নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মতামত প্রকাশ

দিদারুল আলম তাহের

দিদারুল আলম তাহের › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব মার্কিনীদের তেল দখলের ষড়যন্ত্র

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইসলামিক স্টেটসহ (আইএস) জঙ্গি সংগঠনগুলোর অব্যাহত তৎপরতার প্রেক্ষাপটে এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বশক্তিগুলোকে এক করতে প্রয়াসী হয়েছে ফ্রান্স। বৃহৎ পঞ্চশক্তির অন্যতম দেশটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ লক্ষ্যে একটি প্রস্তাব তোলার জন্য সচেষ্ট হয়েছে। প্রথম আলোতে এই সংবাদ দেখার পর মনে হলো মার্কিনিদের যড়যন্ত্র সফল হতে চলেছে। এখন ফ্রান্স আইএসকে আক্রমণ করতে গিয়ে সিরিয়া আক্রমণ করবে। মাকির্নীরা তাতে যোগ দিবে।

যুদ্ধ জিইয়ে রাখেতে পারলে তো আমেরিকারই লাভ। এতে তার অস্ত্রের ব্যবসা ভালো চলবে। আইএস ইসলামিক এস্টেট নাম হলেও আসলে আমেরিকারই তৈরি করা। ইসলামিক এস্টেট নাম দিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অন্যান্য সম্প্রদায়কে উস্কে দেওয়া। আইএসের প্রধান ইহুদি এবং মার্কিন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিট রমনিকে তার সাথে দেখা গেছে। এ থেকেই তো বোঝা যায় আইএস, তালেবান বা ইরাকের উপর হামলা মার্কিনীদের যড়যন্ত্র।

টুইন টাওয়ারে হামলার অভিযোগে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের আওতায় মার্কিন বাহিনী ৭ অক্টোবর, ২০০১ সালে আফগানস্থান আক্রমণ করে। এই আক্রমণ কারা করেছিলো তা সকলের জানা, সেটা হলো তালেবান। কিন্তু এই তালেবান কারা বা কাদের তা হয়তো অনেকেই জানে না। সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন আফগানিস্তান আক্রমণ করেছিল, তখন আমেরিকা আফগানিস্তানকে অর্থ, শক্তি, অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে এবং আফগানিস্তান মুজাহেদীন বাহিনী ও আল-কায়েদা বাহিনী গঠন করেছিল। পরবর্তীতে সেই আল কায়েদাই তাদের উপর আক্রমণ করলো।

আক্রমণের সাথে সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ঠ্র আফগানস্থানে আক্রমণ করে। টুইন টাওয়ারে হামলা হলো আফগানস্থানে হামলা করার একটি বাহানা। কারণ তেলের খনিসমৃদ্ধ আফগানিস্তানের উপর আগে থেকেই আমেরিকার চোখ ছিলো। তাদের সবচেয়ে বেশি তেলের দরকার হয়। অস্ত্রের ব্যবসা না হলেও তাদের অর্থনীতি অনেক ঝিমিয়ে পড়বে। এইক্ষেত্রে আমেরিকার দুই উদ্দেশ্যই সফল হলো।

অন্যদিকে আর এক তেল সমৃদ্ধ দেশ ইরাকের উপরও তাদের চোখ ছিলো।তাহলে কিভাবে এখন ইরাকে আক্রমণ করা যায়? পাওয়া গেছে, ইরাকের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে। তাছাড়া ইরাক ১৯৯১ সালের চুক্তি অমান্য করে গণবিধ্বংসী অস্ত্র নির্মাণও করছে। এই অস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ এবং মিত্র রাষ্ট্রগুলোর জন্য বড় ধরণের হুমকি। পরবর্তীতে ইরাকে গিয়ে কোন ধরণের গণবিধ্বংসী অস্ত্র কি খুজে পাওয়া গিয়েছিলো? সব তেল দখলের বাহানা।

মার্কিনীরা আগেও সফল হয়েছে হয়তো এবারও সফল হবে। ভেতরে শুধু ক্ষতি হবে মুসলমানদের।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.