নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রুপবান বালা।

আমি তোমাদেরি একজন।

রুপবান

আমি শুধুই মানুষ। মানুষ কে নিয়ে ভাবতে ভাল লাগে।

রুপবান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুবাদ.................।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:১৯





[30] قُل أَرَءَيتُم إِن أَصبَحَ ماؤُكُم غَورًا فَمَن يَأتيكُم بِماءٍ مَعينٍ

[30] বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি তোমাদের পানি ভূগর্ভের গভীরে চলে যায়, তবে কে তোমাদেরকে সরবরাহ করবে পানির স্রোতধারা?

[30] Say (O Muhammad SAW): "Tell me! If (all) your water were to sink away, who then can supply you with flowing (spring) water?"



আল কোরআনের বাংলা অনুবাদ : http://www.islamdharma.com, কিন্তু এখানে কোথাও নদীর কথা বলা হয় নি। আসলে দিন যতই যাছ্ছে, আল কোরানের বিজ্ঞানহীন কথাগুলো আপনারা আর হজম করতে পারেন্না। যে কারনে বিশেষ বিশেষ জায়গায় শুধু আবরী অনুবাদের খড়গ(ধাপ্পাবাজি) নেমে আসে। নয় কি?



বিষয় টি এমন ; আবুল সাহেব একদিন ঘোষনা দিলেন, "রাস্তায় কোন বোরকা ছাড়া মেয়ে দেখলে তোমরা "গায়ে হাত" দিবে। এ কথা শুনে গ্রামের মানুষ থ খেয়ে গেল। তো কি করা যায়? আবুল সাহেব জ্ঞানি মানুষ, উনি হিব্রু ছাড়া আর কিছু বলেন্না। গাঁয়ের লোক হিব্রুর কি বুঝে! আবুলের শাঙ্গ-পাঙ্গ রা জানান দিল, ঐ যে আমরা বলি অসুস্থ রোগীকে "গায়ে হাত" দিয়ে এপাশ ওপাশ করে দিবে। আর এ যাত্রায় আবুল সাহেব রক্ষা পেল। কি বুঝলেন মুনিম ভাই?????

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

রুপবান বলেছেন: পৃথিবীর অধিকাংশ মুসলিম দেশে হানাহানি, অরাজকতা, মারামারি কাটা কাটি বিদ্যমান। উদারহরন- আফগানিস্তান, ইরাক, পাকিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়া, বাহরাইন, মিশর, বর্তমানে বাংলাদেশে। প্রতিটি দেশেই কিন্তু মুসলমানরাই মুসলমানদেরকে নানা কায়দায় হত্যা করছে। একই সাথে প্রতিটি মুসলমানই কিন্তু এ বিশ্বাস পোষণ করে যে ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। এ ধরনের একটা বিশ্বাস পোষণ করার পর একজন মুসলমান কিভাবে গায়ে বোমা বেধে মসজিদে গিয়ে নামাজরত মুসলমানদেরকে হত্যা করতে পারে ? অথবা কিভাবেই বা একদল মুসলমান অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আরেকদল মুসলমানের ওপর ঝাপিয়ে পড়তে পারে, বা পাইকারী হারে খুন করতে পারে ?

মিশরে যারা মোবারকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল তারাও মুসলমান , মোবারকও মুসলমান। বর্তমানে মুরসির বিরুদ্ধে মিশরীয়রা আবারও আন্দোলন করছে, তারা সবাই মুসলমান। সিরিয়ায় সরকার দল ও বিরোধী উভয় দলই মুসলমান। ইরাক, পাকিস্তান বা আফগানিস্তানে প্রায়ই আত্মঘাতী বোমা হামলায় শত শত মানুষ মারা যায় যারা সবাই মুসলমান, যারা আত্মঘাতী হামলা করে তারাও মুসলমান। বর্তমানে বাংলাদেশে জামাত যে পুলিশকে মারছে তারা মুসলমান, অন্য যাদেরকে মারছে তারাও মুসলমান অর্থাৎ যারা মারছে ও যারা মরছে সবাই মুসলমান। যদি প্রতিটি মুসলমান বিশ্বাস করে যে ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম তাহলে কিভাবে তারা দেশে দেশে এভাবে নিজেরাই নিজেদের উপর প্রচন্ড হিংস্র ভাবে ঝাপিয়ে পড়ে ?

অত:পর এ প্রশ্নের কোন উত্তর না থাকলে বা সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারলে সহজ উত্তর দেয়া যায় এর জন্য সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী আর তাদের ষড়যন্ত্র দায়ী। কথা হলো - যদি সবাই আমরা বুঝতে পারি পশ্চিমারা মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী জাতি আর ইসলামকে অশান্তির ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অহর্নিশ ষড়যন্ত্র করে চলেছে, তাহলে আমরা তাদের ফাঁদে পা দেব কেন ? কেন আমরা তাদের বুদ্ধিতে আমাদের মুসলমান ভাইদের ওপর হিংস্রভাবে ঝাপিয়ে পড়ব ? ষড়যন্ত্র হোক আর যাই হোক , সব কিছু জেনে শুনে নিজেরাই নিজেদেরকে হত্যা খুন করতে ঝাপিয়ে পড়ব আর পরিশেষে দোষ দেব অন্যকে , এটা কি মহা নির্বুদ্ধিতা নয়? আমরা জেনে শুনে কেন এমন মহা নির্বোধ হবো ? আর এ নির্বুদ্ধিতার জন্য অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে নিজেরা নিজেদেরকে খুন হত্যা করে যাব ও একই সাথে নিজেদেরকে সাচ্চা মুসলমান দাবী করব - এ ধরনের আহাম্মুকি যুক্তি চলে ? আর সাচ্চা মুসলমান হিসাবে পরিচয় দিতে গিয়ে বার বার বলব - ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম , কিন্তু কাজে করব উল্টোটা , এ ধরনের আজগুবি যুক্তি কিভাবে মেনে নেয়া যায়?

নিজেরা কেন বার বার নিজেদের দোষ স্বীকার না করে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে নিজেদেরকে সাচ্চা বলে দাবী করব ???

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

রুপবান বলেছেন: “হে নবী! কাফের ও মুনাফেকদের বিরুদ্ধে জেহাদ করো এবং তাদের প্রতি কঠোর হন তাদের ঠিকানা জাহান্নাম”। (আত তাহরিমঃ৯)
“অবিশ্বাসীগণ ( কোরআন আল্লাহ্‌ ও নবীতে) তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু”! ( নিসাঃ১১১)
“তোমরা ততক্ষণ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে যতক্ষণ না আল্লাহ-র ধর্ম সামগ্রিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়”। (আনফালঃ৩৮)

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২৬

রুপবান বলেছেন: nastikerdharmakatha.blogspot.com

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪৪

রুপবান বলেছেন: বিজ্ঞানীরা দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কোনো একটা তথ্য দিলেন যা আমরা জানতাম না। এখন কিছু সংখ্যক মুমিন-মুসলমানরা কি করবেন জানেন, তাহারা সাথে সাথেই তাহদের মহা মহা পবিত্র কিতাবখানি বের করে ফেলেই বলবেন আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে সবার চেয়ে বড় বিজ্ঞ আল্লা আমাদের তাহা জানিয়ে দিয়েছিলেন, আসলে ইহুদি-নাসারারা উহা থেকেই চুরি করে তা আবিষ্কার করেছে। এখন এই মুমিন-মুসলমানদের যদি আপনি অনুরোধ করেন, এখনো অজানা বিষয়গুলো সম্পর্কে কোরান থেকে স্পষ্ট কোনো ধারণা দিতে, তাহলে তাহারা বাকিয়া সর্পের আকার ধারণ করিয়া ফণা তুলিয়া বলিবেন, বাছা, তোমার ঈমানে ঘাটতি রহিয়াছে।

কোরানের আয়াতের বিষয়ে কিছু কথা। কোরানের আয়াতে আসলে কি বলা হয়েছে তা জানতে হলে আমাদেরকে কয়টি অনুবাদ পড়তে হবে? পৃথিবীর তাবত জ্ঞান মানুষ অর্জন করেছে, পরস্পর করেছে অনুবাদের মাধ্যমে কোথাও কোনো সমস্যা হতে শুনি নাই, কিন্তু কোরানের বেলায়ই যত আপত্তি। আপনি কোরানের স্বপক্ষে যা মনে লয় সাফাই গাইয়া ফিরিলেও কেউ কোনো আপত্তি তুলিবেন না, কিন্তু যখনই কোরান সম্পর্কে কোনো বিরুপ প্রশ্ন করে ফেলবেন তখনই তাহারা আপত্তি তুলিবেন, কোরানের অনুবাদ পড়িয়া ঠিকমত বুঝা হয় নাই। আল্লাহ যদি কোরানকে সকল মানুষের জন্য পাঠাবেন ও এর উদ্দেশ্য হবে মানুষকে হেদায়াত করানো তবে সাধারণ মানুষ সহজে এটাকে বুঝবে না কেন? ৩/৪ টা অনুবাদ পড়ে, একাধিক ভাষায় অনুবাদ পড়ে, তফসির পড়েও যা বুঝা যায় না তা সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা বিশেষজ্ঞদের জন্যও উপযোগী হওয়ার কথা না। এখন কোরান আল্লার কিতাব কিনা তা যাচাই করার জন্য যদি আরবি শিখি, তবে আমি কি হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থগুলো যাচাইয়ের জন্য সংস্কৃত শিখব, ইহুদিদেরটা যাচাইয়ের জন্য হিব্রু শিখব, খ্রিস্টানদেরটা যাচাইয়ের জন্য গ্রিক শিখব? আসলে কোরান না বুঝার কিছু নাই, অন্তত তা ব্যাখ্যার পর। কিন্তু ইমানদারগণ কোরানের অনুবাদের কি হাল করেছেন তা দেখে বিস্মিত না হয়ে পারবেন না। কোরানের যেসব আয়াতকে নিয়েই আপত্তি উঠে এগুলোর অনুবাদ তারা পরিবর্তন করে দেন, এমনকি অনুবাদ ও অভিধানেও পরিবর্তন আনেন। এর পরেও এখানে বেশ কিছু অনুবাদকের অনুবাদ পাবেন, যাদেরটা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য মনে হয় ও অপেক্ষাকৃত পুরনো তাদেরটা গ্রহণ করতে পারেন। লিংকটা দিচ্ছি-

.islamawakened.com/Quran/সূরা নম্বর/আয়াত নম্বর /default.htm

এর আগে WWW লাগিয়ে সূরা নম্বরের জায়গায় সূরা নম্বর ও আয়াত নম্বরের জায়গায় আয়াত নম্বর বসিয়ে দিলে আপনি ঐ আয়াতের অনেকগুলো অনুবাদ পেয়ে যাবেন।
আর বিভিন্ন বাংলা ও ইংরেজি অনুবাদ -তফসির খুঁজলেই পাবেন।
যাই হোক, এবার মূল বিষয়ে আসি-


ফজলুল কােদর সাহেব চরম একটা পোস্ট দিয়েছেন, এক্কেরে আয়াতে আয়াতে বিজ্ঞান বের করে তবেই ছাড়ছেন। দেখেন-

আমি কিভাবে বিশ্বাস করব যে কোরআন স্রষ্টার পাঠানো একটি বই ! ?

আমরা দেখি তিনি কি বিজ্ঞান বের করেছেন। উনার সকল কথাকে বোল্ড করে দিলাম-

যারা সত্যকে অসুসন্ধান করে বেড়াচ্ছে তাদের মধ্যে একজন ভদ্রলোকের প্রশ্ন?
আমার প্রশ্ন একটা এবং একটাই। তা হচ্ছে আমি কিভাবে বিশ্বাস করব যে কোরআন স্রষ্টার পাঠানো একটি বই ! ?
.......................................................................................................
উত্তরঃ- ১. (বিগ ব্যাং থিউরি)- প্রথমে বিশ্বজগত ছিল একটা বিন্দু। পরবর্তীতে সব উপাদানগুলো আলাদা হয়ে যায়। এটাই বিগ ব্যাং এখান থেকে সৃষ্টি হয়েছে গ্যালাক্সি, নক্ষত্র, সূর্য বিভিন্ন গ্রহ। আর সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবী। এইতো আমরা তা জেনেছি ৪০, ৫০ বছর আগে।
*আর পবিত্র কুরআনে ১৪০০ বছর আগে বলেছেন সর্বশক্তিমান স্রষ্টাঃ- অবিশ্বাসীরা কি ভেবে দেখে না যে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এক সাথে মিশেছিল তারপর আমি তা পৃথক করে দিলাম। (আল-কুরআন, সূরা-আম্বিয়া, আয়াত-৩০)

>> একটু খেয়াল করেন। যারা বিগ ব্যাং সম্পর্কে জানেন তারা কি একটু ভাববেন যে আকাশ মণ্ডলী আর পৃথিবীর পৃথক হওয়ার সাথে বিগ ব্যাং এর সম্পর্ক কি ছিল? পৃথিবী সৌরজগতের এক সাধারণ গ্রহ। এখন আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এক সাথে মিশেছিল ও পরে পৃথক হয়েছিল এ ধরণের চিন্তা বর্তমান যুগে একজন উন্মাদ ছাড়া আর কেউ করতে পারে না।
আয়াতটির বিভিন্ন অনুবাদ দেখুন-

Click This Link

আর এই আয়াতের শেষভাগে সব কিছু পানি থেকে এসেছে বলা হয়েছে তা বিনোদনের খোরাক হতে পারে। আর আল্লার আক্কেল থাকলে অবিশ্বাসীদের এভাবে বলতেন না।



২. sir francis drake ১৫৫৭ সালে জাহাজে করে পুরো পৃথিবীটা ঘুরে এসে প্রমান করলেন যে পৃথিবীটা বর্তুলাকার।
*আর পবিত্র কুরআনে ১৪০০ বছর আগে বলেছেন সর্বশক্তিমান স্রষ্টাঃ- এবং পৃথিবীকে আমি বানিয়েছি ডিমের আকৃতির মত। (আল-কুরআন, সূরা-নাজিয়াত, আয়াত-৩০)

কী সুন্দর, হাঃ হা । দাহাহা শব্দের অর্থ ডিম আকৃতির করেছে রাশেদ খলিফা নামক এক প্রতারক। তার উদ্ভট ১৯ মিরাকলের দাবি সহ বেশ কিছু তথ্য পাবেন এই লেখায়- কোরানের ‘মিরাকল ১৯’-এর উনিশ-বিশ!
আর এই আয়াতের বিভিন্ন অনুবাদ দেখেন,
Click This Link

হ্যা, শুধু রাশেদ খলিফা করেছে egg-shaped। আসলে পৃথিবী ডিমের মত না, ডিমের দুভাগ সুচালো। পৃথিবীর দুভাগ চাপা, কমলালেবুর মত। এই ডিমের সন্ধান করেছেন নাস্তিকের ধর্মকথা। তার এই লেখাটা পড়েন, ডিম্বের সন্ধানে
অথবা
ডিম্বের সন্ধান এবং রাশেদ খালীফা ও তার ম্যাথমিটিকল মিরাকল


৩. আমরা যে চাঁদের আলো দেখি তা কি তার নিজস্ব আলো। কয়েকশত বছর আগে আমরা জানতে পারি চাদের যে আলো তা তার নিজস্ব আলো না, প্রতিফলিত আলো।
*আর পবিত্র কুরআনে ১৪০০ বছর আগে বলেছেন সর্বশক্তিমান স্রষ্টাঃ- তিনি কত মহান যিনি নভোমণ্ডলে সৃষ্টি করেছেন রাশিচক্র সেখানে স্থাপন করেছেন সূর্যকে যার আলো তার নিজস্ব এবং চাঁদকে যার রয়েছে প্রতিফলিত আলো, ধার করা আলো। (আল-কুরআন, সূরা-ফুরকান, আয়াত-৬১)

>> কী সুন্দর অনুবাদ!! অথচ এই আয়াতে সরাসরি সূর্যের কথা না বলে সিরাজ এর কথা বলা হয়েছে, সিরাজ মানে বাতি বা চেরাগ আর চাঁদের ব্যাপারে বলা হয়েছে মুনিরা যার অর্থ আলোকপ্রদানকারী । এই আয়াত নিয়ে অনেক সংশয়বাদি বিভিন্ন প্রশ্ন তোলতেন। কিন্তু উনি এ আয়াতেই খুঁজে পেলেন বিজ্ঞান। হাঃ হা। আয়াতটির বিভিন্ন আনুবাদের মধ্যে বেছে নিন উপযুক্ত যেটাকে মনে হয়। অনুবাদ দেখেন-
Click This Link

এখন দেড় হাজার বছর আগে কেউ যদি সূর্যকে সিরাজ বা বাতি আর চাঁদকে আলোকপ্রদানকারী বলেন তবে কি আহম্মকের মত এর মধ্যেও বিজ্ঞান খুঁজতে হবে?

৪. আজ থেকে ২৫ বছর আগে স্কুলের বইতে লেখা ছিল যে সূর্য প্রদক্ষিণ করে কিন্তু নিজের কক্ষের চারপাশে ঘুরে না। আর বিজ্ঞানীরা এখন বলে সূর্য তার কক্ষের চারপাশে ঘুরতে সময় লাগে আনুমানিক পচিশ দিন।
*আর পবিত্র কুরআনে ১৪০০ বছর আগে বলেছেন সর্বশক্তিমান স্রষ্টাঃ- আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন রাত এবং দিন। সূর্য এবং চাঁদ আর তারা প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব কক্ষপথে বিচরণ করে। (আল-কুরআন, সূরা-আম্বিয়া, আয়াত-৩৩)

>> কী আশ্চর্য! সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে বলে ধারণা ছিল তো মুহাম্মদের সময়। আরেকটি প্রাসঙ্গিক কথা। এ আয়াতে সূর্য ও চন্দ্রের কথা বলে বলা হয়েছে – সবাই সাতার কাঠে। এর মানে হল সূর্য ও চাঁদের প্রত্যেকেই, সব গ্রহ-উপগ্রহ, নক্ষত্র না, যেমনটি অনেক আধুনিক ইমানদার দাবি করে বসেন। দেখেন-

Click This Link

সূরা ইয়াছিনেও একই কথা বলা হয়েছে-
Click This Link

আল্লা একই কথা বার বার কেন বলেন তাও এক প্রশ্ন বঠে। নামাজের আদেশই দিয়েছেন আশি বারেরও উপরে। হাঃ হা। এমন তো নয় যে বার বার বললে গুরুত্ব বেড়ে যাবে। আল্লার যে কি হল!! আর উপরের লিংকে দেখবেন এই আয়াতের মধ্যে বিজ্ঞান জোরে হলেও ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টায় মুমিন মুসলমানরা কিভাবে গলদঘর্ম হচ্ছে। আল্লা যদি জানতেন তার বান্দাদের এ হাল হবে তবে তিনি কিছুটা হলেও বিজ্ঞান দিতেন এভাবে বঞ্চিত করতেন না। আর হ্যা। ইয়াসিনের এই আয়াতে যেভাবে বলা হয়েছে “সূর্য ধরতে পারে না চন্দ্রকে” তা দেখে হাসতে হাসতে শেষ।

৫. স্যার বার্নাড পেলেছি ১৫৮০ সালে ইতিহাসে প্রথমবারের মত পানিচক্রের বর্ণনা দেন। সমূদ্র হতে পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। তারপর সেটা মেঘ হয়। সেই মেঘ আকাশে ঘুরে বেরায়, তারপর বৃষ্টিপাত এভাবেই পানিচক্র চলতে থাকে।
*আর পবিত্র কুরআনে ১৪০০ বছর আগে বলেছেন সর্বশক্তিমান স্রষ্টাঃ- আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে তিনি তোমাদেরকে ভয় ও ভরসাস্বরূপ বিদ্যুৎ দেখান, আর আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর তা দ্বারা যমীনকে তার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে সে কওমের জন্য যারা অনুধাবন করে।(আল-কুরআন, সূরা-রুম, আয়াত-২৪)
**আল্লাহ, যিনি বাতাস প্রেরণ করেন ফলে তা মেঘমালাকে ধাওয়া করে; অতঃপর তিনি মেঘমালাকে যেমন ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তাকে খণ্ড- বিখণ্ড করে দেন, ফলে তুমি দেখতে পাও, তার মধ্য থেকে নির্গত হয় বারিধারা। অতঃপর যখন তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের উপর ইচ্ছা বারি বর্ষণ করেন, তখন তারা হয় আনন্দিত।(আল-কুরআন, সূরা-রুম, আয়াত-৪৮)
***আর তিনিই আল্লাহ যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, অতঃপর তা মেঘমালা সঞ্চালিত করে, তারপর তাকে আমি মৃত ভূমির দিকে পরিচালিত করি, অতঃপর তা দিয়ে আমি যমীনকে তার মৃত্যুর পর জীবিত করি; এভাবেই পুনরুত্থান হবে।(আল-কুরআন, সূরা-ফাতির, আয়াত-৯)
****তুমি কি দেখ না, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর যমীনে তা প্রস্রবন হিসেবে প্রবাহিত করেন তারপর তা দিয়ে নানা বর্ণের ফসল উৎপন্ন করেন, তারপর তা শুকিয়ে যায়। ফলে তোমরা তা দেখতে পাও হলুদ বর্ণের তারপর তিনি তা খড়-খুটায় পরিণত করেন। এতে অবশ্যই উপদেশ রয়েছে বুদ্ধিমানদের জন্য।(আল-কুরআন, সূরা-যুম্মা, আয়াত-২১)

>> এর মধ্যে পানিচক্রের কি? যা বলা হয়েছে তা কি নতুন কিছু? এগুলো কি দেড় হাজার বছর আগে মানুষ জানতো না? মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় তাও জানতো না? বরং ইসলামের বিভিন্ন হাস্যকর ধারণা যেমন মিকাইল আল্লার হুকুমে বৃষ্টি বণ্টন করেন এসব নিয়ে অনেকেই হাসা হাসি করে।

এছাড়াও রয়েছে আরো অনেক নিদর্শন যা বিজ্ঞানীকরা আজকের দিনে প্রমান বেড় করতেছেন। সর্বশক্তিমান স্রষ্টা বলেনঃ-
*আর যমীনে বিচরণকারী প্রতিটি প্রাণী এবং দু'ডানা দিয়ে উড়ে এমন প্রতিটি পাখি, তোমাদের মত এক একটি উম্মত। আমি কিতাবে (আল-কুরআন) কোন ত্রুটি করিনি। অতঃপর তাদেরকে তাদের রবের কাছে সমবেত করা হবে।(আল-কুরআন, সূরা-আনাম, আয়াত-৩৮)

>> মানুষসহ যেসব প্রাণী জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম লাভ করে তাদের ব্যাপারে কি বলেন? যে জন্মের সময় এক পা নিয়ে বা এক হাত নিয়ে বা বিকল হাত-পা নিয়ে জন্মেছে সেও কি বলবে উহা মহান আল্লার এক অপূর্ব কেরামতি? কিতাবে তিনি ত্রুটি করেন নি, হাঃ হা। আল্লারো বুঝি সন্দেহ ছিল তিনি বোধ হয় কোথাও ভুল করে ফেলছেন, নাহলে এটা বলার প্রয়োজন কি? যখন একটা বাঘ একটা হরিণকে ধরে তখন সে কি বলে এটা আল্লার কুদরত? আল্লার কি উচিত ছিল না মানুষ সহ অন্যান্য প্রাণিদের একটা সভ্য খাদ্যচক্রের বিধান করে দেয়ার যাতে প্রাণি হত্যা করতে না হয়? এছাড়া বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে না খেয়ে মানুষ ও প্রাণিদের মৃত্যু দেখে আল্লার কুদরত বার বার মনে পড়ে।

**আর তোমার রব মৌমাছিকে ইংগিতে জানিয়েছে যে, 'তুমি পাহাড়ে ও গাছে এবং তারা যে গৃহ নির্মাণ করে তাতে নিবাস বানাও।' অতঃপর তুমি প্রত্যেক ফল থেকে আহার কর এবং তুমি তোমার রবের সহজ পথে চল। তার পেট থেকে এমন পানীয় বের হয়, যার রং ভিন্ন ভিন্ন, যাতে রয়েছে মানুষের জন্য রোগ নিরাময়। নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে।(আল-কুরআন, সূরা-নাহল, আয়াত-৬৮,৬৯)

>> আল্লায় সব কিছুতে নজর দিয়েছে। মৌমাছিরও সাধ্য নেই আল্লাকে ফাকি দেয়ার!!

আর পারলাম না, বাকিটা আপ্নেরা দেখে নিয়েন।

সব চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ ব্যাপার হলো কোরান যদি বিজ্ঞানে টাই-টুম্বুরও হয়ে যায় তবে তাও একে অলৌকিক প্রমাণ করে না, বরং এটা প্রমাণ করে তখনকার যুগেও মানুষ যেভাবেই হোক এ তথ্য জানত। সেটা ঠিক কিভাবে জানত সেটাই হতে পারে গবেষণার বিষয়। আর হ্যা, আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে মানুষ নিতান্ত অজ্ঞ ছিল না। মুহাম্মদেরও অনেক আগে এমনকি যিশুরও আগে আয়নীয় বিজ্ঞানীগণ, সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টটলের মত দার্শনিকেরা জন্মেছিলেন। আর গ্রীক দর্শন যে আরবে ছড়িয়ে পড়েছিল তা আমাদের অজানা নয়। অনেক গ্রীক ভুল ধারণারও চিত্র কোরানে পাওয়া যায়(এটা নিয়ে পরে আলাপ হবে)। আর যদি কোরানে বিজ্ঞান সম্পর্কিত মহান কোনো তথ্য থাকেও আর এর রহস্য অজানাই থেকে যায় তবে এ সম্পর্কে বলা যাবে "এটা অজানা যে ঠিক কিভাবে কোরানে এটি এসেছে"। এ থেকে কোনোভাবেই এ সিদ্ধান্তে যাওয়া যায় না যে কোরান অলৌকিক বা কোরান আল্লা নামক কোনো এক সত্তার বাণী।


নাস্তিকের ধর্মকথার আরেকটি লেখা পড়ে দেখতে পারেন-
ধর্মে বিজ্ঞানঃ নিম গাছে আমের সন্ধান

অথবা এটা ।

আর কোরানের অলৌকিকতা নিয়ে একটা সিরিজ লেখছি। একটু ঢুঁ মারলে খুশি হতাম-

কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? - ১

কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? - ২(ক)

কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? - ২(খ)

কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? - ২(গ)


বড়ই তাড়াহুড়ো করে লেখেছি। কোনো সমস্যা পেলে বলে দিবেন।



লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): কোরানে বিজ্ঞান ;
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১১ ভোর ৪:০১ | বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকার ও সম্পূর্ণ দায় কেবলমাত্র প্রকাশকারীর...



১৩২৯ বার পঠিত ১৪ ৪৯ ১৩

৪৭টি মন্তব্য
১-৪৭


আমরা নিচের ভিডুটি দেখি-





এখানে বেশ কিছু ভিডু আছে। দেখে নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

৩২. ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৩
বাতিল প্রতিভা বলেছেন: পড়ব পরে ।



আপনার মন্তব্য লিখতে লগইন করুন ।

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

রুপবান বলেছেন: এই ভন্ডামির শেষ কোথায়? টুডে ব্লগে আজকের স্টিকি পোষ্ট, এখানে দেখুন : [url href="http://www.bdtoday.net/blog/blogdetail/detail/5042/src2k13/12299#.UXURd0ruyxd" target="_blank"]Click this link[/url]
[img]http://www.bdtoday.net/blog/bloggeruploadedimage/dilruba/1366626685.JPG[/img]

[b]দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া![/b] এই শিরনামে ব্লগার এস আর চৌধুরী ভাইয়ের একটি অতি চমৎকার পোষ্ট। সুন্দর উপস্থাপনা এবং বর্নণা শৈলি পোষ্ট।

[u]কিন্তু এই ব্লগার ভায়ের ; বাংলা সনের প্রবর্তন ও পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা ! ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কর্তব্য.....[/u] এখানে দেখুন ; [url href="http://www.bdtoday.net/blog/blogdetail/detail/5042/src2k13/11573#.UXUUG0ruyxc" target="_blank"]Click this link[/url]

ওনার ঐ পোষ্ট থেকে কোট করছি ;
[i]"বিভিন্ন পূজা পার্বনের অনুষ্ঠানের আদলে বিভিন্ন প্রাণীর মূর্তি সংযোজন করে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান পরিপালিত হতে থাকে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় সংস্কৃতি ছাড়াও নারী পুরূষের অবাধ মেলামেশা, বাঙালী ললনাদের খোলামেলা পোশাক ও অবাধ বিচরনের কারনে বেশিরভাগ ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও ইসলামি গভীর জ্ঞান সম্পন্ন আলেম ওলামাগণ দির্ঘদিন থেকেই ইহার বিরোধীতা করে আসছে"[/i]

[i]"এটা নিশ্চিৎ করেই বলা যায় যে, ইসলাম সম্পর্কে যে লোকটি একেবারে যৎকিঞ্চিৎও জানে সেও নির্দিধায় বলবে- একটি কাজও ইসলাম সম্মত নয় এবং আল্লাহ পাক ও নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পছন্দনীয় নয়। বরং মুসলমানের ঈমান আমলের উপর বড় আঘাত"
[/i]

[b]কিন্তু আমি অবাক হয়েছি এ জন্য যে আপনার এই স্টিকি পোষ্ট শুরু হয়েছে ইসলাম ধর্মের নিষিদ্ধ ঐ মুর্ত্তিকে নিয়েই, নয় কি?? [u]যা ওনার ভাষায় : (আল্লাহ পাক ও নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অপছন্দনীয়)[/u][/b]

[img]http://www.bdtoday.net/blog/bloggeruploadedimage/dilruba/1366626714.JPG[/img]

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:০৬

রুপবান বলেছেন: তারিক আলাম। বানু ওরফে এলিজাবেথ এর প্রশ্ন ও আমার উত্তর ।

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৯

রুপবান বলেছেন: islamawakened.com/Quran/79/30/default.htm

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

রুপবান বলেছেন: আমি কে, আপনি কে তা আমাদের আলোচনার বিষয় না। তারপরও আমার কেন যানি সন্দের হচ্ছে আপনি আর বুড়া মিয়া এক বস্তু কিনা। যাক সে কথা।

এই তো, আপনি এখন লাইনে এসেছে। ধন্যবাদ।

আমি আপনার সাথে শতভাগ সহমত। আপনার ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাস( মানে ; আল্লা, ইসলাম, কোরান, মোহাম্মদ....) আপনার কাছে একটি বিশাল সত্বা, এবং এর সাথে অবশ্যই আপনার মন ও আত্মার সংযোগ আছে। আর সে থেকেই স্রষ্টার(আপনার আল্লা) অস্তিত্ব ও বিশ্বাস উপলব্ধি হয়। আপনার এই ভালবাসা ও আবেগের জায়গাটি একান্তই আপনার। এতে কারো আপত্যি থাকারও কথা না। কিন্তু আপনার ধর্মবিশ্বাসের ঠিক মুখোমুখি বিপরিতে আরো একটি আদর্শ ও চলমান দর্শন রয়েছে। সেই আদর্শ-দর্শন এ বিশ্বাসীরা মনে করে আপনি ধর্ম নামের যে বস্তুটি আকড়ে আছেন তা নিতান্তই একটি বিজ্ঞানহীন সাতশতকী মধ্যযূগীয় অন্ধ-সত্যা। এটি মানুষকে সিন্দাবাদের একচোখওয়ালা দৈত্যের ভয় দেখিয়ে কব্জা করার নবীতান্ত্রিক ধাপ্পাবাজি। সুতরাং এই যে পরস্পর বিপরিতমুখি দুটি দৃঢ় সত্যা তার সুরাহা সহজে হবে। যে কারনে ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাস ফলাও করে কোন কমন-ফোরামে তর্ক-বিতর্ক করা মুর্খতা। কিন্তু আপনি তা করেই যাছ্ছেন। সমস্যা এখানেই।

আর connectivity context এর বিষয়ে আপনি আমার বক্তব্য ধরতে পারেন্নি। আমি বলেছে "জ্ঞানের এই এক-প্রস্হ বিষয়গুলো" মানুষের হাতের মুঠোয় আছে বলেই তো তা যখন খুশি তখন তলব করা যায়। কি বুঝলেন?

আর সবশেষে ; আপনাদের মেইন সমস্যা হছ্ছে যে কোরান-হাদীস থেকে কোন কিছু কোট করলেই আপনারা সে সময়ের context আর শানে নুজুল টেনে এনে মুল বিষয় থেকে সটকে যেতে চান। এতে কোরান-হাদীসের অসারতাই শুধু প্রকট হয়। তাহলে কোরান-হাদিসের সার্বজনিন গ্রহনযোগ্য দর্শন বলতে কি কিছু নেই???? সে যুগের আবু লাহাব আর আবু জেহেল কে শায়েস্তা করার জন্যই কোরান-হাদিস এর যত সুরা-কেরাত??????

৯| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ৩:৩৮

রুপবান বলেছেন: Wedlock, Marriage (Nikaah) - Sahih al-Bukhari - Sunnah.com ...
sunnah.com › Sahih al-Bukhari‎

১০| ১৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪

রুপবান বলেছেন: আল্লামা যামাখশারী রহ. শব্দটির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লিখেন, এর অর্থ, মহিলারা নিজেদের মুখমণ্ডলের ওপর চাদর টেনে দেবে। যেমন : কোনো মহিলার মুখমণ্ডল থেকে নিকাব সরে যায় তখন তাকে ‌আরবীতে বলা হয় : (ইউদ্নী ছাওবিকে আলা ওয়াজহিকে) তোমার মুখমণ্ডলের ওপর তোমার কাপড় ফেলে দাও। (প্রাগুক্ত) এ থেকে বুঝা গেল, কুরআন কারীমের এই আয়াতে মুখমণ্ডল ঢাকার স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে।

কোনো কোনো সাহাবী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, তাঁরা পর্দা হিসেবে ‘জিলবাব’ ব্যবহারের নিয়ম-পদ্ধতিও বর্ণনা করেছেন। ‘আবদুল্লাহ ইবন ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু মুখমণ্ডলের ওপর ‘জিলবাব’ ফেলার যে পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন তা হলো, ‘মুসলিম মহিলারা নিজেদের চাদর দ্বারা নিজ নিজ মাথা ও মুখমণ্ডল ঢেকে বের হবে। তারা কেবল একটি চোখ খোলা রাখতে পারে’। [শাওকানী, ফাতহুল কাদীর : ৭/৩০৭]

জনৈক ব্যক্তি ‘উবায়দা ইবন সুফইয়ান ইবন হারিছ হাযরামী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর কাছে এর নিয়ম জানতে চান। তিনি নিজের চাদরটি উঠিয়ে এমনভাবে ছড়িয়ে দেন যে, তাঁর মাথা ও কপাল ভ্রূ পর্যন্ত ঢেকে যায়। তারপর চাদরের কিছু অংশ মুখমণ্ডলের ওপর এমনভাবে রাখেন যে, গোটা মুখমণ্ডল ঢেকে যায়, কেবল একটি চোখ খোলা থাকে। [তাফসীরে কুরতুবী : ৪/২৩৪]

সূরা আল-আহযাবের উল্লেখিত আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে সকল মুফাসসির মুখমণ্ডল ঢাকা হিজাবের অত্যাবশ্যক অংশ গণ্য করেছেন। আবূ বকর আর-রাযী ও আল-জাস্সাস আল-হানাফী রহ. বলেন, এ আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়, যুবতী মহিলারা ঘর থেকে বাইরে বেরোনোর সময় বেগানা পুরুষের দৃষ্টি থেকে তাদের মুখমণ্ডল আবশ্যিকভাবে ঢেকে রাখবে, যাতে দুষ্ট প্রকৃতির লোক তাদেরকে বিরক্ত করতে না পারে। [আহকামুল কুরআন : ৩/৩৭১]

আল্লামা নাসাফী আল-হানাফী রহ. লিখেছেন, মহিলারা চাদর বা অন্য কিছু নিজেদের মাথার ওপর ছেড়ে দেবে এবং নিজেদের মুখমণ্ডল ও দেহের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঢেকে নেবে। [মাদারিকুত- তানযীল : ৩/৭৯]

ইমাম নাববী রহ. স্বীয় গ্রন্থ ‘আল-মিনহাজ’-এ লিখেছেন, যদি ফিতনার আশংকা থাকে তাহলে কোনো প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের জন্য কোনো প্রাপ্ত বয়স্কা নারীর মুখমণ্ডল ও হাত দেখা জায়িয নেই। আল্লামা রামালী রহ. ‘আল-মিনহাজ’ গ্রন্থের ব্যাখ্যায় এই মতের ওপর আলিমগণের ইজমা’র কথা বর্ণনা করেছেন। তিনি এও লিখেছেন, সঠিক মতানুযায়ী ফিতনার আশংকা না থাকলেও প্রাপ্ত বয়স্কা নারীকে দেখা হারাম। এর দ্বারা বুঝা যায়, মুখমণ্ডল খোলা অবস্থায় মহিলাদের বাইরে বের হওয়া জায়িয নেই। কারণ, সে অবস্থায় পুরুষ তাদেরকে দেখবে এবং দেখার মাধ্যমে ফিতনা ও কুপ্রবৃত্তির সৃষ্টি হবে। [নিহায়াতুল মিনহাজ ইলা শারহিল মিনহাজ : ৬/১৮৮]

শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা রহ. বলেন, বেগানা পুরুষ দেখতে পারে এমনভাবে মহিলাদের মুখমণ্ডল খোলা রাখা জায়িয নেই। দায়িত্বশীল পুরুষদের (স্বামী, পিতা, ভাই প্রমুখের) উচিত ‘আমর বিল মা‘রুফ’ ও ‘নাহি ‘আনিল মুনকার’ তথা ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধে’র অংশ হিসেবে তাদেরকে এমন কাজ থেকে বিরত রাখতে সচেষ্ট হওয়া। অধীনস্থ নারীদের পর্দাহীনতা থেকে বিরত না রাখাও দায়িত্বশীল পুরুষদের জবাবদিহিতামূলক অপরাধ। এজন্য তাদেরকে শাস্তিও দেয়া যেতে পারে। [মাজমূ‘ ফাতাওয়া : ২৪/৩৮২]

হাফিয ইবনুল কাইয়্যিম রহ. লিখেন, স্বাধীন নারী মুখমণ্ডল ও হাতের কবজি পর্যন্ত খোলা রেখে সালাত আদায় করতে পারে (এই শর্তে যে সেখানে কোনো বেগানা পুরুষ থাকবে না)। তবে এ অবস্থায় সে বাজারে এবং পুরুষের ভীড়ের মধ্যে যেতে পারবে না। [ই‘লাম আল-মুওয়াককিঈন : ২/৮০]

আল্লামা সুয়ূতী আশ-শাফিঈ‘ রহ. উল্লেখিত আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে লিখেন, হিজাবের আয়াত সব নারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। মাথা ও মুখমণ্ডল ঢাকা যে ওয়াজিব তা এ আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়। [‘আওনুল মা’বুদ : ১১/১৫৪]

হাফিয ইবনুল কারবী মালেকী রহ.ও এই আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে লিখেন, ‘অভিজাত আরব মহিলারা দাসীদের মত মুখমণ্ডল খোলা অবস্থায় ঘোরাফেরা করতো। এতে পুরুষের দৃষ্টি আন্দোলিত হতো। এজন্য আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে নির্দেশ দেন, তারা যেন শরীরের ওপর জিলবাব পরে নেয়। তাহলে তাদের মুখমণ্ডল তাদের দৃষ্টির আড়ালে চলে যাবে। [আত-তাসহীল লি ‘উলুমি তানযীল : ৩/১৪৪]

আল্লামা বাহুতী হাম্বলী রহ. -এরও এই মত যে, সালাতের বাইরে স্বাধীন ও প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর দু’হাতের কবজি এবং মুখমণ্ডলও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতই পর্দার অন্তর্ভুক্ত। [কাশফুল কান্না‘ : ১/২৬৬]

হিজাবের আয়াত নাযিলের পর আযওয়াজে মুতাহ্হারাত ও অন্যান্য মহিলা সাহাবীদের যে কর্মপদ্ধতি ছিল তা দ্বারাও এটা প্রমাণিত হয় যে, মহিলাদের জন্য মুখমণ্ডল ঢাকা জরুরী। যখন এই আয়াত নাযিল হয় :

﴿ وَقُل لِّلۡمُؤۡمِنَٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِنَّ وَيَحۡفَظۡنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبۡدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنۡهَاۖ وَلۡيَضۡرِبۡنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّۖ وَلَا يُبۡدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوۡ ءَابَآئِهِنَّ أَوۡ ءَابَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوۡ أَبۡنَآئِهِنَّ أَوۡ أَبۡنَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوۡ إِخۡوَٰنِهِنَّ أَوۡ بَنِيٓ إِخۡوَٰنِهِنَّ أَوۡ بَنِيٓ أَخَوَٰتِهِنَّ أَوۡ نِسَآئِهِنَّ أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُهُنَّ أَوِ ٱلتَّٰبِعِينَ غَيۡرِ أُوْلِي ٱلۡإِرۡبَةِ مِنَ ٱلرِّجَالِ أَوِ ٱلطِّفۡلِ ٱلَّذِينَ لَمۡ يَظۡهَرُواْ عَلَىٰ عَوۡرَٰتِ ٱلنِّسَآءِۖ وَلَا يَضۡرِبۡنَ بِأَرۡجُلِهِنَّ لِيُعۡلَمَ مَا يُخۡفِينَ مِن زِينَتِهِنَّۚ وَتُوبُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ ٣١ ﴾ [النور: ٣١]

‘আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।’ {সূরা আন-নূর, আয়াত : ৩১}

তখন মহিলা সাহাবীদের আমল কী ছিল তা আমরা জানতে পারি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয়তমা পত্নী আয়িশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার বর্ণনা থেকে। তিনি বলেন,

يَرْحَمُ اللَّهُ نِسَاءَ الْمُهَاجِرَاتِ الأُوَلَ لَمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ : {وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ} شَقَّقْنَ مُرُوطَهُنَّ فَاخْتَمَرْنَ بِهِ.

‘আল্লাহ হিজরতকারী অগ্রবর্তী নারীদের ওপর রহমত করুন। যখন তিনি নাযিল করলেন, ‘আর তারা যেন তাদের বক্ষের ওপর ওড়না টেনে দেয়’ তখন তারা তাদের নিম্নাংশের কাপড়ের প্রান্ত ছিঁড়ে ফেলেন এবং তা দিয়ে ওড়না বানিয়ে নেন।’ [বুখারী : ৮৫৭৪]

আলোচ্য বর্ণনায় ‘ইখতামারনা’ শব্দটি এসেছে। সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যাকার হাফিয ইবন হাজার ‘আসকালানী রহ. ‘ইখতামারনা’ শব্দের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লিখেছেন, ‘গাত্তাইনা উজুহাহুন্না’। অর্থাৎ তারা নিজেদের মুখমণ্ডল ঢেকে রাখতেন। [ফাতহুল বারী : ৮/৩৪৭]

শুধু পবিত্র কুরআনের তাফসীর নয় চেহারা আবৃত রাখার বিধান সহীহ হাদীস দ্বারাও প্রমাণিত। আবদুল্লাহ ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

« وَلاَ تَنْتَقِبِ المَرْأَةُ المُحْرِمَةُ، وَلاَ تَلْبَسِ القُفَّازَيْنِ»

‘আর ইহরাম গ্রহণকারী নারী যেন নিকাব ও হাতমোজা পরিধান না করে।’ [বুখারী : ১৮৩৮] এই হাদীস থেকে বোঝা যায়, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে মেয়েরা তাদের হাত ও চেহারা ঢাকতেন। এ কারণে ইহরামের সময় নেকাব ও দস্তানা না পরার আদেশ করতে হয়েছে।

আয়েশা রাদিআল্লাহু ‘আনহা হজ অবস্থায় মহিলা সাহাবীদের পর্দার যে বিবরণ দিয়েছেন তা থেকে অনুমান করা যায় পর্দা রক্ষায় তাঁরা কতটা আন্তরিক ছিলেন। তাঁরা স্বাভাবিক অবস্থায় তো বটেই ইহরাম অবস্থায় যখন মুখ ঢাকতে নিষেধ করা হয়েছে সেখানেও পরপুরুষের সামনে থেকে নিজেদের চেহারা আড়াল করেছেন। আয়েশা রাদিআল্লাহু ‘আনহা বলেন,

كَانَ الرُّكْبَانُ يَمُرُّونَ بِنَا وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- مُحْرِمَاتٌ فَإِذَا حَاذَوْا بِنَا سَدَلَتْ إِحْدَانَا جِلْبَابَهَا مِنْ رَأْسِهَا إِلَى وَجْهِهَا فَإِذَا جَاوَزُونَا كَشَفْنَاهُ.

‘আমরা ইহরাম অবস্থায় সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। তখন আরোহীরা আমাদের সঙ্গে পথ চলছিলেন। যখন তারা আমাদের আড়াআড়ি হন, আমাদের সঙ্গীনীরা তাদের বড় চাদর মাথা থেকে চেহারায় ঝুলিয়ে দেন। তারা আমাদের অতিক্রম করে চলে যাবার পরই আমরা তা উন্মুক্ত করি।’ [আবূ দাঊদ : ৫৩৮১; বাইহাকী : ৩৩৮৮]

ইফক-এর ঘটনা থেকেও আমরা মুখ ঢাকার প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারি। বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পথে এক স্থানে বিশ্রামের জন্য শিবির স্থাপন করেন। এই সফরে আয়িশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছিলেন। তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে শিবির থেকে বাইরে যান। ফিরে এসে দেখেন শিবির গুটিয়ে কাফেলা চলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় তিনি লক্ষ্য করেন তাঁর গলার হারটি কোথাও হারিয়ে গেছে। যেখানে হারটি পড়ার সম্ভাবনা ছিল তিনি সেখানে গেলেন এবং তালাশ করলেন, কিন্তু পেলেন না। ফিরে এসে দেখলেন কাফেলা চলে গেছে। তিনি সেখানেই বসে পড়েন। এদিকে কাফেলার লোকেরা তাঁর পাল্কিটি উষ্ট্রীর পিঠে রেখে দেন। তারা ধারণা করেন, তিনি পাল্কির মধ্যে বসা থাকলেন। ‘আয়িশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তখন যথেষ্ট শীর্ণকায় ও হালকা-পাতলা ছিলেন। এ কারণে পাল্কিটি যারা উঠিয়ে ছিলেন তারা বুঝতেই পারেন নি তিনি ভেতরে আছেন কি-না। আয়িশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, আমি সেখানে বসে থাকতে থাকতে ঘুমে আমার চোখ বন্ধ হয়ে যায়। সাফওয়ান ইবন মুওয়াত্তাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ছিলেন কাফেলার পশ্চাৎগামী ব্যক্তি। তিনি দেখেন এক ব্যক্তি শুয়ে আছে। নিকটে এসে দেখে আমাকে চিনতে পারেন। কারণ, হিজাবের পূর্বে তিনি আমাকে দিখেছিলেন। আমাকে শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে তিনি জোরে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ পাঠ করেন। সাফওয়ানের শব্দ শুনে আমি উঠে বসি এবং খুব দ্রুত চাদর মুড়ি দিই। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, আমি আমার চাদর দ্বারা আমার মুখমণ্ডল ঢেকে ফেলি। [বুখারী : ৪৪৭৩; মুসলিম : ২৭৭০]

আসমা’ বিনত আবী বাকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, আমরা পুরুষদের থেকে আমাদের চেহারা আবৃত রাখতাম। [মুস্তাদরাক হাকেম : ১৬৬৪]

ফাতিমা বিনতুল মুনযির রহ. বলেন, ‘আমরা আসমা বিনতে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার সঙ্গে ইহরাম অবস্থায় থাকাকালে আমাদের চেহারা ঢেকে রাখতাম।’ [ইমাম মালেক, মুয়াত্তা : ১/৩২৮; হাকিম, মুসতাদরাক : ১/৪৫৪]

এই বিবরণ থেকে জানা গেল, মুখমণ্ডলের পর্দার বিষয়টি ইজমা’র ভিত্তিতে স্থিরকৃত হয়েছে। কোনো মাযহাবের কোনো একজন উল্লেখযোগ্য ‘আলিম এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেন নি। শায়খ ইবনে বায রাহ., শায়খ ইবনে উছাইমীন ও শায়খ ইবনে জিবরীনও একই ফতোয়া দিয়েছেন। [দেখুন : রিসালাতুন ফিল-হিজাবি ওয়াস-সুফূর : ১৯; ফাতাওয়া উলামাইল বালাদিল হারাম : ১১৬৯]

মুফতী মুহাম্মদ শাফী ‘উছমানী রহ. লিখেছেন, ‘ইমাম চতুষ্টয়ের মধ্য থেকে ইমাম মালিক, ইমাম শাফি’ঈ ও ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল রহ. তিনজনই মুখমণ্ডল ও হাতের কবজি খোলা রাখার মোটেই অনুমতি দেন নি- তা ফিতনার আশংকা থাকুক বা না থাকুক। ইমাম আবূ হানীফা রহ. ফিতনার আশংকা যদি না থাকে- এই শর্তে খোলা রাখার কথা বলেন। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে এই শর্ত পূরণ হবার নয়, তাই হানাফী ফকীহগণ গায়র মাহরাম পুরুষের সামনে মুখমণ্ডল ও হাতের কবজি খোলা রাখার অনুমতি দেন নি।’ [মা‘আরিফুল কুরআন : ৭/২১৪]

তেমনি এটাও সঙ্গত নয় যে, মহিলাদের সারা শরীর ঢাকা থাকবে আর মুখমণ্ডল থাকবে খোলা। অথচ মানুষের প্রথম দৃষ্টিটিই পড়ে মুখের ওপর। তারপর সেখান থেকেই অন্তরে খারাপ বাসনার সৃষ্টি হয়। পবিত্র কুরআনে নারীদের হিজাব এবং তদসংক্রান্ত প্রায় আটটি আয়াত আছে। সেগুলো থেকেও একথা জানা যায়, শরীয়তের দাবী কেবল শরীর ঢাকা নয়, বরং মুখমণ্ডল ঢাকাও জরুরী।

ওইসব আয়াতের সারকথা হলো, নারীরা অতি প্রয়োজন ছাড়া নিজেদের ঘর থেকে বাইরে বের হবে না। যদি তাদের নিতান্ত প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হয় তাহলে বড় ও মোটা চাদর দিয়ে নিজেদের শরীর ঢেকে বের হবে। পুরুষ নারীকে দেখবে না এবং নারীও বিনা প্রয়োজনে পুরুষকে দেখবে না। নারীদের কাছে যদি পুরুষদের কোনো জিনিস চাইতে হয় তাহলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। মহিলাদের গায়র মাহরাম (বেগানা) পুরুষের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হলে পর্দার আড়াল থেকে বলবে, কণ্ঠস্বর কঠোর রাখবে, সুমিষ্ট মোলায়েম স্বরে নয়। সাধারণ অবস্থায় মাহরাম পুরুষের সামনেও মুখমণ্ডল হাত এবং পা ছাড়া নিজেদের দেহের অন্য কোনো অঙ্গ খোলা রাখবে না। [দেখুন, আল-আহযাবের আয়াতসমূহ-৩২, ৫৩, ৮৯; আন-নূর-২৪, ৩০, ৩১, ৫৮, ৬০]

আধুনিককালের প্রখ্যাত আলিম ও ফকীহগণও একই মত পোষণ করেন। পাক-হিন্দের আলিমদের কথা না হয় বাদ দিন। কারণ, তাদের অধিকাংশই হানাফী এবং তাদেরকে ফিকহ সংক্রান্ত মাসআলা ও বিষয়সমূহে কট্টরপন্থি মনে করা হয়। কিন্তু আরব বিশ্বের সমকালীন সকল আলিম ও মুফতীদের মতও এই যে, মহিলাদের জন্য মুখমণ্ডল ঢাকা একান্ত আবশ্যক। তাদের মধ্যে শায়খ আব্দুর রহমান ইবন সাদী, মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম আলে আশ-শায়খ, মুহাম্মাদ আল-আমীন আশ-শানকীতী, শায়খ ‘আবদুল্লাহ ইবনু বায, শায়খ আবু বাকর জাবির আল-জাযায়িরী, শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু গুনায়মীন, শায়খ আবদুল্লাহ ইবনু জুবরীন, শায়খ সালিহ আল-ফাওযান, শায়খ বাকর ইবনু ‘আবদিল্লাহ আবূ যায়েদ, মুহাম্মাদ ইবনু আহমাদ ইসমা’ঈল আল-মাকদাম, আবূ, ইসহাক আল-হুওয়ায়তী, মুসতাফা আল-‘আদাবী, মুহাম্মাদ হাসসান ও আরো অনেকের নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

স্পষ্ট ব্যাখ্যা এবং ফকীহগণের চূড়ান্ত ফাতওয়াসমূহ থাকার পরও কোনো ‘আলিম নিকাবকে অস্বীকার করতে পারেন না। যারা মুখ না ঢাকার ব্যাপারটি জোর করে সপ্রমাণ করতে চান তারা খেয়াল করেন না যে, তাদের এহেন মত পশ্চিমা ও তাদের ভাব শিষ্যদের অতি পুলকিত করবে। তারা এই রায়কে ব্যবহার করবে হাতিয়ার হিসেবে।

পরপুরুষের সামনে নারীর মুখমণ্ডল প্রদর্শন বৈধতার পক্ষের প্রবক্তাগণ প্রমাণের জন্য পূর্বোক্ত সূরা নূরের ৩১ নং আয়াত তুলে ধরেন। তাদের বক্তব্য, ‘সাধারণত প্রকাশমান সৌন্দর্য’ এর ব্যাখ্যায় আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস ও আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণনা করা হয় যে, এ দ্বারা করতল ও চেহারা উদ্দেশ্য। অথচ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ আলাদা। আর আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর উদ্ধৃত উক্তি আলোচ্য দাবীর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। কেননা একাধিক সহীহ সনদে ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, আয়াতের আলোচ্য অংশ ‘ইল্লা মা যাহারা মিনহা’-এর অর্থ ‘কাপড়’। [দেখুন, তাবারী, জামিউল বায়ান : ১৭/২৫৬-২৫৮; ইবন আবী শাইবা, আল-মুসান্নাফ : ৯/২৮০]

এ অংশের ব্যাখ্যায় প্রখ্যাত কুরআন ব্যাখ্যাতা ইবন কাছীর রহ. বলেন, ‘আয়াতের অর্থ, পরপুরুষের সামনে নারী তার কোনো ধরনের সৌন্দর্য প্রকাশ করবে না। তবে যা আবৃত রাখা সম্ভব নয় তার কথা আলাদা। এর দৃষ্টান্ত দিয়ে ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেছেন,

كَالرِّدَاءِ وَالثِّيَابِ يَعْنِي عَلَى مَا كان يتعاطاه نِسَاءُ الْعَرَبِ مِنَ الْمِقْنَعَةِ الَّتِي تُجَلِّلُ ثِيَابَهَا وَمَا يَبْدُو مِنْ أَسَافِلِ الثِّيَابِ. فَلَا حَرَجَ عليها فيه لأن هذا لا يمكنها إخفاؤه

‘চাদর ও কাপড়।’ অর্থাৎ আরবের নারীগণ যে বড় চাদরে তাদের পরনের কাপড় ঢেকে বের হতেন এবং কাপড়ের নীচের অংশ, যা চলার সময় চাদরের নীচ দিয়ে প্রকাশিত হয়ে যেত তা যেহেতু ঢেকে রাখা সম্ভব নয় তাই এতে কোনো দোষ নেই। [ইবন কাছীর : ৬/৪১]

‘হাসান বসরী, মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন, ইবনুল জাওযী, ইবরাহীম নাখায়ী প্রমুখ মনীষীও অনুরূপ ব্যাখ্যা করেছেন।’ [তাফসীরুল কুরআনিল আযীম : ৩/৩১২]

পবিত্র কুরআনের শব্দ ও বাক্য, আলোচ্য বিষয়ের হাদীস ও আছার এবং উসূলে ফিকহের নীতি ও বিধান ইত্যাদি বিবেচনায় ইবন মাসউদ রারাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর ব্যাখ্যাই অগ্রগণ্য। কারণ সূরা আল-আহযাবের ৫৯ নম্বর আয়াতে জিলবাবের একাংশ চেহারার ওপর নামিয়ে মুখমণ্ডল আবৃত রাখার আদেশ করা হয়েছে। তা সূরা নূরের আলোচ্য আয়াতে ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর ব্যাখ্যাকেই প্রতিষ্ঠিত করে। তাছাড়া সহীহ হাদীসসমূহে নারীদের চেহারা ঢেকে রাখার যে নির্দেশ ও বিবরণ দেখা যায় তা-ও তাঁর ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে।

তদুপরি যারা মুখ খোলার পক্ষে বলেছেন প্রথমত তাদের মতটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত মত নয় আর দ্বিতীয়ত তাঁরা সবাই এর জন্য নিরাপদ ও ফিতনামুক্ত হওয়ার শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। আর বলাবাহুল্য যে বর্তমান যুগে ফিতনার বিস্তার সর্বত্র। মানুষের মধ্যে দীনদারী ও আল্লাহভীতি হ্রাস পেয়েছে। লজ্জা ও লজ্জাবনত মানুষের সংখ্যা কমে গেছে। ফিতনার প্রতি আহ্বানকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাজসজ্জার নানা উপায় ও উপকরণ আবিষ্কৃত হওয়ায় ফিতনার মাত্রা আরও বেড়ে গেছে।

আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সব মুসলিম বোনকে যথাযথভাবে পর্দা করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

১১| ১৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

রুপবান বলেছেন: যে যুগে নারীরা শব্দ করে কোরান পাঠ করতে পারতো না, সেই যুগে বেগম রোকেয়া লেখেছেন সুলতানার স্বপ্ন।ঔপনিবেশিক শোষণ থেকে ভারত বর্ষকে মুক্ত করতে জীবন উৎসর্গ করেছে প্রিতিলতা। মহান ভাষা আন্দোলনে কাধেঁ কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে নারী-পুরুষ। তারামন বিবির মতো হাজার হাজার নারী মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করেছে মুক্তি যুদ্ধে। ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের কথাও বলিনা কেন। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ৮০ভাগ জোগানদাতা যে গার্মেন্টস শিল্প তার ৯০ভাগেইতো নারি শ্রমিক, এমন এক সমাজে দাড়িয়েঁ হেফাজতের কাঠ মোল্লারা নারিকে ঘরে বন্ধি করার মতো এত বড় দুঃসাহস পায় কোথায়?

১২| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

রুপবান বলেছেন: সবেমাত্র ইন্টার শেষ করেছি, তখনো নর্থ-সাউথে যাওয়া হয় নি। রেজাল্ট বের হতে দুমাস বাকি। শহরের কংক্রিট সভ্যতা ছেড়ে গ্রামের পথ আমার সব সময় পছন্দের। এবার সুযোগ বুঝে লম্বা সময়ের জন্য শহর ছেড়ে চলে এলাম গ্রামে, মাতুল বংশের ভিটে মাটি নানাবাড়ী। গ্রামের নাম কুহুতান, ওরা বলে কুয়াতান। যমুনা পাড়ে শুনশান নিরব, নিভৃত অজপাড়া গাঁ এই কুহুতান, মিল্কভিটা খামারীদের এলাকা। নানা আমার ডাক্তার, জেলা শহরের সিভিল সার্জেন্ট চাকরী থেকে অবসর নিয়ে শেষ বয়সে তখন নিজ বাড়ীতেই দাতব্য চিকিতসা কেন্দ্র খুলে বসেছেন। শুক্র/শনি এ দুদিন গ্রামের মানুষকে বিনামুল্যে ঔষধ/ব্যবস্হাপত্র দেন। বাড়ীর সবচেয়ে দক্ষিনে পুকুর পাড়ে লম্বা দোচালা টিনের ঘরটিতে নানার পড়ার ঘর, ফার্মাসি এবং রোগী দেখার কুঠরী। চেম্বারে চার/পাঁচটি কাঁচের আলমিরাতে চিকিতসা বিজ্ঞানের বই পুস্তক এবং ঔষুধে ঠাসা। রোগীদের বসার ঘরে কবি নজরুল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিজ্ঞানী আইনস্টাইন এবং হেকিম ইবনে সিনার বড় সাইজের চারটি ছবি স্বযন্তে কাঁচ দিয়ে বাঁধিয়ে ওয়ালে টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। যাক সে কথা। এখন নিজের কথায় আসি। দাওয়া খানায় গ্রামের একটি এতিম ছেলে নানার চিকিতসা সেবায় হেলপারি করে। বিনিময়ে থাকা, খাওয়া এবং পড়া ফ্রী। ছেলেটির নাম সুবেদ আলী, লোকে বলে সুবেদালী, আমি ডাকি সুবেদ ভাই। বয়সে আমার চেয়ে এক বছরের বড় ক্লাস টেন এ পড়ে, গরিবের ছেলে তো, সময় মত স্কুলে যেতে পারেনি হয়তো। কিন্তু ভিষন মেধাবী, স্কুলের ফাস্টবয়। দেখতে শুনতেও দারুন, মারাত্মক ছেলে সুলভ। পড়াশুনায় ভাল হওয়ার কারনে নানা/নানী সুবেদ কে খুব আদর যন্ত করতেন।

১৩| ৩১ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

রুপবান বলেছেন: http://youtu.be/qQaK1Dh9f_w

১৪| ৩১ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

রুপবান বলেছেন: http://youtu.be/17ibR9eytnY

১৫| ০১ লা জুন, ২০১৩ ভোর ৫:২০

রুপবান বলেছেন: http://www.youtube.com/watch?v=VPVJ4nnsngU

১৬| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪০

রুপবান বলেছেন: তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না, ২৩:৬

সূরা ২ আয়াত ২৮২
"যদি দুইজন পুরুষ পাওয়া না যায় তবে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলাকে সাক্ষী হিসেবে মনোনীত করো"

সূরা ৪ আয়াত ৩৪
"পুরুষরা নারীদের অবলম্বন, যেহেতু আল্লাহ তাদের এক শ্রেনীকে অন্য শ্রেনীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। কাজেই সতীসাধ্বী নারীরা অনুগত, গোপনীয়তার রক্ষয়িত্রী। আর যে নারীদের ক্ষেত্রে তাদের অবাধ্যতা আশা করো, তাদের উপদেশ দাও, আর শয্যায় তাদের একা ফেলে রাখো, আর তাদের প্রহার করো।"

সহীহ বুখারি, হাদীস ৪৭২৪, ৮ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪০১
"কোন কিছুর মধ্যে যদি অপয়া থাকে তা হল বাড়ীঘর, স্ত্রীলোক এবং ঘোড়া"

“নারীতে নিহিত আছে যাবতীয় খারাপ" (Sahih Bukhari 4:52:110,

নারী শয়তানের প্রতিরূপ, যাদের দেখার সাথেই স্ত্রীর সাথে এসে যৌন সংসর্গ ক্রয়া উচিত" [Sahih Muslim 8:3240, 3242]”

"নারীরা বিশ্বাস ঘাতক" (Sahih Bukhari 4:55:547)

"নারী পুরুষের জন্যে ক্ষতিকারক" (Sahih Bukhari 7:62:33)

স্ত্রী-প্রহারকারী স্বামীদের কাছে কোনো জবাব চাওয়া হবে না (Abu Dawud

নারী খারাপ, নারী নিকৃষ্ট (Sahih Bukhari 9:88:219),

নারীতে নিহিত আছে যাবতীয় খারাপ (Sahih Bukhari 4:52:110, 4:52:111)

নারীরা বুদ্ধিহীন (Sahih Bukhari 2:24:541)

"অন্য স্ত্রীর সাথে যৌনসংসর্গের পুর্বে স্বামীকে প্রস্তুত করে দেওয়া সুন্নত" (Sahih Bukhari 1:5:270)

ত্রী বন্ধক রাখা যায় (Sahih Bukhari 5:59:369)

১৭| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

রুপবান বলেছেন: "বর্তমানে ক্রীতদাস প্রথা উঠে গেছে"

কিন্তু আল-কোরানের বাণী খন্ডাবে কে? আল্লার জমিনে আল্লার আইন উঠিয়ে দেয়ার ক্ষমতা করো আছে কি??

দাসপ্রথা বিলুপ্ত করেছেন ; ১। আব্রাহাম লিংকন, ২। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ/চার্টার। কিন্তু আল্লার কিতাব আল কোরানে দাসপ্রথা সেই ৭ শতকের অবিকল রয়ে গেছে, ওতে কোন পরিবর্ত্তন আনা হয় নি। যে কারনে ; মালিকানাভুক্ত দাসীদের সাথে মুমিনের অতিরস্কারযোগ্য অবাধ যৌনাচারের অতি পবিত্র কোরনী সুরা/কেরাত/আয়াত সমুহ মুসলমানরা এখনো প্রতিদিন সুর করে পাঠ করেন।

১৮| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

রুপবান বলেছেন: আবু সাদ খুদরি বর্ণিত - হুনায়নের যুদ্ধের সময় আমাদের কিছু সৈন্যকে আওতাসে প্রেরন করলেন ও সেখানে আমরা শত্রুদের পরাজিত করলাম ও বেশ কিছু নারী বন্দি করলাম। কিন্তু নবীর সাহাবিরা সেসব যুদ্ধ বন্দিনী নারীদের সাথে সেক্স করতে অনিচ্ছূক ছিল কারন তাদের স্বামীরা তখনও জীবিত ছিল। আর তখনই আল্লাহ নাজিল করল -তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম-----------( ৪: ২৪)। সহি মুসলিম, বই- ৮, হাদিস- ৩৪৩২

১৯| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

রুপবান বলেছেন: আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? সূরা - আল কামার -৫৪:১৭

আর এটাই আপনার পালনকর্তার সরল পথ। আমি উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্যে আয়াতসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ননা করেছি। সূরা আল আনআম- ৬:১২৬

আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাযিল করেছি যেটি এমন যে তা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্যে সুসংবাদ।সূরা - নাহল- ১৬: ৮৯

এটা কিতাব, এর আয়াতসমূহ বিশদভাবে বিবৃত আরবী কোরআনরূপে জ্ঞানী লোকদের জন্য।সূরা -হামিম সেজদা ৫৪:৩

২০| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৪

রুপবান বলেছেন: সহিহ্‌ মুসলিম, বই ৮ হাদিস ২৩৪৯:

জাবির বিন আবদুল্লাহ বর্ণনা করেছেন:
আমরা চুক্তি করে (মুতা) বিয়ে করতাম কয়েক মুঠো আটার বিনিময়ে। ঐ সময় আল্লাহ্‌র রসুল আমাদের মাঝে জীবিত ছিলেন। এই ব্যবস্থা চলতে থাকে আবু বকরের সময় পর্যন্ত। কিন্তু হারিসের ঘটনা শোনার পর উমর এই ধরণের বিবাহ নিষিদ্ধ করে দেন।


আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান?সুরা বাকারা , ২: ১০৬

২১| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৩

রুপবান বলেছেন: সহিহ বোখারি, ভলুম ৫ বই ৫৯ হাদিস ৬৩৭:
বুরায়দা বর্ণনা করলেন:
রসুলুল্লাহ আলীকে খালেদের কাছে পাঠালেন খুমুস (যুদ্ধে লব্ধ মাল) নিয়ে আসার জন্যে। আমি আলীকে ঘৃণা করতাম। সে সময় আলী গোসলে ছিলেন (এক যুদ্ধ বন্দিনীর সাথে সহবাস করার পর)। আমি খালেদকে বললাম: আপনি কি তাকে দেখলেন (অর্থাৎ আলীকে)? আমরা নবীজির কাছে পৌঁছিলে তাঁকে এ ব্যাপারে অবহিত করলাম। তিনি বললেন: “হে বুরায়দা, তুমি কি আলীকে ঘৃণা কর?” আমি বললাম: “জী হ্যাঁ”। তিনি বললেন: “তুমি তাকে ঘৃণা করছ, তবে সে তো ঐ খুমুস থেকে আরও বেশী পাবার যোগ্য”।

২২| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৫

রুপবান বলেছেন: সহিহ্‌ বোখারী ভলুম ৫ বই ৫৯ হাদিস ৪৫৯:
ইবনে মুহাইরিয বর্ণনা করেছেন:
আমি মসজিদে প্রবেশ করলাম এবং আবু সাইদ আল খুদরিকে দেখলাম। আমি তাঁর পাশে বসে পড়লাম। তাঁকে আজল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। আবু সাইদ বললেন: “আমরা আল্লাহ্‌র রসুলের সাথে বনি মুস্তালিকের যুদ্ধে গেলাম। আমরা আরব যুদ্ধবন্দিনী পেলাম। আমাদের জন্যে কৌমার্য (celibacy) পালন করা অসাধ্য হয়ে উঠেছিল। তাই আমরা চাইলাম সহবাস করতে। সত্যিই আমরা আজল করতে ভালবাসতাম। তাই আমরা যখন আজল করার সিদ্ধান্ত নিলাম তখন চিন্তা করলাম: “রসুলুল্লাহ আমাদের সাথে আছেন, এমতাবস্থায় আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসা না করে কি ভাবে আজল করি?” আমরা তাঁকে আজলের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি উত্তর দিলেন: “তোমাদের জন্যে উত্তম হবে এটা না করা কেননা যা জন্ম হবার তা হবেই।“

সহিহ্‌ বোখারি ভলুম ৭ বই ৬২ হাদিস ১৩৭:
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:
এক জিহাদে আমরা শত্রুপক্ষের নারী বন্দি পেলাম। তারা আমাদের হাতে আসলে আমরা তাদের সাথে আজল করে সহবাস করলাম। এরপর আমরা রসুলুল্লাহকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: “তাই নাকি! তোমরা কি এরূপ করে থাক?” রসুলুল্লাহ তিনবার এই প্রশ্ন করলেন, এবং বললেন: “আখেরাত পর্যন্ত যত লোক সৃষ্টি হবে তাদের প্রত্যেকটি অবশ্য জন্মলাভ করবে”।

মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২.২৩.৯০:
ইয়াহিয়া—মালিক—নাফি থেকে। ইয়াহিয়া বললেন যে আবদুল্লাহ ইবনে উমরের ক্রীতদাসীরা তাঁর পা ধৌত করতো এবং তাঁর কাছে খেজুর পাতার তৈরি এক মাদুর নিয়ে আসত। সে সময় তারা ঋতুমতী ছিল।

মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল কোন এক ব্যক্তি গোসল করার আগেই কি তার সব ক্রীতদাসীদের সাথে যুগপৎ সহবাস করতে পারবে? তিনি (অর্থাৎ মালিক) উত্তর দিলেন যে গোসল ছাড়াই পরপর দুইজন ক্রীতদাসীর সাথে সহবাসে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু যখন কোন স্বাধীন স্ত্রীর সাথে সহবাসের দিন থাকবে সেদিন অন্য আর এক স্বাধীন স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম করা যাবে না। কিন্তু এক ক্রীতদাসীর সাথে যৌন সঙ্গমের পর সাথে সাথে অন্য ক্রীতদাসীর সাথে সহবাস করা আপত্তিকর নয়—যদিও তখন লোকটি জুনুব (সহবাসের পর তার কাপড়ে অথবা দেহে বীর্য ও অন্যান্য কিছু লেগে থাকা)।

এরপর মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল। এক ব্যক্তি সঙ্গম করল এবং জুনুব হয়ে গেল। তার কাছে পানি আনা হল গোসলের জন্য। সে ভুলে গেল গোসল করতে। পানি উত্তপ্ত না শীতল তা জনার জন্যে সে তার আঙ্গুল ডুবিয়ে দিল পানির মাঝে”। মালিক উত্তর দিলেন: “তার আঙ্গুলে যদি কোন ময়লা না থাকে তবে আমার মনে হয় না ঐ পানিকে দুষিত বলা যাবে”।

মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৮.১৪.৩৩:
ইয়াহিয়া—মালিক—ইবনে শিহাব—ওবায়দুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ—ইবনে উতবা ইবনে মাসুদ—তাঁর পিতা থেকে। ইয়াহিয়া বর্ণনা করলেন: উমর আল খাত্তাবকে জিজ্ঞাসা করা হল: এক ব্যক্তির কাছে এক ক্রীতদাসী ও ক্রীতদাসীর কন্যা আছে। এখন ঐ ব্যক্তি কি পারবে ক্রীতদাসী ও তার তার কন্যার সাথে পরপর সহবাস করতে? উমর বললেন: “আমি এ রকম করা পছন্দ করি না”। এর পরে উমর এই প্রথা নিষিদ্ধ করে দিলেন।

মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৮.১৪.৩৪:
ইয়াহিয়া—মালিক—ইবনে শিহাব—কাবিসা ইবনে দুবায়েব থেকে।
ইয়াহিয়া বর্ণনা করলেন:
এক ব্যক্তি উসমানকে জিজ্ঞাসা করল: এক ব্যক্তির কাছে দুই সহোদরা বোন আছে ক্রীতদাসী হিসাবে। ঐ ব্যক্তি কি এই দুই ভগিনীদের সাথে যুগপৎ সহবাস করতে পারবে? উসমান উত্তর দিলেন: “এক আয়াতে বলা হয়েছে এই প্রথা হালাল; অন্য আয়াতে বলা হয়েছে হারাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ভাবে সহবাসের পক্ষপাতী নই”। ব্যক্তিটি উসমান থেকে বিদায় নিলো। তার পর সে রসুলুল্লাহর এক সাহাবির সাথে দেখা করল এবং ঐ একই প্রশ্ন রাখল। সাহাবি উত্তর দিলেন: “ আমার জানা মতে কেউ যদি এমন সহবাস করে তবে তাকে আমি দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিব”।

ইবনে শিহাব বললেন: “আমার মনে হয় উনি (সাহাবি) ছিলেন আলী ইবনে আবু তালিব”।

মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৮.১৫.৩৮:
ইয়াহিয়া—মালিক—ইবরাহিম ইবনে আবি আবলা—আবদ আল মালিক ইবনে মারোয়ান থেকে।
ইয়াহিয়া বর্ণনা করলেন:
ইবনে মারোয়ান তাঁর এক বন্ধুকে এক ক্রীতদাসী দিলেন। পরে ইবনে মারোয়ান বন্ধুকে ক্রীতদাসী সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলেন। বন্ধু উত্তর দিলেন: আমি চাচ্ছিলাম ক্রীত দাসীকে আমার ছেলের হাতে দিবো যাতে ছেলেটি তার সাথে যেমন খুশী তাই করতে পারে”। আবদ আল মালিক বললেন: “মারোয়ান আপনার চাইতে অনেক বিবেকবান ছিলেন। তিনি তাঁর এক ক্রীতদাসী তাঁর ছেলেকে দিলেন এবং বললেন: “তুমি এই দাসীর ধারে কাছে যাবে না, কেননা আমি তার উন্মুক্ত পা দেখেছি”।

মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৯.১৭.৫১:
ইয়াহিয়া—মালিক—নাফি থেকে।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর বললেন:
কোন ব্যক্তি যদি তার ক্রীতদাসকে বিবাহ করার অনুমতি দেয়, তবে তালাকের ভার থাকে ক্রীতদাসের হাতে। এ ব্যাপারে কারো কোন কিছু বলার অধিকার থাকবে না। এক ব্যক্তি যদি তার ক্রীতদাসের কন্যা অথবা তার ক্রীতদাসীর কন্যা নিয়ে নেয় তবে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না।

মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২৯.৩২.৯৯:
ইয়াহিয়া—মালিক—দামরা ইবনে সাইদ আল মাজনি—আল হাজ্জাজ ইবনে আমর ইবনে গাজিয়া থেকে:
উনি (অর্থাৎ আল হাজ্জাজ) জায়েদ ইবনে সাবিতের সাথে বসে ছিলেন। এই সময় ইয়ামান থেকে ইবনে ফাহদ আসলেন। ইবনে ফাহদ বললেন: “আবু সাইদ! আমার কাছে ক্রীতদাসী আছে। আমার কোন স্ত্রীই এই ক্রীতদাসীদের মত উপভোগ্য নয়। আমার স্ত্রীর কেউই এমন তৃপ্তিদায়ক নয় যে আমি তাদের সাথে সন্তান উৎপাদন করতে চাই। তা হলে কি আমি আমার স্ত্রীদের সাথে আজল করতে পারি?” জায়েদ ইবনে সাবিত উত্তর দিলেন: “হে হাজ্জাজ, আপনি আপনার অভিমত জানান”। আমি (অর্থাৎ হাজ্জাজ) বললাম: “আল্লাহ্‌ আপনাকে ক্ষমা করুন। আমরা আপনার সাথে বসি আপনার কাছে কিছু শিক্ষার জন্যে”। তিনি (অর্থাৎ জায়েদ) বললেন: “আপনার মতামত জানান”। আমি বললাম: “ঐ ক্রীতদাসী হচ্ছে তোমার ময়দান। তুমি চাইলে সেখানে পানি ঢাল অথবা তৃষ্ণার্ত রাখ। আমি এইই শুনেছি জায়েদের কাছ থেকে”। জায়েদ বললেন; “উনি সত্যি বলেছেন”।

২৩| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:২২

রুপবান বলেছেন: কোরান ও হাদীস গ্রন্থের পাতায় পাতায় অমুসলিম দের হত্যাকরে মুমিনের রাজত্ব কায়েম করার কথা বলা হয়েছে, অভিশপ্ত বলা হয়েছে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয়েছে, অপমানিত করা হয়েছে।। বিষয়গুলো কোরান-হাদীসে খুব স্পষ্ট এবং well documented. অস্বিকার করার কোন সুযোগ নেই।

"হে নবী! কাফের ও মুনাফেকদের বিরুদ্ধে জেহাদ করো এবং তাদের প্রতি কঠোর হন তাদের ঠিকানা জাহান্নাম"(আত তাহরিমঃ৯)

"তোমরা ততক্ষণ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে যতক্ষণ না আল্লাহ-র ধর্ম সামগ্রিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়" (আনফালঃ৩৮)

বলুন , আমি তোমাদেরকে বলি, তাদের মধ্যে কার মন্দ প্রতিফল রয়েছে আল্লাহর কাছে? যাদের প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, যাদের প্রতি তিনি ক্রোধাম্বিত হয়েছেন, যাদের কতককে বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছেন সুরা ৫:৬০

"তাদের অবস্থা কুকুরের মত,যাকে ক্লেশ দিলে জিহ্বা বের করে হাঁপাতে থাকে"; সুরা ৭:১৭৫

"অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু" সুরা ৯:৬

Bukhari (52:177) - Allah's Apostle said, "The Hour will not be established until you fight with the Jews, and the stone behind which a Jew will be hiding will say. "O Muslim! There is a Jew hiding behind me, so kill him."

Bukhari (52:256) - "The Prophet... was asked whether it was permissible to attack the pagan warriors at night with the probability of exposing their women and children to danger. The Prophet replied, "

Bukhari (52:220) - Allah's Apostle said... 'I have been made victorious with terror'


Muslim (1:33) - the Messenger of Allah said: I have been commanded to fight against people till they testify that there is no god but Allah, that Muhammad is the messenger of Allah



এ ধরনের আরো শতশত উদাহন কোরান ও হাদীস গ্রন্থে আছে, চাইলে আমি authentic সুরা/আয়াতের রেফারেন্স দিতে পারব। এরপরও কি বলবেন! কোরান-হাদীস অমুসলিমদের হত্যা করার কথা বলেনি?? তাহলে এটা বলা ভুল হবে না যে আজকের এমেরিকা, ইসরায়েল, ভারত, চীন, মায়ানমার ...... ইত্যাদি দেশ মুমিন মুসলমানদের যৌক্তিক কারনেই চরম শিক্ষা দিছ্ছে। নয় কি?

ইসলামের বিজ্ঞানী বহর প্রসঙ্গ ;

দেখুন, আপনি সে আমলের কিছু সলিমুদ্দি-কলিমুদ্দি মুসলিম বিজ্ঞানী জাহির করে পুরো বিজ্ঞান জগত কে ইসলামের নামে গিলে খেতে চান! অথচ সে আমলের প্রাচীন চীন, ভারত ও ইউরোপিয় বিজ্ঞানীদের তুলনায় মুসলমানরা এক্কেবারেই নৎসি। আর বিজ্ঞানের স্বর্নযুগ ১৭ শতক থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত রকেট সাইন্স, টিভি, কম্পিউটার, ফোন, চিককিৎসা বিজ্ঞান........এ গো-মুসলমানদের অবদান শুন্য, শুধুই শুন্য। আপনাকে বুঝতে হবে ইহুদী-নাসারা-নাস্তিক বিজ্ঞানীদের করুনা-ভিক্ষা'র কারনে বিভিন্ন ইসলামীক ওয়েব সাইটে তথাকথিত ইসলামী বিজ্ঞানের আবর্জানার দোকান খুলেছেন। বেশি না, আমাদের বিজ্ঞান-ব্যাবহার্য একটি মাত্র জিনিসের নাম বলুন তো যা মুসলিমরা আবিস্কার করেছে? চ্যালেঞ্জ দিলাম।

100 Scientists Who Shaped World History লিংকে যেয়ে দেখুন তো বাটি চালান দিয়ে কয়জন মুসলিম বিজ্ঞানী খুঁজে পাওয়া যায়? আবারো চ্যালেঞ্জ দিলাম। Click this link

মুসলমানদের মুনাজাত : শুধু একটি কথাই বলি, জেরুজালেম থেকে ইহুদী জাতি কে উছ্ছেদের জন্য গত ৭০ বছর ধরে মুসলমানরা তাদের কাবা ঘরে দুহাত তুলে মুনাজাত করেই যাছ্ছে। কিন্তু ফলাফল বিশাল গোল্লা, রসোগোল্লা। এরপর এই নিঃস্ফল মুনাজাত নিয়ে আর কিছু বলার দরকার আছে কি??

সবশেষে বলছি ; কওমী মাদ্রাসার এতিম-মিসকিনের এলেম দিয়ে গোমুর্খ আবর বেদুইনদের বুঝ দিতে পারবেন শুধু।

ধন্যবাদ।


২৪| ০৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

রুপবান বলেছেন: http://quransmessage.com/(7) Updates/hadith - bukhari FM2 - live.htm

২৫| ০৯ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

রুপবান বলেছেন:

কসম ঐ ঝঞ্ঝা বায়ূর। অতঃপর বোঝা বহনকারী মেঘের। অতঃপর মৃদু চলমান জলযানের। অতঃপর কর্ম বন্টনকারী ফেরেশতাগণের। সূরা- আস যারিয়াত-৫১: ০১-০৪, মক্কায় অবতীর্ণ।

আমি শপথ করি যেসব নক্ষত্রগুলো পশ্চাতে সরে যায়। চলমান হয় ও অদৃশ্য হয়, শপথ নিশাবসান ও প্রভাত আগমন কালের, নিশ্চয় কোরআন সম্মানিত রসূলের আনীত বাণী, সূরা-আত-তাকভীর-৮১:১৫-১৯ মক্কায় অবতীর্ণ।

শপথ সূর্যের ও তার কিরণের, শপথ চন্দ্রের যখন তা সূর্যের পশ্চাতে আসে, শপথ দিবসের যখন সে সূর্যকে প্রখরভাবে প্রকাশ করে, শপথ রাত্রির যখন সে সূর্যকে আচ্ছাদিত করে, শপথ আকাশের এবং যিনি তা নির্মাণ করেছেন, তাঁর। শপথ পৃথিবীর এবং যিনি তা বিস্তৃত করেছেন, তাঁর, সূরা-আস-সামস্-৯১:০১-০৬, মক্কায় অবতীর্ণ।

চন্দ্রের শপথ, শপথ রাত্রির যখন তার অবসান হয়, শপথ প্রভাতকালের যখন তা আলোকোদ্ভাসিত হয়, সূরা-আল মুদ্দাসসির-৭৪:৩২-৩৩, মক্কায় অবতীর্ণ।

এখানে আল্লাহ বায়ূ, মেঘ, জলযান, নক্ষত্র, সূর্য, চাঁদ এ সমস্ত জড়বস্তু ও ফেরেস্তাদের নামে কসম কাটছে। কী আজব কারবার! আল্লাহ তার কথা যে সত্য, তা প্রমাণ করার জন্য ওসব জড়বস্তুর কসম দিচ্ছে, তার সৃষ্ট ফেরেস্তাদের কসম দিচ্ছে। আর সে কসম দিচ্ছে তার কথা মানুষকে বিশ্বাস করানোর জন্য। তাহলে আল্লাহকেও কসম কাটতে হয় ঠগ বা প্রতারক বা মিথ্যাবাদী মানুষের মত, যারা কথায় কথায় আল্লা-খোদার কসম কাটে, যেন তাদের কথা মানুষ বিশ্বাস করে, যদিও খুব কম মানুষই এ ধরনের কসমকাটা মানুষদেরকে বিশ্বাস করে। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কখনো কসম কাটার দরকার পড়ে না। কারণ তার উর্ধ্বতন কেউ নেই, যার নামে কসম কাটা যায়। অধঃস্তনরাই তার ঊর্ধ্বতনের নামে কসম কাটে। যেমন সন্তানরা তার মা বাবার নামে কসম কাটে, মা-বাবা কসম কাটে আল্লাহর নামে। আল্লাহর কোন ঊর্ধ্বতন নেই, তাই তার কসম কাটারও কেউ নেই। সুতরাং ওপরোক্ত আয়াতসমূহের কসমকাটার ঘটনাগুলো যৌক্তিকভাবেই সর্বশক্তিমান আল্লাহর হতে পারে না।

২৬| ১১ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

রুপবান বলেছেন: কোরান: ৪:৮৯
তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না।

২৭| ১৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬

রুপবান বলেছেন: Sahih Muslim 4366 Narrated by Umar ibn al-Khattab. Umar heard the Messenger of Allah (peace be upon him) say: I will expel the Jews and Christians from the Arabian Peninsula and will not leave any but Muslims

Sahih Muslim 4363: "You (the Jews) should know that the earth belongs to Allah and His Apostle and I wish to expel you from this land (Arabia)

২৮| ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

রুপবান বলেছেন: পুজিছে গ্রন্থ ভণ্ডের দল! মূর্খরা সব শোনো
মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো।

২৯| ২৩ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৭:০২

রুপবান বলেছেন: [i]"ইসলাম ধর্ম নারীকে সর্বচ্ছ সম্মান দিয়েছে"[/i] এ ধরনের ভেগ(কুকথা) কথা বলে ইসলাম আসলে মুক্ত-স্বাধীন নারীসত্বা কেড়ে নিয়ে তাকে গৃহপালিত পশু-সম্পদে পরিনত করেছে। যে কারনে কোরান-হাদীসের কিছু সুরা-কেরাতে এই পশু সম্পদের প্রতি করুনা দেখাতে বলা হয়েছে। আর এই মধ্যযূগীয় ধর্মীয় করুনাকেই বর্তমান ইসলামিষ্টরা নারী মুক্তির সোপান মনে করে। বিষয়টি এখন "গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল" টাইপের ইসলামী বয়ান। যার মুলে রয়েছে মুমিন পুরুদের ট্রিলিয়ন বছরের বেহেস্তী শুখ-পুলক এর কল্পরাজ্য। যাক সে কথা।

ইসলামের মুলবাণীই হছ্ছে কোরান-হাদিসের প্রতি টোটাল সাবমিশন। এই সাবমিশনে চুল পরিমান বিচ্যুতির সুযোগ নেই। কিন্তু যুগের পরিবর্তনে কোরান হাদিসের মধ্যযুগীয় বয়ান মুখথুবড়ে পরে গেছে। অসহায় দাসীদের সাথে মোমিন পুরুষের অবাধ যৌনতা(নবী-সাহাবীদের লাইফ স্টাইল), যুদ্ধবন্ধী নারী গনিমত ধর্ষন, মুতাবিয়ে, হিল্লাবিয়ে, নাবালিকা মর্দন এবং যৌনাবেদনময়ী পুত্র বধুদের প্রতি মোমিনের ললুপ দৃষ্টি এখন আর চলে না। সাধারন চক্ষুলজ্জারও একটা ব্যপার আছে। যে কারনে চালাক/ধর্মবাজ ইসলামিষ্টরা ধানাইপানাই করে কোরান হাদিসের বয়ান কে লুকোতে চায়। যেমন আপনি বলছেন "হাদীস"-এর আসল নকল প্রসঙ্গ। আসলে নারী অবমাননা মুলক প্রত্তেকটি হাদিসই কিন্তু ইসলামের "সহিহ-হাদীস" এর অংশ, এটাই মুল ইসলাম। কিন্তু চালাক ইসলামবাজরা এখন এগুলো ছলে/বলে/কৌশলে এড়িয়ে যেতে চায়। সবার অবগতির জন্য নীচে হাদীসে রাসুলের কিছু সহিহ বয়ান দেয়া হল ।

তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না, ২৩:৬

সূরা ২ আয়াত ২৮২
"যদি দুইজন পুরুষ পাওয়া না যায় তবে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলাকে সাক্ষী হিসেবে মনোনীত করো"

সূরা ৪ আয়াত ৩৪
"পুরুষরা নারীদের অবলম্বন, যেহেতু আল্লাহ তাদের এক শ্রেনীকে অন্য শ্রেনীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। কাজেই সতীসাধ্বী নারীরা অনুগত, গোপনীয়তার রক্ষয়িত্রী। আর যে নারীদের ক্ষেত্রে তাদের অবাধ্যতা আশা করো, তাদের উপদেশ দাও, আর শয্যায় তাদের একা ফেলে রাখো, আর তাদের প্রহার করো।"

সহীহ বুখারি, হাদীস ৪৭২৪, ৮ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪০১
"কোন কিছুর মধ্যে যদি অপয়া থাকে তা হল বাড়ীঘর, স্ত্রীলোক এবং ঘোড়া"

“নারীতে নিহিত আছে যাবতীয় খারাপ" (Sahih Bukhari 4:52:110,

নারী শয়তানের প্রতিরূপ, যাদের দেখার সাথেই স্ত্রীর সাথে এসে যৌন সংসর্গ ক্রয়া উচিত" [Sahih Muslim 8:3240, 3242]”

"নারীরা বিশ্বাস ঘাতক" (Sahih Bukhari 4:55:547)

"নারী পুরুষের জন্যে ক্ষতিকারক" (Sahih Bukhari 7:62:33)

স্ত্রী-প্রহারকারী স্বামীদের কাছে কোনো জবাব চাওয়া হবে না (Abu Dawud

নারী খারাপ, নারী নিকৃষ্ট (Sahih Bukhari 9:88:219),

নারীতে নিহিত আছে যাবতীয় খারাপ (Sahih Bukhari 4:52:110, 4:52:111)

নারীরা বুদ্ধিহীন (Sahih Bukhari 2:24:541)

"অন্য স্ত্রীর সাথে যৌনসংসর্গের পুর্বে স্বামীকে প্রস্তুত করে দেওয়া সুন্নত" (Sahih Bukhari 1:5:270)

[b]সহিহ্‌ বোখারি ভলুম ৭ বই ৬২ হাদিস ১৩৭:[/b]
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:
এক জিহাদে আমরা শত্রুপক্ষের নারী বন্দি পেলাম। তারা আমাদের হাতে আসলে আমরা তাদের সাথে আজল করে সহবাস করলাম। এরপর আমরা রসুলুল্লাহকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: “তাই নাকি! তোমরা কি এরূপ করে থাক?” রসুলুল্লাহ তিনবার এই প্রশ্ন করলেন, এবং বললেন: “আখেরাত পর্যন্ত যত লোক সৃষ্টি হবে তাদের প্রত্যেকটি অবশ্য জন্মলাভ করবে”।


[u][b]সবচেয়ে মজার হাদীসটি এখানে দেখুন :[/b] [/u]

মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২.২৩.৯০:
ইয়াহিয়া—মালিক—নাফি থেকে। ইয়াহিয়া বললেন যে আবদুল্লাহ ইবনে উমরের ক্রীতদাসীরা তাঁর পা ধৌত করতো এবং তাঁর কাছে খেজুর পাতার তৈরি এক মাদুর নিয়ে আসত। সে সময় তারা ঋতুমতী ছিল।

মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল কোন এক ব্যক্তি গোসল করার আগেই কি তার সব ক্রীতদাসীদের সাথে যুগপৎ সহবাস করতে পারবে? তিনি (অর্থাৎ মালিক) উত্তর দিলেন যে গোসল ছাড়াই পরপর দুইজন ক্রীতদাসীর সাথে সহবাসে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু যখন কোন স্বাধীন স্ত্রীর সাথে সহবাসের দিন থাকবে সেদিন অন্য আর এক স্বাধীন স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম করা যাবে না। কিন্তু এক ক্রীতদাসীর সাথে যৌন সঙ্গমের পর সাথে সাথে অন্য ক্রীতদাসীর সাথে সহবাস করা আপত্তিকর নয়—যদিও তখন লোকটি জুনুব (সহবাসের পর তার কাপড়ে অথবা দেহে বীর্য ও অন্যান্য কিছু লেগে থাকা)।

এরপর মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল। এক ব্যক্তি সঙ্গম করল এবং জুনুব হয়ে গেল। তার কাছে পানি আনা হল গোসলের জন্য। সে ভুলে গেল গোসল করতে। পানি উত্তপ্ত না শীতল তা জনার জন্যে সে তার আঙ্গুল ডুবিয়ে দিল পানির মাঝে”। মালিক উত্তর দিলেন: “তার আঙ্গুলে যদি কোন ময়লা না থাকে তবে আমার মনে হয় না ঐ পানিকে দুষিত বলা যাবে”।

৩০| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:১০

রুপবান বলেছেন: বঙ্গানুবাদ: আবু সাদ খুদরি বর্ণিত - হুনায়নের যুদ্ধের সময় আমাদের কিছু সৈন্যকে আওতাসে প্রেরন করলেন ও সেখানে আমরা শত্রুদের পরাজিত করলাম ও বেশ কিছু নারী বন্দি করলাম। কিন্তু নবীর সাহাবিরা সেসব যুদ্ধ বন্দিনী নারীদের সাথে সেক্স করতে অনিচ্ছূক ছিল কারন তাদের স্বামীরা তখনও জীবিত ছিল। আর তখনই আল্লাহ নাজিল করল -তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম-----------( ৪: ২৪)। সহি মুসলিম, বই- ৮, হাদিস- ৩৪৩২

৩১| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:১১

রুপবান বলেছেন: উক্ত হাদিস থেকে মুতা বিয়ে ছাড়া আর একটা যে মারত্মক অমানবিক ব্যপার বেরিয়ে আসে তা হলো-

দেখুন , বন্দিনী নারীদের স্বামী জীবিত, তার পরেও আল্লাহ ও তার নবী বলছেন যে সাহাবীরা তাদের সাথে সেক্স করতে পারবে, বিয়ে ছাড়াই । তো এসব বন্দিনী নারীরা কি মহা আনন্দে সেই সব বিজয়ী সৈন্যদের সাথে সেক্স করবে ? কি মনে হয় ? তার অর্থ উক্ত হাদিস ও আয়াত দ্বারা আল্লাহ ও তার নবী বন্দিনী নারীদেরকে ধর্ষণ করতে বলছে। এটা কি পতিতাবৃত্তির চাইতেও মর্মান্তিক ও জঘন্য অমানবিক কাজ নয় ?

এখানে কিন্তু উল্লেখ্য, উক্ত ৪:২৪ আয়াতে সরাসরি ধর্ষণ শব্দটা নেই- অর্থাৎ আল্লাহ বলে নি যে - বন্দিনী নারী ধর্ষণ কর। কিন্তু ঘটনার প্রেক্ষিত ব্যখ্যা করলে বস্তুত: আল্লাহ ও তার নবী বন্দিনী নারীদেরকে ধর্ষণই করতে বলেছেন। সেটাই কি পরিস্কার নয় ?

৩২| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

রুপবান বলেছেন: আবু সাদ খুদরি বর্ণিত - হুনায়নের যুদ্ধের সময় নবি আমাদের কয়েকজনকে আওতাসের যুদ্ধ ক্ষেত্রে প্রেরন করেন এবং সেখানে আমরা যুদ্ধে জয়লাভ করে কিছু সংখ্যক নারীকে বন্দিনী করলাম। কিন্তু আমরা তাদের সাথে যৌন কাজ করতে অনিচ্ছুক ছিলাম কারন তাদের স্বামীরা তখনও জীবিত ছিল। আর তখনই আল্লাহ নাজিল করল - যারা তোমাদের দক্ষিন হস্তের মালিক হয়ে যায় , এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম( ৪: ২৪)। সহি মুসলিম , বই - ৮ , হাদিস - ৩৪৩২

খেয়াল করতে হবে ঠিক এ হাদিসটিই কিন্তু ইবনে কাথির তার তাফসিরে তুলে ধরেছেন। হুবহু এরকম আরও বহু হাদিস আছে যেখানে বলা হয়েছে যুদ্ধ বন্দিনী নারীদের সাথে সেক্স করা যাবে। অনেকে এ ব্যপারে বলতে পারে এটা সেই সময়ে চালু ছিল কিন্তু এখন চালু নেই। কথাটা সম্পূর্ন অসত্য। উক্ত আয়াতে বলছে এটা আল্লাহর হুকুম। সুতরাং এটা সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য। তার পরেও যদি পরে আল্লাহ এ হুকুম রদ করে দিত তাহলে এ সম্পর্কিত একটা আয়াত নাজিল করত। কিন্তু গোটা কোরানের কোথাও কিন্তু সেই রহিতকরনের আয়াত নেই যা দেখা যায় অন্য অনেক ক্ষেত্রেই। সুতরাং যারা বলে এটা সেই সময়ের প্রেক্ষিতে সঠিক ছিল কিন্তু এখন চালু নেই , তারা জেনে শুনে ঠান্ডা মাথায় মিথ্যা কথা বলে। অর্থাৎ এটা এখনো বহাল তবিয়তে চালু আছে , যদি কখনও মুসলমানরা কারও সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় ,তখন তারা এটার সদ্ব্যবহার করতে পারবে।

এখন প্রশ্ন হলো - বিজয়ী সৈন্যরা যখন বন্দিনী নারীদের সাথে যৌন কাজ করতে যাবে , উক্ত নারীরা নিশ্চয়ই স্বেচ্ছায় আনন্দ চিত্তে তাদের সাথে যৌন কাজ করতে চাইবে না। তার অর্থ তাদেরকে আসলে তখন জোর করতে হবে যার সোজা অর্থ হলো ধর্ষন করতে হবে। কেউ যদি এভাবে বলে যে - উক্ত ৪:২৪ আয়াতে বন্দিনী নারীদেরকে আল্লাহ ধর্ষন করতে বলছে , সাথে সাথে অনেকে বলে উঠবে , কোরানে তো কোথাও ধর্ষনের কথা বলা নেই। অথচ খেয়াল করুন প্রকৃত অবস্থা বিচার করলে বন্দিনী নারীকে ধর্ষনই করতে হবে। তার অর্থ- উক্ত ৪:২৪ নং আয়াতে আল্লাহ বন্দিনী নারীকে ধর্ষনই করতে বলছে। আর কি মর্মান্তিক ঘটনা লক্ষ্য করুন - উক্ত বন্দিনী নারীদের কারও কারও স্বামী বেচে আছে , তাদেরকেও ধর্ষন করতে বলছে। সেই সময়কার যুদ্ধ ক্ষেত্রের অবস্থা বিবেচনা করলে দেখা যাবে - হয়ত উক্ত বন্দিনী নারীদের পাশাপাশিই তাদের স্বামীদেরকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তার অর্থ অনেকটা প্রায় তাদের বন্দি স্বামী বা পিতা- ভাই - ছেলে- এর সামনেই বা পাশেই তাদেরকে ধর্ষন করতে বলছে আল্লাহ। বর্তমান কালে যাদের ন্যূনতম নৈতিকতা আছে , তারা কি এ ধরনের ধর্ষনকে কোন ভাবে মেনে নিতে পারে ? বলতে পারে এটা একটা ভাল কাজ ? তারা কি সবাই বলবে না এটা ভয়াবহ একটা বর্বর , নিষ্ঠুর ও জঘণ্য কাজ ?

অথচ কোরানের আল্লাহ সেই ভয়াবহ বর্বর , নিষ্ঠুর ও জঘন্য কাজের আদেশ দিচ্ছে মুসলমানদেরকে। এখানে খেয়াল করুন, উক্ত নারীরা কিন্তু কোন দোষ করেনি। তারা কিন্তু সম্পূর্নই নিরাপদ। দোষ যদি করে থাকে তাদের স্বামী বা পিতা বা ভাই এরা করতে পারে , তারা কিন্তু কোনই অপরাধ করে নি। কোন অপরাধ ছাড়াই কিন্তু তাদের ওপর এ ধরনের ভয়াবহ নির্মম ও বর্বর আচরন করতে বলছে কোরানের আল্লাহ। খেয়াল করুন এখানে কিন্তু বলছে না যে তাদেরকে বিয়ে করে অত:পর যৌন কাজ কর। তাহলেও কিন্তু কিছুটা মানবতা থাকত তাতে। কারন তাদের স্বামী বা আত্মীয় স্বজন যুদ্ধে মারা যাবার পর তারা অসহায় হয়ে পড়েছে তাই আল্লাহ বলছে তাদেরকে বিয়ে করে আশ্রয় দাও ও ভোগ কর। সেসবের কিন্তু কোন বালাই নেই এখানে। অর্থাৎ মানবতার ছিটে ফোটাও এখানে নেই। কোন কোন ক্ষেত্রে হয়ত অনেক মুসলমান তার ভাগে যে বন্দিনী নারীটা পড়েছে তাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছে কিন্তু সেটা সম্পূর্ন ব্যক্তিগত ঐচ্ছিক ব্যপার। সেটা কিন্তু বাধ্যতামূলক নয়।

তাহলে পরিশেষে যে প্রশ্ন গুলো অবধারিত ভাবে এসে পড়ে তা হলো --

ক) এ কেমন আল্লাহ যে ভয়াবহ নিষ্ঠুর , নির্মম, বর্বর ও জঘন্য মানবতাবিরোধী কাজের আদেশ দেয় ?
খ) এ কেমন আল্লাহ যে সম্পূর্ন বিনা দোষে অসহায় নারীদের ওপর এ ধরনের জঘন্য অত্যাচারের আদেশ দেয় ?
গ) আল্লাহ যদি পরম দয়ালু , ন্যায়বান , করুনার সাগর হয় , কোরানের আল্লাহকে কি আদৌ তা মনে হচ্ছে ? কোরানের আল্লাহকে কি মনে হচ্ছে না যে সে ভয়াবহ অমানবিক, নিষ্ঠুর , বর্বর , জঘন্য মানসিকতার একজন কেউ যার মনে দয়া মায়া বা ন্যয়ের ছিটে ফোটাও নেই ?
ঘ) এই যদি হয় বাস্তব পরিস্থিতি - এ আল্লাহ কি সত্যিকার আল্লাহ নাকি অন্য কেউ ?

এ বিষয়গুলো আমি এ ব্লগে আগত সকল মুমিন মুসলমানের কাছে রাখলাম। দয়া করে উত্তর দানে বাধিত করলে চিরকৃত

৩৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

রুপবান বলেছেন: Click This Link


Verse (67:30) - English Translation

Pickthall: Say: Have ye thought: If (all) your water were to disappear into the earth, who then could bring you gushing water?

৩৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

রুপবান বলেছেন: Chapter (67) sūrat l-mulk (Dominion)

Sahih International: Say, "Have you considered: if your water was to become sunken [into the earth], then who could bring you flowing water?"

Pickthall: Say: Have ye thought: If (all) your water were to disappear into the earth, who then could bring you gushing water?

Yusuf Ali: Say: "See ye?- If your stream be some morning lost (in the underground earth), who then can supply you with clear-flowing water?"

Shakir: Say: Have you considered if your water should go down, who is it then that will bring you flowing water?

Muhammad Sarwar: Say, "Have you not thought that if your water was to dry up, who would bring you water from the spring?"

Mohsin Khan: Say (O Muhammad SAW): "Tell me! If (all) your water were to be sunk away, who then can supply you with flowing (spring) water?"

Arberry: Say: 'What think you? If in the morning your water should have vanished into the earth, then who would bring you running water?'

৩৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪

রুপবান বলেছেন: [b]সহি মুসলিম, বই- ৮, হাদিস- ৩৪৩২
[/b]
আবু সাদ খুদরি বর্ণিত - হুনায়নের যুদ্ধের সময় আমাদের কিছু সৈন্যকে আওতাসে প্রেরন করলেন ও সেখানে [b]আমরা শত্রুদের পরাজিত করলাম ও বেশ কিছু নারী বন্দি করলাম।[/b] কিন্তু নবীর সাহাবিরা সেসব যুদ্ধ বন্দিনী নারীদের সাথে যৌনাচারে অনিচ্ছূক ছিল কারন তাদের স্বামীরা তখনও জীবিত ছিল। আর তখনই আল্লাহ নাজিল করল -তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম-----------( ৪: ২৪)।

[b]নোট[/b] : [i]সেই সময়কার যুদ্ধ ক্ষেত্রের অবস্থা বিবেচনা করলে দেখা যাবে - হয়ত উক্ত বন্দিনী নারীদের পাশাপাশিই তাদের স্বামীদেরকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তার অর্থ অনেকটা প্রায় তাদের বন্দি স্বামী বা পিতা- ভাই - ছেলে- এর সামনেই বা পাশেই তাদেরকে ধর্ষন করতে বলছে আল্লাহ। বর্তমান কালে যাদের ন্যূনতম নৈতিকতা আছে , তারা কি এ ধরনের ধর্ষনকে কোন ভাবে মেনে নিতে পারে ? বলতে পারে এটা একটা ভাল কাজ ? তারা কি সবাই বলবে না এটা ভয়াবহ একটা বর্বর , নিষ্ঠুর ও জঘণ্য কাজ ?
[/i]


[b]সহিহ্‌ বোখারি ভলুম ৭ বই ৬২ হাদিস ১৩৭:
[/b]
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:
[b]এক জিহাদে আমরা শত্রুপক্ষের নারী বন্দি পেলাম। তারা আমাদের হাতে আসলে আমরা তাদের সাথে আজল করে সহবাস করলাম।[/b] এরপর আমরা রসুলুল্লাহকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: তাই নাকি! তোমরা কি এরূপ করে থাক? রসুলুল্লাহ তিনবার এই প্রশ্ন করলেন, এবং বললেন: আখেরাত পর্যন্ত যত লোক সৃষ্টি হবে তাদের প্রত্যেকটি অবশ্য জন্মলাভ করবে।

৩৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০৭

রুপবান বলেছেন: “হে নবী! কাফের ও মুনাফেকদের বিরুদ্ধে জেহাদ করো এবং তাদের প্রতি কঠোর হন তাদের ঠিকানা জাহান্নাম”। (আত তাহরিমঃ৯)
“অবিশ্বাসীগণ ( কোরআন আল্লাহ্‌ ও নবীতে) তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু”! ( নিসাঃ১১১)
“তোমরা ততক্ষণ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে যতক্ষণ না আল্লাহ-র ধর্ম সামগ্রিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়”। (আনফালঃ৩৮)

৩৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৫

রুপবান বলেছেন: করিমের কলম আছে, মহিমের মলম আছে, জুলেখার কৈ আছে, সুলেখার মই আছে([b]মালেকিন নাস, এলাহিন নাস, খান্নাস...........)[/b] এ ধরনের অর্থহীন চটি কবিতা ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকেও কেউ কিনে না।


একটি মধ্যযূগীয় পুস্তক কতটা হাস্যকর দেউলিয়া হলেই কেবল নিজেকে বিজ্ঞান দাবি করতে পারে!

[i]"তিনিই একজন যিনি নিদ ও রাত সৃষ্টি করেছেন, সুর্য ও চন্দ্র সৃষ্টি করেছেন, প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমন করছে।" (সূরা আম্বিয়া:৩৩)[/i] সুর্য, চন্দ্র যে আকাশে সাঁতার কাটে এ ধরনের [b]"লে-ম্যান-অবজারভেশন"[/b] কোরান পয়দা হওয়ার বহু আগে বাংলাদেশে নৌকার মাঝিদেরও জানা ছিল। জমিনে দাড়িয়ে খলি চোখে দেখা চাঁদ/সুরুজের আকাশে "ভেসেথাকা/সাঁতারকাটা" নিয়ে মহা বিজ্ঞান কোরান এত কথা বলেছে!! অথচ পৃথিবী যে আকাশে হেলেদুলে ঘুড়ছে- এই ছোট্ট কথাটি আল কোরানের কোথাও বলা নেই। আসলে চাঁদ-সুরুজ যে আকাসে ভেসে বেড়ায় তা সে সময়ে একটা পাগলেরও জানা ছিল। [u][b]কিন্তু বিজ্ঞানহীন মোহাম্মদের পক্ষে কখনো জানা সম্ভব ছিল না যে পৃথিবীও আকাশে ভেসে বেড়ায়, যে কারনে সেই কথা কোরানের কোথাও নেই। [/b][/u]

[b]পাখির ডিম(আন্ডা) প্রসঙ্গ ;[/b]

আপনি কোরানে আন্ডা পাইলেন কই?? আল কোরানের অর্থ বিকৃতি করে বিজ্ঞানী হওয়ার খায়েস নয় তো?? [b]জোকার নায়েকের যতসব কুবুদ্ধি[/b]

এখন দেখা যাক বিভিন্ন অনুবাদক (সূরা নাযিয়াত:৩০) এর কি অনুবাদ করেছেন, [u]দেখাযাক কোন আন্ডার সন্ধান পাওয়া যায় কিনা!!! : [/u]

Generally Accepted Translations of the Meaning
Muhammad Asad And after that, the earth: wide has He spread its expanse, zoom
M. M. Pickthall And after that He spread the earth, zoom
Shakir And the earth, He expanded it after that. zoom
Yusuf Ali (Saudi Rev. 1985) And the earth, moreover, hath He extended (to a wide expanse); zoom
Yusuf Ali (Orig. 1938) And the earth, moreover, hath He extended (to a wide expanse); zoom
Dr. Laleh Bakhtiar And, after that, He spread out the earth. zoom
Wahiduddin Khan and the earth which He spread out, zoom
T.B.Irving and the earth has He spread out besides, zoom
[Al-Muntakhab] and the earth did He prepare for life at a later date.* zoom
[Progressive Muslims] And the land after that He spread out. zoom
Abdel Haleem and the earth, too, He spread out, zoom
Abdul Majid Daryabadi And the earth!- thereafter He stretched it out. zoom
Ahmed Ali And afterwards spread out the earth. zoom
Aisha Bewley After that He smoothed out the earth zoom
Ali Ünal And after that He has spread out the earth in the egg-shape (for habitability). zoom
Ali Quli Qara'i and after that He spread out the earth, zoom
Hamid S. Aziz And after that He expanded (spread) the earth. zoom
Muhammad Mahmoud Ghali And the earth, after that He flattened it (for life). zoom
Muhammad Sarwar After this, He spread out the earth, zoom
Muhammad Taqi Usmani and, after that, He spread out the earth. zoom
Shabbir Ahmed And after that He made the earth shoot out from the Cosmic Nebula and made it spread out egg-shaped. ('Dahaha' entails all the meanings rendered (21:30), (41:11)). zoom
Syed Vickar Ahamed And more, He has extended the earth (far and wide also in the shape of an egg): zoom
Umm Muhammad (Sahih International) And after that He spread the earth. zoom
Farook Malik After that He spread out the earth, zoom
Dr. Munir Munshey And after that, He spread out the earth. zoom
Dr. Mohammad Tahir-ul-Qadri And He is the One Who, later, (after the creation of the planet sun) separated (from it) the earth, flung it with centrifugal force (and spread its expanse to make it inhabitable). zoom
Dr. Kamal Omar And the earth, after this stage, He gave it an oval form. zoom
Talal A. Itani (new translation) And the earth after that He spread. zoom
Bilal Muhammad (2013 Edition) And the earth, moreover, has He extended. zoom
Maududi and thereafter spread out the earth, zoom

Controversial, deprecated, or status undetermined works
Bijan Moeinian Look at the earth which He has spread. zoom
Faridul Haque And after it spread out the earth. zoom
Hasan Al-Fatih Qaribullah And the earth He extended after that; zoom
Maulana Muhammad Ali And the earth, He cast it after that. zoom
Muhammad Ahmed - Samira And the earth/Planet Earth after that He blew and stretched/spread it. zoom
Sher Ali And the earth, along with it, HE has spread forth. zoom
Rashad Khalifa He made the earth egg-shaped. zoom
Ahmed Raza Khan (Barelvi) And after it spread out the earth. zoom
Amatul Rahman Omar And along with it He hurled the earth away (from a bigger mass) and spread it forth. zoom
Muhsin Khan & Muhammad al-Hilali And after that He spread the earth; zoom

Non-Muslim and/or Orientalist works
Arthur John Arberry and the earth-after that He spread it out, zoom
Edward Henry Palmer and the earth after that He did stretch out. zoom
George Sale After this, He stretched out the earth, zoom
John Medows Rodwell And afterwards stretched forth the earth, - zoom
N J Dawood (draft) After that He spread the earth, zoom

New and/or Partial Translations, and works in progress
Sayyid Qutb After that He spread out the earth. zoom
Torres Al Haneef (partial translation) And the earth -- after that He spread it out. zoom
Sayyed Abbas Sadr-Ameli And the earth, after that He spread it out; zoom


[u][b]তদ্রুপ ধার কার আলো পাইলেন কই?? (সূলা ফুরকান:৬১)[/b][/u]

এখন দেখা যাক বিভিন্ন অনুবাদক (সূরা ফুরকান:৬১) এর কি অনুবাদ করেছেন ;

Generally Accepted Translations of the Meaning
Muhammad Asad HALLOWED is He who has set up in the skies great constellations, and has placed among them a [radiant] lamp and a light-giving moon. zoom
M. M. Pickthall Blessed be He Who hath placed in the heaven mansions of the stars, and hath placed therein a great lamp and a moon giving light! zoom
Shakir Blessed is He Who made the constellations in the heavens and made therein a lamp and a shining moon. zoom
Yusuf Ali (Saudi Rev. 1985) Blessed is He Who made constellations in the skies, and placed therein a Lamp and a Moon giving light; zoom
Yusuf Ali (Orig. 1938) Blessed is He Who made constellations in the skies, and placed therein a Lamp and a Moon giving light; zoom
Dr. Laleh Bakhtiar Blessed be He Who made constellations in the heaven and made in it a light-giving lamp and an illuminating moon. zoom
Wahiduddin Khan Exalted is He who put constellations in the heavens, a radiant lamp and an illuminating moon zoom
T.B.Irving Blessed is the One Who has placed constellations in the sky and set a beacon in it, plus a shining moon! zoom
[Al-Muntakhab] Praise be to Him and extolled are His glorious attributes Who installed in the heavens a belt of the celestial sphere divided into twelve equal Parts - signs of the Zodiac*- through one of which the sun passes each month (the belt extends 8 or 9 degrees on both sides of the ecliptic within which the apparent motions of the sun, moon and principle planets take place). He installed therein a lamp, the sun glowing for illumination and a moon earth's satellite dispersing light to dispel the darkness of the night zoom
[Progressive Muslims] Blessed is the One Who made towers in the universe and He made in it a beacon and a shining moon. zoom
Abdel Haleem Exalted is He who put constellations in the heavens, a radiant light, and an illuminating moon- zoom
Abdul Majid Daryabadi Blest be He Who hath placed big stars in the heaven, and hath placed therein a lamp and a moon enlightening. zoom
Ahmed Ali Blessed is He who placed in the heavens constellations of stars, and placed a burning lamp in it and the luminous moon. zoom
Aisha Bewley Blessed be He who placed constellations in the sky and put a blazing lamp and shining moon among them. zoom
Ali Ünal Blessed and Supreme is He Who has set in the sky great constellations, and placed in it a (great, radiant) lamp and a shining moon. zoom
Ali Quli Qara'i Blessed is He who appointed houses in the sky and set in it a lamp and a shining moon. zoom
Hamid S. Aziz Blessed be He who placed in the heavens mansions (constellations) of stars, and has placed therein a great lamp and an illuminating moon! zoom
Muhammad Mahmoud Ghali Supremely Blessed is He Who has made in the heaven constellations, and He has made therein a luminary and an enlightening moon. zoom
Muhammad Sarwar Blessed is He who has established constellations in the sky and made therein a lamp and a shining moon. zoom
Muhammad Taqi Usmani Glorious is the One who made stellar formations in the sky, and placed therein a lamp (i.e. the sun) and a bright moon. zoom
Shabbir Ahmed Blessed is He (the Beneficent) Who set up in the sky great constellations, and put therein a radiant Lamp, and a Moon giving light. zoom
Syed Vickar Ahamed He is the blessed (One) Who made groups of stars in the skies, and placed a Lamp in there and a Moon giving light; zoom
Umm Muhammad (Sahih International) Blessed is He who has placed in the sky great stars and placed therein a [burning] lamp and luminous moon. zoom
Farook Malik Blessed is the One Who has decked the sky with constellations and placed in it a lamp and a shining moon. zoom
Dr. Munir Munshey Blessed is He Who created fortified spheres in the heavens and placed (in one of them) the great lamp _ (the sun) _ and the luminous moon. zoom
Dr. Mohammad Tahir-ul-Qadri Most Blessed and Most Glorified is He Who made vast mansions of heavenly spheres (in the form of galaxies) in the heavenly cosmos and made (the sun) in it a (light-generating and heat-emitting) lamp and a shining moon (in the solar system). zoom
Dr. Kamal Omar Blessed became He Who has set buruj in the heaven and has placed therein an emitting light and a moon that gives light. zoom
Talal A. Itani (new translation) Blessed is He who placed constellations in the sky, and placed in it a lamp, and an illuminating moon. zoom
Bilal Muhammad (2013 Edition) Blessed is He Who made constellations in the skies, and placed therein a lamp and a moon giving light, zoom
Maududi Highly blessed is He, Who has made fortified spheres in the heavens and has set in it a "lamp" and a shining moon. zoom

Controversial, deprecated, or status undetermined works
Bijan Moeinian Highly blessed is the One Who has placed the planets in the space and within them He has placed the burning light and shingling moo zoom
Faridul Haque Most Auspicious is He Who created lofty towers in the sky and placed a lamp in it, and the luminous moon. zoom
Hasan Al-Fatih Qaribullah Blessed be He who has set the constellations in the heaven, and set amongst them a sun, and an illuminating moon. zoom
Maulana Muhammad Ali Blessed is He Who made the stars in the heavens and made therein a sun and a moon giving light! zoom
Muhammad Ahmed - Samira Blessed (is) who made/put in the sky/space constellations and He made/put in it a lamp (light) and a luminous moon . zoom
Sher Ali Blessed is HE Who has made in the heaven mansions of stars and has placed therein a Lamp producing light and a moon that reflects light. zoom
Rashad Khalifa Most blessed is the One who placed constellations in the sky, and placed in it a lamp, and a shining moon. zoom
Ahmed Raza Khan (Barelvi) Most Auspicious is He Who created lofty towers in the sky and placed a lamp in it, and the luminous moon. zoom
Amatul Rahman Omar Blessed is He Who has placed stars in the heaven and has set in it the glowing sun (that produces light) and the glittering moon (that reflects light). zoom
Muhsin Khan & Muhammad al-Hilali Blessed be He Who has placed in the heaven big stars, and has placed therein a great lamp (sun), and a moon giving light. zoom

Non-Muslim and/or Orientalist works
Arthur John Arberry Blessed be He who has set in heaven constellations, and has set among them a lamp, and an illuminating moon. zoom
Edward Henry Palmer Blessed be He who placed in the heavens zodiacal signs, and placed therein the lamp and an illuminating moon! zoom
George Sale Blessed be He who hath placed the twelve signs in the heavens; and hath placed therein a lamp by day, and the moon which shineth by night! zoom
John Medows Rodwell Blessed be He who hath placed in the Heaven the sign of the Zodiac! who hath placed in it the Lamp of the Sun, and the light-giving Moon! zoom
N J Dawood (draft) Blessed be He who decked the sky with constellations and set in it a lamp and a shining moon. zoom

New and/or Partial Translations, and works in progress
Sayyid Qutb Blessed is He who has set up in the skies great constellations, and has placed among them a lamp and a light-giving moon. zoom
Sayyed Abbas Sadr-Ameli Blessed is He Who has set in heaven constellations, and has set therein a lamp (the sun) and the moonilluminating. zoom

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.