নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবিশ্বাসে কিছুই মেলে না

এখানে এখন রাত্রি এসেছে নেমে তবু দেখা যায় দুরে বহু দুরে হেরার রাজতোরণ

ডিজিটালভূত

জন্ম সত্তরে এক আলেম পরিবারে। প্রাইমারী শেষ করার আগেই আব্বা জোর করে মাদরাসায় ঢুকিয়ে দিলেন। মাদরাসায় পড়তে মনে চাইছিল না প্রথমে। পরে মাদারাসার দর্শনই নিজের জীবনের রক্ত-মাংসে, সীরাত-সুরতে আর মন-মস্তিস্কে মিশে গেল। এ নিয়ে গর্ব করি। [email protected]

ডিজিটালভূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে যাকে ভালোবাসে সে তার সাথে থাকবে

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৭:৫৭

কথাটি আমার নয়। আমাদের মহানবী সা. এর একটি হাদীস। জানি না আমাদের জীবনে এর বাস্তবায়ন কতদুর।



অনেকদিন আগে টিভিতে একটি নাটক দেখছিলাম। নায়িকা তার ভালোবাসার নায়ক-কে বলছে, আমি তোমাকে ভালোবাসি, এ জন্য তোমাকে আমার বিয়ে করতে হবে কেন? তোমাকে ভালোবাসি বলে, তোমার সাথে আমার জীবন কাটাতে হবে কোন যুক্তিতে? আচ্ছা চাদ-কে আমরা ভালোবাসি, সে জন্য কি চাদের বুকে আমাদের ঘর বাধতে হবে?



নায়িকার ডায়ালগটি যুক্তিকে নাড়া দেয় বটে, কিন্তু তার মধ্যে একটি কৃত্রিমতার আভাস আছে। আমার কাছে তাই মনে হয়েছে, জানি না আপনাদের কাছে কেমন মনে হয়।



মহানবী সা. এর এ বাণীটি শুধু একটি বাণী নয়। ইসলামী কালচারের একটি মুলনীতিও।

কিভাবে?

চতুর্থ খলীফা আলী রা. এর খেলাফত কাল। রাতের বেলা রাজধানী কুফার অভিজাত এলাকার একটি বাড়ীতে এক যুবক ধরা পড়ল। সন্দেহ কর হল, সে চুরি করার জন্য বাড়ীতে ঢুকেছে। আলী রা. এর দরবারে তাকে উপস্থিত করা হল। জিজ্ঞাসাবাদে যুবকটি বলল, আমি আসলে চুরি করতে আসিনি। এ বাড়ীর একটি মেয়েকে আমি ভালোবাসি। তাকে একটু দেখার জন্য পালিয়ে বাড়ীতে ঢুকেছি। এ উদ্দেশ্যে আরো কয়েকদিন এসেছিলাম, ঢুকতে পারিনি।

আলী রা. তার কথা শুনে মেয়ের বাবাকে বললেন, তোমার মেয়েকে হাজির করো। মেয়েকে হাজির করা হল। তাকে প্রশ্ন করা হল, এ যুবককে তোমার পছন্দ হয়? সে চুপ থাকল। আলী রা. বললেন, তাদের উভয়কে একত্র করে দাও। কেননা রাসূল বলেছেন, যে যাকে ভালোবাসে সে তার সাথে থাকবে।



মুয়াবিয়া রা. এর শাসন আমল। তার ঘরের এক ক্রীতাদাসী গান গাচ্ছিল : তোমার থেকে আমাকে এমন নির্দয়ভাবে ছিন্ন করা হল, যেমন কুঠারী গাছ থেকে ডাল-কে আলাদা করে দেয়. . ..।

মুয়াবিয়া রা. তার গানটা শুনে ফেললেন। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার এ গানটি কার জন্য? সে বলল, আমি আমার অমুক মনিবকে ভালোবাসতাম। তার জন্য এ গান। মুয়াবিয়া রা. তাকে তার ভালোবাসার মনিবের কাছে ফিরিয়ে দিলেন। আর বললেন, যে যাকে ভালোবাসে তার অধিকার হল, তার কাছে থাকার। আল্লাহর রাসূল আমাদের এটা বলে গেছেন।



ঘটনা দুটো ইমাম ইবনুল কায়্যিম রহ. এর রোগ ও চিকিতসা (আদ দা ওয়াদ দাওয়া) গ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে। ওখানে এ রকম আরো অনেক ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।



ইসলাম এভাবেই ভালোবাসাকে মুল্যায়ন করতে ও সম্মান করতে শিখিয়েছে।

টিভিতে দেখা নায়িকার সেই ভালবাসার ডায়ালগ আর এ ঘটনা দুটো দ্বারা আমরা ইসলামী সমাজের ভালোবাসা আর ভোগবাদী সমাজের ভালোবাসার মধ্যে একটি পার্থক্য খুজে পাই।

ইসলাম বলে, যাকে ভালোবাসবে তার জন্য ত্যাগ করতে হবে- তার জীবনের ভাল-মন্দের দায়িত্ব নিতে হবে। আর আমাদের পাশ্চাত্য প্রভাবিত সমাজ মনে করে, যাকে ভালোবাসবে তাকে ভোগ করতে হবে। ভোগ না করলে ভালোবাসা হয় কিভাবে?



এ হাদীস থেকে আমরা আরো একটি নির্দেশনা পাই। তা হল, কোন ব্যক্তি কাউকে অকৃত্রিমভাবে ভালোবাসল। কিন্তু সামাজিক, ধর্মীয় বা অন্য কোন বাধা-বিপত্তির কারণে তাদের পরস্পরে মিলন সম্ভব হলো না। তার জন্য পরকালে একত্রে থাকার সুসংবাদ আছে এ হাদীসে।



উতসর্গ : ভালোবাসার মানুষকে ভালোবাসা জানাতে গিয়ে ভ্যালেন্টাইন ডে ধার করার জন্য পাশ্চাত্যের কাছে যাদের হাত পাততে হয়, সে সব আদর্শিক মিসকীনদের জন্য।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১২/-২

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:২২

আবু সালেহ সুমন বলেছেন: ভালোবাসার মানুষকে ভালোবাসা জানাতে গিয়ে ভ্যালেন্টাইন ডে ধার করার জন্য পাশ্চাত্যের কাছে যাদের হাত পাততে হয়, সে সব আদর্শিক মিসকীনদের জন্য। [/si

আপনার এই উৎসর্গ বাক্যটি খুব তাৎপর্যপূর্ণ মনে হলো। আমাদের ব্যাক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে যেখানে প্রাশ্চাত্যের নিয়ম-নীতি ধার করে চলছি, তখন ভালোবাসার ক্ষেত্রে কেন নয়? আমরা তো আসলে পিঠে ময়ূরের পেখম লাগানো কাকের পরবর্তী সংস্করণ- আফসোস করে কী লাভ?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৪৯

ডিজিটালভূত বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য। আমাদের সমস্যা এখানেই। আমরা সর্বক্ষেত্র পাশ্চাত্যের অনুসরন আর অনুকরণ করছি। কিন্তু লাভ কি হল? তাদের নোংড়ামী আর অনর্থক কাজটা গ্রহণ করেছি। ভালটা বর্জন করেছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:৩৮

দ্বীপবালক বলেছেন: কঠিন উৎসর্গ বাক্য। :)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:০৫

ডিজিটালভূত বলেছেন: এ ছাড়া আর কি করার ছিল? ধন্যবাদ

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:০২

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। খুব আশা পেলাম মনে। এখনো তাহলে জান্নাতে যাওয়ার একটা রাস্তা বাকি আছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১১

ডিজিটালভূত বলেছেন: আপনার মন্তব্যে উৎসাহ পেলাম। অবশ্যই জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা খোলা আছে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এর জন্য পাথেয় যোগার করতে পারবেন। নিরাশ হওয়া বড় পাপ।

৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:০৪

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: ইসলাম বলে, যাকে ভালোবাসবে তার জন্য ত্যাগ করতে হবে- তার জীবনের ভাল-মন্দের দায়িত্ব নিতে হবে।

এটাই প্রকৃত ইসলাম। আবারও ধন্যবাদ!!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১২

ডিজিটালভূত বলেছেন: সহমত। অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:০৫

রুদমী বলেছেন: "যে যাকে ভালোবাসে সে তার সাথে থাকবে"...খুব ভালো লাগলো আপনার লেখাটা...সোজা প্রিয়তে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১২

ডিজিটালভূত বলেছেন: অনেক ভাল লাগল। আপনার জন্য শুভ কামনা।

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:০৯

সাইফূল ইসলাম বলেছেন: আসলেই অসাধারন। ধন্যবাদ ভাই এমন সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১৩

ডিজিটালভূত বলেছেন: আপনার জন্য শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।

৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:১৯

গরীবের কথা বলেছেন:
আস-সালামু আলাইকুম, ভাইয়া কেমন আছেন?
আপনার লেখা বরাবরের মত ভাল হয়েছে। আল্লাহ আপনাকে ও আপনার লেখনীতে বরকত দিন। আমীন।

একটা অনুরোধ - আপ্নারা ধর্মীয় লাইনে যারা পড়েছেন, তারা অনেক কিছু জানেন, বুঝেন। ইস্লামের এরকম ঘটনা আর সেগুলোর শিক্ষা নিয়ে বাংলা ভাষা-ভাষীদের জন্য কিছু অনুবাদ করা যায় না?

আরবী না বুঝাটাই আমাদের জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা হাজারে-হাজারে গান আর লিরিক ডাউনলোড করি, সেগুলোতে মেতে থাকি। কিন্তু কোরান-হাদীস নিয়ে কিছুই করি না। হয়তো বা মাতৃভাষায় এধরণের বইয়েরও অভাব আছে। একটু ভেবে দেখবেন প্লিজ।

আমরা মাদ্রাসা পড়িনি, পরিবারের কিছুটা জোর থাকলে- বড়জোড় ছোটবেলায় হুজুরের কাছে পড়েছি। বয়স বেড়েছে আমাদের অনেকের ঠিকই, কিন্তু সুরা ফিলের অর্থ কি তা আর শেখা হয়ে উঠেনি। প্লিজ আপনারা যারা জানেন আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।

অন্ততঃ ব্লগে লিখে যান, সবগুলো নিয়ে কোন একদিন বইমেলায় প্রকাশ করে দিবেন।

ফি আমানিল্লাহ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:২২

ডিজিটালভূত বলেছেন: ওয়ালাইকুমুস সালাম। ভাল আছি।
আপনার মন্তব্য পড়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লাম। আসলেও এ ধরনের সেবা দান করা তাদের অবশ্য কর্তব্য যারা ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা করেছেন।
যতটা প্রয়োজন তার চেয়ে উদ্যোগ অনেক কম। তবে ইদানীং বেশ কিছু ইসলামিক সাইট বাংলা ভাষায় চালু হয়েছে। আমি এগুলোর সংকলন নিয়ে একটি পোষ্ট দেয়ার ইচ্ছা রাখি।
আমার জানা মতে বাংলা ভাষায় সবচেয়ে সমৃদ্ধ ইসলামী সাইট হল
http://www.islamhouse.com
তা ছাড়া ইসলাম শেখার জন্য আপনার যে আগ্রহ এটা আপনার জীবনের একটি বড় সম্পদ।
আল্লাহ আপনাকে সামনে অগ্রসর করে নেবেন।

৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:২৫

আনিসুর র বলেছেন: একজন পাগলের পোষ্টটি ভাললাগেনি।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:২৪

ডিজিটালভূত বলেছেন: এখন পর্যন্ত দু জনের ভাল লাগেনি। তবে তারা পাগল নয়, মনে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:০৫

একাকী বালক বলেছেন: ইসলামে কি বেগানা আওরাতের প্রতি ভালবাসা জায়েজ? কাহিনী বুঝি না ভাই আপনাগো ইসলাম নিয়া লেখেন ভাল কথা, তবে অনেক আবোল তাবোল লেখেন।

বললেন" এ বাড়ীর একটি মেয়েকে আমি ভালোবাসি। তাকে একটু দেখার জন্য পালিয়ে বাড়ীতে ঢুকেছি। " >>> এইটা তো মনেই হয় রাতের বেলা বাড়ীতে ঢুকছে জেনা করার জন্য। ভালোবাসার মানুষের বাড়ীতে রাতে ঢুকে তারে দেখার লেইগা না? ভালই কইলেন।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:০৪

ডিজিটালভূত বলেছেন: জীবনধর্মী ধর্ম হল ইসলাম। জীবনের জন্য যা প্রয়োজন তার সব কিছু ইসলামে আছে। কিন্তু অভাবটা হল মানুষের কাছে যথাযথ ভাবে তুলে ধরার। বলতে অসুবিধা নেই, আমরা সকলে ইসলাম চর্চা করি খন্ডিতভাবে। ইসলামের একেকটি স্কুলকে মনে করে নিয়েছি এটাই সব ইসলাম। তা ছাড়া আমাদের মধ্যে আছে অনেক গোড়ামী। আর তার চেয়ে বেশী আছে সর্ব জায়গায় নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। আমি আজ যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছি তখন আমাকে অনেক আলেম উলামা –যারা আমার উস্তাদ- বলেছেন, ইন্টারনেট ব্যবহার করা হারাম। অথচ আমি যখন মসজিদুল হারামে জুমার নামাজ পড়লাম, তখন খতীব খুতবাতে ইন্টারনেট ব্যবহার, ওয়েবসাইট চালু, টিভি চ্যানেলের প্রসারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরলেন। যাক, আপনাকে বলি, দৃষ্টি ভংগিটা বদলান। আপনি তো মনে করেন জেনা করার জন্য ঢুকেছে, তাই জেনা না করলেও ওকে একশ দোররা মারা উচিত ছিল। তাহলে আপনি খুশী হতেন। কিন্তু মুসলিম জাহানের খলীফা তা করেননি। তাদের ইসলাম আর আমাদের ইসলামের পার্থক্য এখানেই। এ কারণে তাদের ইসলাম প্রসারিত হয়েছে আর আমাদের ইসলাম সঙ্কুচিত হয়ে আসছে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:০৯

ডিজিটালভূত বলেছেন: ঐ যে দেখেন, সহ ব্লগার হ্যামিলনের বাশীওয়ালা বলেছেন, আশা পেলাম........ । মানুষের মনে আশা দেয়ার প্রকল্পটাতো ইসলামের। ইয়েমেনের শাসন কর্তা হিসাবে যখন আলী রা. ও মুয়াজকে পাঠালেন তখন রাসূল সা. তাদের বললেন, তোমরা মানুষকে সুসংবাদ, দেবে, তাদের মনে আশা জাগাবে আর ঘৃণা সৃষ্টি করবে না . . ..।

১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৩৩

হাতিয়ার বলেছেন: " ইসলাম বলে, যাকে ভালোবাসবে তার জন্য ত্যাগ করতে হবে- তার জীবনের ভাল-মন্দের দায়িত্ব নিতে হবে। আর আমাদের পাশ্চাত্য প্রভাবিত সমাজ মনে করে, যাকে ভালোবাসবে তাকে ভোগ করতে হবে। ভোগ না করলে ভালোবাসা হয় কিভাবে? "

খুবই সুন্দরভাবে তফা্তটাকে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:২৪

ডিজিটালভূত বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

একাকী বালক বলেছেন: ভাই হাস্যকর কাউন্টার লজিক দিলেন। আমি তো একটা হাদিসে পড়ছিলাম যে গৃহকর্তার অনুমতি ছাড়া কারো বাড়ীতে ঢুকা অপরাধ। আপনার লেখায় কি বুঝলাম যে যারে ভালবাসুম তার বাড়ীতে রাতে গিয়া ঢুকুম তারে দেখার লেইগা? ইসলাম এইটা সার্পোট করে?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৩২

ডিজিটালভূত বলেছেন: কেহ কোন অপরাধ করে ফেললে সেটা শোধরানোর উপায় নাই ইসলামে, তাই নয় কি?

১২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:০৪

একাকী বালক বলেছেন: । আপনি তো মনে করেন জেনা করার জন্য ঢুকেছে, তাই জেনা না করলেও ওকে একশ দোররা মারা উচিত ছিল। তাহলে আপনি খুশী হতেন। >>>

আমার এই দৃষ্টি ভঙ্গি কই দিয়া পাইলেন? এইটা আমি বলছি? আপনার লেখা আপনি ১০০ জনকে বলেন যারা কিনা আপনার মত খালি ইউসুফ নবীর কাহিনী পইড়া সকলকে ইউসুফ নবী না ভেবে বর্তমানের অবস্থাও জানে, তারা বলবে কোন প্রেমিক কোন প্রেমিকারে এক নজর দেখার লেইগা অনেক দিন চেস্টা কইরা রাতে চুরি কইরা বাড়ী ঢুকব না।

আর যুব সমাজ কি শিখব? যে যারে ভালবাস রাতে তার বাসায় চুরি কইরা ঢুক? ধরা খাইলে বিয়া?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৩৩

ডিজিটালভূত বলেছেন: বর্তমানে তো চুরি কইরা ঢুকা লাগে না। রাস্তা ঘাটে ব্যবস্থা থাকে।

১৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:০৭

একাকী বালক বলেছেন: আর ভাই আমার একটা কথারতো জবাই দিলেন না। একটু বলেন, ইসলামে কি বেগানা আওরাতের প্রতি ভালবাসা জায়েজ? জায়েজ হইলে একটু কোরআন, হাদিসের কোট কইরেন। ধন্যবাদ। আর কিছু বলার নাই এই টপিকে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৩৫

ডিজিটালভূত বলেছেন: নিজে কুরআন হাদীস ঘেটে নেন। আমি ঘেটে দিলে আপনার পছন্দ হবে না।

১৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৫০

ভিজামন বলেছেন: পড়ে ভাল লাগল...
আপনার আগের লেখায় আমি একথা গুলোই আপনাকে বুঝাতে চেয়েছিলাম আপনি ভুল বুঝেছেন...
আসলে গুছি্যে লিখতে পরিনাতো আপনার মতো...
আমি এতটুকু মানি মনেপ্রাণে , " ভালবাসলে দায়ীত্ব আজ থেকেই.... বাকী সব বি্যের পর...
আর ভালবাসায় বিশ্বস্ত থাকলে হুরের দরকার নাই.... আমার ভালবাসাই আমার হুর ।"

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৩৬

ডিজিটালভূত বলেছেন: ভাল কথাই বললেন।

১৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪১

পারভেজ আলম বলেছেন: মুয়াবিয়া রা. এর শাসন আমল। তার ঘরের এক ক্রীতাদাসী গান গাচ্ছিল : তোমার থেকে আমাকে এমন নির্দয়ভাবে ছিন্ন করা হল, যেমন কুঠারী গাছ থেকে ডাল-কে আলাদা করে দেয়. . ..।
মুয়াবিয়া রা. তার গানটা শুনে ফেললেন। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার এ গানটি কার জন্য? সে বলল, আমি আমার অমুক মনিবকে ভালোবাসতাম। তার জন্য এ গান। মুয়াবিয়া রা. তাকে তার ভালোবাসার মনিবের কাছে ফিরিয়ে দিলেন

১৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫৮

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
মোটামুটি ভালো হয়েছে। কিন্তু কোরানে বর্ণিত ভালোবাসা প্রধানত হাদিছ ভিত্তিক 'প্রেমিক-প্রেমিকা বা মনিব-দাসী নিয়ে নয়। এ ভালোবাসা মানুষ-মানুষের।
২. ২০ তলা দালানের মালিকের সাথে গাছ তলা বা ভিক্ষুকের সাথে ভালোবাসা আদান-প্রদানের কোনই সুযোগ নেই। পেট-পিঠের/ভোগের সমতায় না আসা পর্যন্ত ভালোবাসার জন্ম হয় না, প্রমান করাও সম্ভব নয়। ভালো থাকুন।
বিনীত।

১৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১২:৩৩

তরুন বলেছেন: ইসলাম বলে, যাকে ভালোবাসবে তার জন্য ত্যাগ করতে হবে- তার জীবনের ভাল-মন্দের দায়িত্ব নিতে হবে। আর আমাদের পাশ্চাত্য প্রভাবিত সমাজ মনে করে, যাকে ভালোবাসবে তাকে ভোগ করতে হবে। ভোগ না করলে ভালোবাসা হয় কিভাবে?


ঠিক কথা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.