নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুম্রজাল

ধুম্রজ্বাল

আমি চুম্বক। অন্যকে প্রভাবিত করা আমার নেশা

ধুম্রজ্বাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্লাইট ৩৭০- কিছু অমিমাংসিত প্রশ্ন

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০২

মালয়েশিয়ান ফ্লাইট ৩৭০ ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে বেশ কদিন ধরে নিখোজ।

বিমানের অত্যাধুনিক ফ্লাইট ডেক, তার চেয়েও আধুনিক স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যাবস্থা আর একাবিংশ শতাব্দী'র ট্র্যাকিং সিস্টেম কে বোকা বানিয়ে বিমানটি কোথা্য় লুকিয়ে আছে ? ভারত মহাসাগরের তলদেশে ? নাকি কান্দাহারের তালেবান বিমান ঘাটিতে ?



যোগাযোগ বন্ধের পরও প্রায় ৮ ঘন্টা বিমানটি উড়েছিল- এটা আজ প্রমানিত। কে এমন নিখুত ভাবে প্লেন টা চালালো ? বিমানের ক্রুরা তখন কি করছিল ? যাত্রীরা কি করছিল এই ৮ ঘন্টা ? খাবার খেয়ে টানা ঘুম দিচ্ছিল ? সিনেমা দেখছিল ? অথবা জানালা দিয়ে আকাশ দেখছিল ?

এমন উত্তর না পাওয়া প্রশ্ন সবারই মন ছুয়েছে। আপনি, আমি, সবাই চাই এর একটা সমাপ্তি দেখতে ।

আমার মনে কয়েকটা প্রশ্ন ঘুরপাক খায় যা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই।



১। বিমানের ট্রানসপন্ডার আর সকল যোগাযোগ ব্যাবস্থা অফ করে দেয়া হয় । যদি ছিনতাইকারী হয় তাহলে তাদের রীতিমত যুদ্ধ করে বুলেটপ্রুফ ককপিট ডোর ভেংগে ঢুকতে হবে। ততক্ষনে পাইলট খুব সহজে কন্ট্রোল টাওয়ার কে জানাতে পারতো। তা হয়নি। এর অর্থ পাইলটরাই এই কাজ করছে। কি এমন কারনে দুইজন পাইলট একসাথে এমন আ্ত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিল ?



২। বিমানটি'র পাঠানো সর্বশেষ সিগনালটি স্যাটেলাইটে ধরা পড়ে হারানোর প্রায় ৭ ঘন্টা পর যেখানে ইন্জিনের সর্বশেষ ডাটা, বিমানের স্পীড, উচ্চতা ইত্যাদি তথ্য থাকে। আধুনিক জিপিএস এর যুগে সর্বশেষ লোকেশন ডাটা ছিল না কথা টা বিশ্বাস করি কিভাবে ?



৩। আজকের যুগে প্রতিটা দেশের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা নিখুত। যে কোন অচেনা বিমানকে আইডেন্টিফাই করে এবং সন্দেহজনক বিমান কে ধাওয়া করার জন্য প্রতিটা দেশের ফাইটার বিমান ২৪ ঘন্টা রেডী থাকে।IFF (Identifying Friends or Foe ) একটি পুরাতন প্রথা যা সব দেশেই আছে।

থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, মায়ানমার, চীনের মত সব দেশের রাডার কে ফাকি দিল কিভাবে ? আন্দামান-নিকোবরে'র ভারতীয় রাডার বন্ধ ছিল বিশ্বাস হয়? দিয়াগো গার্সিয়া তে মার্কিন বিশাল স্থাপনাকেও ফাকি দিল ?

চীন ও ??



৪। ফ্লাইট ডাটা/ভয়েস রের্কডার (ব্লাক বক্স) এমন ভাবে তৈরী যা কয়েকশত মিটার তলদেশ থেকেও ৩০ দিন ধরে সিগনাল পাঠায়। বিমানে ELT (Emergency Locator Transmitter ) অটোমেটিক ভাবে যে কোন অস্বাভাবিক ইম্পেক্টের সাথে সাথেই অন হয়ে যায়। সব কেন নিশ্চুপ ? তাহলে কোথায় কি স্বাভাবিক ভাবে ল্যান্ড করেছে ???

দিয়াগো গার্সিয়া অথবা কান্দাহার ?



এ ইস্যুতে আমার আগের লেখা

নিখোঁজ মালয়শিয়ান ফ্লাইট ৩৭০ - কিছু উদ্ভট সম্ভাবনা

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭

সোহানী বলেছেন: আপনার এ ভাবনা আমার মাথায় ও উকিঁ দিয়েছিল। আমারো বিস্বাস এটি পরিকল্পিত ছিনতাই যাতে বিমানের ক্রুরাই জড়িত। আরো হচ্ছে বিমানের বাইরেও অনেকগুলো ভিডিও ক্যামেরা থাকে সেগুলোর সাথে অনেক জায়গাও কানেক্ট থাকে। শুধুমাত্র দক্ষ পাইলটই এসব তথ্য জানে...... আম জনতা জানার কোন উপায় নাই। তাই আপনার সাথে একমত... এতোগুলো রাডার, স্যাটেলাইট, কেমনে ফাকিঁ দিল। এছাড়াও আরেকটা কথা... এ যুগে সবার হাতেই অত্যাধুনিক মোবাইল আছে যা বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন যোগাযোগ করা সম্ভব...... একমাত্র ধ্ববংস হলেই তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব নয়..... তাহলে ১৩৯ যাত্রীর মোবাইলগুলো গেল কোথায় !!!!!! তাই নয় কি.....

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

ধুম্রজ্বাল বলেছেন: দারুন কথা বলেছেন।
আর ধন্যবাদ একমাত্র মন্তব্যকারী হবার জন্য

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আপনার মত আমিও চিন্তিত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.