নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দীঘল গাঁয়ের ছেলে

দীঘল গঁাােয়র েছেল

দীঘল গঁাােয়র েছেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমিজ মিয়ার রাখি গরু আর ঈদ

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২২

কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে সে দুটি গরু রাখি করেছিল। যেটাকে বলা হয় গরু মোটাতাজাকরন। গরু দুটোকে পাঁচ ছয় মাস ধরে তার দুই ছেলে লালন-পালন করে মোটামুটি বুকের খাচাগুলো ভড়িয়ে ফেলেছিল। আর সেটা করতে গিয়ে তাদের বুকের খাচা বের হয়ে গিয়েছিল। খুব ভোরে দুই ছেলে সামান্য পানি পান্তা খেয়ে গরু দুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়ত মাঠের উদ্দ্যেশে। সারা দুপুর গরু চড়িয়ে ফিরতে ফিরতে বিকেল গড়িয়ে যেত। নিজেদের খাওয়া-দাওয়ার ঠিকঠিকানা থাকতো না। গরু চড়ানো, বাড়িতে ভূষি-খৈইল খাওয়ানো, গরু ঝাপানো (গোসল করানো) এসব গাধার খাটুনিতে ছেলে দুটো কাহিল হয়ে পড়ত। কিন্তু তাদের সে ক্লান্তি পাত্তা পেত না। কারন এই গরু বিক্রি করে বাবা তাদের জন্য নতুন জামা কিনে দেবে।

দুই ভাইয়ের চেষ্টায় গরু দুটি ঈদের আগের মোটামুটি তাগরাই হয়ে উঠল। পাড়াপড়শি বলতে লাগল এবার এই গরুই রমিজের ভাগ্য ফেরাবে। রমিজ মিয়া নিজেও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। কিছু টাকা এবার হয়ত তার হাতে আসবে। কিন্তু কিসের কি!

ঈদের তিন দিন আগে সে ট্রলার বোঝাই গরুর সাথে তার গরু নিয়ে রওনা দেয়। গন্তব্য ঢাকার নয়াবাজার গরুর হাট। পথের নানা বাধাবিপত্তি সত্বেও সে নয়াবাজার হাটে পৌছে। ঈদের আগের রাতে দুটি গরুও সে এক সাহেবের কাছে বিক্রি করে বেশ ভাল দামে। এ পর্যন্ত সব ঠিক আছে। টাকা গুলো কোমরে লুঙ্গির ভাজে রেখে সে খেতে যায় পাশের এক হোটেলে। গরু সামলাতে গিয়ে গত কয়েকদিন ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া হয়নি তার। গরুর মাংস দিয়ে পেট পুরে ভাত খায় সে। এরপর সে রওনা দেয় ঘাটে রাখা ট্রলারের দিকে। কিন্তু তার এমন ঘুম পাচ্ছে কেন? হোটেলে খাওয়ার পরে থেকেই এ অবস্থা। ঘুমে চোখ দুটো জড়িয়ে আসছে। পা যে চলছে না। পাশেই একটা জায়গায় বসে পড়ে সে। রাস্তার পাশেই গভীর ঘুমে তলিয়ে যায়।

এরপর ঘটনা এরূপ:-
ঈদের দিন বাড়িতে বউ-ছেলে অপেক্ষায় আছে রমিজ মিয়া আসবে। ঈদ যায় রমিজ মিয়া আসে না। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায় তিনদিন পর। রমিজ মিয়া বাড়ি ফিরে রিক্ত-নিঃস্ব হয়ে। প্রতারকরা তার গরু বিক্রির সব টাকা লুটে নিয়েছে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে। রমিজ মিয়াদের ঈদ এমনি হয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:০৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: খবরে দেখেছি ১৫ জনের মতো নাকি এই অবস্থার শিকার হয়েছিলো একদিনে !!!

ভালো পোস্ট । শুভেচ্ছা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.