![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ,আমার বুদ্ধি ও একটু কম, বোকাই বলা চলে।আমি কল্পনা প্রবন ও সহজাত বিবেচনাবধ সম্পন্ন ব্যক্তি। কল্পনা অনুযায়ী সব কিছহু না চললে আমি ভীত হয়ে পরি। কনো আঘাত বা প্রতিকুলতার সম্মুখীন হলে নিজেকে নিজের মাঝে গুটিয়ে ফেলি। আমি অত্তন্ত অনুভুতি প্রবন ও সহজেই মনে আঘাত পাই।সচরাচর কল্পনা শক্তির প্রভাবের জন্য আমি সফতা অর্জন করি।সপ্ন দেখতে ভালবাসি। অত্যন্ত অনুভুতিশীল বলে সহজাত গুলাবলি প্রকাশ করার জন্য অন্যের প্রশংসা চাই।সপ্ন কে বাস্তবে রুপ দেবার জন্য নিজেকে যথেষ্ট স্বাধীন রাখতে ভালবাসি……।। হয়ত আমাকে দেখে আপানার পাগল মনে হতে পারে কিন্তু আমি এমন ই……… আবেগের উত্তাল আটলান্টিক মহাসাগরে প্রতিনিয়ত ডুবছি আর ভাসছি... খুঁজছি যদি তল খুজে পাই, Email : [email protected] . fb: www.facebook.com/shihab.dipu
বিগত দু’দশকে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে এবং শিশু সুরক্ষায় বাংলাদেশে আইনী কাঠামো শক্তিশালী হয়েছে; নেওয়া হয়েছে সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ। কিন্তু সামগ্রিক বিবেচনায় ও পরিস্থিতি বিশ্লেষণে স্পষ্টত নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার দৃশ্যমান কোন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। বরং ভয়াবহতা ও নৃশংসতা বেড়েছে। সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নারী ও শিশুদের উপর সহিংসতার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে তাই পরিবারকেই এগিয়ে আসতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নারী নিজ পরিবারেই নির্যাতিত হচ্ছে বেশি। বিদ্যমান সমাজ ব্যবস্থায় সহিংসতার শিকার অনেক নারী ও শিশু চাইলেও আইনের আশ্রয় নিতে পারেন না। ফলে সহিংসতার শিকার হয়েও তারা তা সহ্য করছে বাধ্য হয়ে।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি ১৯৯৯ সাল থেকে “বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা” শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশ করে আসছে। যেখানে সংবাদপত্র থেকে সংগৃহিত তথ্যের পাশাপাশি সমিতির সেবা প্রদানকারী কেন্দ্রের তথ্য, সদস্যদের প্রদেয় তথ্য, সত্যানুসন্ধান ও সমমনা সংগঠনের প্রকাশিত বিভিন্ন উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় সমিতি কর্তৃক ২০১৫ সালের নারীর প্রতি সহিংসতা পরিস্থিতি নিয়ে আজ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের বয়স বিশ্লেষণ ও পারষ্পারিক অবস্থা বিশ্লেষণে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি দৈব চয়ন পদ্ধতিতে নির্বাচিত ১০টি থানা থেকে সংগৃহিত এবং সমিতির কাছে আইন সহায়তা প্রার্থীদের দাখিলকৃত ১৬০টি মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করেছে। নথিপত্রে যৌতুকের কারণে নির্যাতন, ধর্ষণ, ধর্ষণ চেষ্টা, অপহরণ, মানব পাচার, পর্ণোগ্রাফি ইত্যাদি অপরাধে ২৮২ জনের বিরুদ্ধে এজাহার বা অভিযোগ করা হয়েছে, যাদের ২৩৮ জন পুরুষ ও ৪৪জন নারী। অভিযুক্তদের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সী ৮%, ১৮-২৪ বছর বয়সী ৪৫%, ২৫-৩৫ বছর বয়সী ২১%, ৩৬-৫০ বছর বয়সী ১৮%এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সী ৮%। অর্ধেকের বেশি অভিযুক্ত ব্যক্তির (৫৩%) বয়স ২৫ বছরের কম। নারী ও শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুর ও ঘৃন্য নির্যাতনের সাথে কোমলমতি শিশু ও তরুণদের জড়িত হওয়া আনুষ্ঠানিক, অনানুষ্ঠানিক, সামাজিক ও পারিবারিক নৈতিক শিক্ষার অভাবকে স্পষ্ট করে তোলে।
পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। শিশুদের নিয়ে বেসরকারি পর্যায়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের (বিএসএএফ) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ১৯৯ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ঠিক পরের বছর ২০১৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫২১; যা ২০১৪ সালের তুলনায় প্রায় আড়াইগুণ বেশি। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ৬৭ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এর মধ্যে পাঁচজন গণধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় দুই শিশুকে। এছাড়া সংগঠনটির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১২ সালে ৮৬ শিশু, ২০১৩ সালে ১৭০ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। শারীরিক নির্যাতন- ১৫৬, শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা- ৫৫, রহস্যজনক মৃত্যু- ৬, আত্মহত্যা- ১১, ধর্ষণের পর হত্যা- ১০, অস্বাভাবিক মৃত্যু- ১৯, অপহরণের পর মৃত্যু- ১১। ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫-তে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং নারী ও শিশু নির্যাতন বেড়েছে ২৩ শতাংশ। শুধু ধর্ষণ বেড়েছে ২১ শতাংশ। গত বছর প্রতিদিন গড়ে দুজনের বেশি নারী এবং শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গণধর্ষণ বেড়েছে ১৪ শতাংশ। তবে ২০১৬ সালে এখন পর্যন্ত যেসব ঘটনা ঘটেছে তাতে আগের পরিসংখ্যান ছাড়িয়ে যাবে।
প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা শিশুদের সঠিক পথে চালাতে ব্যর্থ হচ্ছে। পরিবার বা সমাজে নারী ও শিশুর অধিকার সম্পর্কে জানার ব্যবস্থা না থাকা এবং অপরের অধিকারের বিষয়ে সচেতন না হওয়ার কারণে কর্তব্য পালন করতে পারছে না। বাংলাদেশে নারী ও শিশু সুরক্ষায় জোরালো আইনী কাঠমো থাকা সত্ত্বেও তাদের প্রতি প্রচলিত সামাজিক নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সহিংসতা কমছে না। বরং এভাবে চলতে থাকলে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা বাড়তেই থাকবে।
নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর নির্যাতনের তথ্য জানাতে ডায়াল করতে হবে হেল্পলাইন ১০৯২১। এটি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি টোল-ফ্রি হেল্পলাইন নম্বর। এ লাইন ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে। মহিলা বিষয়ক অধিদফতর ২০১২ সালের ১৯ জুন জাতীয় হেল্পলাইন সেন্টার এ সেবা চালু করেছে। এছাড়াও আটটি বিভাগীয় শহরে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি), জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৬০টি ওসিসি সেলসহ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.