নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুহাম্মদ এনামুল হক আপনাদেরই লোক

ঢাকার লোক

বাংলা ভালোবাসি

ঢাকার লোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম কোন কোন ক্ষেত্রে গীবত অনুমোদন দিয়েছে

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৫৭

গীবত বা কারো অনুপস্থিতিতে তার নামে বদনাম করা ইসলামে অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ। কোরানে যে সকল গুনাহর কথা উল্লেখ করে তার পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে এটি তার একটি।
আল্লাহ বলেন,"হে মুমিনগণ! তোমরা অধিকাংশ ধারণা থেকে বিরত থাকো। নিশ্চয়ই কিছু ধারণা পাপ। এবং গোয়েন্দাগিরি করো না এবং একে অপরের গীবত (পরনিন্দা) করো না। তোমাদের কেউ কি পছন্দ করবে যে সে তার মৃত ভাইয়ের মাংস খাবে? তোমরা অবশ্যই তা ঘৃণা করবে। আর আল্লাহকে ভয় করো; নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবা গ্রহণকারী ও দয়ালু।"( আল-হুজুরাত, আয়াত ১২)
মিথ্যা বদনাম হলেতো কথাই নেই, এমনকি সত্য হলেও গুনাহ হবে। আবু দাউদ ৪৮৭৪-এর হাদিসে, নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে গীবত সম্পর্কে একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল, "যদি আমি আমার ভাই সম্পর্কে যা বলি তা সত্য হয়, তবে?"
নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) উত্তরে বললেন, "যদি তুমি সঠিক হও, তবে তুমি তার প্রতি অপবাদ দিয়েছ, আর যদি তুমি যা বলো তা সত্য না হয়, তবে তুমি তাকে অপমান করেছ।"
তবে নিম্নলিখিত কয়েকটি ক্ষেত্রে কারো দোষ
ত্রুটি তার অবর্তমানে অন্যকে জানানোর অনুমোদন ইসলাম দিয়েছে। শুধু অনুমোদন‌ই না একজনের দায়িত্ব হিসাবে উৎসাহিত করেছে।
১) কোন ছেলে মেয়ের বিবাহের সম্পর্ক করতে উদ্যোগী কেউ আপনার পরিচিত বর বা কনে সম্পর্কে জানতে চাইলে যা সত্য জানাতে হবে। এখানে উদ্দেশ্য হবে বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থে সত্য জানানো। বিয়ে ভাঙানো বা অন্য কোন অসদুদ্দেশ্যে মোটেও নয়‌।
২) এক‌ই রূপে কেউ কারো সাথে ব‌্যবসয়িক সম্পর্ক, যেমন পার্টনারশিপে ব্যবসা, করতে উদ্যোগী হয়ে আপনার কাছে তার সম্বন্ধে জানতে চাইলে যা সত্য জানাতে হবে। এখানে উদ্দেশ্য হবে বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থে সত্য জানানো।
৩) আলেম সমাজ সাধারণ জনগনকে বিভিন্ন বিষয়ে উপদেশ/ নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এ বিষয়ে কোন ভুল বা সত্য বিরোধী উপদেশ নির্দেশনা দিলে সাধারণ লোকজন পরিণামে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের এ ক্ষতি থেকে বাঁচাতে যারা জানেন তারা এ বিষয়ে সতর্ক করবেন। এটা উক্ত আলেমদের বিরুদ্ধে গেলেও গীবতের আওতায় গুনাহ হবে না।
৪) যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বরত তারা যদি কোন ভুল, অন্যায়, অত্যাচার করেন তাদের ভুল বা অন্যায় আচরন নিয়ে তাদের সাথে যদি একান্তে আলোচনা করার সুযোগ না থাকে তবে জন সম্মুখে তুলে ধরা জায়েজ। এখানেও উদ্দেশ্য হবে বৃহত্তর কল্যাণ, অযথা অন্যায় ভাবে বিদ্রোহ বিশৃংখলা সৃষ্টি নয়।

একটা বিষয় খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এ সব কয়টি ক্ষেত্রেই উদ্দেশ্য বৃহত্তর কল্যাণ, অপ্রোয়োজনীয় গাল গল্প বা ফান করার জন্য মোটেও না।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে গীবতের গুনাহ থেকে হেফাজত করুন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৪৫

শায়মা বলেছেন: পৃথিবীতে কি একজন মানুষও খুঁজে পাওয়া যাবে যে এই মানবীয় গুনাবলী বা অগুনাবলী গীবতের বাইরে?

সবাই নিজেকে সাধু ভাবে কিন্ত কেউই সাধু না।

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৫৪

কামাল১৮ বলেছেন: কোন অবস্থাতেই গিবতকরা ঠিক না।

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪০

রাসেল বলেছেন: সামাজিক জীবনের খুব গুরুত্বপর্ণ একটি বিষয় উদহারণসহ তুলে ধরেছেন, ধন্যবাদ। আমার উপলব্ধি অনুযায়ী; গীবত হল, অযথা অকারণে কারো ভুল ক্রটি, অন্যায় অপরাধ নিয়ে আলোচনা করা। যদি কারো ভুল ক্রটি, অন্যায় অপরাধ নিয়ে আলোচনা করার মাধ্যমে সমাজের মঙ্গল হয়, আমার দৃষ্টিতে সেটা গীবত নয়। উদহারণস্বরূপ, প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত কোনো এক ব্যক্তি তার সহকর্মীদের এবং প্রতিষ্ঠানে জন্য ক্ষতিকর, এই পরচর্চা/ গীবত কি গ্রহণযোগ্য হবে? আমার উপলব্ধিতে এবং জিজ্ঞাসায় পাঠকের মতামত আশা করছি।

এমন গুরুত্বপর্ণ বিষয় আরো তুলে ধরার আবেদন জানাইতেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.