নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খোলো দ্বার, বার্তা আনিয়াছি বিধাতার

ধমাধম

শুনিয়াছি ধমাধম ধর্ম নামে নতুন এক ধর্মের আবির্ভাব ঘটেছে। নতুন জিনিসে আগ্রহ থাকে। তাই ধমাধম ধমর্তেও আগ্রহ জন্মেছে।

ধমাধম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কর্মই ধর্ম -- অনেক দিন পরে এই ধর্মে বিশ্বাস আসতে শুরু করেছে

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪১

যখন খারাপ কিছু হয়, তখন আল্লারে কাছে আল্লার নামেই নালিশ করি-- হে আল্লা, আমি তো কালকে খারাপ কিছু করি নাই, তাহলে আজকে কেন তুমি আমার দিনটা খারাপ করে দিলা!



ধর্ম কী? মানুষ যা ধারণ করে তাই? মানুষ তো ভাল-মন্দ দুইটাই করে। তাহলে ভালো-মন্দ দুইটাই মানুষের ধর্ম? নাহ, একটা ধর্ম, আরেকটা অধর্ম। ধর্মের এই দুইটা রূপ। রাত আর দিনের মত। একই মুদ্রার এ পিঠ-ওপিঠ। মহাভারতের যুগে এই দুইটা ধর্মই ছিল। এর মাঝে নানা মুনির নানা মত তখনো ছিল, এখনো আছে।



শতপুত্রশোকে কাতর গান্ধারী কৃষ্ণের কাছে জানতে চাইলেন তিনি তো সজ্ঞানে কোন অপরাধ করেন নাই। তাহলে কোন পাপের ফলে তাকে এই পুত্রশোক ভোগ করতে হচ্ছে?



কৃষ্ণ মনে করাই দিলেন কোন এক জন্মে গান্ধারী ছোটবেলায় খেলাচ্ছলে ১০০টা ফড়িং মেরে তাই দিয়ে মালা বানিয়েছিলেন। হায় পাপ! পাপে ছাড়ে না বাপেরে!



আমাদের দেশের মানুষ এত ধর্মপ্রাণ! তবুও এই আমাদেরই জীবনটা এমন কেন? হাজারো সমস্যায় জর্জরিত আমাদের জীবনের নিশ্চয়তা শুণ্যের কোঠায়। সেই সাথে গোডের উপর বিষফোঁড়ার মত আছে কিছু দেশবিরোধী রাজাকার কুলাঙ্গার। পথে ঘাটে তো বটেই, অনলাইনেও এদের বিষবাষ্পের ঠেলায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। কিন্তু কাকে দোষ দেবো? পাপ তো আমার মধ্যেই। এইযে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হয়, তখন বেশিরভাগ সংখ্যাগুরুরাই চোখ কান বন্ধ করে নিরপেক্ষতার ভাব ধরে থাকি যেন দেশে কিছু হয় নাই। ঘরবাড়ি পোড়ানোর সময় মন্দির ভাঙার সময় আমাদের কাউরেই বাধা দিয়ে দেখা যায় না। অন্যের বিপদের সময় চোখ কান বুজে পাশ কাটিয়ে চলে যাই। আর যখন একই বিপদ এসে নিজের ঘরে হানা দেয়, তখন বুক চাপড়াইয়া আল্লার কাছে বিচার চাই আল্লার নামে!



এই দেশ নিয়ে আর আশাবাদী হওয়ার দুঃসাহস দেখাতে সাহস পাই না। ধর্মভীরুতার আড়ালে এই দেশের বেশির ভাগ মানুষ দুর্নীতিবাজ, সাম্প্রদায়িক। এদের মুখের দিকে তাকালেই বোঝা যায় এদের মনে কি পরিমান কালিমা। এই মুখগুলো আল্লায় কখনোই পছন্দ করতে পারেন না।



তবে তাই হোক। যদিও আমার এই চাওয়া আর অপেক্ষায় নেই। অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে। এখন শুধু কেয়ামতের অপেক্ষা!



গান্ধারী তাও কৃষ্ণকে সামনে পেয়ে অভিশাপ দিয়ে নিজের জ্বালা কিছুটা হলেও জুড়িয়েছিলেন। আল্লা, তোমার কাছে তোমার নামেই বিচার চাই, কিন্তু তোমাকে অভিশাপ দিতে পারি না। তুমি কোথায়?! মানুষের অভিশাপ পাবার ভয়েই কী সাত আসমানের তলায় গিয়ে লুকাইছো?



তোমাকে দেখি আর না দেখি কর্মফল ঠিকই দেখতে পাচ্ছি।



বিঃদ্রঃ চোরায় না শুনে ধর্মের কাহিনি!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.