![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বেড়ে উঠা মূলত চট্টগ্রামে, হালিশহরে। এরপর কিছুদিন ঢাকায় থেকে অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি শহরে ছিলাম কয়েক বছর। গ্র্যাজুয়েশন করি চার্লস স্ট্যার্ট ইউনিভার্সিটি থেকে। ২০০৪ এর শেষ থেকে আবার ঢাকায় বাস। কাজ করি www.abac-bd.com তে। আমাদের অন্যতম প্রোডাক্ট হলো notunbazar.com। আশা করি একদিন কৃষক, মজুরদের জন্য কিছু করতে পারব। ভালবাসি আধুনিকতা। বিশ্বাস করি মধ্যম পন্থা। কষ্ট পাই সীমারেখার বিভেদে। "এক পৃথিবী, এক দেশ"। স্বপ্ন দেখি আমার ছেলে একদিন আধুনিক, সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ন বাংলাদেশ দেখবে।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও আরো অনেক বেশী এগিয়ে যাবার কথা ছিল এরই মধ্যে। সরকার আমাদেরকে ২০৪১ সালের একটি রুপকথা শুনিয়েছেন, ততদিন বাচঁব কিনা জানিনা। আমি কিছু সহজ সহজ প্রত্যাশার কথা তুলে ধরতে চাই, যেগুলো হয়ত ১-২ বছরের মধ্যেই অনেকাংশে সম্পন্ন করা সম্ভব। এ প্রত্যাশা গুলো শুধু সরকারের কাছে নয় বরং এভাবে বলা ভাল ১-২ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে যে পরিবর্তনগুলো দেখতে চাই:
১. রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পুরোপুরি গনতন্ত্রের চর্চা করা।
২. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর করা।
৩. দুনীর্তি দমন কমিশন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন এধরনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোকে পূর্ন স্বায়ত্বশাসন ও শক্তিশালী করা।
৪. দূর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, রাজনৈতিক সন্ত্রাস, গোত্রবিশেষের প্রতি সন্ত্রাস এগুলোতে জিরো টলারেন্স দেখানো। হরতাল অবরোধ গনতান্ত্রিক অধিকার নয় বরং গন অধিকার হরনের নামান্তর। হরতাল অবরোধ অবৈধ ঘোষনা করা। একই সংগে বিরোধী দলগুলো যেন র্নিবিঘ্নে তাদের প্রতিবাদ বা অবস্থান জনসম্মুখে তুলে ধরতে পারে সে জন্য যথার্থ সুবিধা দেয়া।
৫. রেল ও নৌ পথে পন্য ও জন পরিবহনের জন্য বেশী গুরুত্ব দেয়া। উদাহরন: কুমিল্লা ও টাংগাইল থেকে যদি প্রতি ঘন্টায় একটি করে দ্রুতগামী ট্রেন ঢাকায় আসে তাহলে ঢাকায় লোক বাস করার প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে। জেলা শহর গুলোতে আলাদা বাস লেন ও সাইকেল লেন তৈরী করা।
৬. শিক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া, জিডিপির ন্যুনতম ৬ ভাগ বরাদ্ধ করা। বিশেষ করে গবেষনাকে উচ্চশিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত করা। প্রতি বছর যেন অন্তত ১০০০ পিএইচডি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে বের হয় তা নিশ্চিত করা। প্রতি পিএইচডি শিক্ষার্থীকে মাসে নুন্যতম ১২০০০ টাকা (সর্ব মোট খরচ হবে মাত্র ১৪৪কোটি টাকা বছরে) ভাতা প্রদান করলে এ উদ্যোগ সফল করা খুবই সম্ভব।
৭. তথ্য প্রযুক্তির পূর্ন ব্যবহার করে জনগনের দোরগোড়ায় সব ধরনের সেবা পৌছানো। উদাহরন: বিদ্যুতের বা গ্যাসের বা ল্যান্ডফোনের কানেকশনের জন্য বস্তার পর বস্তা কাগজ থরচের কোন মানে নাই। বরং একটা ফোনকলের মাধ্যমেই সব কাজ করা সম্ভব। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র পূর্নভাবে ব্যবহার করলে এক্ষেত্রে আর কিছু লাগে না।
৮. সারাদেশকে ফাইবার অপটিক কানেকশনের আওতায় এনে তথ্য প্রযুক্তিকে আরো সহজলভ্য করা। নুন্যতম ইন্টারনেট স্পীড যেন হয় ৬ এমবিপিএস।
৯. কুটির শিল্প ছাড়া বাকী সব শিল্প প্রতিষ্ঠানকে কেবলমাত্র নির্দিষ্ট শিল্পএলাকায় নিয়ে যাওয়া যাতে পরিবেশ দূষন নিয়ন্ত্রন করা সহজ হয়, আবাসিক ও বানিজ্যিক এলাকার উপর যানজট সহ অন্যান্য চাপ কমে এবং শিল্পগুলোকে সেবা দেয়া ও পরিচালনা করা সহজ হয়।
১০. রাষ্ট্রীয় কার্যপরিচালনার পূর্ন বিকেন্দ্রিকরন করা। উদাহরন: চা উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকার কোন মানে নাই, থাকা উচিত সিলেটে। নৌ মন্ত্রনালয় বরিশাল বা চিটাগাংএ বেশী মানানসই ইত্যাদি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৮
হাতীর ডিম বলেছেন: আপনার দাবি গুলো ভাল লাগলো। আশা করি সরকার বাস্তবায়ন করবে।