নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানত করা বলতে সাধারানত " আল্লাহ আমার অসুখটা ভালো করে দাও, ভালো হলে আমি একটা খাসি কোরবানি করে গরিব মিসকীনকে বিলিয়ে দিবো বা আমার ছেলের একটা চাকরি পাইয়ে দাও, চাকরি হলে মসজিদে দশ হাজার টাকা দান করবো' ইত্যাদি শপথ করাকে বোঝায়। এ আল্লাহর সাথে এক ধরণের অঙ্গীকার। শর্ত পূরণ হলে এটি রক্ষা করা ইসলামে অবশ্য কর্তব্য।
এধরনের মানত অনেকেই করে থাকেন, বিশেষত মেয়েদের মাঝে এটি বেশি লক্ষ্য করা যায়। তারা অতি সহজেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং এ ধরণের মানত করে ফেলেন। ছেলে হয়না, হলে উমরা করতে যাবো বা ছেলেকে কোরানে হাফিজ বানাবো ইত্যাদি অতি কমন মানত করে পরে অনেকেই পূরণ করতে সমস্যার সম্মুখীন হন।
মানত করা ইসলাম নিষিদ্ধ করেনি, তবে একে নিরুৎসাহিত করেছে। রোগ ভালো করে দেয়া বা চাকরি পাইয়ে দেয়া জাতীয় শর্ত আল্লাহকে দিয়ে বিনিময়ে দান সাদাকা করার চেয়ে শর্তহীন দান সাদাকা করা ভালো। পরে এই ভালো কাজের উসিলা দিয়ে আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়া আল্লাহর নিকট বেশি পছন্দনীয়! এখানে আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার ভঙ্গের ভয় নেই, নেই সামর্থ নেই তেমন কাজ করার দুশ্চিন্তা নিয়ে কাল যাপনের যাতনা।
তাছাড়া শর্ত পূরণ হওয়ার পর মানত রক্ষা করতে না পারলে শপথ ভঙ্গের কাফ্ফারা (EXPIETION) দিতে হবে। কোরানে সুরাহ মায়েদার ৮৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন,
لَا يُؤَاخِذُكُمُ اللَّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـٰكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الْأَيْمَانَ ۖ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ ۖ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ ۚ ذَٰلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ ۚ وَاحْفَظُوا أَيْمَانَكُمْ ۚ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে, দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক। অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে। যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে। এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।
একটা বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার, শুধুমাত্র হালাল ও আইনসম্মত কিছু চাওয়া বা করার মানত করা যাবে, হারাম কিছু চাওয়া বা করার মানত করা সম্পূর্ণ নিষেধ। পীর সাহেব বা কোনো বাবার দরগায় বা মাজারে কিছু নাজরানা মানত করাও হারাম।
আবেগপ্রবণ হয়ে যখন তখন মানত করা সম্বন্ধে আমাদের সবার হুশিয়ার থাকা উচিত।
২১ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩০
ঢাকার লোক বলেছেন: ঠিক বলেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে !
২| ২১ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১১
শেরজা তপন বলেছেন: মানুষ কিছু সময় একান্ত বাধ্য হয়ে মানত করে- তখন সম্ভব অসম্ভব বলে কিছু ভাবার অবকাশ থাকে না।
২১ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
ঢাকার লোক বলেছেন: মানত করাটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে আবেগপ্রসূত! একটু সাবধান হলে এবং আকাঙ্খা পূর্ণ হলে মানতও পূর্ণ করতে হবে মনে রাখলে অসাধ্য কিছু করার ওয়াদা করা থেকে বাঁচা সম্ভব।
ধন্যবাদ!
৩| ২১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০০
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মা আমার জন্য মানত করেছিলেন।
মা মানত করে, সেই মানত আমি বড় হয়ে পালন করেছি। সিলেট মাজাতে ছাগল দিয়েছি। যদিও আমি মানত ফানতের বিপক্ষে।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মানত হোল আল্লাহর কাছে শর্ত আরোপ করে দোয়া করা। এই কারণে এটাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।