![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হলের এই রুমটাতে আমরা দশজন থাকি। আগে একরুমে থাকতাম পঁচিশ জন।
কষ্টের সেই দিনগুলো পেছনে ফেলে এসেছি।
আমার বিছানাটা ঠিক জানালার পাশে। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে হলের আরেকটা বিল্ডিং,
উপরে এক চিলতে আকাশ।
তারে ঝুলানো একটা লুংগী, আরেকটা রোদে পুড়ে রঙ জ্বলে যাওয়া টি-শার্ট প্রায়ই চোখে পড়ে।
সানসেটে পড়ে থাকা অর্ধ ছেড়া লাল রঙের একটা চিপসের প্যাকেট,
আর কয়েকটা সিগারেট শুন্য প্যাকেটের দিকে মাঝে মাঝে তাকিয়ে থাকি।
কেন জানি এই জড় বস্তু গুলোর উপর মায়া পড়ে গেছে।
শীতে জানালা দিয়ে হু হু বাতাস এসে হাড় কাঁপিয়ে দেয়।
আর বৃষ্টির দিনে বৃষ্টির পানি গড়িয়ে পড়ে। তারপরও জানালাটা আমার ভিষন প্রিয়।
সকাল থেকে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। আমি কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছি।
বৃষ্টির পানি ছিটে এসে কাঁথা প্রায় ভিজিয়ে দিয়েছে।
তবু বিছনা থেকে উঠে জানালা বন্ধ করতে ইচ্ছা করছে না।
শরীরের সব ইন্দ্রিয় গুলো জানান দিচ্ছে - তোমার ভিষন জ্বর ।
প্রতিটা খারাপ জিনিসেরও একটা ভালো দিক আছে। শরীল খারাপ থাকারও ভালো দিক আছে।
খুব সহজে ফেলে আসা দিনে টাইম মেশিনে করে ঘুরে আসা যায়।
জ্বর হলে কলাপাতায় মাথা রেখে কেউ পানি ঢেলে দেয় না।
বালতিতে পানি পড়ার কলকল শব্দ শোনা হয় না।
স্কুলে যাওয়ার সময়, এলোমেলো চুল গুলো এখন আর কেউ জোর করে বাম দিকে সিতি করে দেয় না।
জানো মা, সকালে উঠে এলোমেলো চুল নিয়ে এখন ক্লাসে যাই। চুল আঁচড়ানো আর হয়ে ওঠে না।
আমি মাছের কাঁটা বাছতে পারতাম না দেখে, মাছটা প্লেটের পাশেই পড়ে থাকতো।
তুমি এসে মাছ বেছে দিতে। তুমি কি জানো, হলের ক্যান্টিনের রোগা মাছের কাঁটাগুলো
এখন আমি চিবিয়ে খেতে পারি!
জানো মা, মাঝে মাঝে মনে হয় মিথ্যে কথার এই শহর ছেড়ে পালিয়ে যাই।
তোমার আঁচলের তলে ছুটে আসতে বড্ড ইচ্ছে করে।
https://www.facebook.com/dhrubo.fahim
২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬
ধ্রুব ফাহিম বলেছেন: শৈশব এবং কৈশরের কথা স্মরণ করা হয়েছে। সবাই শৈশব এবং কৈশরে মাছের কাঁটা বাছতে পারবে এমন নয়।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
"কৈশরে মাছের কাঁটা বাছতে পারবে এমন নয়। "
- এসব মনোভাব ছাড়েন,
৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১১
ধ্রুব ফাহিম বলেছেন: পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করার মানে হয় না।
সবাইকে নিজের মতো মনে করলে সমস্যা। আপনি হয়তো শৈশব থেকেই মাছ বেছে খেতে পারেন,
অনেকে বড় হয়েও মাছ বাছতে পারে না বিধায় অনেক মাছ এড়িয়ে চলে।
৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২২
রানার ব্লগ বলেছেন: মাছের কাঁটা বাছতে পারা টা কি লেখা পড়া করার অগ্রিম যোগ্যতা ???
৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭
ধ্রুব ফাহিম বলেছেন: ওনার মন্তব্য দেখে তাই মনে হলো। @রানার ব্লগ
৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
" রানার ব্লগ বলেছেন: মাছের কাঁটা বাছতে পারা টা কি লেখা পড়া করার অগ্রিম যোগ্যতা ??? "
-যে হাঁটতে পারে না, সে আবার ম্যারাথনে যাচ্ছে?
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
" আমি মাছের কাঁটা বাছতে পারতাম না দেখে, মাছটা প্লেটের পাসেই পড়ে থাকতো। "
-আপনি আবার কিসের লেখাপড়া করছেন?