| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য
মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

সুন্দরবন থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার উত্তরে পশুর নদীর তীর ঘেঁষে যখন রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প নেয়া হলো, লোকজন খুব সমালোচনা করছিল। বিশেষ করে পরিবেশবিদরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছিলেন ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কয়লাভিত্তিক এ প্রকল্পটি বন্ধ করার। তারা বলেছিলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রস্তাবিত অবস্থান রামসার কনভেনশনের শর্ত তথা আইন লঙ্ঘন করবে (রামসার কনভেনশন জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক পরিবেশ চুক্তি। সুন্দরবন রামসারের আন্তর্জাতিক গুরুত্বের জলাভূমিগুলির তালিকাতে রয়েছে)। শেখ হাসিনা সরকার গোয়ার্তমি করে প্রকল্পটি হাতে নিয়েই ফেলে।
দেশে তো বিদ্যুৎ অবশ্যই দরকার, সেজন্য কি পরিবেশবিদদের কোনো পরামর্শ নিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার? নেয়নি। নিলে এমন জায়গায় প্রকল্পটি নেয়া উচিত ছিল যেখানে সবাই রাজি হতো। সে সময়ের সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ আরো অনেক প্রকল্প পরে খেয়াল-খুশিমতো হাতে নিয়েছিল।
বলা যায়, শত শত প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। কিছু কিছু অহেতুকও ছিল। বাস্তবায়ন হয়েছে আবার হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতিও হয়েছে। তো সরকারের কী করা উচিত ছিল? অবশ্যই জনগণের মনমর্জি বোঝা। সে মতো চলা। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা দেওয়া। চক্রান্ত হচ্ছে কি না সেসবেরও খোঁজ রাখা। একটার পর একটা প্রকল্প হাতে নিয়ে কি বাঁচা গেছে?
দেশে প্রতিদিন খুন-ধর্ষণসহ এমন কোনো অনাচার নেই হচ্ছে না, তেমন হৈচৈ পাওয়া যায়? আজকের খবর কাল বাসি হয়ে যায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বা সমর্থক মনে হয় না একজনও বাইরে আছে। পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে গেছে। কিন্তু এত এত খুন-ধর্ষণ হচ্ছে, কয়জনকে ধরতে পারছে? এত এত চাঁদাবাজি হচ্ছে, কয়জন চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?
একটা প্রজন্ম আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসন দেখে বড় হয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের দুঃশাসন দেখেছে কিন্তু তারা সে সময় দেখেনি যখন একযোগে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছে, যখন দেশ টানা চারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, যখন ৫ বছরের এক মেয়াদে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎও উৎপাদন করেনি, সারের জন্য মিছিল করতে গেলে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। যারা দেখেছে তারা চুপ হয়ে আছে হয় জানের ভয়ে অথবা লাভের গুঁড় খাওয়ার জন্য।
যদিও গত এক বছরের অনেককিছু দেখেছে দেশ। ফেরেশতারা এখন ইবলিশে পরিণত হয়েছে। গুঁড় খাওয়া নিয়ে কোন্দলও চলছে। অনেকে তো বলা শুরু করেছে, আগেই ভালো ছিলাম। এটা কি বলার কথা? আন্দোলনের নামে অনেকে ধান্ধা করতে গিয়ে মরেছে আবার অনেকে তো ভালো কিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল।
দল বদলের একটা রাজনীতি সবসসময় চালু ছিল। আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ টাকা খেয়ে বিএনপি-জামায়াতের লোকজনকে পদ দিয়েছে। পরবর্তীতে দেখা গেল নিজেদের খোলস ছেড়ে তারা বেরিয়ে এসেছে। এখন দেখা যাচ্ছে ভোট বাড়াতে বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগকে বাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। যদিও বোঝা যাচ্ছে না এরা আসল আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নাকি গুপ্ত। আসল যদি হয়ই, তাহলে কি তারা তাদের আদর্শ মুছে ফেলবে? নাকি গুপ্ত থেকে গা বাঁচাবে, পরে সুবিধামতো আসল চেহারা বের করে ফেলবে?
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:০৩
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আওয়ামী লীগ যে ঠেঙানি খাচ্ছে সেটা দেখে ভেবেছিলাম অন্যরা নিজেদের শোধরাবে। দেখি বিষয়টা নিয়ে কারো আগ্রহই নেই। আগে যা হয়েছে, যেন তাই হতে হবে।
২|
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:০৯
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: উদ্ধারের রাস্তা কি ?
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:১৩
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: টাকা দিয়ে যাদের বিবেচনাবোধ কিনে ফেলা যায়, তাদেরকে নিয়ে উদ্ধার হবেন কেমনে? আপনি এগোবেন তারা পেছনে ছুরি মারবে।
৩|
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:১৭
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ভুল রাজনীতি থেকে শিক্ষা নেয়নি কেউ । একমত কথাটার সাথে। এই দেশে পরিবর্তনের কোন আশা দেখাটাও মনে হয় অপরাধ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৪৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আর আশা দেখা যাচ্ছে না। একেবারে ধ্বংস হওয়ার পর নতুন শুরু হতে পারে।
৪|
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৫১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আগে বিএনপি-জামাতের লোকজন জেলে যেত, ডান্ডা বেড়ি পড়ে মায়ের জানাযা পড়তো, হাসপাতালে মারা যেত, বাচ্চা বাবার পিছনে পিছনে যেত আমরা দেখতাম আর হতাশ হতাম। এখন আওয়ামী লীগের লোকজন জেলে যায়, হাতকড়া পড়ে হাসপাতালে মারা যায়, বাচ্চা বাবার পিছনে পিছনে যাচ্ছে আমরা দেখে হতাশ হচ্ছি। এই লুপ চলতেই থাকবে। একচুয়ালি আমাদের আবেগের দাম নেই।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৫৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বিএনপি-জামায়াত ভালোই সহানুভূতি পেত। এখন আওয়ামী লীগ পাচ্ছে না। না পাক। শাস্তি দরকার আছে। এসবের পরও যদি দেশ ভালো চলত, তাহলেও হতো।
৫|
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:২৮
ক্লোন রাফা বলেছেন: আওয়ামী লীগ পনেরো বছরে বাংলাদেশে একটি অন্ধ, বোবা, বেকুব প্রজন্মের সৃষ্টি করেছে।যাদের শিক্ষা হলো দেশ গড়া কিংবা দেশের উন্নয়ন নয়। তাদের শিক্ষা দেশ ধ্বংসের আর লুটপাট করে নিজে ভালো থাকা। অতি নিচু স্তরের গ্রিডি প্রজন্ম। রাজাকার আর শিবির কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে সহযোগিতা করেছে এই বলদ প্রজন্ম সৃষ্টিতে।
আমাদের সময় ভালো ফলাফল করতে কোনো কোচিং সেন্টার লাগে নাই/ বেশি হোলে গৃহশিক্ষক আর নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থেকে পড়া বুঝে নেওয়া শিক্ষকদের কাছ থেকে।
৬|
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ২:৫৪
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
ইউনুসের সাময়িক সরকার ও জামাত-বিএনপি'র দেশ দখলটা কি "বিপ্লব" নাকি আমেরিকান ক্যু'এর কারণে?
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৫২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অবশ্যই জনগণের মনমর্জি বোঝা।
...............................................................
জনগনের মনমর্জি বুঝার প্রতিষ্ঠিত প্লাটফরম
আমাদের দেশে এখনো গড়ে উঠে নাই ।
যা কিছু মতামত পাওয়া যায়না ,
রাজনৈতিক অথবা সিন্ডিকেট ভিত্তিক তাই
এই বিষয়টার উন্নতি দরকার ।