নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ পহেলা মুহাররাম , নতুন বছর হিজরী ১৪৪০ সন ।
মুহাররাম হিজরী সনের প্রথম মাস, আল্লাহ সূরা তৌবার ৩৬ নং আয়াতে যে ৪টা মাসকে পবিত্র মাস বলে বিশেষ মর্য্যাদা দিয়েছেন তার একটি । উক্ত আয়াতে আল্লাহ বলেন , " নিশ্চয় আল্লাহ ১২ মাসে বছর করেছেন, এবং তা আসমান ও পৃথিবী তৈরির দিন থেকেই , তার মাঝে ৪ টি পবিত্র মাস . .. ঐসব মাসে তোমরা কোনো জুলুম করো না ." ইমাম বুখারী সংকলিত আবু বকর (রা) হতে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ (স) এই ৪টি মাসের নাম বলেছেন, ৩ টি পর পর মাস , জিলকদ , জিলহজ ও মুহাররাম; আর চতুর্থ মাস রজব .
সূরা তৌবার ৩৬ নং আয়াতে "..ঐসব মাসে তোমরা কোনো জুলুম করো না ." বলতে উলেমাগন সবাই একমত যে যদিও কোনো মাসেই জুলুম করা অনুমোদন নেই , উক্ত পবিত্র মাসগুলোতে জুলুমের প্রতিফল অন্যান্য মাসে করার চেয়ে বেশি ভয়াবহ এবং বেশি গুনার কাজ।
তেমনি এ মাসে নফল ইবাদাতের সওয়াব বেশি বলে রাসূল (স) বলেছেন , আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন , রাসূল (স) বলেছেন , " রমাদানের পরে সবচেয়ে ভালো রোজা মুহাররাম মাসের রোজা ।" ( ইমাম মুসলিম, নং ১৯৮২)
আশুরাও ( ১০ ই মুহাররাম) এমনি একটি দিন যেদিন রোজা রাখলে বান্দার বিগত বৎসরের সকল ছোট ছোট গুনাহ আল্লাহ পাক মাফ করে দেন। ইমাম মুসলিম সংকলিত ১১৬২ নং হাদিসে , রাসূল (স) বলেন, " আমি আশা করি আরাফার দিন রোজা রাখলে আল্লাহ বান্দার বিগত বছর ও সামনের বছর, এই দুই বছরের গুনাহ মাফ করে দেন , আর আশুরার দিনের রোজা বান্দার বিগত বছরের গুনাহ সমূহ মাফ করে দেন ।"
আশুরা মুসলমানদের জীবনে এক বিশেষ মর্যাদার দাবীদার , কেননা আল্লাহর রাসূল (স) স্বয়ং এ দিনে রোজা রেখেছেন এবং সাহাবীদের রোজা রাখেতে বলেছেন । ইমাম বুখারী হতে বর্ণিত ১৮৬৫ নং হাদিসে ইবনে আব্বাস (রা) বলেন , নবীজি মদিনায় এসে দেখলেন ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা রাখে , তিনি জিজ্ঞেস করলেন কেন তারা রোজা রাখে, তারা বললো এই দিনে আল্লাহ ইসরাইলিদেরকে শত্রূর (ফেরাউন) হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন এবং মুসা (আ ) এদিন রোজা রেখেছেন . তিনি বলেন , আমরা তোমাদের চেয়ে মুসা (আ) কে বেশি ভালোবাসি " তাই তিনি এদিন রোজা রাখেন এবং অন্যদের রোজা রাখতে বলেন ।"
ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণনা করেন , রাসুল্লাহ (স) যখন আশুরার দিন রোজার রাখেন এবং সাহাবাদের রোজা রাখতে বলেন , তারা বললেন, "ইয়া রাসূল্লাল্লাহ (স) খ্রিস্টান এবং ইহুদিরা এই দিন উদযাপন করে " তখন রাসূলুল্লাহ (স) বলেন, " সামনের বছর ইনশাআল্লাহ আমরা ৯ তারিখও রোজা রাখবো ." পরের বছর আশুরা আসার আগেই নবী (স) ইন্তেকাল করেন । (মুসলিম: ১৯১৬)
আমাদের অনেকে আশুরার বিশেষ মর্যাদার কারণ হিসাবে কারবালায় রাসূল (স) এর প্রিয় দৌহিত্র হুসেন (রা ) শহীদ হওয়ার সাথে সম্পর্কিত বলে ভুল করেন । আশুরার দিনে কারবালায় রাসূল (স) এর প্রিয় দৌহিত্র হুসেন (রা ) শহীদ হওয়া ইসলামের ইতিহাসে একটা বিশেষ বিয়োগান্ত ঘটনা নিঃসন্দেহে, তবে এ ঘটনা ঘটেছে রাসূল (স) এর মৃত্যুর প্রায় অর্ধ শতাব্দী পরে, ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকলেও এর সাথে আশুরার দিনে রাসূল (স) এর রোজা রাখা বা রাখতে মুসলমানদের উৎসাহিত করা বা মুহাররাম মাস ও আশুরা দিনের বিশেষ ধর্মীয় মর্য্যাদা দানের কোনো সম্পর্ক নেই।
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ১০ মহররমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে বলে ইতিহাসে জানা যায়। তাই শেষের লাইনটা মনে হয় ঠিক নয়...
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩
ঢাকার লোক বলেছেন: আমি ঠিক বুঝিয়ে বলতে পেরেছি কিনা জানিনা , আমার পয়েন্ট হলো,
অনেকে কারবালায় রাসূল (স) এর প্রিয় দৌহিত্র হুসেন (রা ) শহীদ হওয়ার দিন বলেই আশুরা মুসলমানদের কাছে এতো সম্মানিত মনে করেন , এটা একটা ভুল ধারণা, হুসেন (রা) র হত্যাকান্ড ঘটেছে ৬১ হিজরীতে , অর্থাৎ রাসূল (স) মারা যাওয়ার ৫১ বছর পর , অথচ রাসূল (স) জীবিত থাকতেই মুসলমানদের জীবনে মুহাররাম মাস ও আশুরা দিনের বিশেষ ধর্মীয় মর্য্যাদা স্বীকৃত . কারবালায় হুসেন (রা) র হত্যাকান্ড ইসলামের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ একটা ঘটনা সন্দেহ নাই , তবে এর সাথে আশুরার দিনে রাসূল (স) এর রোজা রাখা বা রাখতে মুসলমানদের উৎসাহিত করা বা মুহাররাম মাস ও আশুরা দিনের বিশেষ ধর্মীয় মর্য্যাদা দানের কোনো সম্পর্ক নেই . এর আগেও হুসেন (রা) র পিতা আলী (রা); রাসূল (স) প্রিয় সাহাবী, তাঁর দুই কন্যার জামাতা খলিফা উসমান (রা); অপর সাহাবী ও রাসূল (স) এর স্ত্রী হাফসার (রা) পিতা খলিফা উমর (রা) ও বিভিন্ন সময়ে আততায়ীর হাতে নিহত হন, ঐসব দিনগুলো মুসলমানগণ কোনো শোক দিবস বা বিশেষ মর্যাদার অধিকারী মনে করে না .
৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪০
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: এই মাসটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ঘটনার সাক্ষী এই মাস।
৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন:
৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫
কে ত ন বলেছেন: চাঁদগাজী, নবী (স) তাই শিখেছেন, যা আল্লাহ তাঁকে শিখিয়েছেন। ইহুদী বা অন্য কাউকে ফালতু ক্রেডিট দেবার চেষ্টা মূর্খতার লক্ষণ।
আশুরার গুরুত্বের সাথে কারবালার ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই। শিয়া মুসলিমেরা এই ঘটনাকে এত গুরুত্ব দেয়, কারণ এই ঘটনায় রাসূলের (স) সাহাবাদের দ্বন্দের ব্যাপারটা সামনে চলে আসে, যা জাতি হিসেবে মুসলিমদের জন্য খুব লজ্জার।
৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট। জাজাকুমুল্লাহ। তবে স্বভাবগতভাবে ধান ভানতে গিয়ে কেউ কেউ একটু অাধটু শীবের গীত গাইতেই পারেন।
৫ নং কেতনের মন্তব্যে সত্য প্রতিফলিত হয়েছে।
৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০
খোলা মনের কথা বলেছেন: হুসাইন র: কারবালার শহীদের সাথে মুহাররামের ইবাদত বা রোজার সম্পর্ক নেই। অনেকে কারবালার ঘটনাকে প্রাধান্য বেশি দিয়ে থাকে। মুহাম্মাদ স: মৃতুর পর কোন ইবাদত যুক্ত হবে না। এটা সকলের জানা দরকার। আপনার শেষ কথার সাথে একমত।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪
ঢাকার লোক বলেছেন: জাজাকুমুল্লাহ !
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
নবী (স: ) মদীনায়, ইহুদীদের থেকে অনেক কিছু শিখেছেন বলে আমার ধারণা।