নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুহাম্মদ এনামুল হক আপনাদেরই লোক

ঢাকার লোক

বাংলা ভালোবাসি

ঢাকার লোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবর জিয়ারত

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০



উপরের তিনটি ছবি মদিনায় মসজিদে নব্বইর পাশে বাকি কবরস্থানের দেয়ালে সৌদি সরকার কর্তৃক লাগানো জিয়ারাতকারীদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি (বিজ্ঞপ্তিটি যদিও একটা বোর্ডে লেখা পড়ার সুবিধার্থে একে তিনটি ভাগে ভাগ করেছি) যা শুধু বাংলায়ই না, ইংরেজি উর্দু ইত্যাদি বিভিন্ন ভাষায়ও আছে। এতে আছে সুন্নতি তরিকায় কিভাবে কবর জিয়ারত করতে হবে এবং কি কি বিষয় পরিহার করতে হবে। মসজিদে নব্বইর পাশে বাকির কবরস্থানই ছিল মুসলমানদের প্রথম কবরস্থান এবং এতেই আছে উসমান (রা) সহ অন্য অনেক সাহাবা ও উম্মুল মুমিনীন রাসূলুল্লাহ (স) এর স্ত্রীদের কবর। যারা হজ বা উমরা করতে যান তাদের অনেকেই এ কবরস্থান জিয়ারত করে থাকেন।

আর চতুর্থটি ঢাকার রায়ের বাজারস্থ বুদ্দিজীবী কবরস্থানে সমাহিত আমারই জনৈক আত্মীয়ার কবরে লাগানো বিজ্ঞপ্তি।

মদিনায়, ইসলামের বিকাশ যেখানে, কবরবাসীদের উদ্দেশ্যে সালাম দিতে ও তাদের জন্য শুধু দুআ করতে বলা হয়েছে। কবরস্থানে কোনো কোরান তেলওয়াত করতে নিষেধ করেছে। আর আমাদের দেশে কোরানের আয়াতুল কুরসী ও বিশেষ কয়েকটি সূরা নির্দিষ্ট তিনবার, সাতবার, এগারো বার ইত্যাদি পড়তে বলা হয়েছ। প্রথমোক্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে যা কিনা বিদাত!

প্রসঙ্গত আরেকটি বিষয় এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে। আমাদের দেশে অনেকে বাবা মার্ কবরে নিয়মিত কোরান পড়েন বা পড়ার জন্য মাসিক বেতনে হুজুর নিয়োগ করে থাকেন। এতে হুজুরের কিছু দুনিয়াবী লাভ হয় সত্য, কবরবাসী মৃতের কোনো উপকার হয় এমন কোনো সহী রেফারেন্স কোরান বা হাদিসে পাওয়া যায় না।

আল্লাহ আমাদের সঠিক জ্ঞান দান করুন ! আমীন!!

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:



সৌদী সরকার যা বলেছে, উহা সৌদী নাগরিকদের জন্য; আমাদের সরকার কি বলে?

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৯

ঢাকার লোক বলেছেন: সৌদি সরকার শুধু সৌদিদের জন্যই নয় বরং সকল দেশীয় জিয়ারতকারীদের জন্যই বিভিন্ন ভাষায় এ বিজ্ঞপ্তি দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে লাগিয়ে রেখেছেন। আমাদের দেশে সরকার এ ধরণের ধর্মীয় বিষয়ে নির্দেশনা কমই দেন, তাই আমরা নিজেরা যে যার ইচ্ছামতো একটা আবিষ্কার করে নেই, ইসলামে আছে কিনা তার ধার ধারী না।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মেয়েদের কবর জেয়ারত নিয়ে মতভেদ আছে।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৭

ঢাকার লোক বলেছেন: জি আছে , রাসূলুল্লাহ (স) এর সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কিছু সংখ্যক আলেম অন্য কিছু হাদিসের আলোকে মহিলাদের কবর জিয়ারত কিছু শর্তসাপেক্ষে জায়েজ বলেছেন। কে কোনটা নিবে সে তার চয়েস। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২২

সোনাগাজী বলেছেন:



মানুষের মৃত্যু নিয়ে আপনি বেশী জানেন, নাকি নবীরা বেশী জানতেন?

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- করব!!

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

ঢাকার লোক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ! ঠিক করে দিলাম।

৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি কি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ইসলাম ধর্মের খুব ভুল একটা ধারণা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
কিছুদিন আগে কয়েকটা কবরস্থান জিয়ারত করার পরও আমারও ঠিক একই জিনিস মনে হয়েছে ভেবেছিলাম এই বিষয়টা নিয়ে একটু বিস্তারিত ভাবে দেখব তাই সময় নিচ্ছিলাম। আপনার এই লেখাটা আমাকে উৎসাহিত করেছে এই বিষয়টা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করে বিশদভাবে লেখার জন্য।
ইনশাল্লাহ আল্লাহ যদি তৌফিক দান করেন তাহলে এই বিষয় নিয়ে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিস্তারিতভাবে লেখার ইচ্ছে আছে।
কবরস্থানে কবরের পাশে যে বিভিন্ন ব্যানার টানানো হয় যেখানে বিভিন্ন দোয়া দরুদ লেখা থাকে এটার জন্য শরীয়তে কোন নির্দেশ আছে বলে আমার জানা নেই।
বাংলাদেশে কুসংস্কার এবং এসে লোকায়িত বিভিন্ন ইসলাম ধর্ম বিরোধী বিভিন্ন কাজের ব্যাপক প্রচলন রয়েছে।
শুভকামনা আপনার জন্য।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫২

ঢাকার লোক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আল্লাহ আপনাকে নিশ্চয় লিখার সুযোগ করে দিবেন। নিচের লিংক এ এ সম্বন্ধে আরো জানতে পারবেন।
https://islamqa.info/en/answers/14287/etiquette-of-visiting-graves

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১০

নীল আকাশ বলেছেন: লিংকটা দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি এটা ভালো করে পড়ে দেখব।

৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: জিয়ারত এর উপকারিতা কি কি?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ঢাকার লোক বলেছেন: ভালো প্রশ্ন করেছেন।
প্রথম ও প্রধান উপকার জিয়ারতকারীর, তাকে মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দিবে। মনে পড়বে, দুনিয়ার এ বাড়ি গাড়ি, টাকা পয়সা, গৌরব, খ্যাতি, সব পড়ে থাকবে। সম্পূর্ণ খালি হাতে এদেরই মতো চলে যেতে হবে। ফলে দুনিয়ার জন্য আখেরাত বিক্রি না করে ভালো কাজ করার ইচ্ছা জাগবে যা পরকালে কাজে আসবে।
দ্বিতীয়ত মৃত ব্যাক্তির যেহেতু আর কোন নেক আমল করার ক্ষমতা নেই, জিয়ারতকারী তার জন্য দুআ করলে তার লাভ হবে, আল্লাহ হয়তো তাকে মাফ করে দিবেন। সে সাথে জিয়ারতকারীও সওয়াব পাবে। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন কেউ যখন একজন অনুপস্থিত ভাইয়ের জন্য দুআ করেন তখন ফেরেস্তাগণ তার জন্যও অনুরূপ দুআ করেন। ( এ উপকার পাওয়ার জন্য অবশ্য কবরের কাছে গিয়ে জিয়ারত করতেই হবে তেমন নয়, বাসায় বসেও করলে একজন পেতে পারে। )
মনে রাখতে হবে, কবরে মৃত ব্যক্তি, সে কারো বাবাই হোন, বা পীর দরবেশ আউলিয়াই হোন, যিয়ারতকারীর কোনো কথা শুনতে পান, বা তিনি কিছু চাইলে দিতে পারেন এমন ধারণা রাখা সম্পূর্ণ ইসলামি আকিদা পরিপন্থী। কাজেই এ ধরণের কোন উপকার আশা করা হারাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.