![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বেড়ে উঠা মূলত চট্টগ্রামে, হালিশহরে। এরপর কিছুদিন ঢাকায় থেকে অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি শহরে ছিলাম কয়েক বছর। গ্র্যাজুয়েশন করি চার্লস স্ট্যার্ট ইউনিভার্সিটি থেকে। ২০০৪ এর শেষ থেকে আবার ঢাকায় বাস। কাজ করি www.abac-bd.com তে। আমাদের অন্যতম প্রোডাক্ট হলো notunbazar.com। আশা করি একদিন কৃষক, মজুরদের জন্য কিছু করতে পারব। ভালবাসি আধুনিকতা। বিশ্বাস করি মধ্যম পন্থা। কষ্ট পাই সীমারেখার বিভেদে। "এক পৃথিবী, এক দেশ"। স্বপ্ন দেখি আমার ছেলে একদিন আধুনিক, সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ন বাংলাদেশ দেখবে।
নির্বাচন নিশ্চয়ই আমাদের ঠিক মন মতো হচ্ছে না। কিন্তু এর দায় যদি আমরা শুধু সরকারকে দেই, তাহলে তা খুব অবিবেচকের কাজ হবে। আমি যতটুকু বুঝি, নির্বাচনের যতটুকু ঘাটতি তার বেশীর ভাগের দায় বিরোধী দলের। সরকারেরও নিশ্চয়ই দায় আছে। আমি একটি ব্যাখ্যা করি।
বিরোধী দল ১৫ সংশোধনীর ব্যাপারে সংসদে কোন প্রতিবাদ করেনি। তারা আইনী কোন লড়াইয়েও যায়নি। তারা যেটা করেছে, শুধু বিভিন্ন ইস্যুতে হরতাল ধর্মঘট করে দেশবাসীর বিরাগভাজন হয়েছে। এরপর সরকার যখন নির্বাচন কালীন সরকার নিয়ে একটি মোটামুটি যুক্তিযুক্ত প্রস্তাব করল, বিরোধী দল সেটা নিয়ে কোন আলোচনায় না উৎভট ও অযোক্তিক আরেকটি প্রস্তাব করে বসল। তারা রাজাকারদের বাচাঁতে সর্বোচ্চ স্যাক্রিফাইস করল। রাজাকারদের বিচারে সাহায্য করা দুরের কথা, তারা আইনী, দলীয় ও নৈতিকভাবে রাজাকারদের পক্ষ নিল।
আমি যা বুঝি, সরকারের ব্যর্থতা হচ্ছে, সরকার নির্বাচন কমিশনকে ও দুদককে শক্তিশালী করেনি, বরং দুর্বল করেছে। সরকারের যারা দুনীর্তি বা অন্য কোন কারনে সমালোচিত, তাদের বিরুদ্ধে তেমন ব্যবস্থা নেয়নি। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রাথীদের অংশগ্রহন কঠিন করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে কিছুটা কালক্ষেপন করেছে। ১৫ সংশোধনী কেন প্রয়োজনীয়, সেজন্য কোন জনমত গড়ে তুলেনি। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার কার্যক্রম যথা সময়ে শুরু করেনি। জনগনের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
এখন নির্বাচন না হলে কি হবে? বিএনপি এটাকে তাদের জয় বলে প্রচার করে নাশকতার কাজগুলো আরো বাড়িয়ে দেবে। বিএনপির প্রশ্রয়ে জামায়াত আরো সহিংস হয়ে উঠবে। আরো অনেক অনেকের জানমালের ক্ষতি হবে। দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি আরো কঠিন হবে। এশিয়া কাপ, শ্রীলংকা ট্যুর, বিশ্বকাপ বাংলাদেশ থেকে অন্য কোথাও সরে যাবে।
কিন্তু সমাধান কি? আমার অল্প বুদ্ধিতে যা মনে হয়:
১. যেসব এলাকায় ভোট হচ্ছে তাতে আমাদের অংশ গ্রহন করা উচিত। পছন্দের প্রার্থী না পেলে কম পছন্দের কেউ থাকলে তাদের ভোট দেয়। একান্তই পছন্দের কেউ না থাকলে অন্য কথা।
২. বিএনপিকে চাপ দেয়া যেন জামায়াতকে পরিত্যাগ করে। জাফর ইকবাল স্যারের মতো আমিও মনে করি, জামায়াতকে ছাড়াতেই আছে মুক্তি।
৩. সরকারকেও সব সময় চাপে রাখা যেন তারা আগের ভুলগুলো দ্রুত সংশোধন করে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিএনপির সংগে একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় আসা (বিএনপি জামায়াতকে ছাড়ার পর)।
৪. জামায়াত ছাড়া সব দল নিয়ে, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুননির্বাচন দেয়া।
৫. যে কোন কিছুর আগে দেশ ও দেশের জনগন ও তাদের জানমালের নিরাপত্তা। জনগনকে জিম্মি করে কেউ যেন কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী না দেয়, এ বিষয়ে জনমত গড়ে তোলা।
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩
নূর আদনান বলেছেন:
ভালই বলেছেন.......
৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২১
জেকলেট বলেছেন: I heard same statement from Shekh Hasina and others Awami Leaders....
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪০
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: বর্তমান সমস্যা সৃস্টিতে বএনপি ও আওয়ামী লীগের ভুমিকা আপনি সঠিভাবে বুঝেছেন বলে আমার মনে হচ্ছে!
বিএনপি যদি জামাত থেকে আলাদা হয়, তা'হলে 'পুন: নির্বচানর' কথা বলেছেন; আবার নির্বাচনের টাকাগুলো আপনি দিচ্ছেন?
খালেদা বেগম হলো বড় জামাত, বিএনপি কি করে জামাত ছাড়বে? আওয়ামী লীগ সেটা বিশ্বাস করবে?