নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মতামত প্রকাশ

দিদারুল আলম তাহের

দিদারুল আলম তাহের › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে ভারতীয় মিডিয়ার সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

কোন দেশ দখল করতে যে এখন অস্ত্রের প্রয়োগ করা লাগে না তা ভারত ভালোভাবে জানে। তাইতো ১৭৭৫ সালের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বা পাকিস্তানের মতো অস্ত্রের প্রয়োগ করেনি। তারা বাংলাদেশের মানুষের উপর মনঃস্তাত্ত্বিক উপনিবেশ তৈরি করেছে। তার অন্যতম উদাহরণ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের উপস্থিতি। মনঃস্তাত্ত্বিক উপনিবেশ তৈরি করতে পারলে অস্ত্রের প্রয়োগ করার কি দরকার?

ভারতীয় মিডিয়ার সাম্রাজ্য আগ্রাসনের অন্যতম উদাহরণ বাংলাদেশের টিভিতে ডাবিং করা ভারতীয় বিজ্ঞাপন। টিভি খুললেই এখন ভারতীয় বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি চোখে পড়ে। বাংলাদেশে কি ভালো মানের নির্মাতা নেই তা কিন্তু বলা যাবে না? কারণ বাংলাদেশে প্রচুর ভালো মানের বিজ্ঞাপন তৈরি হচ্ছে। আমাদের রয়েছে ভালো মানের অনেক নির্মাতা। তারপরও কেন ভারতীয় বিজ্ঞাপন দেখাতে হবে?

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের নিম্নমান ও অশ্লীলতার কারণে সিনেমা হলে দর্শকরা যাওয়া একপ্রকার ছেড়ে দিয়েছিলো। এই সময়ে ভারতীয় বলিউডের হিন্দি ও টালিউডের বাংলা চলচ্চিত্র বাংলাদেশের মানুষের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে সমর্থ হয়েছে। কারণ একটি চ্যানেল তখন জনপ্রিয় হয় যখন তা র অনেক প্রচার করা হয়। ভারতীয়রা সেই সুযোগ খুব ভালোভাবে লূফে নিয়েছে। এর ফলে ভারতীয় চ্যানেলগুলোর বাংলাদেশে বেশ শক্ত একটা প্লাটফর্ম পেতে সমর্থ হয়েছে।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ের একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হলো ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানি করা। সাম্প্রতিক সময়ে পিপড়াবিদ্যা, অনেক সাধের ময়না, অগ্নি, মোস্ট ওয়েলকাম-২, মোস্ট ওয়েলকাল, চোরাবালি, রানআউট, আমার বন্ধু রাশেদ, গেরিলা, আকাশ কত দূরে, টেলিভিশন, ৭১ এর গেরিলাসহ অনেক ভালো মানের চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে এবং প্রচুর দর্শক প্রিয়তা পেয়েছে। তারপরও চলচ্চিত্র আমদানি দেশের জন্য ক্ষতিকর ছাড়া অন্য কিছু হবে না।

শিল্পনীতি অনুযায়ী যদি সরাসরি চলচ্চিত্র শিল্পে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনকারী কোন দেশ থেকে কোন চলচ্চিত্র আমদানি করতে হয়, তাহলে সেই দেশে সমসংখ্যক চলচ্চিত্র রপ্তানি করতে হয়। ভারতের চলচ্চিত্র আমদানীকারক ও প্রদর্শক সমিতি বাংলাদেশে চলচ্চিত্র আমদানী করা সাথে সাথে আমাদের ভারতে চলচ্চিত্র রপ্তানি করা আবশ্যক। কিন্ত্র এই ধরণের কোন পদক্ষেপ এখনও চোখে পড়েনি। উপরন্তু বাংলাদেশী চলচ্চিত্র রপ্তানিতে সম্মতি দেয় নি ভারত।

ভারতীয় টিভির কূপ্রভাব থেকে দেশকে মুক্ত করতে স্টার জলসা, স্টার প্লাস, সেট ম্যাক্স, জি বাংলাসহ সকল চ্যানেলের প্রচার বন্ধ করতে হবে। এগুলো বন্ধ করতে না পারলে আমাদের সংস্কৃতি ঐতিহ্য রক্ষা করা যাবে না। সুতারাং আমাদের উচিৎ হবে আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য রক্ষা করতে ভারতীয় এই আগ্রাসন রুখে দাড়ানো। তা না হলে আমরা আমাদের স্বকীয়তা ধরে রাখতে পারবো।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুতারাং আমাদের উচিৎ হবে আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য রক্ষা করতে ভারতীয় এই আগ্রাসন রুখে দাড়ানো। তা না হলে আমরা আমাদের স্বকীয়তা ধরে রাখতে পারবো।

সহমত।
কিন্তু রাখবেন কাদের দিয়ে? তারাইতো আমার শির হে নত করে দাও বলে ভারত মাতার পায় ষাষ্টাংগে প্রণাম দিয়ে বসে আছে!!!!

আম জনতার প্রত্যাখান হতে পারে বড় অস্ত্র! কিন্তু তার জন্য যে মৌলিক চেতনা জাগানিয়া প্রচার প্রচারণা দরকার তাও বেশ জটিল বিষয়!
আমাদের একটা চ্যানেল ওরা অনুমতি দেয় না। অথচ আমরা সব চ্যানেল খুলে বসে থাকি! এই দৈনতার শেষ কোথায়????

২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমার মাথায় ধরে না কি করে ওরা সব চ্যানেল দিয়ে এদেশে ব্যাবসা করে যেখানে আমাদের চ্যানেল ওদের দেশে জায়গাই পায় না।

৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

বিপরীত বাক বলেছেন: মাত্র ৩/৪ টা চ্যানেলের কারণে যে সংস্কৃতির টালমাটাল অবস্থা,, সে ঠুনকো সংস্কৃতি রাখার তো কারণ দেখছি না।।। এই বালের দেশের নিজস্বতা, স্বকীয়তা, সংস্কৃতি কোনকালেই ছিল না, এখনও নেই, কখনো হবেও না।।
এরা চিরকালের বান্দর জাত।। সবসবময় অন্যের অণুকরনে চলে।। অন্যকে নকল করে।।

৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

বিপরীত বাক বলেছেন: মাত্র ৩/৪ টা চ্যানেলের কারণে যে সংস্কৃতির টালমাটাল অবস্থা,, সে ঠুনকো সংস্কৃতি রাখার তো কারণ দেখছি না।।। এই বালের দেশের নিজস্বতা, স্বকীয়তা, সংস্কৃতি কোনকালেই ছিল না, এখনও নেই, কখনো হবেও না।।
এরা চিরকালের বান্দর জাত।। সবসবময় অন্যের অণুকরনে চলে।। অন্যকে নকল করে।।

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

দিদারুল আলম তাহের বলেছেন: আমি ৩/৪ টি চ্যানেলের কথা উল্লেখ করেছি কিন্তু বলেছি ভারতীয় সব চ্যানেলের কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.