![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ,আমার বুদ্ধি ও একটু কম, বোকাই বলা চলে।আমি কল্পনা প্রবন ও সহজাত বিবেচনাবধ সম্পন্ন ব্যক্তি। কল্পনা অনুযায়ী সব কিছহু না চললে আমি ভীত হয়ে পরি। কনো আঘাত বা প্রতিকুলতার সম্মুখীন হলে নিজেকে নিজের মাঝে গুটিয়ে ফেলি। আমি অত্তন্ত অনুভুতি প্রবন ও সহজেই মনে আঘাত পাই।সচরাচর কল্পনা শক্তির প্রভাবের জন্য আমি সফতা অর্জন করি।সপ্ন দেখতে ভালবাসি। অত্যন্ত অনুভুতিশীল বলে সহজাত গুলাবলি প্রকাশ করার জন্য অন্যের প্রশংসা চাই।সপ্ন কে বাস্তবে রুপ দেবার জন্য নিজেকে যথেষ্ট স্বাধীন রাখতে ভালবাসি……।। হয়ত আমাকে দেখে আপানার পাগল মনে হতে পারে কিন্তু আমি এমন ই……… আবেগের উত্তাল আটলান্টিক মহাসাগরে প্রতিনিয়ত ডুবছি আর ভাসছি... খুঁজছি যদি তল খুজে পাই, Email : [email protected] . fb: www.facebook.com/shihab.dipu
-ওখানে কেরে? কে? ওখানে?
-(ভয়ার্ত কন্ঠে)আ…আ…আ… আমি
-আমি কে??
- আমি রফিক।
- এই রাতে কি করিস ভাঙ্গা বাড়ির ভেতর?
- কিছু না…
- বাড়ি কই?
-নাই।
-থকিস কোথায়?
-রাস্তায়।
-পরিবার নাই?
- মা’য় মইরা গেছে।বাপ এ আর একটা বিয়া করছে। নতুন মা’য় খালি মারে। ভাত দেয় না। পালাইয়া আইছি।
(বিড়ির মতো একটা তীব্র গন্ধ নাকে এল। রফিক হাতের মুঠিতে কি যেন একটা লুকিয়ে রেখেছে। ওদিকে কে যেন উকি দিয়ে ভোঁ-দৌড় দিল)
-তোর হাতে ঐটা কি??
-গাঞ্জা।
-গাঁজা!! তুই এই বয়স এ গাজাঁ খাচ্ছিস?
-ভাত পাই না ।ত্ব’য় কি করুম?? এক ভাই ছিল হের কাছ থেকা একবার খাইছি ।হের পর থিকা খাই।
-ক্ষুধা লাগে না?
-নাহ…ক্ষিদা মইরা গেছে
-গাজা কিনিস টাকা পাইস কোথায়?
-গাঞ্জা কিনতে টেহা লাগেনি!! হেতেরা খাইয়া টাল হইয়া হালায় যায়গা ওডই আইনা খাই।
-আয় হোটেলে যাই, ভাত খা…
-ভাত খাইলে বুক জ্বলে।ত্ব’য় একটা কুক এর বোতল কিনা দিবার পারেন। অনেক দিন খাইনা। (সংক্ষেপিত)
হ্যা!কথা হচ্ছিল রফিকের সাথে । বয়স ১১ কি ১২ হবে।রাতে নামাজ পরে বাড়ী ফিরছিলাম। হঠাৎ। একটা পরিত্যাক্ত বাড়ির নিচতলায় চোখ পড়ে।রফিক কাছে গিয়ে এসব জানতে পারি।
সর্বনাশা মাদকের ছোবলে রফিক এর মতো পথশিশুরা মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। তারা সাধারণত গাঁজা, হেরোইন, ঘুমের ওষুধ, ডান্ডি, পলিথিনের মধ্যে গামবেল্ডিং দিয়ে এবং পেট্রল শুঁকে নেশা করে। বিভিন্ন প্রকারের মাদক পাচার ও বিক্রির সাথেও জড়িত হয়ে পড়েছে।
মাদকাসক্ত ৮০ শতাংশ পথশিশু মাত্র সাত বছরের মধ্যে অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে।
দরিদ্র ও সামাজিক অবক্ষয়, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অবহেলা, মাদকের আস্তানা দিন দিন পথশিশুদের নিয়ে যাচ্ছে মৃত্যুর দিকে। খাবার না খেলে তাদের চলে, কিন্তু নেশা না করলে তাদের চলে না। ঘুম হয় না, বুক জ্বলে।
এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। অভাব ও বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পথশিশুদের ব্যবহার করে।
মাদক ব্যবসায়ীরা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ছলে বলে কৌশলে এদের মাদকের নেশায় আসক্ত করে। ফলে সহজেই আসক্ত হয়ে পড়েছে কোমলমতি পথশিশুরা।
অধিক মুনাফালোভী এক শ্রেণীর ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী স্কুল পড়ুয়া শিশুদের টোকাই বানিয়ে ফেলছে কৌশলে। টাকার লোভ দেখিয়ে ওদের কাজে পাঠানো হচ্ছে। মাদকসেবী পথশিশুরা ধীরে ধীরে অপরাধী, সন্ত্রাসী হিসেবে গড়ে উঠছে।
আজ এক রফিক এর সাথে দেখা হলো। সমাজে হয়ত আরো অনেক রফিক এর দেখা মিলবে।দারিদ্রতা এবং ভাগ্যের ফেরে অনেক পথ শিশুই আছে যাদের খজ আমরা আজও জানিনা। হয়ত কোনো দিন জানতেও পারবো না। লোক চক্ষুর আড়ালেই রয়ে যাবে সব।
শিশুরাই আগামীদিনের ভবিষ্যত। কিন্তু ভবিষ্যতের যদি এই হাল হয় তবে সমাজ তথা দেশ কোন দিকে এগুচ্ছে?? একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ কিভাবে মোকাবেলা করব আমরা?ধিক এই সমাজের প্রতি যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার টন খাবার নষ্ট হচ্ছে ।অথচ একমুঠো খাবার এর অভাবে হত দরিদ্র শিশুদের আজ এই অবস্থা।
আমাদের সকলেরই উচিত এই পথ শিশুদের পাশে এসে দাড়নো।রফিকের মত যেন আর কোনো শিশুর এই অবস্থা না হয়।
ইমেইল: [email protected]
fb: facebook.com/shihab.dipu
©somewhere in net ltd.