নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সে আজ বাসায়, অঘটন টা ঘটবার আর সময় পেলোনা, আমার মানিব্যাগ পাচ্ছিনা, বাবুর শীতের কাপড় কিনতে বের হবো, পুরো বাড়ি তন্নতন্ন করে খোঁজা হলো, কোথাও নেই, পরে পাওয়া গেলো কমোডের ভেতর, মানে আমি অফিস থেকে ফিরে যখন টয়লেট গিয়েছিলাম কাজটা তখন হয়েছে, ফ্লাশ করবার আগে পড়েছে নাকি পরে অত দূরহ চিন্তায় না গিয়ে মানিব্যাগ তুলতে গেলাম, সেতো আমাকে ব্যাগ ধরতেই দেবেনা, শপিং এ যাবো, মানিব্যাগে বেশকিছু ক্যাশ টাকা আছে, তুলে নিলাম, সব টাকা স্বাভাবিক ভাবেই ভিজেছে, আজব তো! এখানে এত হাসির কি হলো বুঝিনা,
তাকে কথা দিতে হলো, সব টাকা বাইরে খরচ করে আসবো, কাগজ গুলো ফেলে দেবো, কার্ডগুলো স্যাভলন দিয়ে ধুয়ে নেব, আর নতুন একটা মানিব্যাগ কিনবো। আজকেই আহাম্মকের মতন ঘটতে হলো এমন একটা বাজে ব্যাপার?
পুরোটা শপিংমল সে আমায় জ্বালিয়েছে, যেই দোকানে টাকা পে করি, দোকানদার নেড়েচেড়ে ভেজা টাকা একটু ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে আর সে হাসতে হাসতে শেষ, কথা নাই বার্তা নাই এমন অহেতুক হাসি দোকানদার ভালো চোখে দেখেনা, সন্দিহান চোখে টাকা গুলো আরও বেশি সময় নিয়ে চেক করে। ভাগ্যিস দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টি, এই বৃষ্টিতে মানিব্যাগ ভিজতেই পারে, কিন্তু আমার এই অটল এক্সপ্রেশনটায় তার জন্য বার বারই কনসেন্ট্রেশন ব্রেক হচ্ছে, তাকে কিছু বলতেও পারছিনা।
বড় সমস্যা দেখা দিলো, কাপড় এর দোকানে একসাথে অনেক গুলো টাকা দিয়েছি, ক্যাশ কাউন্টার এর মেয়েটা টাকাগুলো ক্যাশ বাক্সে রাখবে কি রাখবেনা চিন্তায় পড়েছে, এটা দেখে তার খিল খিল হাসি এবার চেন্জ হয়ে হো হো হাসিতে রুপ নিয়েছে, হাসি যে সংক্রামক আবারও টের পেলাম, ক্যাশ কাউন্টারের মেয়েটা তার হাসি দেখে এখন নিজেও হাসতে শুরু করেছে কিছু না বুঝেই, হাসছে আর বলছে, সমস্যা নেই ম্যাডাম, শুকিয়ে নেবো, এমন তো হতেই পারে, হুমম এমন তো হতেই পারে, সে এবার পেটে হাত দিয়ে হাসছে, হাসতে হাসতে ওর চোখ গড়িয়ে পানি পড়ে, আমি বিরক্তিকর চোখে অপলক তাকে দেখছি আর ভাবছি, মেয়েটা এখন আর আমার কেওনা।
আমাদের ডিভোর্স এর এতদিন,
এতদিন পর আজ প্রথম
এতটা সময় ধরে সে আমার সাথে ......
আর অনুভূতিহীন অহেতুক একটা হাসি
এই সময়টাকে পার করে নিচ্ছে
নাকি সময় টাকে সহজ করছে,
নাকি কোনটাই না?
সে এখন কারনে অকারনে এভাবেই হাসে,
হয়তো সবার সাথে,
হয়তো শুধু অন্য কারও সাথে,
হয়তবা জমিয়ে রেখেছিল এতদিন,
আমার জন্য, কি জানি,
হয়তবা সে আসলে হাসছেই না,
বয়স বাড়ছে, আমি ভুল দেখছি।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৪
ধোঁয়াশা বলেছেন: ধন্যবাদ, অবশ্যই আপনার ব্লগ ঘুরে আসবো
২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি পড়ে মনটা অনেক বিষন্ন হয়ে গেল।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৬
ধোঁয়াশা বলেছেন: কারও মন খারাপ করে দেয়াটা কাওকে হাসানোর চাইতে অনেক সোজা, আমি বোধহয় এই সোজা কাজটাই করেছি
৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭
কিরমানী লিটন বলেছেন: মনটা বিষাদে ভরে গেলো - আপনি অনেক ভালো লিখেন। শুভকামনা রইলো......
০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৯
ধোঁয়াশা বলেছেন: অনুপ্রেরণা দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ, মন বিষাদ করবার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত
৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৪
মা.হাসান বলেছেন: অত্যন্ত সার্থক নামকরন
০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪০
ধোঁয়াশা বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৫
তরুন ছিল রংগিন বলেছেন: কাল্পনিক নাকি বাস্তব সেটা বুঝতে ধোয়াশা লেগে গেল। ভেজা টাকা গুলো শুকিয়ে আয়রন দিয়ে একটু তাপ দিয়ে নিলে এত কেউ বুঝতেই পারতো না। যাই হোক ভালো লেগেছে।
আমার ব্লগে ঘূরে আসার আমন্ত্রন রইলো।