নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দীঘল গাঁয়ের ছেলে

দীঘল গঁাােয়র েছেল

দীঘল গঁাােয়র েছেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরও দুটি কৌতুক

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৩

১.

হুজুর ওয়াজ শুরুর আগে কাশি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে নিয়ে বলল - এই মাহফিলে কোন নোয়াখাইল্ল্যা লোক থাকলে হাত তোলেন। মাহফিলে নোয়াখাইল্ল্যা লোক থাকলে আই ওয়াজ কইত্ত্যান্ন। কেউ হাত তুলল না। মাহফিলে কোন নোয়াখালীর লোক নাই নিশ্চিত হয়ে হুজুর বয়ান আরম্ভ করল। বয়ানের এক পর্যায়ে একটা গল্প বলতে গিয়ে বলল- আল্লাহর কি হেকমত দেখেন। ঐ বাঁশফাতা যদি হানিতে ফড়ে তাইলে হইবো কুমির আর শুকনাতে ফইরলে হই যাইবো বাঘ। (ঐ বাঁশপাতা যদি পানিতে পড়ে তাহলে হবে কুমির আর শুকনাতে পড়লে হয়ে যাবে বাঘ)

মাহফিলের মধ্যে থেকে ওমনি এক লোক দাড়িয়ে বলল- হুজুর আঁর (আমার) একখান ফ্রশ্ন (প্রশ্ন) আছে। আইচ্ছা ধরেন বাঁশফাতা হানিতেও ফইড়ল না আবার শুকনাতেও ফইড়ল না।

- মাইনে? হুজুর হুঙ্কার দিয়ে ওঠে।

- ধরেন বাঁশফাতার অর্ধেক ফইড়ল হানিতে আর অর্ধেক ফইড়ল শুকনাতে তাইলে কি হইবো?

হুজুর চেয়ার ছেড়ে তিরিং করে লাফিয়ে উঠে বলল- আন্নের বাড়ী নিশ্চয় নোয়াখালী? হেরির কারনে আই আগেই কইচ্চি মাহফিলে নোয়াখাইল্ল্যা লোক থাইকলে আই ওয়াজ কইত্ত্যান্ন। এই মাহফিলে এত লোক আঁর ওয়াজ হুইনলো হেতিরা এই বিষয় সওয়াল কইরলনা, আঁর আন্নে...



২.

মওলানা সাব ওয়াজ করতে গিয়ে খালি বেহুদা প্যাচাল পাড়ত। সেজন্য তার ওয়াজ কেউ পছন্দ করতো না। আবার তার একটি স্বভাব ছিল চোখ বন্ধ করে ওয়াজ করা। যতক্ষন ওয়াজ করতো ততক্ষন চোখ বন্ধ করে থাকতো।

তো এক মাহফিলে সে গেছে ওয়াজ করতে। ওয়াজ শুরু করছে। ওয়াজ করছে তো করছেই। স্বভাবতই তার চোখ বন্ধ। অনেকক্ষন যাবৎ ওয়াজ করছে। কিন্তু লোকজনের কোন সারাশব্দ নাই। সে কিছুটা সন্ধিহান হয়ে চোখ মেলল। দেখে পুরো মাহফিল একেবারে ফাঁকা। কেউ নাই। হুজুরের মেজাজ গেল চড়ে। বেএলেম, বেইনছাফ, বেখোদা, বেতমিজ, বজ্জাত, ধরিবাজ ইত্যাদি যা মুখে আসল তাই বলে লোকজনকে গালমন্দ করল। বদদোয়া করল।

হঠাৎ তার নজরে আসল এক লোক তার একেবারে সামনে মাইক্রোফোনের ডান্ডা ধরে বসে আছে। হুজুর খুব খুশি হ’ল। যাক অন্তত একজন লোক হলেও তার ওয়াজ শুনছে। এটাই বা কম কি। হুজুর আসমানের দিকে হাত তুলে লোকটির মঙ্গলের জন্য দোয়া শুরু করল। দোয়া শেষে লোকটিকে জিজ্ঞাসা করল - সকলে চলিয়া গেল আর তুমি বসিয়া রহিলে, নিশ্চই আমার ওয়াজ তোমার খুব ভাল লাগিয়াছে? কি কহ বৎস? লোকটি চোখমুখ অন্ধকার করে বলল- বইসা রইছি কি আর সাধে? আপনে যে মাইকে ওয়াজ করতেছেন ঐ মাইক আমার। আমার থেইকা ঐ মাইক ভাড়া করছে। আপনের ওয়াজও শেষ হয় না। আর আমিও যাইতে পারি না। তা না হইলে কোন কালে চইলা যাইতাম!

হুজুর বলে- আসতাগফিরুল্লাহ। বনী আদমের এত অধঃপতন!





------------------------------

সময় থাকতে সাধন হ’ল না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২২

খেলাঘর বলেছেন:

এগুলো গল্প নয়, এগুলো জোক।

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৯

দীঘল গঁাােয়র েছেল বলেছেন: এখন ঠিক আছে কি?

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫১

মোগল সম্রাট বলেছেন: কোন যায়গায় হাসবো যদি বইলা দিতেন.............

৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯

দীঘল গঁাােয়র েছেল বলেছেন: আরেক দিন বলুম নে।

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লাগল।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

দীঘল গঁাােয়র েছেল বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.