![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টিউশন শেষে বাসায় ফিরছি। রিক্সা থেকে শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডে নেমে ভাড়া মিটিয়ে বাসের অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছি। গন্তব্য শেওড়াপাড়া থেকে তালতলা। বাসে ৩ মিনিটের পথ।
সামনে একটা লেগুনা দাঁড়ানো। আমি সাধারণত লেগুনাতে উঠি না। দম বন্ধ হয়ে আসে। বাসের জন্য আর অপেক্ষা না করে লেগুনাতে উঠে পড়লাম।
লেগুনার দুই সারি সিটের এক পাশে ৪ জন ছেলে, আর এক পাশে ৩ জন মেয়ে। মেয়েদের
সারিতে বসার প্রশ্ন আসে না। ছেলেদের সারিতে বসতে যাব, দুই জন দরজার দিকে চেপে আসলো। আমি তিনজনের মাঝে বসে পড়লাম।
তালতলায় এসে লেগুনা হালকা ব্রেক করলো। পাশের দুইজন আমার গায়ে হুড়মুড়িয়ে পড়লো। এতো হালকা ব্রেকে গায়ে এসে পড়ার কথা না। ছেলেগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখলাম, খুব হেঙলা পাতলা। অন্ধকারে মুখ দেখতে পারছিলাম না।
কিছু মনে না করে লেগুনা থেকে নেমে পড়লাম। বাস অথবা রিক্সা থেকে নামার পর, পকেট হাতড়ে দেখা আমার বহু দিনের অভ্যাস। পকেটে হাত দিয়ে দেখি আমার মোবাইলটা নেই।
লেগুনাটা দাড়িয়ে ছিল। চলতে শুরু করবে এমন সময় লেগুনা থামালাম। বললাম আমার মোবাইল পড়েছে। এমন সময় দেখি পাশে বসে থাকা লোক তিনটা নেমে যাচ্ছে।
সামনে বসে থাকা এক আপু বললো, "ভাইয়া আপনার মোবাইলটা ওরা নিয়েছে। আমি মোবাইল হাত বদলাতে দেখেছি।
ততোক্ষণে আমার হিতাহিত জ্ঞান শুন্যে চলে গেছে। এর মধ্যে আমি খপ করে একজনের হাত ধরে ফেলেছি। আরেকজনের কলার ধরলেও ততোক্ষণে ছুটিয়ে নিয়েছে।
আমি বললাম, মোবাইল বাইর কর। আমি এই এলাকার ছেলে কাপড় নিয়ে বাড়ি ফেরত যেতে পারবি না। ছেলে দুটো অস্বীকার করেই যাচ্ছে। অনেক মানুষ জড় হয়ে গ্যাছে।
আমি হঠাৎ আবিষ্কার করলাম আমি ছেলেটাকে ঘুষি দিতে শুরু করেছি। সাথের মানুষ গুলোও চড় থাপ্পড় দিতে শুরু করেছে।
ছেলেটার শার্ট ছিড়ে একাকার অবস্থা। পাশেই ময়লার স্তুপ। ছেলেটা বললো, "ভাই ওই ময়লার মধ্যে ফেলছি।"
আমি গালি দিয়ে বললাম, "খা*কির পোলা কই ফেলছিস, খুঁইজা বাইর কর।"
অবশেষে আমার মোবাইল পাওয়া গেল। ব্যাক কভার কোথায় জানি উড়ে গেছে। স্ক্রিনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া একজন ইতিমধ্যে ধরা পড়েছে। তিন জনকে অর্ধ নগ্ন করে রাস্তায় বসানো হলো। এদের পকেটে ২ টা সোনার চেন, একটা এ্যান্ড্রয়েড ফোন পাওয়া গেছে। পাশেই সরকারি দলের কার্যালয়। তারা পুলিশে খবর দিলো।
আমি বাসার অভিমুখে যাত্রা শুরু করলাম। হাতে ব্যাথা নিয়ে বাসায় ফিরেছি।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮
ধ্রুব ফাহিম বলেছেন: ইচ্ছা করে দেইনি , গালি চলে এসেছে।
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
মাধব বলেছেন: সাবধানের মাইর নাই।
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১
ফাহাদ মিয়াজি বলেছেন: আমাদের সকলের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০০
অহনাব বলেছেন: আমার মোবাইলটাও লেগুনা থেকে নিয়ে গেছে। এককথায় এক্সপার্ট চুরি বিদ্যায়।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯
ধ্রুব ফাহিম বলেছেন: পরবর্তীতে সাবধান হবেন। আমি বললেও হবেন, না বললেও হবেন। কারন যার যায় সে বোঝে।
৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৮
ইকবালবিডি০৯ বলেছেন: চমৎকার বিষয় শেয়র করলেন। আপনার সাহস ও আত্মবিশ্বাস আছে তাই পেরেছেন অন্য ৯৫% লোক এটি পারবেনা। তবে আমি সর্তক হলাম। অাপনাকে ধন্যবাদ
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯
ধ্রুব ফাহিম বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৭
গোধুলী রঙ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।সাহসের কাজ করেছেন, প্রায় আধেক বাঙালও এই কাজ পারলে এই সব হ্যাংলা পাতলা অথবা অসুর দর্শন ছিনতাইকারীরা কবেই নির্মুল হত, কারে কি কই আমি তো নিজেই কিছু করতে পারতাম না। তবে সচেতন হব আশা রাখি।
৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মারহাবা! এই তো বাঙালি জেগেছে
৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনার সাহস আছে বলা যায়। ভয়ে কেউ নিজের জিনিস নিয়ে গেলেও শব্দ করেনা।
৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: উচিৎ কাজটা করেছেন। পারলে আরো কয়েকটা দিলে আরো ভাল হইতো।
সবচেয়ে ভাল ব্যাপারটা হল আপনার পকেট হাতড়ে দেখার অভ্যাসটা। এই অভ্যাস না থাকলে মোবাইল পাওয়া আর চোরকে হাতেনাতে ধরা কোনটাই সম্ভব হত না।
অবশ্য দোষটা লেগুনার না। ভীড় জমে থাকা যে কোন এলাকায় এইটা ঘটতে পারতো।
বত্ব ভাই, গালি দিছেন ভালা কথা(!) - এইডা লেইক্ষা সবাইরে জানাইতাছেন ক্যারে?
সবাই ই গালি দেয় কিন্তু অনলাইনে আসলে সবাই তো অনেক ভদ্র - তাদের অনেক সমস্যা হবে আবার পড়তে গিয়ে। (এই ধরণের মুখোশধারী চেতনাবীদ্গুলো না থাকলে বাংলাদেশ থেকে চোর, ডাকাত সবই গায়েব হয়ে যেত এতদিনে)
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০
ধ্রুব ফাহিম বলেছেন: হা হা । চলে এসেছে ভাই।
১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২২
ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ সাহস আপনার, ভাল কাজ করেছেন যার জন্য ফোনসেটটা ফেরৎ পেলেন।
১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৩
পিচ্চি হুজুর বলেছেন: সবাই ই গালি দেয় কিন্তু অনলাইনে আসলে সবাই তো অনেক ভদ্র একেবারেই হক কথা। মানুষ সবচেয়ে বেশি ভদ্র সাজে অনলাইনে বীরপুরুষ মহাপুরুষ সবই সাজে অনলাইনে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২
ধ্রুব ফাহিম বলেছেন: যথার্থ।
১২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪১
বিপরীত বাক বলেছেন: আপনাকে নগরীর বীর উপাধি দেয়া দরকার।। তবে এলাকায় পরিচিতি না থাকলে বা কেউ এগিয়ে কাহিনী অন্যরকম হতে পারতো।।।
১৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২
সজিব হাওলাদার বলেছেন: খুব ভাল
১৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮
সুমন কর বলেছেন: খুব ভালো কাজ করেছেন।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১
ধ্রুব ফাহিম বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
১৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮
প্রামানিক বলেছেন: ভাই আপনি এলাকার লোক দেখে পিটাতে পেরেছেন। অন্য কোন লোক হলে তো উল্টা আরো তাদের হাতে মার খেত।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬
ধ্রুব ফাহিম বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬
নেবুলাস বলেছেন: গালিটুকু বাদ দিলে এক কথায় দারুন কাজ করেছেন।