার সাথে তাদের দ্বায়িত্ব সম্পন্ন করেছে। তারা পুরো এলাকা কর্ডন করে , অগ্নি নির্বাপন ও উদ্ধারকাজ চালিয়েছে । কাউকে ঢুকতে দেয়নি ভেতরে, এমনকি অভিভাবকদেরো না। সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস প্রফেশনাল দক্ষতার সাথে পরিস্থিতি সামাল দেয়ায় প্রাথমিকভাবে হতাহতের সংখ্যা অনেক কম হয়েছে।
আমাদের মত সুস্থ , সবল জীবিত মানুষগুলো কি করছি? রাস্তা আটকে ভিডিও করার অতি আগ্রহে অগ্নিদগদ্ধ যে শিশুগুলো এখনও বেঁচে আছে , তাদের মারার বন্দোবস্ত করছি ? কিছু সাংবাদিকদের অমানবিক কর্মকান্ড দেখে বিশ্বাস হতে চায় না যে , এরা মানুষ! এখন কি হাসপাতালে ঢুকে অভিভাবক ও আহতদের সাক্ষাৎকার নেবার সময়? হাস্পাতালগুলোর অবস্থা দেখে বিশ্বাস হতে চায় না যে ,এগুলো কোন হাসপাতাল। মানুষে গিজগিজ করছে। অলরেডি ১৯ জনের মৃত্যূ হয়েছে যাদের বেশিরভাগই শিশু। বাকি যারা মৃত্যূর সাথে পাঞ্জা লড়ছে , আমরা কি তাদের মৃত্যূ দেখতে চাইছি? যত বাড়বে মৃতের সংখ্যা , তত বাড়বে ভাইরাল ভিডিওর সংখ্যা ও ভিউ ব্যবসা!! অনেক নামী দামী টিভি নিউজ চ্যনেলগুলোও লাইভ সম্প্রচারে নেমে পড়েছে !! আইন শৃংখলা বাহিনী বা কি করছে? উৎসুক জনতার ভীড় সামালানোর দ্বায়িত্ব কি পুলিশের নয়? পুলিশেরতো উচিত মাইকিং করে , লাঠি পেটা করে অতি উৎসাহীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়া। তারা দ্বায়িত্ব পালন করলেতো পরিস্থিতি এমন দাড়ানোর কথা নয়।
আমি কোন ভিডিও আমার ফেসবুক টাইম লাইনে শেয়ার দিয়ে বা স্যাড/লাইক রিয়েক্ট দিয়ে কোন অমানবিক ভিউ ব্যবসায়ীর ব্যব্সা বাড়ানোতে সাহায্য করিনি। যারা কাছাকাছি এলাকায় থেকেন, পারলে এই সব ভিউবাজ ব্যবসায়ীদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে আছাড় দিয়ে ভেঙ্গে ফেলুন। এতে যদি এদের একটু শিক্ষা হয় । ন্যাশনাল বার্ন ইন্সটিটিউট হস্পাতালের ডাক্তার ফেসবুক লাইভে এসে বলেছেন - আপনারা যত বেশী আসবেন, সংক্রমণ ঝুঁকি তত বেশী বাড়বে। এছাড়াও রক্তের কোন প্রয়োজন আপাতত নাই। রক্ত লাগলে জানানো হবে।
©somewhere in net ltd.