নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমকালের গান

আমার চোখে বর্তমান...

সমকালের গান

আমার বেড়ে উঠা মূলত চট্টগ্রামে, হালিশহরে। এরপর কিছুদিন ঢাকায় থেকে অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি শহরে ছিলাম কয়েক বছর। গ্র্যাজুয়েশন করি চার্লস স্ট্যার্ট ইউনিভার্সিটি থেকে। ২০০৪ এর শেষ থেকে আবার ঢাকায় বাস। কাজ করি www.abac-bd.com তে। আমাদের অন্যতম প্রোডাক্ট হলো notunbazar.com। আশা করি একদিন কৃষক, মজুরদের জন্য কিছু করতে পারব। ভালবাসি আধুনিকতা। বিশ্বাস করি মধ্যম পন্থা। কষ্ট পাই সীমারেখার বিভেদে। "এক পৃথিবী, এক দেশ"। স্বপ্ন দেখি আমার ছেলে একদিন আধুনিক, সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ন বাংলাদেশ দেখবে।

সমকালের গান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাছ নয়, আমাকে কাটুন

০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১

"সবুজ পাতা" এর উদ্দোগে ও "পরিবর্তন চাই" এর সহযোগীতায় পল্লবীতে আমরা অহেতুক ও নিয়ম বহির্ভুতভাবে সরকারীভাবে গাছ কাটার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করলাম গতকাল।



আমরা, পরিবর্তন চাই, মনে করি অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজগুলো খুবই প্রয়োজনীয়। বাংলাদেশে নতুন নতুন রাস্তা দরকার, ফ্লাইওভার, বিদ্যুৎ কেন্দ্র দরকার। এতে কোন সন্দেহ নাই।



আমরা বলতে চাই একটু বিবেক, বুদ্ধি খরচ করলে ও দেশের প্রতি মমতা নিয়ে কাজ করলে প্রকৃতির ক্ষতি না করেই বা ক্ষতি নুন্যতম পর্যায়ে রেখেই অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজগুলো করাই যায়। উন্নয়ন কাজ করতে গেলে পরিবেশের ক্ষতি করতেই হবে এটা আমরা একেবারেই মনে করি না।



অনেক সভ্য দেশে আমরা দেখেছি একটা গাছ বাচানোর জন্য পুরো একটি রাস্তার ডিজাইনেই পরিবর্তন আনা হয় বা শুরু থেকেই এমন ভাবেই ডিজাইন করা হয় ‍যাতে পরিবেশের ক্ষতি একেবারেই নুন্যতম হয়।



দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশে যেকোন উন্নয়ন কাজে প্রথমেই প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে গাছ কাটা, জলাশয় ভরাট করা, মাঠ দখল করা, এমনকি সংরক্ষিত বনভূমিও ধ্বংস করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে গাছ কাটার প্রতি অতি উৎসাহ এবং সেক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগও আমরা নিয়মিতই দেখে থাকি। আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্যও এমনকি শহরের সৌন্দর্য বর্ধনের নামেও গাছ কাটা হয়।



আমাদের দাবী সরকার গাছ কাটার বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রনয়ন করুক। যেটা এমন হতে পারে:



১. ব্যক্তিগত, সামাজিক এমনকি রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনেও গাছ কাটতে হলে সবাইকে একটি সংস্থা থেকে অনুমতি নিতে হবে।



২. সে সংস্থ‍াটি গাছটির বয়স ও অবস্থানগত গুরুত্ব বিবেচনা করে গাছটির একটি মুল্যমান ধারন করবে। যিনি বা যারা গাছ কাটতে চান, তাদের সে মুল্য সংস্থাটিকে প্রদান করে গাছটি কাটার অনুমতি পত্র নিতে হবে।



৩. সংস্থাটি তখন সে টাকায় সংলগ্ন এলাকাতেই বনায়ন কর্মসূচী পালন করবে।



মোদ্দাকথা হলো যথাসম্ভব পরিবেশের ক্ষতি না করেই আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচীগুলো পালন করতে হবে। একান্ত প্রয়োজনে গাছ কাটতে হলেই কেবল পরিবেশের যথাযথ ক্ষতিপূরন নিশ্চিত করেই তা কাটতে হবে।



৪০০ বছরের ঢাকা শহরে একটিও শতবর্ষী গাছ নাই - এটা কেবল দুঃখজনক ও হতাশাজনক নয়, এটা কলংকজনক।



পরিবর্তন চাই এর লিংক

প্রতিবাদ সভার ছবি

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

সিফাত সারা বলেছেন: অনেক ভাল উদ্যোগ । ঢাকা শহরের প্রত্যেক পাড়ায় মহল্লায় এটা করা উচিত :(

২| ০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা উদ্যোগ।

৩| ০৩ রা মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

রাহুল চক্রবর্তী বলেছেন: চালিয়ে যান।শুভ কামনা রইলো।

৪| ০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯

সমকালের গান বলেছেন: আপনারা সবাই যোগ দিন আমাদের সঙ্গে। একাজ আমরা গুটি কয়েক লোক মিলে করতে সফল হবো না। প্রয়োজন সবারই প্রতিবাদ করা, রুখে দাড়ানো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.