![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বেড়ে উঠা মূলত চট্টগ্রামে, হালিশহরে। এরপর কিছুদিন ঢাকায় থেকে অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি শহরে ছিলাম কয়েক বছর। গ্র্যাজুয়েশন করি চার্লস স্ট্যার্ট ইউনিভার্সিটি থেকে। ২০০৪ এর শেষ থেকে আবার ঢাকায় বাস। কাজ করি www.abac-bd.com তে। আমাদের অন্যতম প্রোডাক্ট হলো notunbazar.com। আশা করি একদিন কৃষক, মজুরদের জন্য কিছু করতে পারব। ভালবাসি আধুনিকতা। বিশ্বাস করি মধ্যম পন্থা। কষ্ট পাই সীমারেখার বিভেদে। "এক পৃথিবী, এক দেশ"। স্বপ্ন দেখি আমার ছেলে একদিন আধুনিক, সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ন বাংলাদেশ দেখবে।
আজ ৬ দিন ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন চলছে। এ সম্পর্কে অনেকে যৌক্তিক বা অযৌক্তিক ভাবে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছেন। মানুষের মত প্রকাশের অধিকার আমি পুরোপুরি সম্মান জানাই। আমার ব্যাক্তিগত মতামত গুলো নিচে দিলাম।
প্রশ্ন ১. দেশে রাজাকার ইস্যু ছাড়াও তো অনেক সমস্যা আছে, দারিদ্র, দূনীর্তি, গুম, বেডরুমে সাংবাদিক হত্যা, ছাত্রলীগের হামলা, পদ্মা সেতু, বিশ্বজিত ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনারা সেসব সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করেন না কেন।
উত্তর: সবগুলো সমস্যাকে আমি স্বীকার করি। এ সমস্যা গুলোর জন্য তরুনদের প্রতিবাদও করা উচিত এবং তরুনরা সেগুলো নিয়ে প্রতিবাদ করেও- ফেসবুকে, অনলাইন বিভিন্ন মিডিয়াতে এবং অবশ্যই ভোটের মাধ্যমে।
দেশের অন্য সব সমস্যাকে রাজাকার ইস্যুর সাথে তুলনা করা যাবে না। এটা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন।
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সবচেয়ে গৌরবের বিষয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যারা কালিমা লেপন করেছে, তাদের বিচার ৪২ বছরে হয়নি। এর চে লজ্জাজনক কিছু আর হতে পারেনা। দেশকে রাজাকারমুক্ত করে এই লজ্জা এবার মেটাতে হবে।
প্রশ্ন ২: এই আন্দোলনে ঢাকা শহরে জ্যাম বেড়েছে, আন্দোলন স্থলে দুটি গুরুত্বপূর্ন হাসপাতাল আছে। আন্দোলন স্থল পরিবর্তন করা হোক।
উত্তর: আন্দোলনে অনেকের কষ্ট স্বীকার করতে হচ্ছে, মানি। তবে মনে করি সারাদেশের মানুষ হাসিমুখেই এই কষ্ট মেনে নিয়েছেন। তাদের স্বতস্ফূর্ত সমর্থনই তার প্রমান। তবে আন্দোলনের কারনে হাসপাতাল দুটির রোগীদের তেমন সমস্যা হবার কথা নয় মনে করি।
সবচে বড় কথা হলো খুব বেশী প্রয়োজন না হলে আন্দোলনের ভেন্যু পরিবর্তন করা যাবে না। এই আন্দোলনের ছন্দ পতন হতে পারে, এমন কোন কিছুই করা যাবে না, একান্ত প্রয়োজন না হলে।
প্রশ্ন ৩: বিচারে একটা রায় হয়েছে। এই আন্দোলন আদালত অবমাননার সামিল।
উত্তর: এই আন্দোলন গন মানুষের আন্দোলন। জনগনের জন্যই বিচার, আইন, আদালত, সংবিধান, সরকার। যে আইনে বা বিচারে গন মানুষের প্রত্যাশা পূরন হয়না, বরং মানুষকে অস্তিত্বের সংকটে ফেলতে পারে, সে আইন পরিবর্তন করে হলেও গনমানুষের চাহিদা পূরন করতে হবে।
আদালত, সরকার কেউই আন্দোলন কারীদের প্রতিপক্ষ নয়। আন্দোলনকারীরা চায় সরকার, আদালত, ট্রায়বুনাল প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের ফাসিঁ নিশ্চিত করবে।
৩৪৪ জন মানুষ হত্যার প্রমানিত অপরাধের বিচারের রায়, ফাসিঁ ছাড়া অন্য কি হতে পারে?
প্রশ্ন ৪: এই আন্দোলনকারীদের যোগ্যতা কি গন মানুষের আন্দোলন পরিচালনা করার?
উত্তর: তাদের প্রধান যোগ্যতা, তারা তাদের দেশকে মায়ের মতো ভালবাসে। দেশের অপমানে তাদের রক্তে আগুন জ্বলে যায়। দেশের যে কোন প্রয়োজনে তারা তাদের সবর্স্ব উজার করে দিতে জানে।
আমাদের রাজনীতিবিদরা ৪২ বছরে রাজাকারদের বিচার নিশ্চিত করতে পারেননি। রাজনীতিবিদদের এই ব্যর্থতাই এই আন্দোলন পরিচালনাকারীদের অন্যতম যোগ্যতা।
প্রশ্ন ৫: এই আন্দোলনের শেষ কোথায়?
উত্তর: ৭১ সালে যখন বাংগালী যুদ্ধে ঝাপিঁয়ে পড়ে, তারা জানতনা সেই যুদ্ধের ভবিষ্যত, জানতনা তাদের জয়ের আদৌ কোন সম্ভাবনা ছিল কিনা, কবে যুদ্ধ শেষ হবে, কত ক্ষতি স্বীকার করতে হবে, কিছুই না। তারা সেগুলো নিয়ে আদৌ দ্বিধা করেনি।
তারা শুধু এটা জানত তাদের অস্তিত্বের প্রয়োজনে যুদ্ধ করতে হবে। তাদের না ছিল তেমন কোন প্রস্তুতি, না হাতিয়ার, না কোন সম্বল। শুধুমাত্র দেশমাতার প্রয়োজনে সবর্স্ব উজার করে দেবার শপথ নিয়েই তারা ঝাপিয়ে পড়েছিল।
এখন আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ চলছে। আন্দোলনকারীদের শুধু এটাই জানা আছে যে, মা মাটির সম্মান রক্ষা করতে হলে যুদ্ধ করতে হবে। হয় পরিপূর্ন বিজয়, নয়তো মৃত্যু পর্যন্ত যুদ্ধ করতে হবে। আর কোন বিকল্প নাই।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩
সমকালের গান বলেছেন: ধন্যবাদ। জয় বাংলা।
২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
অেসন বলেছেন: দেশের অন্য সব সমস্যাকে রাজাকার ইস্যুর সাথে তুলনা করা যাবে না। এটা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন।
সহমত।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
সমকালের গান বলেছেন: ধন্যবাদ। জয় বাংলা।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
বোকামন বলেছেন: দেশের অন্য সব সমস্যাকে রাজাকার ইস্যুর সাথে তুলনা করা যাবে না। এটা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন।