নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমকালের গান

আমার চোখে বর্তমান...

সমকালের গান

আমার বেড়ে উঠা মূলত চট্টগ্রামে, হালিশহরে। এরপর কিছুদিন ঢাকায় থেকে অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি শহরে ছিলাম কয়েক বছর। গ্র্যাজুয়েশন করি চার্লস স্ট্যার্ট ইউনিভার্সিটি থেকে। ২০০৪ এর শেষ থেকে আবার ঢাকায় বাস। কাজ করি www.abac-bd.com তে। আমাদের অন্যতম প্রোডাক্ট হলো notunbazar.com। আশা করি একদিন কৃষক, মজুরদের জন্য কিছু করতে পারব। ভালবাসি আধুনিকতা। বিশ্বাস করি মধ্যম পন্থা। কষ্ট পাই সীমারেখার বিভেদে। "এক পৃথিবী, এক দেশ"। স্বপ্ন দেখি আমার ছেলে একদিন আধুনিক, সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ন বাংলাদেশ দেখবে।

সমকালের গান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গনজাগরন মঞ্চে হামলা প্রসংগে

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮

গনজাগরন মঞ্চের সাংগঠনিক ভাবে কাছের কেউ আমি কখনোই ছিলাম না। কেবল যতটুকু সময় পেয়েছি মঞ্চকে লক্ষ্য করার চেষ্ট‍া করেছি, সমর্থন দিয়েছি। কারন একটাই, আরো লাখে মানুষের মতে‍া মঞ্চ আমাকে গর্বের সাথে জয় বাংলা উচ্চারন করতে শিখিয়েছে, দেশকে নিয়ে হতাশার জায়গা গুলো থেকে বেরিয়ে রাজপথে নেমে দাবি আদায় করতে পারার সাহস জুগিয়েছে।



মঞ্চটা যেহেতু তাৎক্ষনিকভাবে করা তাই এখানে অনেক মানুষের সমাগম হয়েছে যারা মূলত স্বার্থের জন্যই মঞ্চে যোগ দিয়েছিল। মঞ্চের দুর্বলতার জায়গা ছিল সেটা। এ লোকেরা মঞ্চকে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটার একটা মহা সুযোগ হিসেবে দেখেছে এবং সেটা করেছে। মঞ্চের নাম ভাঙ্গিয়ে চাদাঁবাজী সহ অনেক কিছুই তারা করেছে। মূলত এ লোকদের ভিড়ের কারনে মঞ্চের খুব কাছে কখনো যাইনি।



পরবর্তীতে জাগ্রত জনতার মঞ্চ যখন তৈরী হলো এবং সেখানে আমি ব্যক্তিগতভাবে জড়িয়ে পড়লাম, তখন আমি এ চিহ্নিত লোকগুলোকে খুব ভালভাবে চেনার সুযোগ পাই। এরা ছাত্রলীগের কর্মী বা নেতা। জাগ্রত জনতার মঞ্চে জড়িত হয়ে সে মঞ্চটিকেও এরা দখল করে নেয়। আমার ও অন্য ‍উদ্দোক্তাদেরও সেখানে ব্যর্থতা ছিল জাগ্রত জনতার মঞ্চকে তাদের দখলমুক্ত করতে না পারার।



এ লোকরা এখন বিভিন্ন সংসদের নাম দিয়ে মঞ্চকে চ্যালেন্জ জানাচ্ছে। তারা দাবী করছে তারাই মঞ্চের কর্মী ও উদ্দোক্তা। মূলত তারা মঞ্চে কখনোই নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কিছুর জন্য যায়নি কখনো। মঞ্চেরও ব্যর্থতা বা বাস্তবতা ছিল তাদেরকে ভিড়তে না দেবার ক্ষেত্রে।



আ’লীগ এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মঞ্চকে বন্ধ করতে হবে যে কোন মুল্যে। আর এ কাজে মুক্তিযুদ্ধ শব্টা ব্যবহার করতে না পারলে চলবে না। তাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ঐ চিহ্নিত লোকদের দিয়ে নতুন নতুন সংসদ বানিয়ে মঞ্চকে চ্যালেন্জ জানানো হচ্ছে। এখন মঞ্চের আসল পরীক্ষা শুরু হলো।



মঞ্চকি এ চ্যালেন্জ সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করতে পারবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। মঞ্চের প্রতি শুভকামনা রইল। আমি বিশ্বাষ করি মঞ্চের নেতা কর্মীরা এ চ্যালেন্জ সাফল্যের সাথেই মোকাবেলা করতে পারবে।



জয় বাংলা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.