| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যখন প্রথম সিঙ্গাপুর যাই চাঙ্গি ইন্টাঃ এয়ারপোর্টের বাইরে এসে একটি ট্যাক্সিতে উঠে সেরাঙ্গুন রোডের দিকে যাচ্ছিলাম। ওখানে গাড়ির ড্যাসবোর্ডে একটা কার্ডে ড্রাইভারের নাম ও ছবি দৃশ্যমান থাকে। ড্রাইভারের নাম দেখলাম, আহমেদ। খুশি হলাম এবং জানতে চাইলাম,
তুমি কি স্থানীয় নাকি বিদেশী ? স্থানীয় শুনে আরো ভাল লাগলো।
জিজ্ঞেস করলামঃ এখানে কী পরিমান স্থানীয় মুসলিম আছে?
জানালোঃ ১৫ থেকে ২০ পার্সেন্ট। বাহ্ খুব ভালো লাগলো। আসলে আমার ধারণা ভুল ছিল। আমি ভেবেছিলাম এখানে স্থানীয় মুসলিম নেই।
যাহোক আহমেদকে এবার জিজ্ঞেস করলামঃ আর কি কি ধর্মের লোক আছে সিঙ্গাপুরে। সব ধর্মের লোকের পার্সেন্টেজ হিসেবে আহমেদ একে একে সব আমাকে জানালো। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান এবং সবশেষে নন-বিলিভার। নন-বিলিভার ? মানে নাস্তিক! তাদের পার্সেন্টেজও তো কম নয় একেবারে।
আহমেদকে জিজ্ঞেস করলামঃ নন-বিলিভার বা অ্যাথিয়িস্টদের নিয়ে কোন সমস্যা হয়না এখানে?
ঃ সমস্যা হবে কেন, তারাও তো এদেশেরই মানুষ। তারা আমাদেরকে তো আমাদের বিশ্বাস নিয়ে কিছু বলেনা আমরা কেন তাদেরকে বলতে যাবো।
আসলে ধর্ম বিশ্বাস মানুষের একান্তই নিজস্ব ব্যাপার। সেখানে অন্য কারো হস্তক্ষেপ ভারী অন্যায়। ইসলাম ধর্মেও ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করা হয়েছে। অপর দিকে কেই যদি নাসিÍকতা নিয়ে গর্ব করে এবং নিজেকে অতি আধুনিক ভাবতে থাকে সেটা তার ব্যাপার। তাই বলে অন্যকোন ধর্মের প্রতি কটুক্তি করলে, কিংবা কারো ধর্মানুভ’তিতে আঘাত করলে কেউ ছেড়ে কথা বলবেনা। এরকম ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে। আমাদের দেশের এক কবি লিখেছিলেন ভোররাতে আজান শুনলে নাকি তার কাছে বেস্যার চীৎকার মনে হতো, তার পরিনতি কিন্তু ভাল হয়নি। অধ্যাপক আহমেদ শরীফ, তসলিমা নাসরীন তাদের প্রতি এদেশের ধর্মভীরু মানুষের মনোভাব আমরা ভাল করেই জানি। তাছাড়া সালমান রুশদির ব্যাপারে সারা দুনিয়ার সবাই কমবেশী জানে। অথচ আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন লেখক, সাংবাদিক এবং কৌতুকপ্রিয় মানুষ খোশবন্ত সিং-কে কিন্তু সে ধরনের পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়নি যদিও তিনি আত্মস্বীকৃত একজন নাস্তিক, বাজে পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়নি পশ্চিম বঙ্গের বিশিষ্ট রেশনালিষ্ট প্রবীর ঘোষ কিংবা কেরালার ডঃ কোভুরকে কারণ তারা কোন ধর্মের প্রতি কখনোই কটুক্তি করে কিংবা খোঁচা মেরে কথা বলেননি । আসলে কিছু ব্লগারদের কারণে নাস্তিক এবং ব্লগার শব্দ দুটি অনেকের কাছেই সমার্থক হয়ে গেছে। যা দুঃখজনক।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৩
ঢাকাইয়া০০৭ বলেছেন: ইট হ্যাপেন্স অনলি ইন বাংলাদেশ ।
২|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৪
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ধর্মের সমালোচনা অশ্লীলতা বা অপমান দিয়ে হতে পারে না, যুক্তি যদি থাকে তা দেখিয়ে যা ইচ্ছা কর গিয়া!!
কিন্তু সেই কারনে এভাবে ধরে নিয়ে যাওয়াও সমর্থন করতে পারছি না, সমাজে এদের কল্যানমুখী ভুমিকাও রয়েছে এবং সঠিক অপরাধীদের ধরা হচ্ছে না দেখে বেশ খটকা লাগছে। আর আমারব্লগ এর সাথে কাহিনী করলে তো মানবো না!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৯
ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: রিচার্ড ডকিন্স, বিল মাহের, ষ্টিভেন কোলবার্ট বাইবেল উল্টাইয়া ফালাইলেও কিছু হয় না, প্রকাশ্যে জলসা বসয়াইয়া খ্রীষ্টানদের উপহাস করলেও কিছু হয় না, আম্রিকার সরকার তাদের কোমড়ে ডান্ডাবেড়ি লাগায় না, কিন্তু আমাদের এখানে বাংলাদেশে সমস্যা আছে। কারণ ওটা আমেরিকা আর এটা বাংলাদেশ। হাজার খ্রীষ্টান প্রতিবাদ করলেও বিল মাহেররে আমেরিকার পুলিশ নাস্তিকরার খাতিরে, বাইবেল অবমাননার খাতিরে ধরে নিয়ে যাবে না, কিন্তু বাংলাদেশে মশিউর রহমানকে ধরে নিয়ে যাবে।