নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছেলে মেয়ের ভালো একটা নাম দেয়া বাবা মার্ দায়িত্ব, রাসূল (স) এ বিষয়ে তাগাদা দিয়েছেন, Ibn Umar, Abu Hurayrah, Anas and others (RA) reported that the Prophet (SAW) said, “Indeed, the best and most beloved names to Allah are: Abdullah, and Abd-ur-Rahman. The most truthful names are: al-Harith (cultivator) and Hammam (planner). The ugliest are: Harb (war) and Murrah (bitter).” (Muslim)
নবী রসূল এবং সাহাবাদের নামে নামকরণকে তিনি উৎসাহ দিয়েছেন, তাঁর নিজ ছেলের নাম তিনি ইব্রাহিম রেখেছিলেন।
অর্থ না জেনে অনেকে বাচ্চার আরবি ফার্সি নাম রাখেন, সব ক্ষেত্রে তার ভালো অর্থ হয় না, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে অশুভ অর্থও হয় । রাখার আগে ভালো আলেমের সাথে যোগাযোগ করে অর্থ জেনে নেয়া উচিত । নাম শ্রুতিমধুর ও সুন্দর হওয়া বাঞ্ছনীয় । ভিন্ন একটা ডাক নাম না দেয়ায় তেমন কোনো ক্ষতি আছে বলে মনে হয় না, দিলেও তা আসল নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেয়া যেতে পারে ।
আমাদের দেশে আসল (ভালো নাম বা অফিসিয়াল) নামের সাথে আরেকটা ছোট খোকা, বাবু, মিন্টু, পল্টু বা ঝন্টু ডাক নাম থাকা প্রায়ই দেখা যায়, আসল নামের সাথে ডাক নামের কোনো মিল অনেক ক্ষেত্রেই থাকে না । এই সকল নাম বিশেষ কোনো অর্থ বহন করে না, নামগুলো সাধারণত পরিবারের সদস্যরা ও অত্যান্ত ঘনিষ্টজন ব্যাতীত অন্য্ কেউ সচরাচর ব্যবহার করেন না , এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এগুলো তেমন সুন্দর না হওয়ায় বড় হয়ে অনেকে জনসম্মুখে তা ব্যবহার করতে বিব্রত বোধ করেন । একই লোকের দুই নাম থাকতে অনেক সময় বিভ্রান্তিও তৈরী হয় ।
পক্ষান্তরে পশ্চিমা দেশে কিছু কিছু ডাক নাম প্রচলিত থাকলেও সেগুলো প্রায় সর্ব ক্ষেত্রেই আসল নামের ছোট সংস্করণ এবং শুধু ডাকার সুবিধার্থে ব্যবহার করা হয়, এগুলি সব ক্ষেত্রেই এক, যেমন বব, বিল, টম, কেন, টনি, ল্যারি বা জিম নামগুলো সবসময়ই যথাক্রমে Robert, উইলিয়াম, Thomas, Keneth, Antonio, লরেন্স এবং জেমস যাদের আসল নাম তাদেরই হয় । এখানে কোনো কনফুশন হওয়ার সুযোগ তেমন নেই বললেই চলে ।
আজকাল নিজেকে আলাদা করার মানাসে ডাক নাম আসল নামের শেষে লাগিয়ে নেয়ার প্রচলনও দেখা যায় । আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আব্দুল কুদ্দস মাখন, মোফাজ্জাল হোসেন মায়া বা ফজলুর রহমান পটল ইত্যাদি এর উদাহরণ । আমাদের দেশে ছাড়া অন্য কোথাও এ ধরণের নামকরনের প্রথা আছে বলে আমার জানা নেই । যারা বিখ্যাত তাদেরকে আলাদা করতে তাঁর কর্মজীবন, প্রাপ্তি - অবদান ই যথেষ্ট এবং এর দ্বারাই তাঁরা অন্য সাধারণের থেকে আলাদা পরিচিতি লাভ করেন ।
পশ্চিমা বিশ্বে নামগুলো সাধারণত প্রথম বা দেয়া নাম, শেষ নাম এবং মধ্যের নাম এই তিন শব্দের হয়, তবে মাঝের নাম বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুল্লেখিত থাকে বা শুধু আদ্যাক্ষর ব্যাবহার হয় । যেমন William Jefferson Clinton কে আমরা বিল ক্লিনটন বা George Walker Bush কে জর্জ বুশ বা জর্জ ডাব্লিউ বুশ হিসাবে জানি । আমাদের দেশের লোকও আমেরিকা গেলে তাদের মাঝের নাম প্রায়ই হারিয়ে যায়; যেমন মোহাম্মদ ফজলুল হক হয়ে যান মোহাম্মদ হক এবং অফিসে আদালতে আমেরিকানদের কাছে মোহাম্মদ নামেই পরিচিত হন, তার ফজলু নাম শুধু বাঙালি পরিচিতজনের কাছেই থেকে যায় !
১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৬:১২
ঢাকার লোক বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, আপনার দুটো নামই সুন্দর, শ্রুতিমধুর এবং ভালো অর্থবোধক ! আপনার বাবা মা র প্রশসা করতেই হয়!
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৫৯
মন থেকে বলি বলেছেন: আমাদের প্রথম সন্তানের নাম রাখার সময় এই নাম নিয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়েছিল। সেই আলোকে কয়েকটা তথ্য দেই।
মুসলিম হিসেবে সবচেয়ে ভালো নাম হয় যদি সেটা আল্লাহর কোন নামের সাথে মিলিয়ে রাখা হয়। এরপর হচ্ছে বাবার নামের অংশ সাথে রাখা (কারণ কেয়ামতের দিন মানুষকে তার নিজের নাম অথবা বাবার সন্তান হিসেবে আহবান করা হবে)। তো এই আলোকে আমার নামটা দেখা যাক, সেটা বিশ্লেষণ করে আমি কী পেয়েছি।
তওহিদ মাহমুদ হোসেন এর প্রথমটি আমার নিজের, মাঝেরটি আমার মায়ের নামের অংশ (মাহমুদা খাতুন) এবং শেষটা হচ্ছে আমার বাবার নামের অংশ (হোসেন) যেটি আবার আমাদের দাদা থেকেই চলে আসছে। অর্থাৎ একই সাথে বংশের লিগ্যাসিও বহন করছে এই নাম।
এই যে নামের মধ্যে মায়ের নাম বহন করার ব্যাপারটা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে। সেই কত বছর আগে এই নাম রেখেছিল। তখনকার দিনে আমার দাদার মাথায় যে এই ব্যাপারটে এসেছিল, সেটা কিন্তু দারুণ একটা ব্যাপার।
এবার দেখেন, তিন অংশের নাম রাখার ফলে আমাকে কখনই ফার্স্ট, মিডল, আর লাস্ট নেইমের ঘর পূরণ করতে সমস্যায় পড়তে হয় না। এটাও একটা সুবিধাজনক ব্যাপার।
সবশেষ ডাক নাম। আমার ডাকনাম সাজু যদিও আমি মেঝ ছেলে। কিন্তু এখানে একটা ব্যাপার সম্ভবত আপনি মিস করে গিয়েছেন। ভারতীয় উপমহাদেশে ডাকনামের প্রচলন খুব ভালো করেই আছে। পশ্চিমেও আছে। কীভাবে? এলিজাবেথ হয়ে যায় লিজ, এব্রাহাম হয়ে যায় এইব বা ব্যারন হয়ে যায় রন/রনি। কাজেই ডাকনাম যে কেবল বাংলাদেশেই প্রচলিত, ব্যাপারটা ঠিক নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার নামের মাত্র দুটি অংশ। ছাত্রজীবনে আমি প্রথম অংশ দিয়ে পরিচিত ছিলাম, কর্ম জীবনে দ্বিতীয়টি দিয়ে।