![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘আল্লাহ দুই ব্যক্তির মাঝে আরেকটি কাহিনীর অবতারণা করেছেন: তাদের একজন ক্ষমতাহীন ও বোবা, যে তার প্রভুর উপর এক ক্লান্তিকর বোঝা; যেভাবেই তাকে চালনা করা হোক না কেনো, সে কোনোই কাজে আসে না: এরূপ মানুষ কি তার মতোই, যিনি ন্যায়বান ও সঠিক পথের অনুসারী? (কোরান ১৬:৭৬)
তোমরা কি তোমাদের দক্ষিণ হস্তের মালিকানাধীন লোকদেরকে (অর্থাৎ ক্রীতদাস বা বন্দি) আমাদের প্রদত্ত সম্পদের সমঅংশীদারী করবে? তোমরা কি তাদেরকেও সেরূপ ভয় করবে, যেমন ভয় করো পরস্পরকে? (কোরান ৩০:২৮)
জীবনধারনের নিমিত্তে আল্লাহ তোমাদের কারো কারো উপর অন্যদের তুলনায় অধিক মুক্তহস্তে তাঁর উপহার বা প্রতিদান বর্ষণ করেছেন। অধিক আনুকূল্যপ্রাপ্তরা তাদেরকে দেওয়া সে উপহার তাদের দক্ষিণ হস্তে ধারণকৃতদের (দাসদের) উপর বর্ষণ করবেনা, যাতে তারা এক্ষেত্রে সমপর্যায়ের হতে পারে। তারা কি আল্লাহর আনুকূল্য অস্বীকার করবে? (কোরান ১৬:৭১)
তারা তাদের গোপনাঙ্গকে রক্ষা করবে, তবে তাদের স্ত্রীদের ও দক্ষিণ হস্তের মালিকানাধীনদের (ক্রীতদাসীদের) বাদ দিয়ে−এদের সাথে (যৌন-সহবাসে) দোষের কিছু নেই। (কোরান ২৩:৫-৬)
২| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৩৫
রুপবান বলেছেন: Freeing of Slaves Discouraged by Muhammad
Narrated Kurib: the freed slave of Ibn 'Abbas, that Maimuna bint Al-Harith told him that she manumitted a slave-girl without taking the permission of the Prophet. On the day when it was her turn to be with the Prophet, she said, "Do you know, O Allah's Apostle, that I have manumitted my slave-girl?" He said, "Have you really?" She replied in the affirmative. He said, "You would have got more reward if you had given her (i.e. the slave-girl) to one of your maternal uncles."
৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬
রুপবান বলেছেন: Abu Sa'id al-Khudri reported that at the Battle of Hunain Allah's Messenger sent an army to Autas and encountered the enemy and fought with them. Having overcome them and taken them captives, the Companions of Allah's Messenger seemed to refrain from having intercourse with captive women because of their husbands being polytheists. Then Allah, Most High, sent down regarding that:" And women already married, except those whom your right hands possess (Quran 4:. 24)" (i. e. they were lawful for them when their 'Idda period came to an end).
৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২৫
রুপবান বলেছেন: দাসপ্রথায় লিপ্ত হতে মুসলিমদেরকে বারংবার স্মরণ করিয়ে দিতে আল্লাহ শুধু প্রাণান্তই হননি, কীভাবে অবিশ্বাসীদেরকে দাস করতে হবে সে ব্যাপারে নবি মুহাম্মদকে পরিচালনারও উদ্যোগ নিয়েছেন। যেমন নিচের আয়াতে আল্লাহ বলেন:
এবং তিনি (আল্লাহ) ধর্মগ্রন্থের সেসব লোকদেরকে (বানু কোরাইজা ইহুদি) বের করে এনেছেন, যারা তাদের ঘাঁটিতে বসে থেকে তাদেরকে (কোরাইশ) সহায়তা করেছিল, এবং আতঙ্ক ঢুকিয়ে দিয়েছেন তাদের প্রাণে। (তাদের) কিছু সংখ্যককে (বয়স্ক পুরুষ) তোমরা বধ করেছো, কিছু সংখ্যককে (নারী ও শিশু) করেছো বন্দি… (কোরান ৩৩:২৬-২৭)
এ আয়াতটিতে আল্লাহ বানু কোরাইজা ইহুদিদেরকে নিজস্ব বস্তির মধ্যে বসে থেকেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে মক্কার কোরাইশদেরকে সমর্থন করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। এ অবান্তর অভিযোগের ভিত্তিতে আল্লাহ অনুমোদন দেন: ইহুদি গোত্রটির বয়স্ক পুরুষদেরকে হত্যা করতে হবে এবং অবশিষ্ট নারী ও শিশুদের ক্রীতদাস বানাতে হবে। নবি যথাযথরূপে সে আদেশ পালন করেন এবং তাঁর অনুসারীদের মাঝে ক্রীতদাসকৃত নারী ও শিশুদেরকে বিতরণ করে দেন ও এক-পঞ্চমাংশ নিজের ভাগ হিসেবে রাখেন। বন্দি নারীদের মধ্যে যারা তরুণী ও সুন্দরী তাদেরকে যৌনদাসী করা হয়। নবি নিজে যৌনদাসী হিসেবে ১৭-বছর-বয়স্কা সুন্দরী রায়হানাকে গ্রহণ করেন, যার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা সে হত্যাকাণ্ডে নিহত হয়েছিল, এবং সে রাতেই তিনি তাকে বিছানায় নেন যৌন-সহবাসে লিপ্ত হতে।[৪]
ঐ বছরই খাইবার ও বানু মুস্তালিকের ইহুদিদেরকে আক্রমণ ও পরাজিত করার পর মুহাম্মদ তাদের নারী ও শিশুদেরকে ক্রীতদাসরূপে উঠিয়ে নিয়ে যান। অন্যান্য অনেক আক্রমণে নবি ও তাঁর অনুসারীরা পরাজিতদের নারী ও শিশুদেরকে একইভাবে ক্রীতদাসরূপে কব্জা করেছিল। সুতরাং অবিশ্বাসীদের উপর নিষ্ঠুর আক্রমণ চালিয়ে পরাজিত করার পর তাদের নারী ও শিশুদেরকে ক্রীতদাসকরণ মুহাম্মদের যুদ্ধের মডেল বা আদর্শ কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়, যা উপরোক্ত আল্লাহর নির্দেশের বাস্তবায়ন মাত্র। নবি কিছু ক্রীতদাসকে বিক্রি করেছিলেন এবং তাদের কিছু সংখ্যককে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য জিম্মি হিসেবে ব্যবহার করতেন। নারী বন্দিদের মধ্যে সুন্দরী যুবতীরা যৌনদাসী হতো।
ইসলামি চিন্তা-চেতনায় খাঁটি মুসলিম জীবনের কেন্দ্রীয় বিষয় যেহেতু তাদের কর্ম ও কৃতিত্বে মুহাম্মদের সমকক্ষ হওয়ার প্রয়াস, সে কারণে মুসলিমরা যথার্থরূপেই তাঁর দাসপ্রথা চর্চার এ মডেলকে (ক্রীতদাসকরণ, দাস-বাণিজ্য ও দাস-উপপত্নীকরণ) আঁকড়ে ধরে থেকেছে; এবং এ প্রক্রিয়া পরবর্তী শতাব্দীগুলোত ইসলামিক শাসনাধীনে চিরন্তনরূপে বহাল থাকে। খাইবার বা বানু কুরাইজার সঙ্গে যুদ্ধে মুহাম্মদের আচরণ ক্রীতদাস আটককরণের মানদণ্ডে পরিণত হয়। এবং সেটাই মধ্যযুগের ইসলামি রাজত্বে ক্রীতদাসকরণ, যৌনদাসীত্ব ও দাস-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসারের জন্য দায়ী। মুহাম্মদের মৃত্যুর পর মুসলিমরা কোরান ও সুন্নতের অনুমোদন-অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইসলামের প্রসার ও শাসন সম্প্রসারণে বিশ্বজয়ের নিমিত্তে পবিত্র ধর্মযুদ্ধের এক লাগামহীন কর্মকাণ্ড শুরু করে। আরবাঞ্চলে ইসলামের বিস্ফোরণ ঘটার সাথে সাথে মুসলিম হানাদাররা পরাজিত অবিশ্বাসীদের নারী ও শিশুদেরকে ব্যাপক সংখ্যায় ক্রীতদাসরূপে আটক করণে দক্ষ হয়ে উঠে।
ইসলামি চিন্তাধারায় (ইতিমধ্যেই উল্লেখিত) ইসলাম-অতীত ও ইসলাম-বহির্ভূত সভ্যতা হলো ‘জাহিলিয়া’ বা ভ্রান্ত প্রকৃতির, যা ইসলামের আগমনে অকার্যকর ও বাতিল হয়ে গেছে। ইসলাম একমাত্র সত্যধর্ম হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কেবলমাত্র মুসলিমরাই প্রকৃত সত্যের অধিকারী। তাদের চিন্তায়, বার্নার্ড লুইস উল্লেখ করেছেন,
‘ইসলামের সীমানা ও ধর্মের বাইরের জগতে কেবল বিধর্মী ও বর্বররাই বসবাস করতো। তাদের কেউ কেউ কোনো প্রকারের ধর্ম ও সভ্যতার একটি আভার অধিকারী ছিল; অবশিষ্ট বহু-ঈশ্বরবাদী ও পৌত্তলিকদেরকে প্রধানত ক্রীতদাসের উৎসরূপে দেখা হয়।’[৫]
মুসলিমরা এত বেশি পরিমাণে মানুষকে ক্রীতদাস বানিয়েছে যে, দাস-ব্যবসা একটা বিস্ফোরিত ব্যবসায়িক উদ্যোগে পরিণত হয়: মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র বাজারগুলো দাসে ভরে উঠে। সুতরাং, লিখেছেন অধ্যাপক লাল:
‘ব্যাপকহারে দাস-বাণিজ্যের সৃষ্টি ও মুনাফার উদ্দেশ্যে অন্যান্য ব্যবসার মতো দাস-ব্যবসা চালিত করার কৃতিত্ব ইসলামেরই।’[৬]
৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
রুপবান বলেছেন: সহিহ্ মুসলিম, বই ৮ হাদিস ২৩৪৯:
জাবির বিন আবদুল্লাহ বর্ণনা করেছেন:
"আমরা চুক্তি করে (মুতা) বিয়ে করতাম কয়েক মুঠো আটার বিনিময়ে। ঐ সময় আল্লাহ্র রসুল আমাদের মাঝে জীবিত ছিলেন..................।"
সহিহ্ বোখারি ভলুম ৭ বই ৬২ হাদিস ১৩৭:
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:
এক জিহাদে আমরা শত্রুপক্ষের নারী বন্দি পেলাম। তারা আমাদের হাতে আসলে আমরা তাদের সাথে আজল করে সহবাস করলাম। এরপর আমরা রসুলুল্লাহকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: “তাই নাকি! তোমরা কি এরূপ করে থাক?” রসুলুল্লাহ তিনবার এই প্রশ্ন করলেন, এবং বললেন: “আখেরাত পর্যন্ত যত লোক সৃষ্টি হবে তাদের প্রত্যেকটি অবশ্য জন্মলাভ করবে”।
মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২.২৩.৯০:
ইয়াহিয়া—মালিক—নাফি থেকে। ইয়াহিয়া বললেন যে আবদুল্লাহ ইবনে উমরের ক্রীতদাসীরা তাঁর পা ধৌত করতো এবং তাঁর কাছে খেজুর পাতার তৈরি এক মাদুর নিয়ে আসত। সে সময় তারা ঋতুমতী ছিল।
মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল কোন এক ব্যক্তি গোসল করার আগেই কি তার সব ক্রীতদাসীদের সাথে যুগপৎ সহবাস করতে পারবে? তিনি (অর্থাৎ মালিক) উত্তর দিলেন যে গোসল ছাড়াই পরপর দুইজন ক্রীতদাসীর সাথে সহবাসে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু যখন কোন স্বাধীন স্ত্রীর সাথে সহবাসের দিন থাকবে সেদিন অন্য আর এক স্বাধীন স্ত্রীর সাথে যৌন সঙ্গম করা যাবে না। কিন্তু এক ক্রীতদাসীর সাথে যৌন সঙ্গমের পর সাথে সাথে অন্য ক্রীতদাসীর সাথে সহবাস করা আপত্তিকর নয়—যদিও তখন লোকটি জুনুব (সহবাসের পর তার কাপড়ে অথবা দেহে বীর্য ও অন্যান্য কিছু লেগে থাকা)।
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭
রুপবান বলেছেন: করতে থাকে,এক সময় আল্লাহ অনুমতি দিলে পরদিন সকালে সে আবার পূর্ব দিকে উদিত হয়। বিস্তারিত এখানে
আবু হোরায়রা হইতে বর্ণিত, তিনি(নবী) বলেন, রোজ কিয়ামতের দিন চন্দ্র-সূর্যকে সংকুচিত করা হইবে (অর্থাৎ চন্দ্র সূর্যকে সেইদিন নিস্প্রভ করে দেওয়া হইবে)।সহি বুখারী, বই-৫৪, হাদিস-৪২২
এখন বিজ্ঞানীদের বক্তব্য হলো কমপক্ষে আরও ৫০০ কোটি বছর সূর্য্য সহি সালামতে বেঁচে থাকবে। তার অর্থ আগামী ৫০০ কোটি বছরের মধ্যে কেয়ামত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।অথচ মোহাম্মদ সেই ১৪০০ বছর আগেই যে কোন সময় কেয়ামতের ভয়ে ভীত থাকতেন সব সময়, যেমন-
আয়শা হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুজুরের অভ্যাস ছিল, যখন আসমানে তিনি মেঘ দেখিতেন, তখন একবার সম্মুখে অগ্রসর হইতেন, আবার পিছনে হটিয়া আসিতেন। কখনও ঘরে ঢুকিতেন আবার বাহিরে আসিতেন এবং তার চেহারা বিবর্ণ হইয়া যাইত।পরে আসমান বৃষ্টি বর্ষণ করিলে তাঁহার এই অবস্থার সমাপ্তি ঘটিত। আয়শা এই অবস্থা সম্পর্কে তাঁহার সহিত আলোচনা করিলে হুজুর বলিলেন, জানি না গজবের মেঘ দেখিয়া আদ জাতি যে উক্তি করিয়াছিল এই মেঘ তদ্রুপ গজবের মেঘও তো হইতে পারে।সহি বুখারী, বই-৫৪, হাদিস-৪২৮
অর্থাৎ সূর্য্য বা চাঁদ কতদিন ঠিকমতো টিকে থাকবে সে সম্পর্কে মোহাম্মদের কোন ধারণা ছিল বলে মনে হয় না।ধারণা থাকার কথাও না, কারন তাঁর তো বিশ্বাস ছিল সূর্য্য ও চাঁদ কে আল্লাহ আকাশে আলো দেয়ার জন্য স্থাপন করে দিয়েছে,আল্লাহ যে কোন সময় তাদেরকে নিভিয়ে দিতে পারে।
আবু হোরায়রা হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুযুর বলিয়াছেন, দোজখ তাহার প্রভুর কাছে অভিযোগ করে এবং বলে, হে মাবুদ! আমার এক অংশ অপর অংশকে খাইয়া ফেলিয়াছে। তখন আল্লাহতালা তাহাকে দুইটি নি:শ্বাস ছাড়িবার অনুমতি দেন। একটি নি:শ্বাস ছাড়িবার অনুমতি দেন শীতকালে ও অপরটি গ্রীষ্মকালে। সুতরাং তোমরা যে শীতের তীব্রতা ও গ্রীষ্মের প্রচন্ডতা অনুভব করা তাহা ঐ নি:শ্বাসের ফল।সহি বুখারী, বই-৫৪, হাদিস-৪৮২
সুতরাং আমরা শীতে যে ঠান্ডা অনুভব করি আর গ্রীষ্মকালে গরম অনুভব করি তা আসলে দোজখের শ্বাস নি:শ্বাস গ্রহন ও ত্যাগের কারনে। শ্বাস গ্রহণ করলে শীতের ঠান্ডা ও প্রশ্বাস ছাড়লে দোজখের আগুন বাইরে বেরিয়ে আসে যে কারনে গ্রীষ্মকাল আসে ও আমরা গরম অনুভব করি। এ থেকে এটাও বোঝা যায় যে দোজখ পৃথিবী থেকে খুব বেশী দুরে নয়।
আবু জামরাহ জুবাই হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মক্কায় ইবনে আব্বাস এর নিকট বসিতাম। একদিন আমি জ্বরে আক্রান্ত হইলাম, তখন ইবনে আব্বাস বলিলেন, তোমার শরীরের জ্বর যমযমের পানি দ্বারা শীতল কর। কেননা হুযুর বলিয়াছেন, জ্বর দোজখের তেজ হইতেই হইয়া থাকে। তাই তাহা পানি দ্বারা কিংবা বলিয়াছেন যমযমের পানি দ্বারা শীতল কর।সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৪৮৩
আয়শা হইতে বর্ণিত,জ্বরের তাপ দোজখের তাপ হইতেই আসে, তাই তা পানি দ্বারা ঠান্ডা করতে হয়।সহি বুখারি হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৪৮৫
ইবনে ওমর হইতে বর্ণিত, হুযুর বলিয়াছেন, জ্বরের তাপ আসে দোজখের তাপ হইতে।তাই তা পানি দিয়ে প্রশমন কর। সহি বুখারী হাদিস , বই-৫৪, হাদিস-৪৮৬
সুতরাং বোঝা গেল চিকিৎসা বিজ্ঞান হলো ভুয়া কারন এ বিজ্ঞান বলে শরীরের তাপ উৎপন্ন হয় শরীরের ভিতরকার আভ্যন্তরীণ গন্ডগোলের কারনে।তবে জ্বর সারানোর জন্য পানির ব্যবহার বলাই বাহুল্য মোহাম্মদের আবিষ্কার, তার জন্য তাঁর কাছে আমরা চির কৃতজ্ঞ।
আব্দুল্লাহ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুযুর এর নিকট এক ব্যাক্তির নাম উল্লেখ করা হইল, যে সারারাত্রি ভোর হওয়া পর্যন্ত ঘুমাইয়া থাকিত। হুযুর তখন বলিলেন, এই লোকটির উভয় কানে অথবা বলিলেন এক কানে শয়তান প্রসাব করিয়াছে।সহি হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৪৯২
সুতরাং জানা গেল শয়তান যাদের কানের মধ্যে প্রসাব করে তারাই ভোর পর্যন্ত ঘুমায়। শয়তানের মূত্র থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সতর্ক থাকা একান্ত জরুরী।
আবু হোরায়রা হইতে বর্ণিত, হুযুর বলিয়াছেন, হাই শয়তান হইতেই আসে, সুতরাং যখন কাহারো হাই আসিবে, যথাসাধ্য তাহা দমন করিবে। কেননা যখন কেহ হাই তোলার সময় হা করে, তখন শয়তান হাসিতে থাকে।সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৫০৯
সুতরাং কারও ভুলক্রমেও হাই দেয়া উচিত নয়।
আবু হোরায়রা হইতে বর্ণিত, হুযুর বলিয়াছেন, বনী ইস্রাইলের একদল লোক নিরুদ্দেশ হইয়া গিয়াছিল। কেহ জানে না তাহারা কি করিয়াছিল। আমি ধারণা করি- এই ইঁদুরই ( পরিবর্তিত আকৃতিতে) সেই নিরুদ্দিষ্ট সম্প্রদায়।সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৫২৪
বিজ্ঞানীরা খামোখাই ইঁদুররা কোথা থেকে কিভাবে বিবর্তনের মাধ্যমে দুনিয়াতে আবির্ভুত হয়েছিল তা নিয়ে সময় নষ্ট করছে।বরং তাদের এ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করা উচিত যে মানুষরাই(ইহুদিরা) আসলে বিবর্তনের মাধ্যমে ইঁদুরে পরিনত হয়েছে। এটা প্রকারান্তরে বিবর্তনবাদকে সমর্থন করে। অথচ কোরান নিজেই আবার সেটাকে নাকচ করে।ইসলামি পন্ডিতরা তো এটা নিয়ে একটা নতুন তত্ত্ব দাড় করাতে পারে। কেন যে করছে না সেটাই আশ্চর্য্য ব্যপার।
আয়শা হইতে বর্ণিত, হুযুর লেজ-কাটা সাপ মারিয়া ফেলিবার নির্দেশ দিয়াছেন এবং বলিয়াছেন যে, এই জাতীয় সাপ চক্ষুর জ্যোতি নষ্ট করে এবং গর্ভপাত ঘটায়।সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৫২৭
আয়শা হইতে বর্ণিত, হুযুর নির্দেশ দিয়াছেন- পিঠে দুইটি দীর্ঘ সাদা রেখাবিশিষ্ট সাপ মারিয়া ফেল। কেননা এই জাতীয় সাপ চক্ষুর দৃষ্টি শক্তি নষ্ট করে ও গর্ভপাত ঘটায়।সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৫২৮
সুতরাং আমাদের আশ পাশে যত ঐ ধরণের সাপ আছে সব মেরে ফেলা উচিত।নইলে ভীষণ ক্ষতি হয়ে যাবে।
আব্দুল্লাহ বিন উমর বর্ণিত,হুযুর বলিয়াছেন কুকুরকে মারিয়া ফেলা উচিত।সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৫৪০
সুতরাং ভুলেও কারও কুকুর পোষা উচিত নয়, যেখানে যত কুকুর আছে সব মেরে ফেলা উচিত।শোনা যায়, একারনে সৌদি আরবে কোন কুকুর নেই।
উবাইদ ইবনে হুনাইন হইতে বর্ণিত, আমি আবু হুরায়রাকে বলতে শুনিয়াছি, হুযুর বলিয়াছেন, তোমাদের কাহারও পানীয় দ্রব্যে মাছি পড়িলে উহাকে তাহাতে ডুবাইয়া দিতে হইবে। তারপর উহাকে অবশ্যই বাহির করিয়া ফেলিয়া দিবে।কেননা, তাহার এক ডানায় রোগ জীবানু থাকে আর অপর ডানায় তার প্রতিষেধক থাকে। সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৫৩৭
এর পর থেকে কারও আর মাছির ভয় করা উচিত নয়। শুধু তাই নয়, বরং রোগ জীবানুর হাত থেকে বাঁচার জন্য মাছিকে ব্যবহার করা যেতে পারে ব্যপকভাবে। রোগ জীবানুর হাত থেকে বাঁচার জন্য আর কোন ওষুধ দরকার নেই, মাছিই যথেষ্ট।
তবে, উপরোক্ত হাদিসগুলো আমাদেরকে দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ট বিজ্ঞানী ও জ্ঞানী ব্যক্তি দ্বীনের নবী মোহাম্মদের সাধারণ জ্ঞান গম্যি সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়। এর ফলে তার কথিত কোরানের আয়াতে আয়াতে কি বিপুল জ্ঞান বিজ্ঞানের সমাহার তা যার একটুও সাধারণ জ্ঞান আছে তার বোঝার কথা। এত কিছু জানার পরও যদি মানুষ অন্ধভাবে কোন কিছুকে বিশ্বাস করে , তাহলে তা এক বিরাট দু:শ্চিন্তার বিষয় বৈ কি।
এ বিষয়ে দু একজনের সাথে বাস্তবে আলাপ হয়েছে। বুখারী শরিফ বের করে এক পরিচিত ব্যক্তি যিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন তাকে উক্ত হাদিস গুলো পড়তে দিয়েছিলাম। পড়ার পর ওনার প্রতিক্রিয়া হয়েছিল দেখার মত। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম- সূর্যের আল্লাহর আরশে গিয়ে সিজদা করা, শয়তানের কানে প্রসাব করা, মাছির রোগজীবানু প্রতিষেধের ক্ষমতায় তার বিশ্বাস আছে কি না। বা তিনি মনে করেন কি না যে শীত গ্রীষ্ম হয় দোজখের শ্বাস প্রশ্বাসের কারনে আর শরীরে জ্বরের তাপও আসে দোজখ থেকে। লোকটি আমতা আমতা করতে করতে খালি বলতে লাগল- আমি তো আগে জীবনেও এসব পড়িনি বা শুনিও নি।
এটাই হলো আসল সমস্যা। মুমিন বান্দারা জীবনেও তাদের অতি মূল্যবান ঐশি কিতাবগুলো নিজের মাতৃভাষায় পড়ে দেখার তাগিদ অনুভব করেন না। ওয়াজে, মসজিদে অশিক্ষিত মোল্লারা যা বলে সেটাই চোখ বুজে বিশ্বাস করে তা সে নিজে যতই শিক্ষিত হোক না কেন। তাদের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ, দয়া করে আপনারা আপনাদের কিতাবগুলো একটু খুলে পড়ে দেখুন। আর দেখুন তাতে কি সমস্ত কিচ্ছা কাহিনী লেখা আছে। এর পর যদি মনে করেন এসব সত্যি, তাহলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু পড়বেন না , জানবেন না , দেখবেন না কিতাবে কি লেখা আছে, অথচ মনে করবেন কোরান হলো বিজ্ঞানময় ঐশি গ্রন্থ, মোহাম্মদ হলো দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ট বিজ্ঞানী, তাহলে মাথার মধ্যে কেজিরও বেশী ঘিলু নিয়ে চলা ফেরা করার কি অর্থ থাকতে পারে, তা বোধগম্য নয়। অথবা এ ধরণের মানব জীবনের কি সার্থকতা সেটাও প্রশ্ন সাপেক্ষ।
বুখারী, মুসলিম ও আবু দাউদের হাদিসের সাইট
৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬
রুপবান বলেছেন: Sahih Bukhari Volume 009, Book 093, Hadith Number 528.
Sahih Bukhari Book 93. Oneness, Uniqueness of Allah (Tawheed)
Print
Narrated By Abu Dharr : I asked the Prophet regarding the Verse: 'And the sun runs on its fixed course for a term decreed for it.' (36.28) He said, "Its fixed course is underneath Allah's Throne."
সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। সূরা ইয়াসিন, ৩৬:৩৮
বর্তমানে বিজ্ঞানের বদৌলতে আমরা জানি সূর্য আকাশ গঙ্গা নামক স্পাইরাল প্রকৃতির ছায়াপথের একটা বাহুর একেবারে শেষ দিকে অবস্থান করছে ও তা প্রতি ২০ কোটি বছরে ছায়াপথটির কেন্দ্রকে একবার করে প্রদক্ষিন করছে অনেকটা ৩৬৫ দিনে আমাদের পৃথিবী যেমন একবার সূর্যকে প্রদক্ষিন করে সেরকম। তো জাকির মিয়ার বক্তব্য হলো সূর্য যে ২০ কোটি বছরে তার ছায়াপথের কেন্দ্রকে একবার প্রদক্ষিন করে আসে উক্ত আয়াত নাকি সেটাই বলছে।যে লোক কোরান হাদিস তেমন পড়ে নি , জানেও না তাতে কি লেখা সে লোক কিন্তু ঠিকই ঘাবড়ে যাবে জাকির মিয়ার এ বক্তব্যে ও একই সাথে মনে করে বসতে পারে জাকির মিয়া সত্য কথা বলছে। কারন আয়াতটিতে তো পরিস্কার বলছে – সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। অথচ জাকির মিয়ারও ১৪০০ বছর আগে তার নবী মোহাম্মদ কিন্তু এ আয়াতের যথার্থ ব্যখ্যা দিয়ে গেছেন উক্ত হাদিসে। ঠিক একই ব্যখ্যা কিন্তু মোহাম্মদ সহি বুখারি, বই -৯৩, হাদিস- ৫২৮ ও সহি মুসলিম , হাদিস -২৯৭ এ প্রদান করেছেন। তাহলে প্রশ্ন হলো – কার ব্যখ্যা সত্য? মোহাম্মদের নাকি জাকির মিয়ার ?
Sahih Muslim - Book 1, Hadith 306
It is narrated on the authority of Abu Dharr that the Messenger of Allah (may peace be upon him) one day said:
Do you know where the sun goes? They replied: Allah and His Apostle know best. He (the Holy Prophet) observed: Verily it (the sun) glides till it reaches its resting place under the Throne. Then it falls prostrate and remains there until it is asked: Rise up and go to the place whence you came, and it goes back and continues emerging out from its rising place and then glides till it reaches its place of rest under the Throne and falls prostrate and remains in that state until it is asked: Rise up and return to the place whence you came, and it returns and emerges out from it rising place and the it glides (in such a normal way) that the people do not discern anything ( unusual in it) till it reaches its resting place under the Throne. Then it would be said to it: Rise up and emerge out from the place of your setting, and it will rise from the place of its setting. The Messenger of Allah (may peace be upon him) said. Do you know when it would happen? It would happen at the time when faith will not benefit one who has not previously believed or has derived no good from the faith.
৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০১
রুপবান বলেছেন: আবু দার বর্ণিত- মসজিদের মধ্যে একদা আমি নবীর কাছে ছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন- “ আবু দার, তুমি কি জান সূর্য অস্ত যাওয়ার পর সে কোথায় যায় ? আমি উত্তর করলাম-“ আল্লাহ ও তার রসুল ভাল জানেন”। তিনি বললেন-“ এটা আল্লাহর আরশের নিচে যায়, বিশ্রাম করতে থাকে ও প্রার্থনা করতে থাকে পূনরায় উদিত হওয়ার জন্য। পরে তাকে আল্লাহ অনুমতি দিলে সে পূনরায় পূর্ব দিকে উদিত হয় যা আল্লাহ বর্ণনা করেছেন তার বানী ৩৬:৩৮ আয়াতে(সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।) ”। সহি বুখারি, বই-৬০, হাদিস-৩২৬
আবু দার বর্ণিত- মসজিদের মধ্যে একদা আমি নবীর কাছে ছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন- “ আবু দার, তুমি কি জান সূর্য অস্ত যাওয়ার পর সে কোথায় যায় ? আমি উত্তর করলাম-“ আল্লাহ ও তার রসুল ভাল জানেন”। তিনি বললেন-“ এটা আল্লাহর আরশের নিচে যায়, বিশ্রাম করতে থাকে ও প্রার্থনা করতে থাকে পূনরায় উদিত হওয়ার জন্য। পরে তাকে আল্লাহ অনুমতি দিলে সে পূনরায় পূর্ব দিকে উদিত হয় যা আল্লাহ বর্ণনা করেছেন তার বানী ৩৬:৩৮ আয়াতে(সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।) ”। সহি বুখারি, বই-৬০, হাদিস-৩২৬
পৃথিবীকে সমতল ভূমি (কোরান বস্তুত সেটাই ধরেছে) ধরলে আল্লাহর আরশের অবস্থান সম্পর্কে একটা আন্দাজ করা যেতে পারে।সমতল ভূমির ওপরের পৃষ্ঠে আমাদের অবস্থান , ঠিক এর উল্টো পাশেই হলো আল্লার আরশ কারন আমরা তো দেখি সূর্য অস্ত যাওয়ার পর সমতল পৃথিবীর উল্টো পাশেই চলে যায়।যদি সূর্য পৃথিবীর উল্টো পিঠে গমন ক’রে সেখানে আল্লাহর আরশের সাক্ষাত পায় তাহলে অবশ্যই সেখানেই আল্লাহর আরশ থাকবে এটা সুনিশ্চিত। তবে সেখানে পৌছানোটা আমাদের জন্য কঠিন হবে কারন পৃথিবীর উল্টো পিঠে গেলেই তো আমরা টুপ করে পড়ে যাব। যেমন-
আমি পৃথিবীতে পর্বমালামসূহ রেখে দিয়েছি যাতে তাদেরকে নিয়ে পৃথিবী ঝুঁকে না পড়ে এবং তাতে তৈরী করেছি প্রশস্ত পথ, যাতে তারা পথ প্রাপ্ত হয়। সূরা আম্বিয়া, ২১:৩১ ( মক্কায় অবতীর্ণ)
আমি কি করিনি ভূমিকে বিছানা এবং পর্বতমালাকে পেরেক? সূরা আন নাবা-৭৮:৬-৭ (মক্কায় অবতীর্ণ)
তিনি খুঁটি ব্যতীত আকাশমন্ডলী সৃষ্টি করেছেন; তোমরা তা দেখছ। তিনি পৃথিবীতে স্থাপন করেছেন পর্বতমালা, যাতে পৃথিবী তোমাদেরকে নিয়ে ঢলে না পড়ে এবং এতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সর্বপ্রকার জন্তু। আমি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছি, অতঃপর তাতে উদগত করেছি সর্বপ্রকার কল্যাণকর উদ্ভিদরাজি। সূরা লোকমান-৩১:১০(মক্কায় অবতীর্ণ)
অর্থাৎ পৃথিবীতে পর্বতমালা আল্লাহ তৈরী করেছেন পেরেকের মত করে। পেরেক দিয়ে যেমন কোন কিছু গেথে দেয়া হয় শক্ত করে পর্বত সেভাবেই সমতল পৃথিবীকে গেথে রেখেছে যাতে পৃথিবী কাত হয়ে যেতে না পারে সেকারনেই আল্লাহ পরিস্কার ভাষায় বলছে তাদেরকে নিয়ে পৃথিবী ঝুকে না পড়ে, কারন তা হলে আমরা সবাই গড়িয়ে পড়ে যাব।আল্লাহ বড়ই দয়ালু আমরা পৃথিবী থেকে পড়ে যাই তা সে চায় না। কিন্তু কার সাথে পৃথিবীকে গেথে রেখেছে তা পরিস্কার নয়।এছাড়াও সে দুনিয়াতে অনেক রাস্তা ঘাট তৈরী করে রেখেছে যাতে মানুষ জন চলা ফিরা করতে পারে।বর্তমানে দরিদ্র মুসলিম দেশ গুলো ( বিশেষ করে বাংলাদেশ) কেন যে খামোখা রাস্তা ঘাট ব্রিজ কালভার্ট এসব তৈরী করার জন্য ইহুদি নাসারা কাফেরদের কাছে হাত পাতে বোঝা দুস্কর, তার চেয়ে বরং আল্লাহর কাছে আর্জি জানালেই তো পারে। অতীতে যেমন সে রাস্তা ঘাট তৈরী করে দিয়েছিল না চাইতেই , আর এখন সবাই মিলে তার কাছে প্রার্থনা জানালে সে কি রাস্তা ঘাট ব্রিজ কালভার্ট তৈরী করে দেবে না ?
যাহোক , সব চেয়ে মজা লাগল উক্ত সহি বুখারি, বই-৬০, হাদিস-৩২৬ এ উল্লেখিত সুরা ইয়াসিনের ৩৬:৩৮ আয়াতের সম্পর্কে তথাকথিত ইসলামি পন্ডিত জাকির মিয়ার এক দুর্দান্ত বাল খিল্যসুলভ ব্যখ্যা শুনে। আয়াত টা এরকম –
সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। সূরা ইয়াসিন, ৩৬:৩৮
বর্তমানে বিজ্ঞানের বদৌলতে আমরা জানি সূর্য আকাশ গঙ্গা নামক স্পাইরাল প্রকৃতির ছায়াপথের একটা বাহুর একেবারে শেষ দিকে অবস্থান করছে ও তা প্রতি ২০ কোটি বছরে ছায়াপথটির কেন্দ্রকে একবার করে প্রদক্ষিন করছে অনেকটা ৩৬৫ দিনে আমাদের পৃথিবী যেমন একবার সূর্যকে প্রদক্ষিন করে সেরকম। তো জাকির মিয়ার বক্তব্য হলো সূর্য যে ২০ কোটি বছরে তার ছায়াপথের কেন্দ্রকে একবার প্রদক্ষিন করে আসে উক্ত আয়াত নাকি সেটাই বলছে।যে লোক কোরান হাদিস তেমন পড়ে নি , জানেও না তাতে কি লেখা সে লোক কিন্তু ঠিকই ঘাবড়ে যাবে জাকির মিয়ার এ বক্তব্যে ও একই সাথে মনে করে বসতে পারে জাকির মিয়া সত্য কথা বলছে। কারন আয়াতটিতে তো পরিস্কার বলছে – সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। অথচ জাকির মিয়ারও ১৪০০ বছর আগে তার নবী মোহাম্মদ কিন্তু এ আয়াতের যথার্থ ব্যখ্যা দিয়ে গেছেন উক্ত হাদিসে। ঠিক একই ব্যখ্যা কিন্তু মোহাম্মদ সহি বুখারি, বই -৯৩, হাদিস- ৫২৮ ও সহি মুসলিম , হাদিস -২৯৭ এ প্রদান করেছেন। তাহলে প্রশ্ন হলো – কার ব্যখ্যা সত্য? মোহাম্মদের নাকি জাকির মিয়ার ?
মোহাম্মদ কিন্তু খুব সহজ সরল ভাবেই সেই ১৪০০ বছর আগেকার মানুষের জ্ঞান বুদ্ধির ওপর ভিত্তি করে উক্ত আয়াতের ব্যখ্যা দিয়েছেন। এজন্য মোহাম্মদকে ধণ্যবাদ। কারন তখন মানুষের ধারনা ছিল পৃথিবী হলো সমতল একটা ভূমি আর তাই সূর্যই পূর্ব দিকে উদিত হয়ে সারা দিন কিরণ দিয়ে অস্ত যায় ও রাতের বেলা বিশ্রাম নেয় যা ছিল তখনকার সব ধর্মেরই ব্ক্তব্য।বিশেষ করে খৃষ্টান ধর্মেরও।হিন্দু ধর্মের বক্তব্যও প্রায় একই রকম। এর কারন হলো সে সময় বা তারও হাজার হাজার বছর আগ থেকে যে কেউ সকাল বেলায় উঠে দেখত সূর্য পূব দিকে উদয় হয় ও সারাদিন আকাশে পরিভ্রমন শেষে পশ্চিমে অস্ত যায়।মোহাম্মদ নিজেও সেটা শৈশব থেকে দেখে এসেছেন ও সুবিধা মত একসময় তার কোরানে বর্ণনা করেছেন ও পরে তার মত করে সহজ সরল ব্যখ্যা প্রদান করেছেন।এখন জাকির মিয়া এসে বলছে ভিন্ন কথা। জাকির মিয়া কি মোহাম্মদের চাইতে বেশী ইসলাম জানে ও বোঝে ?
৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০৫
রুপবান বলেছেন: ১. যীশুর জন্ম অলৌকিক, একজন কুমারী মাতা থেকে, ২. যীশু হলো আল্লাহর রুহ, ৩. যীশু হলো আল্লাহর বানী, ৪. যীশু হলো চির পবিত্র তথা নিষ্পাপ, ৫. যীশুকে শয়তান স্পর্শ করতে পারে নি, ৬. যীশু কখনো ভুল করে নি, ৭. যীশু মৃতকে জীবন দান করতে পারত , যে ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর হাতে।
এত সব গুনের অধিকারী হওয়া একমাত্র কার পক্ষে সম্ভব ? একমাত্র আল্লাহ বা ঈশ্বরের পক্ষেই সম্ভব। এতগুলো বিষয় স্বীকার করেও মোহাম্মদ তার কোরানে বলছেন যীশু নাকি একজন নবী মাত্র। এর চাইতে আজগুবি ও হাস্যকর আর কিছু হতে পারে ? অথচ অন্য কোন নবির এর একটা গুণও ছিল না। মূসা নবি কিছু অলৌকিক ঘটনা দেখাতে পারলেও মৃতকে জীবন দিতে পারত না। প্রশ্ন হতে পারে , উক্ত বিষয় স্বীকার তাহলে করলেন কেন মোহাম্মদ? উত্তর বুঝতে কষ্ট হয় না। আগেই বলেছি খৃষ্টানদের কাছ থেকে শুনে শুনে মোহাম্মদ তার কোরানে যীশু সম্পর্কে বানী প্রচার করেছেন, সেটা করতে গিয়ে কোন কথার কি গুঢ় অর্থ হবে তা উপলব্ধি করতে পারেন নি তাৎক্ষনিকভাবে।ঠিক একারনেই খৃষ্টানদের কাছে তো বটেই ইহুদীদের কাছেও মোহাম্মদের কোরানের বানীকে খুবই অদ্ভুত ও উদ্ভট মনে হতে থাকে ও তারা আরও বেশী নিশ্চিত হতে থাকে যে মোহাম্মদ কোন মতেই নবী তো দুরের কথা একজন শুভ গুণ সম্পন্ন মানুষও নয়। তাই তারা যতই মোহাম্মদকে প্রশ্ন করতে থাকে ততই মোহাম্মদ রাগান্বিত হতে থাকেন আর তাদেরকে উদ্দেশ্য করে নানা রকম ভয় ভীতিকর আয়াত নাজিল করতে থাকেন। উদ্দেশ্য একটাই – তাদের মুখ বন্দ করা। মোহাম্মদ যে দোষে আর দশজন মানুষের মতই তা কিন্তু তিনি নিজেই স্বীকার করে গেছেন যেমন-
১০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
রুপবান বলেছেন: [b]আরো দেখুন .............
[/b]
Bukhari (52:177), Bukhari (52:256), Bukhari (52:65), Bukhari (52:220) , Abu Dawud (14:2526), Abu Dawud (14:2527), Muslim (1:33) , Bukhari (8:387) , Muslim (1:30) , Bukhari (11:626) , Muslim (1:149) , Muslim (20:4645) , Muslim (20:4696), Muslim (19:4321-4323) , Muslim (19:4294), Tabari 7:97, Tabari 9:69 , Tabari 17:187 , Ibn Ishaq/Hisham 992[b]............. আরো লাগবে???? [/b]
Quran (4:104), Quran (5:33), Quran (8:12), Quran (8:15), Quran (8:39), Quran (8:57), Quran (8:59-60),Quran (8:65) , Quran (9:5), Quran (9:14) , Quran (9:20), Quran (9:29) , Quran (9:30) , Quran (9:38-39) , Quran (9:41), Quran (9:73) , Quran (9:88), Quran (9:111), Quran (9:123), Quran (17:16), Quran (18:65-81) , Quran (21:44), Quran (25:52) , Quran (33:60-62) , Quran (47:3-4), Quran (47:35)................ এমন আরো অনেক
১১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:০৪
রুপবান বলেছেন: ৫২: ৩৩-৩৪ - না তারা বলেঃ এই কোরআন সে নিজে রচনা করেছে? বরং তারা অবিশ্বাসী। যদি তারা সত্যবাদী হয়ে থাকে, তবে এর অনুরূপ কোন রচনা উপস্থিত করুক।
>>> মুহাম্মদের বর্ণিত স্রষ্টা (আল্লাহ) তার শ্রেষ্ঠত্ব জাহিরের বাসনায় তার অস্তিত্বে অস্বীকারকারীদের সাথে "সূরা প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ” জানিয়েছেন! কম পক্ষে ৫ বার! এ কোন স্রষ্টা যে তার অস্তিত্বে অস্বীকারকারীদের সাথে সুরা প্রতিযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছেন?
প্রবক্তা কি জানতেন যে আমাদের এই দৃশ্যমান জগতটিই ৯৩০০ কোটি আলোক-বর্ষ পরিবৃত একটি স্থান? (এক আলোক বর্ষ = ছয়শ হাজার কোটি (Six Trillion) মাইল)
প্রবক্তা কি জানতেন যে আমাদের এই জগতটি হতে পারে অনন্ত-মহাবিশ্বের (Multiverse) কোটি কোটি অনুরূপ মহাবিশ্বের একটি?
প্রবক্তা কি জানতেন যে এ ছাড়াও আছে অদৃশ্যমান জগত: অণু, পরমাণু, কোয়ার্ক, কোষ-DNA/RNA, ডার্ক ম্যাটার - ইত্যাদি, ইত্যাদি, ইত্যাদি?
প্রবক্তা কি জানতেন যে মানুষের এই আবাসস্থলটি অত্যন্ত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটি স্থান?
প্রবক্তা কি জানতেন যে মানুষ নামের এই প্রজাতিটি বর্তমানে জীবিত দৃশ্যমান ১৭ লক্ষ প্রজাতির একটি? এ ছাড়াও আছে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার অদৃশ্য জগৎ?
তিনি কি কল্পনা করতে পেরেছিলেন যে যে-মানুষের সাথে সে "প্রতিযোগিতার" আহ্বান জানাচ্ছেন তার উদ্ভব হয়েছে মাত্র দুই লক্ষ বছর আগে? বিশ্বসৃষ্টির ১৩৫০ কোটি বছর পরে? আর তারা কবিতা লেখা শুরু করেছে সামান্য কয়েক হাজার বছর আগে?
এ তথ্যগুলোর যে কোনো একটির সঠিক জবাব জানা থাকলে মানুষের সাথে "প্রতিযোগিতা" আহ্বানের আগে তিনি নিজেই নিজেকে ধিক্কার দিতেন!
১২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪০
রুপবান বলেছেন: ইসলামের প্রধান প্রতিপক্ষ মক্কার কুরাইশদের সাথে ৬২৮ খৃঃ এর মার্চ মাসে যুদ্ধ বিরতি সন্ধি হওয়ার পর মক্কা মদিনার সীমান্তে সাময়িক সময়ের জন্য শান্তি ফিরে আসে। মুহাম্মদ সাঃ স্বীকৃত রাষ্ট্র নায়কে পরিণত হন। তখন বৃহত্তর পরিসরে ইসলাম প্রচারের নিমিত্তে মুহাম্মদ সাঃ আরব উপদ্বীপের আশ পাশের শাসকদের কাছে ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিতে দূত প্রেরণ করেন। তেমন একজন দূত আলোকজন্দ্রিয়ার রোমান খৃস্টান বিশপ (Patriarch) কাছেও পাঠিয়েছিলেন৷আরবরা তাকে মুকাওকিস বলে অভিহিত করত (১)৷ হাতেব ইবনে আবী বালতা রাঃ দাওয়াত পৌঁছে দেবার পর যদিও তিনি ইসলাম কবুল করেননি কিন্তু বালতার সাথে ভাল ব্যবহার করেছিলেন। দাওয়াতের উত্তর দিয়ে ছিলেন। কূটনৈতিক সম্পর্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে কিছু সোনা দানা এবং ঘোড়া দুলদুল, গাধা ইয়াফুর সহ মিশরের কিবতী খৃষ্টানদের মধ্যে থেকে সম্ভ্রান্ত বংশের দুটি মেয়েকে মুহাম্মদ সাঃ এর সম্মানে পাঠিয়েছিলেন (তাবারী, পৃঃ ১৩১)। ইবনে সা'দ মেয়ে দুটির মধ্যে একজনের নাম শিরীন এবং অপর জনের নাম মারিয়া বলে উল্লেখ করেছেন ৷
মিসর থেকে ফেরার পথে হাতিব রাঃ তাদের উভয়কে ইসলাম গ্রহণের আহবান জানালে তারা ইসলাম গ্রহণ করেন৷অতঃপর রসুল সাঃ এর কাছে হাজির হলে তিনি শিরীন রাঃকে হাসান ইবনে সাবিত রাঃ-এর কাছে দিয়ে দেন এবং মারিয়া রাঃ-এর সাথে আলোচনা করে সুরাইয়া (২) হিসাবে গ্রহণ করেন৷ ইসলামী আইনে আপন দুই বোনকে এক ব্যক্তির সাথে বিয়ে অনুমতি দেয় না। তখনকার সময়ে সুরাইয়া বেমানান অবৈধ বা বে-আইনি কিছু ছিলনা। ইব্রাহীম আঃ-এর শরীয়তে সুরাইয়া গ্রহণের অনুমতি ছিল। ইব্রাহিম আঃ স্বয়ং হাজিরাকে সুরাইয়া হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। যার সন্তান ইসমাইল আঃ থেকে বর্তমান আরব জাতীর সৃষ্টি হয়েছিল। মারিয়া রাঃ অন্য এক ভৌগলিক অঞ্চল থেকে এসে ছিলেন, তিনি হুজরা জীবনের অভ্যস্ত ছিলেন না।
রাসুল সাঃ মারিয়া রাঃ-কে হুজরায় না রেখে কিছু দিনের জন্য হুজরার নিকটে হারিছা বিন নুমান রাঃ-এর বাড়িতে রাখার ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে মদিনার আবহাওয়ায় মারিয়া রাঃ-এর স্বাস্থ্যগত অসুবিধার কারণে তাকে মদিনা থেকে আড়াই মাইল দূরে মসজিদে কুবার নিকট উম সুলাইম বিনত মিলহানের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে ছিলেন।
খায়বরের যুদ্ধের পরে মদিনা মসজিদ সংলগ্ন হুজরা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আল আলিয়ার বানি আনাফিরের যে বাড়িতে সাফিয়া রাঃ-কে রাখা হয়েছিল, সাফিয়া রাঃ হুজরায় চলে যাওয়ার পর মারিয়া রাঃ সে বাড়িতে এসে উঠেন। সন্তান সম্ভাব্য হবার পর তাকে আবার মদিনার হুজরা সংলগ্ন হারিছা বিন নোমান রাঃ-এর বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসলেও এখানে মারিয়া রাঃ স্বচ্ছন্দতা না পাওয়ায় তিনি আবার আল আলিয়ার বাড়িতেই চলে আসেন। সেখানে তিনি মৃত্যু পর্যন্ত ছিলেন। এখনও সেই স্থানকে মাশরাবাত উম ইব্রাহিম নামে ডাকা হয়।
৬৩০ খৃঃ এর মার্চ মাসে তাঁর গর্ভে মুহাম্মদ সাঃ এর কনিষ্ঠ পুত্র ইবরাহীম রাঃ জন্মলাভ করেন। ৬৩২ খৃঃ ইব্রাহিম রাঃ অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছু কাল রোগ ভোগের পর ২৭শে ফেব্রুয়ারি মারা যান। মারিয়া রাঃ মুহাম্মদ সাঃ-কে মাত্র তিন বছর পেয়েছিলেন। মুহাম্মদ সাঃ-এর ইন্তেকালের পাঁচ বছর পরে তিনিও ইন্তেকাল করেন (১৬ হিঃ)। উমর রাঃ তাঁর নামাজে জানাজা পড়িয়ে ছিলেন। তাকে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়। যে পাঁচ বছর তিনি বেঁচে ছিলেন সে পাঁচ বছর তিনি নিভৃতচারিণী ছিলেন। মাঝে মধ্যে তিনি সন্তান ইব্রাহীম রাঃ ও স্বামী মুহাম্মদ সাঃ-এর কবর জিয়ারত করতে যেতেন। এবার মূল আলোচনাতে ফিরে আসছি।
এখন আমরা উপরের যদি উল্লেখিত অপপ্রচারটি লক্ষ্য করি তাহলে আমরা দেখতে পাব যে তারা তাদের অপপ্রচারে যা বলার চেষ্টা করছে তা হচ্ছে, "আত-তাহরীমের উক্ত পাঁচ আয়াত মুহাম্মদ সাঃ এবং মারিয়া রাঃ-এর মধ্যকার যৌনসংক্রান্ত বিষয় এবং যৌন ঈর্ষাকাতর অন্যান্য বিবিদের বিবাদ।" কোন একক হাদিসে প্রাপ্ত ঘটনা পড়ে তাৎক্ষণিক ভাবে হয়তো কারো কারো ভাবনায় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে সুরা আত তাহরীমের এই পাঁচ আয়াত শুধু হাফসা রাঃ-এর ঘরে হাফসা রাঃ-এর অবর্তমানে কিছু সময়ের মারিয়া রাঃ-এর উপস্থিতির জন্য নাজিল হয়নি। মুনাফিকরা হয়তো ইসলামের প্রতি নেতিবাচক মানসিকতা লালন করা জন্য সত্য উপলব্ধি করতে অক্ষম। না হয় সত্য জেনেও শুধু বিদ্বেষের কারণে ৬২৭ খৃঃ ফেব্রুয়ারি/মার্চ থেকে খন্দকের যুদ্ধের পর থেকে ৬৩১ খৃঃ – ৪ বছরে মুহাম্মদ সাঃ এর ঘরে ঘটে যাওয়া আসল নানা ঘটনাকে কৌশলে শুধু মাত্র একটি ঘটনা দিয়ে চাপা দিয়ে চায়।
১৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
রুপবান বলেছেন: যুদ্ধে আটক করা নারীদের ধর্ষণ ও নির্যাতন করার ব্যাপারে উপসংহার টানতে গিয়ে আমাদের স্বীকার করতে হবে যে, যুদ্ধকালে নারীদের ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন করা যে কোন সভ্য সমাজে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। সে কারণে আমরা যুদ্ধে আচরণবিধি সংক্রান্ত জেনেভা কনভেনশন প্রণয়ন করেছি। যখন একজন মার্কিন বা ব্রিটিশ সৈন্য নারী যুদ্ধবন্দীকে যৌন নির্যাতন করে তখন সে আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করে। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্খা গ্রহণ করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে জার্মানী যখন ফন্সান্স দখল করে নেয় তখন ফরসী নারীদের শ্লöীলতাহানি না করার জন্য জার্মান সৈন্যদের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
তারপরও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল এবং ফরাসী নারী বন্দীদের ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় অভিযুক্ত জার্মান সৈন্যদের মৃতু্যৃদণ্ডসহ কঠিন সাজা দেওয়া হয়েছিল। যুদ্ধকালীন নীতিমালা সংক্রান্ত ইসলামী আইনের ব্যাপারে আমরা কি একই কথা বলতে পারি এর সুনির্দিষ্ট উত্তর হচ্ছে ‘না’। বন্দীদের ব্যাপারে ইসলামী আইন হচ্ছে কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক। প্রযোজ্য আয়াতগুলো অনন্তকালের জন্য অপরিবর্তনীয়। সে কারণেই পাকিস্তানের ইসলামী সৈন্যরা বাংলাদেশী নারীদের উপর ধর্ষণ এবং হত্যাযজ্ঞ চালালেও তাদের বিচারের সম্মুখীন হতে হয় নাই । ঐসব পদাতিক সৈন্যরা নারী বন্দীদের ব্যাপারে আল্লাহর আইন অনুসরণ করেছে মাত্র।
তাই, ১৯৭১ সালে পাক সেনাবাহিনী কর্তৃক বাঙালী নারীদের ধর্ষণের জন্য অনুশোচনা, দু:খপ্রকাশ, ক্ষমাপ্রার্থনা, ন্যায়বিচার ও ক্ষতি পূরণের প্রশ্নই উঠে না। ইসলাম ঐ সৈন্যদেরকে তারা আমাদের অসহায় নারীদের উপর যা করেছে সেসব অপকর্ম করার অধিকার দিয়েছে। ধর্ষণকারী পাকিস্তানী সৈন্যদের বিচার দাবী না করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও বিশ্বের অন্যত্র বসবাসকারী আমাদের মুসলমান ভাইয়েরা আল্লাহর নির্দেশ পালন করেছে।
১৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
রুপবান বলেছেন:
মহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে মনের মাধুরি মিশিয়ে যত খানি অশ্লীল ভাবে মিত্থ্যাচার করা যায়, তা পড়লাম।
কিন্তু আপনি যে মনের মাধুরি মিশিয়ে স্বাধীন মতামত প্রকাশের সুযোগ নিয়ে অবান্তর কথা বার্তা লিখে গেলেন কোন রকম সূত্র ছাড়াই , তার কি হবে ?
হজরত আয়েশা মোহাম্মদের সঙ্গে বৈবাহিক জীবন শুরু করেন যখন তার বয়স ১৭ হয়, আয়েশার বয়স যখন ২৭-৩০ এর মধ্যে অতখন রসুলুল্লাহ মৃত্যু বরন করেন।
আপনার উক্ত তথ্যের সূত্র কোথায় ? বুখারি , মুসলিম নামক সর্বাপেক্ষা নির্ভরযোগ্য হাদিসে অন্তত: ১৫টার বেশী হাদিস আছে যেখানে বলা আছে মোহাম্মদ ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করেন ও ৫৪ বছর বয়েসে ৯ বছরের আয়শার সাথে স্বামী স্ত্রীর মত সংসার শুরু করেন। এখন আপনি কি নতুন ভাবে হাদিস লেখা শুরু করলেন নাকি ?
আজকে আমি যদি বলি রাম ছিল পাড় লুচ্চা, এরকম বহু চরিত্রহিন দেব দেবীর কাহিনি ঘটা করে বর্ণনা করা সম্ভব। রামায়ন মহাভারতের কাহিনি পড়লে তা স্পষ্ট হবে। কখন কোন জায়গায় দেখিনি কোন মুসলিম রামের চরিত্রে কেউ কালিমা লিপ্ত করছে। ইহুদি দের নবি মুসা এর ছিল একাধিক স্ত্রী, সলায়মান এর ছিল হাজারের উপর স্ত্রী। আজ থেকে হাজার বছর পূর্বে সমাজ ব্যবস্থা আজকের মত ছিলনা।
ইসলাম ধর্ম অন্য ধর্মের যাবতীয় সমালোচনা করলেও তাদের এই নারীলোলুপতা নিয়ে আশ্চর্যরকমভাবে নিশ্চুপ। সময়ে সময়ে অন্য সব ধর্মের ধর্মগুরুদের নারীলোলুপতা দিয়ে মোহাম্মদের নারী লোলুপতাকে জাস্টিফাই করারও অপচেষ্টা করতে দেখা যায়। বিষয়টা এমন যে , অন্য ধর্মগুরুদের সকল চিন্তাভাবনা ও দর্শন ছিল ভুল , শুধুমাত্র তাদের নারীলোলুপতা বা লুচ্ছামি ছিল সঠিক বা যথার্থ। এর হলো কারন মোহাম্মদ নিজেই ছিলেন একজন অতি বড় নারী লোলুপ ব্যক্তি, সুতরাং তার নারী লোলুপতাকে জাস্টিফাই করতে গেলে তো অন্যদেরটা উদাহরণ হিসাবে দেখাতেই হয়। আপনি দাবী করছেন মোহাম্মদের ১১টা স্ত্রী ছিল(যদিও আসল সংখ্যা আরও বেশী)। আপনি বলছেন তখন সমাজব্যবস্থাটাও সেরকম ছিল। মোহাম্মদ তো সেই সমাজটাকে অন্ধকারের যুগ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করে ইসলাম আমদানী করত: আলোকিত করতে চেয়েছিলেন, তো সেটা করতে যেয়ে যদি তিনি সেই অন্ধকার যুগের প্রথাকে নিজে স্বয়ং অনুসরণ করেন কখনও কখনও তাহলে এটা তার শিক্ষার সাথেই স্ববিরোধী হয়ে যায় না ? যেমন শিশু আয়শাকে বিয়ের ব্যপারেও বলা হয় যে সেটা সে সময়ের প্রচলিত প্রথা ছিল। তো নিজে মোহাম্মদ স্বয়ং একই প্রথা অনুসরন করে কিভাবে দাবী করেন যে এ প্রথা বাতিল করার জন্যই তার আগমন ? কেউ নিজে মাতাল হয়ে অন্যকে মদ পান না করার উপদেশ দিলে সেটা কি মানানসই হয় ? সোলেমানের ১০০০ টা স্ত্রী ছিল বা কৃষ্ণের ১৬০০০ স্ত্রী ছিল, সেটাকে তো আমরা ভাল বলি না, লুচ্চামিই বলি তা সে তারা সেই সমাজেরই মানুষ হোক না কেন। কারন শত শত বা হাজার হাজার বিয়ে করে কেউ দাবী করতে পারে না , সেটা একটা আদর্শ কাজ, তা সে যে সময়ের সমাজেই তারা বসবাস করুক না কেন। এখন আপনি বলছেন মোহাম্মদের ১১ টা স্ত্রী ছিল, তখন তাকে লুচ্চা বলা যাবে না কেন ? আপনার যদি ১১ টা স্ত্রী থাকে , তাহলে লোকজন আপনাকে কি বলবে ? খৃষ্টান দাসী মারিয়াকে যে মোহাম্মদ বিয়ে করেছিলেন , তার প্রমান কোথায় ? হাদিস সিরাত ঘেটে কোথাও পাওয়া যায় না যে মোহাম্মদ তাকে বিয়ে করেছিলেন। বরং দেখা যায় দাসী মারিয়াকে তার অন্যতম স্ত্রী হাফসার ঘরে যৌন সঙ্গম করা কালে হাতে নাতে ধরা পড়েন, এ নিয়ে বহু গন্ডগোল হয়, যা নিরসনে অবশেষে আল্লাহ দয়াপরবশ হয়ে আয়াত নাজিল করে- এসব ঘটনা কি আপনার জানা আছে ? মনে হয় নেই। থাকলে এরকম ফালতু কথা বলতেন না।
মহাম্মদ যে কয়টি বিয়ে করেছিলেন, তা র সব কয়টি ছিল ইসলামের বিবাহ রীতি সংক্রান্ত আয়াত নাজিলের অনেক পূর্বে
যদি আপনার কথা সত্যি হয়, তাহলে আল্লাহ যখন বিয়ে সংক্রান্ত আয়াত নাজিল করত তারপরেই না হয় মোহাম্মদ বিয়ে করা শুরু করতেন। তা কেন করলেন না? আর আপনার উক্ত বক্তব্যের প্রমান কি ? মোহাম্মদ ইসলাম প্রচারের আগ থেকে বিয়ে করা শুরু করেন, বিয়ে সংক্রান্ত আয়াত নাজিল হওয়ার পরেও ৩/৪ বিয়ে করেন, যেমন- তার পালকপূত্র জায়েদের স্ত্রী জয়নব, খায়বারের সকল ইহুদিকে হত্যা করে তার সর্দার কিনানের স্ত্রী সাফিয়া ইত্যাদি।আপনি দাবী করেছেন ইসলামের ইতিহাস অনেক আগে থেকেই পড়ছেন, আপনার মন্তব্যে কিন্তু তার প্রমান পাওয়া যাচ্ছে না, আপনি হয়ত পড়েছেন আধুনিক ইসলামী পন্ডিতদের বানান ইতিহাস। ইসলাম মোটামুটি ভাল জানতে কোরান( ইবনে কাথিরের তাফসির সহ), হাদিস(বুখারি ও মুসলিম) ও ইবনে ইসহাকের সিরাত পড়ুন, বর্তমান যুগের লোকদের বানান ইতিহাস পড়ে ইসলাম জানা যায় না, তাতে আপনার লাভ আপনার বন্ধুবান্ধবদেরও লাভ, কারন তারাও তখন আপনার কাছ থেকে প্রকৃত ইসলাম জানতে পারবে।
১৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫১
রুপবান বলেছেন: মুহাম্মদ প্রথমে খাদিজাকে বিয়ে করেন। সে সময় পুরুষ মানুষের একের অধিক বিয়ে করার রেওয়াজ ছিল বিধায় মুহাম্মদের অন্য নারীকে বিয়ে করার অভিপ্রায় ছিল। কিন্তু খাদিজার তাতে আপত্তি, আর খাদিজার উপর অর্থনৈতিকভাবে মুহাম্মদের নির্ভরশীলতার কারনে খাদিজার আপত্তিকে অগ্রাহ্য করার উপায় ছিলোনা মুহাম্মদের। তাই বাধ্য হয়ে মুহাম্মদকে অন্য উপায় অবলম্বন করতে হয়। তারপর আল্লাহর তরফ থেকে আয়াত নাজিল হয়,
আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।-সূরা নিসা ৪:৩
খাদিজা জীবিত থাকাকালিন মুহাম্মদ দ্বিতীয় বিবাহ করেন নি। সুতরাং খাদিজা মারা যাবার পরে উপরোক্ত আয়াত নাজিলের মধ্য দিয়ে মুহাম্মদের একের অধিক বিয়ে করার আর কোন বাঁধা রইলোনা এবং কার্য্যত তিনি বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে একের পর এক বিয়ে করতে থাকলেন। কিন্তু আল্লহর বিধান মোতাবেক চারটি বিয়ে করার পরও মুহাম্মদের যখন অন্য নারীতে আসক্তি রয়ে গেলো তখন আল্লাহর অন্য একটি আয়াত নাজিল করার দরকার হয়ে পরলো আর তা হলো,
কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ
করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের
জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণেরউদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের
ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহক্ষমাশীল, দয়ালু। সুরা
আহযাব-৩৩:৫০
এবং পরবর্তীতে ক্ষমতা পেয়ে বিয়ে এবং নারীর আসক্তিটা মুহাম্মদের যখন মাত্রা ছাড়িয়ে গেলো এবং এই নিয়ে স্ত্রীদের সাথে গোলযোগ দেখা দিলো তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে আল্লাহর তরফ থেকে নিচের আয়াতটা নাজিল করতে হলো,
এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। সূরা আহযাব- ৩৩:৫২
এতে যদিও বলা হলো এরপর অন্য নারী বা স্ত্রী মুহাম্মদের জন্য আর হালাল নয়, কিন্তু নারীর আসক্তি মিটাতে মুহাম্মদের জন্য দাসীদের হালাল করে দেয়া হলো।
বিষয়টি অনুধাবন করতে আমি এভাবে ক্রমানুসারে উল্লেখ করলাম। ধন্যবাদ।
১৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬
রুপবান বলেছেন: সাফিয়া বিন্তে হুয়াইঃ ইসলাম ও নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে বাকী সবকিছুও যদি ভাল হয়, তথাপি নবীর সাফিয়াকে বিয়ে করার কাহিনীটি একাই যে-কোন সুস্থ-মস্তিষ্কের মুসলিমের ইসলাম ত্যাগের জন্য যথেষ্ট হবে, এবং সে এ সিদ্ধান্তে পৌছাবে যে, মুহাম্মদ ছিলেন একজন বিপজ্জনক ও বিকারচিত্ত দস্যুদল নেতা।
মুহাম্মদ বনী নাদের গোত্রের বসতি খাইবার সাত-সকালের অন্ধকারে অতর্কিতে আক্রমণ করে তুমুল যুদ্ধের পর ইহুদীদেরকে পরাজিত করেন। তাদের বেশীরভাগ পুরুষদেরকে হত্যা করা হয় এবং নারী-শিশুদেরকে ক্রীতদাস হিসেবে কব্জা করা হয়। নাদের গোত্রপতি কিনানাকে গ্রেফতার করে নবীর নির্দেশে বুকে আগুন জ্বালিয়ে অমানুষিক অত্যাচার করার পর হত্যা করা হয়। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর নবী তাঁর শিষ্য দিহায়াকে অনুমতি দেন সাফিয়াকে নিজ দাসী হিসেবে নেওয়ার জন্য। কিন্তু নবীর কিছু শিষ্য সাফিয়াকে দেখে তার অনিন্দ সৌন্দর্যে বিমোহিত হয় এবং সে কিনানার স্ত্রী ছিল তা জানার পর দিহায়ার প্রতি হিংসা অনুভব করে। তারা মুহাম্মদের কাছে গিয়ে সাফিয়ার অপূর্ব সৌন্দর্যের কথা জানায় এবং বলে যে, সে কেবল নবীরই যোগ্য। শুনেই নবী নির্দেশ দিলেন সাফিয়াকে তাঁর সামনে হাজির করতে। এবং সাফিয়াকে দেখেই নবী তাকে নিজের কাপড় দ্বারা ঢেকে ফেলেন, যার মানে নবী সাফিয়াকে নিজের জন্য চয়ন করেছে। সেদিনই মুহাম্মদ সাফিয়াকে নামেমাত্র বিয়ে করে বিছানায় নেওয়ার চেষ্টা করেন।
নবীর শিষ্য বিল্লাল আরেকটি মেয়ের সাথে সাফিয়াকে যুদ্ধক্ষেত্রে পড়ে থাকা মৃতদেহের মধ্য দিয়ে নবীর সামনে আনেন। অন্য মেয়েটি স্বজনদের মৃতদেহের সারি দেখে সইতে না-পেরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। মুহাম্মদ তাঁর লোকদেরকে আদেশ করল, “সে শয়তান মহিলাকে সরিয়ে নিয়ে যেতে”। এবং তারপর নবী পরম সুন্দরী সাফিয়াকে দেখতেই যেন সভ্য হয়ে উঠলেন এবং তাকে মৃতদেহগুলোর মধ্য দিয়ে আনার জন্য বিল্লালকে ভড়ৎসনার সুরে বললেন, “সে কি বিল্লাল! তোমার হৃদয়ে কি এতটুকু দয়ামায়া নাই।” অথচ কোন আক্ষেপ বা লাজ-লজ্জার বালাইহীন মুসলিম পণ্ডিতরা মৃতদেহের সারি দেখে কান্না-কাতর সে মহিলাটিকে “শয়তান মহিলা” বলে চিহ্নিত করেছে, অথচ এমন বর্বরতা ঘটনকারী মুহাম্মদের নামের পীছনে PHUH (Peace Be Upon Him বা তার উপর রহমত বর্ষিত হোক) যোগ করেছে।
পরিবার-পরিজন ও গোত্রীয় স্বজনদেরকে নিপাত-করা সাফিয়া বুঝতে পেরেছিল তার ভাগ্যে কী আছে? নবী যখন তাকে বিয়ে করতে চাইলেন, তা না-মেনে উপায় ছিল না, কেননা একমাত্র বিকল্প ছিল যৌনদাসীত্ব। এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে নামেমাত্র বিয়ে সেরে সে রাতেই নবী সাফিয়াকে শয্যাসংগী করতে চাইলেন। স্বামী, ভাইবোন ও গোত্রের সকল স্বজনকে হারিয়ে সাফিয়া নিঃসন্দেহে মানসিকভাবে চরম বিমর্ষ ছিলেন। ফলে নবী সাফিয়ার অনুরোধে তাকে শোক ও যন্ত্রণা কাটিয়ে উঠতে কয়েক দিন সময় দিলেন।
এমন রক্তপাতের পর কোন মানুষ বা প্রাণীই বিয়ে বা যৌন-সহবাসের কামনা-বাসনা হারাতে বাধ্য। আর সে গণহত্যায় কোন মহিলার নিজ স্বামী, ভাইবোন, ও সকল আপনজনের মৃত্যু ঘটলে, তার সাথে তৎক্ষণাৎ বিয়ে বা যৌন-সংগমের তো কথাই উঠে না। কেবলই চরমভাবে বিকারগ্রস্থ অসুস্থ মনের মানুষই তা করতে পারে এবং তাঁর অন্ধ নির্বোধ অনুসারীরাই তা ন্যায্য ভাবতে পারে।
কেবল মুহাম্মদই সাফিয়ার প্রতি নিষ্ঠুরতা চালান নি, এমনকি আজকের মুসলিমরাও কম যায় না। উপরোক্ত ঘটনার সবকিছু জেনেও তারা তার মাঝে মুহাম্মদের মহানুভবতার নিদর্শন খুঁজে পায়, কেননা নবী সাফিয়াকে দাসী থেকে স্ত্রীর মর্যাদায় উন্নীত করেছিলেন। এ বিয়েকে নবীর ইহুদীদের সাথে ভাল সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টা হিসেবেও দেখাতে চায় তারা।
দিনের বেলায় ইহুদী গোত্রটির উপর গণহত্যা চালিয়ে রাতের বেলায় মুহাম্মদ ও তাঁর শিষ্যরা ধৃত মেয়েদের সাথে যৌন-সংগমে লিপ্ত হচ্ছিল। ইহুদীদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের কি চমৎকার পন্থা। কেবল মুসলিমরাই এমন চমৎকার “যুক্তি” দেখাতে পারে!
১৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
রুপবান বলেছেন: মোহাম্মদের মৃত্যু হয়েছিল খায়বারে এক ইহুদি মহিলা তাকে বিষ মাখা ছাগলের মাংশ খেতে দিয়েছিল। উক্ত মাংশ বেশী না খাওয়াতে, মোহাম্মদের মৃত্যু ঘটে নি, কিন্তু তার বিষক্রিয়ায় মোহাম্মদ প্রায় দুই বছর ভোগে ও কঠিন যন্ত্রণা ভোগ করতে থাকে এবং অত:পর কঠিন যন্ত্রনা ভোগ করতে করতেই মোহাম্মদ ৬৩ বয়েসে মারা যায়, যা একমাত্র যীশু ছাড়া অন্য সকল নবীর চেয়ে অনেক কম ও অস্বাভাবিক। এ বিষয়ে দু-একটি হাদিস দেখা যাক-
আয়শা বর্ণিত - নবী ভীষণ পীড়িত ছিলেন যাতে তিনি মারা যান, তিনি প্রায়ই বলতেন - আমি এখনো খায়বারে বিষ মেশানো মাংশ খাওয়া জনিত বিষক্রিয়ায় ভীষণ যন্ত্রনা বোধ করছি। আমি এমন বোধ করছি যেন আমার গলার শিরা ছিড়ে যাচ্ছে। (সহি বুখারি, বই-৫৯, হাদিস-৭১৩)
কি ভীষণ কষ্ট ও যন্ত্রনা মোহাম্মদ ভোগ করেছিল তা বোঝা যায় উক্ত হাদিস থেকে। গলার শিরা ছিড়ে যাওয়ার মত কষ্ট নিশ্চয়ই সাধারন কষ্ট নয়। তার কি নিদারুন দশা হয়েছিল তা দেখা যায় নিচের হাদিসে-
আয়শা বর্ণিত- নবীর পীড়া কঠিন হলে তিনি আমার ঘরে দিন কাটানোর জন্য অন্য স্ত্রীদের কাছে অনুমতি চাইলেন, সবাই রাজী হলো। তিনি দু্জন লোকের ঘাড়ে ভর দিয়ে আসছিলেন আর তার দু পা মাটিতে ছেচড়ে ছেচড়ে আসছিল। (সহি বুখারি, বই-১১, হাদিস-৬৩৪)
মোহাম্মদের মৃত্যু সম্পর্কিত হাদিস এখানে - মোহাম্মদের মৃত্যু
কি নিদারুন যন্ত্রনাদায়ক বর্ণনা দুনিয়ার মানবকুল শ্রেষ্ট নবীদের নবী মোহাম্মদের। সারা দুনিয়ার মানুষের মুক্তিদুতের জন্য এ হেন কঠিন যন্ত্রনাকাতর মৃত্যু রেখেছিল তার আল্লাহ, কল্পনা করতেও কষ্ট হয়।তবে একই সাথে আমরা যদি বাইবেলের উক্ত ১৮:২০ বানীর সাথে এ ঘটনাকে মিলাই তাহলে আরও আশ্চর্য হতে হয়।তখন দেখা যায়, বাইবেলে উদ্ধৃত মৃত্যুর মতই মৃত্যূ হয়েছে মোহাম্মদের অর্থাৎ উক্ত ভবিষ্যদ্বানী অনুযায়ী মোহাম্মদ একজন ভুয়া নবী যে শয়তানের বানীকে ঈশ্বরের বানী বলে দুনিয়ার মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে, ভুল পথে চালিত করেছে ও তাদেরকে শয়তানের পূজারি বানিয়ে মহা সর্বনাশ করেছে। আর সেকারনেই বাইবেলের ঈশ্বর তাকে কঠিন মৃত্যু দান করেছে।
এখন যেহেতু দুনিয়ার প্রায় সকল ইসলামি পন্ডিত বর্তমানে বাইবেলের উক্ত বানীকে মোহাম্মদের আগমন বিষয়ক ভবিষ্যদ্বানী হিসাবে গন্য করে ও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, সেটা সত্য হলে- মোহাম্মদ অবশ্যই বাইবেল বর্ণিত ভুয়া নবী। এখন তাদের ইহুদি ও খৃষ্টানরা বাইবেল বিকৃত করেছে এ ধরনের অতি সরল অভিযোগ- কোন পাত্তা পাবে না। কারন বাইবেলের যে অংশটুকু বিকৃত হয় নি বলে তাদের দাবী সেটুকুই বিস্তৃতভাবে ব্যখ্যা করে সে ধরনেরই সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে এখানে।
Narrated Anas bin Malik: A Jewess brought a poisoned (cooked) sheep for the Prophet who ate from it. She was brought to the Prophet and he was asked, "Shall we kill her?" He said, "No." I continued to see the effect of the poison on the palate of the mouth of Allah's Apostle .
Sahih Bukhari 3:47:786
Narrated 'Aisha and Ibn 'Abbas: On his death-bed Allah's Apostle put a sheet over his-face and when he felt hot, he would remove it from his face. When in that state (of putting and removing the sheet) he said, "May Allah's Curse be on the Jews and the Christians for they build places of worship at the graves of their prophets." (By that) he intended to warn (the Muslim) from what they (i.e. Jews and Christians) had done.
Sahih Bukhari 4:56:660
Narrated Ibn Abbas: 'Umar bin Al-Khattab used to let Ibn Abbas sit beside him, so 'AbdurRahman bin 'Auf said to 'Umar, "We have sons similar to him." 'Umar replied, "(I respect him) because of his status that you know." 'Umar then asked Ibn 'Abbas about the meaning of this Holy Verse:-- "When comes the help of Allah and the conquest of Mecca . . ." (110.1)
Ibn 'Abbas replied, "That indicated the death of Allah's Apostle which Allah informed him of." 'Umar said, "I do not understand of it except what you understand."
Narrated 'Aisha: The Prophet in his ailment in which he died, used to say, "O 'Aisha! I still feel the pain caused by the food I ate at Khaibar, and at this time, I feel as if my aorta is being cut from that poison."
Sahih Bukhari 5:59:713
Narrated Ibn Abbas: Thursday! And how great that Thursday was! The ailment of Allah's Apostle became worse (on Thursday) and he said, fetch me something so that I may write to you something after which you will never go astray." The people (present there) differed in this matter, and it was not right to differ before a prophet. Some said, "What is wrong with him ? (Do you think ) he is delirious (seriously ill)? Ask him ( to understand his state )." So they went to the Prophet and asked him again. The Prophet said, "Leave me, for my present state is better than what you call me for." Then he ordered them to do three things. He said, "Turn the pagans out of the 'Arabian Peninsula; respect and give gifts to the foreign delegations as you have seen me dealing with them." (Said bin Jubair, the sub-narrator said that Ibn Abbas kept quiet as rewards the third order, or he said, "I forgot it.") (See Hadith No. 116 Vol. 1))
Sahih Bukhari 5:59:716
Narrated Aisha: It was one of the favors of Allah towards me that Allah's Apostle expired in my house on the day of my turn while he was leaning against my chest and Allah made my saliva mix with his saliva at his death. 'Abdur-Rahman entered upon me with a Siwak in his hand and I was supporting (the back of) Allah's Apostle (against my chest ). I saw the Prophet looking at it (i.e. Siwak) and I knew that he loved the Siwak, so I said ( to him ), "Shall I take it for you ? " He nodded in agreement. So I took it and it was too stiff for him to use, so I said, "Shall I soften it for you ?" He nodded his approval. So I softened it and he cleaned his teeth with it. In front of him there was a jug or a tin, (The sub-narrator, 'Umar is in doubt as to which was right) containing water. He started dipping his hand in the water and rubbing his face with it, he said, "None has the right to be worshipped except Allah. Death has its agonies." He then lifted his hands (towards the sky) and started saying, "With the highest companion," till he expired and his hand dropped down.
Sahih Bukhari 5:59:730
Narrated Urwa: 'Aisha said, "Allah's Apostle in his fatal illness, used to ask, 'Where will I be tomorrow? Where will I be tomorrow?", seeking 'Aisha's turn. His wives allowed him to stay wherever he wished. So he stayed at 'Aisha's house till he expired while he was with her." 'Aisha added, "The Prophet expired on the day of my turn in my house and he was taken unto Allah while his head was against my chest and his saliva mixed with my saliva." 'Aisha added, "Abdur-Rahman bin Abu Bakr came in, carrying a Siwak he was cleaning his teeth with. Allah's Apostle looked at it and I said to him, 'O 'AbdurRahman! Give me this Siwak.' So he gave it to me and I cut it, chewed it (it's end) and gave it to Allah's Apostle who cleaned his teeth with it while he was resting against my chest."
Sahih Bukhari 5:59:731
Narrated 'Aisha: The Prophet expired in my house and on the day of my turn, leaning against my chest. One of us (i.e. the Prophet's wives ) used to recite a prayer asking Allah to protect him from all evils when he became sick. So I started asking Allah to protect him from all evils (by reciting a prayer ). He raised his head towards the sky and said, "With the highest companions, with the highest companions." 'Abdur-Rahman bin Abu Bakr passed carrying a fresh leaf-stalk of a date-palm and the Prophet looked at it and I thought that the Prophet was in need of it (for cleaning his teeth ). So I took it (from 'Abdur Rahman) and chewed its head and shook it and gave it to the Prophet who cleaned his teeth with it, in the best way he had ever cleaned his teeth, and then he gave it to me, and suddenly his hand dropped down or it fell from his hand (i.e. he expired). So Allah made my saliva mix with his saliva on his last day on earth and his first day in the Hereafter.
Sahih Bukhari 5:59:732
Narrated 'Aisha: Abu Bakr came from his house at As-Sunh on a horse. He dismounted and entered the Mosque, but did not speak to the people till he entered upon 'Aisha and went straight to Allah's Apostle who was covered with Hibra cloth (i.e. a kind of Yemenite cloth). He then uncovered the Prophet's face and bowed over him and kissed him and wept, saying, "Let my father and mother be sacrificed for you. By Allah, Allah will never cause you to die twice. As for the death which was written for you, has come upon you."
Narrated Ibn 'Abbas: Abu Bakr went out while Umar bin Al-Khattab was talking to the people. Abu Bakr said, "Sit down, O 'Umar!" But 'Umar refused to sit down. So the people came to Abu Bakr and left Umar. Abu Bakr said, "To proceed, if anyone amongst you used to worship Muhammad, then Muhammad is dead, but if (anyone of) you used to worship Allah, then Allah is Alive and shall never die. Allah said:--"Muhammad is no more than an Apostle, and indeed (many) apostles have passed away before him..(till the end of the Verse )......Allah will reward to those who are thankful." (3.144) By Allah, it was as if the people never knew that Allah had revealed this Verse before till Abu Bakr recited it and all the people received it from him, and I heard everybody reciting it (then).
Narrated Az-Zuhri: Said bin Al-Musaiyab told me that 'Umar said, "By Allah, when I heard Abu Bakr reciting it, my legs could not support me and I fell down at the very moment of hearing him reciting it, declaring that the Prophet had died."
Sahih Bukhari 5:59:733
Narrated 'Aisha: that during his fatal ailment, Allah's Apostle, used to ask his wives, "Where shall I stay tomorrow? Where shall I stay tomorrow?" He was looking forward to Aisha's turn. So all his wives allowed him to stay where he wished, and he stayed at 'Aisha's house till he died there. 'Aisha added: He died on the day of my usual turn at my house. Allah took him unto Him while his head was between my chest and my neck and his saliva was mixed with my saliva.
Sahih Bukhari 7:62:144
Sahih Muslim
Anas reported that a Jewess came to Allah's Messenger (may peace be upon him) with poisoned mutton and he took of that what had been brought to him (Allah's Messenger). (When the effect of this poison were felt by him) he called for her and asked her about that, whereupon she said: I had determined to kill you. Thereupon he said: Allah will never give you the power to do it. He (the narrator) said that they (the Companion's of the Holy Prophet) said: Should we not kill her? Thereupon he said: No. He (Anas) said: I felt (the affects of this poison) on the uvula of Allah's Messenger.
Sahih Muslim 26:5430
Anas b. Malik reported that a Jewess brought poisoned meat and then served it to Allah's Messenger (may peace be upon him)
Sahih Muslim 26:5431
Abu Dawud
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin: By Allah, we did not know whether we should take off the clothes of the Apostle of Allah (peace be upon him) as we took off the clothes of our dead, or wash him while his clothes were on him. When they (the people) differed among themselves, Allah cast slumber over them until every one of them had put his chin on his chest. Then a speaker spoke from a side of the house, and they did not know who he was: Wash the Prophet (peace be upon him) while his clothes are on him. So they stood round the Prophet (peace be upon him) and washed him while he had his shirt on him. They poured water on his shirt, and rubbed him with his shirt and not with their hands. Aisha used to say: If I had known beforehand about my affair what I found out later, none would have washed him except his wives.
Abu Dawud 20:3135
Narrated Abdullah ibn Abbas: The Apostle of Allah (peace be upon him) was shrouded in three garments made in Najran: two garments and one shirt in which he died.
Abu Dawud 20:3147
Narrated Amir: Ali, Fadl and Usamah ibn Zayd washed the Apostle of Allah (peace be upon him) and they put him in his grave. Marhab or Ibn AbuMarhab told me that they also made AbdurRahman ibn Awf join them. When Ali became free, he said: The People of the man serve him.
Abu Dawud 20:3203
Narrated Al-Qasim ibn Muhammad ibn AbuBakr: I said to Aisha! Mother, show me the grave of the Apostle of Allah (peace be upon him) and his two Companions (Allah be pleased with them). She showed me three graves which were neither high nor low, but were spread with soft red pebbles in an open space.
Abu Dawud 20:3214
Narrated Jabir ibn Abdullah: Ibn Shihab said: Jabir ibn Abdullah used to say that a Jewess from the inhabitants of Khaybar poisoned a roasted sheep and presented it to the Apostle of Allah (peace be upon him) who took its foreleg and ate from it. A group of his companions also ate with him.
The Apostle of Allah (peace be upon him) then said: Take your hands away (from the food). The Apostle of Allah (peace be upon him) then sent someone to the Jewess and he called her.
He said to her: Have you poisoned this sheep? The Jewess replied: Who has informed you? He said: This foreleg which I have in my hand has informed me. She said: Yes. He said: What did you intend by it? She said: I thought if you were a prophet, it would not harm you; if you were not a prophet, we should rid ourselves of him (i.e. the Prophet). The Apostle of Allah (peace be upon him) then forgave her, and did not punish her. But some of his companions who ate it, died. The Apostle of Allah (peace be upon him) had himself cupped on his shoulder on account of that which he had eaten from the sheep. AbuHind cupped him with the horn and knife. He was a client of Banu Bayadah from the Ansar.
Abu Dawud 39:4495
Narrated AbuSalamah: A Jewess presented a roasted sheep to the Apostle of Allah (peace be upon him) at Khaybar.
He then mentioned the rest of the tradition like that of Jabir (No. 4495). He said: Then Bashir ibn al-Bara' ibn Ma'rur al-Ansari died. He sent someone to call on the Jewess, and said to her (when she came): What motivated you to do the work you have done? He then mentioned the rest of the tradition similar to the one mentioned by Jabir (No. 4495).
The Apostle of Allah (peace be upon him) then ordered regarding her and she was killed. But he (AbuSalamah) did not mention the matter of cupping.
Abu Dawud 39:4496
Narrated AbuSalamah: Muhammad ibn Amr said on the authority of AbuSalamah, and he did not mention the name of AbuHurayrah: The Apostle of Allah (peace be upon him) used to accept presents but not alms (sadaqah).
This version adds: So a Jewess presented him at Khaybar with a roasted sheep which she had poisoned. The Apostle of Allah (peace be upon him) ate of it and the people also ate.
He then said: Take away your hands (from the food), for it has informed me that it is poisoned. Bishr ibn al-Bara' ibn Ma'rur al-Ansari died.
So he (the Prophet) sent for the Jewess (and said to her): What motivated you to do the work you have done?
She said: If you were a prophet, it would not harm you; but if you were a king, I should rid the people of you. The Apostle of Allah (peace be upon him) then ordered regarding her and she was killed. He then said about the pain of which he died: I continued to feel pain from the morsel which I had eaten at Khaybar. This is the time when it has cut off my aorta.
১৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:০৭
রুপবান বলেছেন: বলা হয়- ইসলাম মুক্তির ধর্ম, ইসলাম শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম, দাসপ্রথা বাতিলের ধর্ম, নারী স্বাধীনতার ধর্ম......................... আরো কত চটকদার কথামালা! কিন্তু কোরান-হাদীস ঘেটে এর একটিরও সন্ধান মিলে না।
[b]আর ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে বিপদজ্জনক অধ্যায় স্ব-ধর্ম ত্যাগ করা।
[/b]
এই অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদন্ড । কিন্তু মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আগে উক্ত ইসলাম ত্যাগকারী ব্যক্তিকে সুযোগ দেওয়া হবে ইসলাম গ্রহন করার জন্য । কতটা মোটা মাথার চিন্তা-চেতনা!! একটা মানুষকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে তাকে ইসলাম ধর্মে ফেরত আনতে হবে । যে মানুষ সেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছে সেই মানুষকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ইসলাম গ্রহন করানো ব্লাকমেইল নয় কী?
[u]এ ব্যাপারে হাদীস কি বলে :[/u]
[b]৬৪৫৪ নম্বর বুখারী শরিফের হাদীস ;[/b] [i]"আবু নুমান মুহাম্মদ ইবন ফাযল (র) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন আলী (র) এর নিকট একদল যিন্দিককে ( নাস্তিক ও ধর্মদ্রোহী ) আনা হলো । তিনি তাদেরকে আগুন দিয়ে জালিয়ে দিলেন । এ ঘটনা ইবন আব্বাস এর কাছে পৌছুলে তিনি বললেন আমি হলে কিন্তু তাদেরকে পুড়িয়ে ফেলতাম না । কেননা রাসূলুল্লাহ এর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর শাস্তি দ্বারা শাস্তি দিও না । বরং আমি তাদেরকে হত্যা করতাম । কেননারাসূলুল্লাহ এর নির্দেশ রয়েছে, যে কেউ দীন বদলে ফেল্লে তাকে তোমরা হত্যা কর ।" [/i]
[u][b]তাহলে সহজের বলা যায়- বর্বরতা অজ্ঞতার আর কিছু নাম যদি থাকে তাই হচ্ছে ইসলাম ।[/b][/u]
ইসলামিক শাস্তি এবং বর্বরতা
Posted on June 8, 2012 by maopagla
বর্বরতা অজ্ঞতার আর কিছু নাম যদি থাকে তাই হচ্ছে ইসলাম । আজকে ইসলামিক কিছু শাস্তির ধরন নিয়ে লিখবো । ইসলামে শাস্তির ধরনকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে । (ক) হাদ্দ অপরাধ এবং (খ) তাজির অপরাধ ।
এই দুই অপরাধের মধ্যে পার্থক্য কী?
হাদ্দ অপরাধ হচ্ছে সেই অপরাধ গুলো যা আল্লাহ কোরআনে উল্লেখ করে দিয়েছেন এবং শাস্তিও আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত । একবার হাদ্দ অপরাধ প্রমানিত হলে কেউ সেই অপরাধ ক্ষমা করতে পারে না । অন্যদিকে তাজির অপরাধ গুলো হচ্ছে সেই অপরাধ যেসব অপরাধের উল্লেখ কোরআনে নাই এবং যার সাক্ষ্য প্রমানের অভাবে হাদ্দ অপরাধ প্রমান না হলে বিচারকের উপর শাস্তি নির্ভর করে ।
হাদ্দ অপরাধ গুলো কী কী?
(ক) ইসলাম ত্যাগ
(খ) বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক
(গ) চুরি করা
(ঘ) চরিত্রহীনা অপবাদ দেওয়া
মূলত এগলো প্রধান হাদ্দ অপরাধ । একটা ব্যাপার সবাই খেয়াল রাখবেন উক্ত অপরাধের মধ্যে হত্যা নেই কিন্তু । হ্ত্যার ইসলামিক আইন খুব করুন ইসলামে । হত্যা নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করছি ।
(ক) ইসলাম ত্যাগ
সবাই বলে ইসলাম শান্তির ধর্ম । এই কথার মতো মিথ্যা কথা আর কোনটা নাই । কোন মুসলিমের সাথে কথা হলে তারা বলে দীনের ব্যাপারে কোন বাড়াবাড়ি নেই । ইসলাম ত্যাগের শাস্তি কী?
এই অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদন্ড । কিন্তু মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আগে উক্ত ইসলাম ত্যাগকারী ব্যক্তিকে সুযোগ দেওয়া হবে ইসলাম গ্রহন করার জন্য । কতটা বাজে ধর্ম । একটা মানুষকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে তাকে ইসলাম ধর্মে ফেরত আনতে হবে । যে মানুষ সেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছে সেই মানুষকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ইসলাম গ্রহন করানো ব্লাকমেইল নয় কী?
এই শাস্তি হাদীস সাক্ষ্য দিচ্ছে
৬৪৫৪ নম্বর বুখারী শরিফের হাদীস আবু নুমান মুহাম্মদ ইবন ফাযল (র) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন আলী (র) এর নিকট একদল যিন্দিককে ( নাস্তিক ও ধর্মদ্রোহী ) আনা হলো । তিনি তাদেরকে আগুন দিয়ে জালিয়ে দিলেন । এ ঘটনা ইবন আব্বাস এর কাছে পৌছুলে তিনি বললেন আমি হলে কিন্তু তাদেরকে পুড়িয়ে ফেলতাম না । কেননা রাসূলুল্লাহ এর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর শাস্তি দ্বারা শাস্তি দিও না । বরং আমি তাদেরকে হত্যা করতাম । কেননারাসূলুল্লাহ এর নির্দেশ রয়েছে, যে কেউ দীন বদলে ফেুলে তাকে তোমরা হত্যা কর ।
বিবাহ বহিভূর্ত যৌন সম্পর্ক
জেনা হচ্ছে দুজনের সম্মিলিত পারস্পরিক বোঝাপড়ায় বিবাহ বহির্ভূত যৌনমিলন । আমি বুঝি না পারস্পরিক সম্মতিতে যৌন সম্পর্কে সমাজের কী ক্ষতি হচ্ছে? আমি এবং আর এক মেয়ে যদি নিজেদের ইচ্ছায় সেক্স করি এতে কেন অপরাধ হবে? আমরা তো সমাজের কোন ক্ষতি করছি না । এতে সমাজের সবাই আমাদের কেন খারাপ বলবে । আর এই ভালো বা খারাপের মানদন্ড কেন ইসলাম ঠিক করবে ।
জেনার শাস্তি কী? অবিবাহিত অবস্থায় জেনা করলে ৮০ টি দোররা । আর বিবাহিত অবস্থায় করলে পাথর ছুড়ে মৃত্যু ।কেন এতটা অমানবিকতা ।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার ইসলামে ধর্ষনের কোন কথা উল্লেখ নাই । এবং ইসলাম অনুযায়ী ধর্ষনও এক প্রকার জেনা । অথচ ধর্ষন হচ্ছে জোড়পূর্বক যৌনমিলন। সেচ্ছায় যৌনমিলন ইসলামে অপরাধ কিন্তু জোড়পূর্বক যৌনমিলনের ব্যাপারে ইসলামে কোন কথাই নাই । তো ধর্ষন প্রমাণ করতে হলে সেই প্রমানের মানদন্ড কী? জেনা প্রমাণ করতে হলে কমপক্ষে চারজন সাক্ষীর চাক্ষুস সাক্ষ্য থাকতে হবে যারা এই মিলনের সাক্ষী দেবে । ইসলামের অবস্থা দেখে আমার মনে হয় কেউ যখন কাউকে ধর্ষন করতে যায় তখন মনে হয় ধর্ষক সাক্ষী সাথে নিয়ে ধর্ষন করে । যদি চারজন সাক্ষী যোগার না হয় তাহলে যার বিরুদ্ধে জেনার অভিযোগ করা হয়েছে তা প্রমানের অভাবে খারিজ হয়ে যাবে । আর যেহেতু অভিযোগ কারী নিজে জেনার কথা স্বীকার করেছে তাই তার নিজের কথা অনুযায়ী অবিবাহিত হলে ৮০টি দোররা এবং বিবাহিত হলে পাথর ছুড়ে মৃত্যু কার্যকর করতে হবে ।
এই হচ্ছে শান্তির ধর্ম ইসলাম? অভিযোগ কারী অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারার জন্য তার শাস্তি ধার্য করে দিয়েছে ।ইসলাম সম্মত উপায়ে ধর্ষন প্রমাণ করা এক প্রকার অসম্ভব, এটা তামাশা ছাড়া আর কী? ইসলামি ক্ষমা আর সহিষ্ণুতার কি অপূর্ব নমুনা ! আমার বক্তব্য যদি কারও নিকট অতিরিক্ত বিদ্ধেষমুলক প্রতীয়মান হয়, তবে তাকে একটি বিষয় স্মরণ করতে বলি। ইসলামের বিধান অনুযায়ী অননুমোদিত সেক্স নরহত্যার চেয়েও বড় অপরাধ। কারণ হত্যাকারী ‘কিয়াস’ (বদলা) বা ‘দিয়া’র (রক্তপণ) বিনিময়ে অপরাধ থেকে ক্ষমা পেতে পারে। কিন্তু যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে এরূপ কোন ক্ষমার সুযোগ নেই! ভালবাসা খুন করার চেয়েও জঘন্য অপরাধ ইসলামে (বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে)! কতো বড় ঘৃণ্য ও অদূরদর্শী আইন, ভাবা যায়!
চুরি করা
চুরির শাস্তি ইসলামে আরও অমানবিক । যদি চুরি প্রমাণ হয় তাহলে হানাফী মাযহাব অনুযায়ী চোরের ডানহাত কাটতে হবে । এরপর যদি সে চুরি করে তাহলে বাম পা কাটতে হবে, এরপরেও্র যদি সে চুরি করে তাহলে বাম হাত কাটতে হবে এবং এরপরেও যদি সে চুরি করে তাহলে ডান পা কাটতে হবে । সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো এখানে চুরির গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার বিবেচনা করা হয় না । কারন এটা হাদ্দ অপরাধ । একজন অভুক্ত যদি ক্ষুধার জন্য খাবার থেকে কিছু চুরি করে অন্যদিকে একজন নিজের আয়েশের জন্য লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা চুরি করে তাহলেও হাদ্দ অপরাধ অনুযাযী উভয় চোরের হাত কেটে ফেলতে হবে । এর থেকে অমানবিক আর কি হতে পারে ! নিম্নোক্ত হাদীসটি দেখুন
চুরির অভিযোগে এক লোককে ধরে নিয়ে আসা হলো নবীজির কাছে। কিন্তু চুরির কোনও প্রমাণ লোকটির কাছে না থাকায় নবীজি বললো, আমার মনে হয় না তুমি চুরি করেছো। কিন্তু লোকটি বার দুই-তিন বললো, আমি চুরি করেছি। নবীজি তার দুই হাত কেটে ফেলার আদেশ দিলো। শাস্তি বাস্তবায়নের পর তাকে আবার নিয়ে আসা হলো নবীজির কাছে। দয়ার সাগর নবী তখন তাকে বললো, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে তোমার অনুশোচনা জ্ঞাপন করো। লোকটি তখন বললো, আমি অনুতপ্ত চিত্তে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। নবীজির বুক হু-হু করে উঠলো। সে বললো, ইয়া পরওয়ারদিগার, তুমি এর প্রার্থনা মঞ্জুর করো । আবু দাউদ ৩৩: ৪৩৬৭
হত্যা করা
ইসলামে হত্যার শাস্তি তিন ধরনের । (ক) হত্যার বদলে হত্যা (খ) হত্যার বদলে রক্তপন এবং (গ) হত্যার বদলে ক্ষমা রক্তপন দেওয়ার ব্যাপারটা ইসলামে, স্টাটাস এর উপর নির্ভর করে (ইসলাম নাকি সবাইকে সমান হিসেবে দেখে এর মতো মিথ্যাচার আর কি আছে) যেমন ইসলামিক আইন অনুযাযী কোন মহিলার হত্যা হলে তার রক্তমূল হবে একজন পুরুষের অর্ধেক (এখানেও ইসলামী পক্ষপাত) । চাকর বা দাসের জন্য রক্তমূল্য এর দামের উপর নির্ভর করে । যদি কোন মুসলিম কোন অমুসলিমকে হত্যা করে তার জন্য তার রক্তপন দিতে হবে । হত্যার বদলে হত্যা তখন প্রযোজ্য হবে না । ইসলাম কতই না মহান ধর্ম !!!!!
সাদাকা ইবনুল ফযল (র)….. আবু জুহায়ফা (র) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন আমি আলী (রা) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনাদের কাছে এমন কিছু কি আছে যা কুরআনে নেই? তিনি বললেন দিয়াতের বিধান, বন্দি মুক্তির বধিান এবং এ বিধান যে কাফেরের বদলে কোন মুসলমানকে হত্যা করা যাবে না ।
এছাড়া ইসলামে আরও কিছু অদ্ভুত আইন আছে যা নিয়ে পরবর্তীতে লেখার ইচ্ছা আছে । এইসব অদ্ভূত আইন কোনভাবেই পর্তমানে প্রযোজ্য হতে পারে না । ইসলাম পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করতে পারলেই পৃথিবীর মঙ্গল । পৃথিবী হয়ে উঠবে সত্যিকারের জ্ঞানের ভান্ডার আর যার সুফল আমরা সকলেই পাব ।
১৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯
রুপবান বলেছেন: মুরতাদের শাস্তি হল মৃত্যুদন্ড
মুরতাদকে প্রথমে ইসলামের দাওয়াত দেয়া হবে। যদি না মানে, তাহলে তাকে হত্যা করা হবে।
عن عائشة قالت : ارتدت أمرأة يوم أحد فأمر النبي صلى الله عليه و سلم أن تستتاب فإن تابت وإلا قتلت
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। ওহুদ যুদ্ধে এক মহিলা মুরতাদ হয়ে যায়,তখন রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন,তাকে তওবা করানো হোক,আর যদি তওবা না করে,তাহলে তাকে হত্যা করা হবে।
{সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১২১, সুনানে বায়হাকী কুবরা,হাদীস নং-১৬৬৪৫,মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক,হাদীস নং-১৮৭২৫,মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা,হাদীস নং-২৯৬০৭}
عن جابر أن امرأة يقال لها أم مروان ارتدت عن : الإسلام فأمر النبي صلى الله عليه و سلم أن يعرض عليها الإسلام فإن رجعت وإلا قتلت
হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। উম্মে মারওয়ান নামের এক মহিলা মুরতাদ হয়ে গেলে রাসূল সাঃ আদেশ দেন যে,তার কাছে ইসলাম পেশ করতে,যদি সে ফিরে আসে তাহলে ভাল, নতুবা তাকে হত্যা করা হবে।
{সুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী,হাদীস নং-১৬৬৪৩,সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১২২}
২০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
রুপবান বলেছেন: হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এবং তাঁর সাহাবীরা এমন সব অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে গিয়েছিলেন যা পরবর্তীতে দাস প্রথা বিলপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
তাই যদি হয় তবে নিচের হাদীস কি ধারনা দেয়?
হযরত মায়মুনা বিন্তে আল হারিসা (Hazrat Maymuna Bint Al-Haritha.) মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর অনুমতি ছাড়াই একজন দাসী মুক্ত করলে তিনি বলেন.....দাসী মুক্ত না করে বরং তোমার চাচা/মামা কে দিয়ে দিলেই অধিক সওয়াব পেতে। Volume 3, Book 47, Number 765: হাদীস এর সূত্র
উপরের হাদীসে মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপদেশ দাস প্রথার পক্ষে না বিপক্ষে,এই হাদীস আমার কাছে অমানবিক মনে হয়।
২১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪১
রুপবান বলেছেন: আমরা এই আলোচনাটা কেন করছি, সেটা তাহলে পরিষ্কার করে নিই – ‘ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান’ এই দাবির প্যারডি হিসাবে ‘ইসলাম একটি যৌনাঙ্গ জীবনবিধান’, এই ইঙ্গিতটা আমি এখানে প্রকাশের মাধ্যমে অনুমোদন করেছি কেন, তাই নিয়ে। সেটা কি আসলেই অন্যায্য/মিথ্যা/কুৎসা?
তো আমার মূল বক্তব্য উপরে যা ছিল – সেই সময়ের প্রচলিত ইহুদী/পেগান জীবনবিধান থেকে যে মস্তবড় পার্থক্য/পরিবর্তন/উদ্ভাবন দেখতে পাই মহম্মদের প্রণীত জীবনবিধান অর্থাৎ ইসলামে, তা হল যৌনতাড়না-নির্ভরতা, মহম্মদ ও তার অনুচরদের।
সেটা তার নিজের স্ত্রী-দাসী-যুদ্ধবন্দিনীসঙ্গম হালাল করার জন্যও বটে, আবার অনুচরদের চার বৌ+যুদ্ধবন্দিনীসঙ্গম এবং পরলোকে গিয়ে আরো অক্ষতযোনি হূরসঙ্গম এই সব মিলিয়েই। এসবের কারণে তার যখন-তখন নিজেরই (দাবীমত তার মুখ দিয়ে আল্লার বলা) আগের বাণীগুলো খারিজ করে দিতেও বাধত না।
(নোট: রমজানের উপবাস বা পাঁচওয়াক্ত প্রার্থনা, কোনোটাই তার উদ্ভাবন নয়, সমকালীন অভ্যাসই তার নতুন সমাজেও প্রচলিত হয়ে চলেছিল, ব্যস। এই লেখাটা দেখুন।)
মোটের উপর এই অবস্থা থেকেই আমার সেই রসিকতাটাকে অনুমোদন করা।
দ্বিতীয় যে কারণে আমার এই কথাটা পছন্দ হয়েছে – তার মধ্যে প্যারডি হিসাবে ওয়ার্ডপ্লে আছে, এবং ওয়ার্ডপ্লে যেকোনো হিউমারে বাড়তি মাত্রা এনে দেয়। হালকার উপরে এই নমুনাটা দেখুন:
এইটাকে তারা ফেলতেও পারে না আবার রাখতেও পারে না। তাই বহুৎ অনিচ্ছা সত্ত্বেও বছর শেষে সস্তা কিছু কাপড় চোপড় কিনে গরীবদের দান করে দায়িত্ব শেষ করে।
যাকাত শেষে আমার মনে একটা প্রশ্ন জাগে। সভ্যতার উন্নতি হচ্ছে। দারিদ্র একদিন দূর হবেই। দেশে বা পৃথিবীতে কোনো মুসলিম যদি গরীব না থাকে তাহলে কে কাকে যাকাত দেবে ?
এই প্রশ্নটা কুরবানীর মাংস বন্টনের ক্ষেত্রেও খাটে। তিন ভাগের এক ভাগ মাংস গরীবদের দেয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু উপর্যুক্ত কারণে গরীব যদি না থাকে তাহলে কুরবানীর ঐ এক ভাগ মাংসের কী হবে ?
নাকি ইসলাম এমন একটি ধর্ম যেখানে কিছু মুসলিম সবসময় গরীব থাকবে এবং এটা বাধ্যতামূলক। তাই না হলে নবী কিভাবে বলে যায়, দুনিয়াতে যার সম্পদ কম আখেরাতে তার হিসাব সহজ হবে! ঠিক এই হাদিস তুলেই আমি একজন প্রশ্ন করেছিলাম, এই হাদিস কয়জন বিশ্বাস করে ? সে কখা বলতে পারে নি।
এছাড়াও কোরান হাদিসের আর কিছু বানীতেও দেখা যায় সেখানে দারিদ্রতাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এটা কেনো ? ইসলাম কি গরীব আর ভিক্ষুকের ধর্ম ? ঢাকার রাস্তায় বেরোলে এই প্রশ্নটি আরও প্রকট হয়ে মাথায় ঘোরে, যখন দেখি সব ভিক্ষুকের ইসলামি বেশ, আর তাদের মুখেও আল্লা নবীর নাম।
২২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩১
রুপবান বলেছেন: সুরা দুখান (৪৪), ৫১-৫৪: “নিশ্চয়ই খোদাভীরুরা নিরাপদ স্থানে থাকবে, উদ্যানরাজি ও নির্ঝরিণীসমুহে। তারা ব্যবহার করবে পাতলা ও কিংখাবখচিত রেশমী বস্ত্র, পরস্পর মুখোমুখী হয়ে বসবে। এরূপই হবে এবং তাদের জন্যে রয়েছে আয়তলোচনা স্ত্রীগণ”।
সুরা আর-রহমান (৫৫), ৫৪-৫৮: “তারা সেথায় রেশমের আবরণবিশিষ্ট বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে। উভয় জান্নাতের ফল ঝুলবে তাদের সামনে। অতএব তোমাদের পালনকর্তার কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? তথায় থাকবে আয়তলোচনা রমণীগণ, কোনো মানব ও জ্বিন পূর্বে তাদেরকে ব্যবহার করে নাই।….প্রবাল ও পদ্মরাগ সদৃশ রমনীগণ”।
৭০-৭৪: “সেখানে থাকবে সচ্চরিত্রা সুন্দরী রমণীগণ। অতএব তোমাদের পালনকর্তার কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? তাবুতে উপবেশকারী হুরগণ।….কোন মানব ও জ্বিন পুর্বে তাদেরকে স্পর্শ করেনি”।
সুরা ওয়াক্কিয়া (৫৬), ৩৫-৩৮: “আমি জান্নাতের রমণীদিগকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী। কামিনী, সমবয়স্কা। ডানদিকের লোকদের জন্যে”।
সুরা আন্-নাবা (৭৮), ৩১-৩৪: “পরহেজগারদের জন্যে রয়েছে সাফল্য, উদ্যান, আঙ্গুরবীথি। সমবয়স্কা, ইন্দ্রিয়তৃপ্তিকারী তরুণী এবং পুর্ণ পানপাত্র”।
Click This Link
২৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩২
রুপবান বলেছেন: Click This Link
২৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৪
রুপবান বলেছেন: এগেইন, জিয়া ভাই- দুই নৌকার মজা, সে এক বিশাল সুযোগ-সুবিধা। জামাত কে কোনঠাসা করতে হটাৎ ইসলামে উদ্বুদ্ধ হয়ে ডঃ ইউনুসের সুদি ব্যাংকের পিছে লেগেছেন! আবার এই একই জামাত যখন জীবনের সর্বস্তরে ইসলাম কায়েমের কথা বলে তখন আপনাদের মুখ কালো! ইসলামের মৌলিক বিধান- হেফাজতের ১৩ দফাকে বলেন মধ্যযূগীয়, ইসলামের অকাট্ট নারী বিধান কে সফী হুজুরের তেঁতুল তত্ব বলে রাগাম্বর দেখান। এর চেয়ে বড় দ্বিচারিতা হতে পারে না।
দেখুন, সফী হুজুর কে আমি ধন্যবাদ দেই এ কারনে যে তিনি নিঃস্বার্থ ভাবে ইসলাম ধর্মে উদ্বুদ্ধ, ইসলাম নিয়ে তিনি অন্তত মডারেটদের মত ভন্ডামি করেন্না, তিনি খাস দিলে সব বলেন। যেখানে ইসলাম ধর্মে পরিস্কার নিদ্দেশ আছে ;
কোরান সূরা আল আহযাব, আয়াত ৩৩ (৩৩:৩৩)
তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে—মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ্ ও তাঁর রসুলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ্ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত পবিত্র রাখতে।
সহিহ মুসলিম, বই ৭ হাদিস ৩১০৫:
আবু হুরায়রা বললেন: “রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যে নারী আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস করে সে কখনই তার মাহরাম ছাড়া এক দিনের ভ্রমণে যাবে না।”
মালিকের মুয়াত্তা, হাদিস ৫৪.১৪.৩৭:
মালিক—সাইদ ইবনে আবি সাইদ আল মাকবুরি—আবু হুরায়রা থেকে। মালিক বললেন: আল্লাহ্র রসুল (সাঃ) বলেছেন: যে নারী আল্লাহ ও আখেরতে বিশ্বাস করে তার জন্যে তার পুরুষ মাহরাম ছাড়া একদিনের রাস্তা ভ্রমণ করা হালাল নয়।
এসবের বিপরিতে তথাকথিত মডারেটররা তখন মিউ মিউ করেন। কেউ আবার মিনমিন করে বিবি খাদিজার ব্যবসার কথা বলেন, বিবি আয়শার উটের যুদ্ধের কথা বলেন। অথচ এর একটিও কোরান-হাদিসে সমর্থিত নয়।
আপনি রাজিবের নাস্তিক্য ঘৃনা করেন! আবার রাজিবের মুন্ডুপাত নিয়ে প্যানপ্যান করেন! কি আশ্চর্য আপনি? যেখানে ইসলামের বিধানে কোন রাখঢাক করা হয় নি, দেখুন ;
কোরান : ৪:৮৯ ; তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না।
৬৪৫৪ নম্বর বুখারী শরিফের হাদীস ; "আবু নুমান মুহাম্মদ ইবন ফাযল (র) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন আলী (র) এর নিকট একদল যিন্দিককে ( নাস্তিক ও ধর্মদ্রোহী ) আনা হলো । তিনি তাদেরকে আগুন দিয়ে জালিয়ে দিলেন । এ ঘটনা ইবন আব্বাস এর কাছে পৌছুলে তিনি বললেন আমি হলে কিন্তু তাদেরকে পুড়িয়ে ফেলতাম না । কেননা রাসূলুল্লাহ এর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর শাস্তি দ্বারা শাস্তি দিও না । বরং আমি তাদেরকে হত্যা করতাম । কেননারাসূলুল্লাহ এর নির্দেশ রয়েছে, যে কেউ দীন বদলে ফেল্লে তাকে তোমরা হত্যা কর ।"
আপনি আল কোরান থেকে সুরা ৬০/৬-৭-৮-৯ খুঁজে এনেছেন বটেই, তাই তো ইসলামের বিরুদ্ধে হাতজোর করে বসে থাকলে সব মাফ! নয় কি? অথচ কোরান-হাদীসের পাতায় পাতায় বর্নিত নীচের এমন অসংখ সুরাকেরাত গুলো আপনারা না পারেন হজম করতে, না পারেন ফেলে দিতে-
৯:২৯ ; তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
৯:৫ ; অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
৮:১২ ; যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্থির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।
“হে নবী! কাফের ও মুনাফেকদের বিরুদ্ধে জেহাদ করো এবং তাদের প্রতি কঠোর হন তাদের ঠিকানা জাহান্নাম”। (আত তাহরিমঃ৯)
“অবিশ্বাসীগণ ( কোরআন আল্লাহ্ ও নবীতে) তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু”! ( নিসাঃ১১১)
“তোমরা ততক্ষণ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে যতক্ষণ না আল্লাহ-র ধর্ম সামগ্রিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়”। (আনফালঃ৩৮)
Sahih Muslim 4366 Narrated by Umar ibn al-Khattab. Umar heard the Messenger of Allah (peace be upon him) say: I will expel the Jews and Christians from the Arabian Peninsula and will not leave any but Muslims
Sahih Muslim 4363: "You (the Jews) should know that the earth belongs to Allah and His Apostle and I wish to expel you from this land (Arabia)
Sahih Bukhary 6981 : Ibn 'Umar reported Allah's Messenger (may peace be upon him) as saying: You will fight against the Jews and you will kill them until even a stone would say: Come here, Muslim, there is a Jew (hiding himself behind me) ; kill him.
তো ভাইজান ; এমন উদাহরন সব দিতে গেলে ব্লগের গিগবাইট শেষ হয়ে যাবে।
আপনি সাইদী রাজাকারের হিন্দু নারী ধর্ষন কর্মে বিচিলিত! কিন্তু ধর্ষন নিয়ে ইসলাম কি বলে দেখুন জনাব @ মডারেট জিয়া ভাই ;
সহিহ্ বোখারি ভলুম ৭ বই ৬২ হাদিস ১৩৭:
আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:
এক জিহাদে আমরা শত্রুপক্ষের নারী বন্দি পেলাম। তারা আমাদের হাতে আসলে আমরা তাদের সাথে আজল করে সহবাস করলাম। এরপর আমরা রসুলুল্লাহকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: তাই নাকি! তোমরা কি এরূপ করে থাক? রসুলুল্লাহ তিনবার এই প্রশ্ন করলেন, এবং বললেন: আখেরাত পর্যন্ত যত লোক সৃষ্টি হবে তাদের প্রত্যেকটি অবশ্য জন্মলাভ করবে।
সহি মুসলিম, বই- ৮, হাদিস- ৩৪৩২
আবু সাদ খুদরি বর্ণিত - হুনায়নের যুদ্ধের সময় আমাদের কিছু সৈন্যকে আওতাসে প্রেরন করলেন ও সেখানে আমরা শত্রুদের পরাজিত করলাম ও বেশ কিছু নারী বন্দি করলাম। কিন্তু নবীর সাহাবিরা সেসব যুদ্ধ বন্দিনী নারীদের সাথে যৌনাচারে অনিচ্ছূক ছিল কারন তাদের স্বামীরা তখনও জীবিত ছিল। আর তখনই আল্লাহ নাজিল করল -তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম-----------সুরা( ৪: ২৪)।
আরারো আপনাকে আহব্বান করছি ; এসব মৌলবাদী ধর্মান্ধ জামাত-শিবির-তালেবান দের সাথে মিউমিউ করে কাজ হবে না। বাংলাদেশের নারী সমাজ কে জাগিয়ে তুলুন, নতুন প্রজন্মকে ২১ শতকের উপযোগি বাস্তবতা শিখতে দিন। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে শিখান প্লিজ...................
ধন্যবাদ জিয়া ভাই।
২৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪০
রুপবান বলেছেন: সুতরাং চলেন আমরা প্রশ্ন চালিয়ে যাই – ঈশ্বর যদি শূন্য হতে আসতে পারে তবে মহাবিশ্ব ক্যানো শূন্য হতে আসতে পারে না? তারা বলে যে ঈশ্বর সর্বদা বিরাজমান তবে মহাবিশ্ব ক্যানো সর্বদা বিরাজমান নয়। আমরা হয়ত বারবার সৃষ্টি আর ধ্বংসের একটা চক্রে আবদ্ধ। বিগব্যাং ঘটার পর থেকে পদার্থবিজ্ঞান বাদে আর কোনো সূত্রই মহাবিশ্বের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারে না। সুতরাং যদি আমরা ধরেও নিই যে ঈশ্বর হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ পদার্থবিজ্ঞানী তবুও তার সীমাবদ্ধতা রয়েছে যার প্রমান আমরা পাই “কোয়ান্টাম মেকানিকসে” (এ ব্যাপারেও আশা করি পরবর্তীতে আলোচনা করতে পারব)। আর একারণে ঈশ্বরবিশ্বাসী মহাবিজ্ঞানী আইনস্টাইনও কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে মেনে নেন নি। যদিও প্রকৃতি কোন ব্যাক্তির ইচ্ছার ধার ধারে না। তাই কোয়ান্টাম মেকানিক্স এগিয়ে চলেছে এবং তার ফসল হিসাবে কম্পিউটার ও ইলেক্ট্রিক্যাল সাইন্স গড়ে উঠেছে। তাই ঈশ্বরের ক্ষমতাও প্রকৃতির খেয়াল খুশির কাছে সীমিত। হিন্দু মিথলজিতে মহাবিশ্বকে ঈশ্বরের স্বপ্ন রূপে উল্লেখ করা হয়েছে। সে হিসাবে একজন ঈশ্বর কিভাবে অসংখ্য মহাবিশ্বের স্বপ্ন দেখছেন তা একটা রহস্য। তাই একজন ঈশ্বরের অসংখ্য মহাবিশ্বের স্বপ্ন দেখার যৌক্তিকতার চেয়ে অসংখ্য মানুষের একজন ঈশ্বরকে কল্পনা করা সহজ। আর তাই প্রকৃতির নিয়মকে কারো স্বপ্নের কাছে যেমন অনুমতিও নিতে হয় না তেমনি কারো শিঙ্গার ফুঁতে তা ধ্বংস হওয়ার জন্যও অপেক্ষা করতে হয় না। অবশ্য প্রকৃতির নিয়মকে গজব বলাও আরেকটি ধার্মিক উপাখ্যান।>>
২৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯
রুপবান বলেছেন: হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এবং তাঁর সাহাবীরা এমন সব অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে গিয়েছিলেন যা পরবর্তীতে দাস প্রথা বিলপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
তাই যদি হয় তবে নিচের হাদীস কি ধারনা দেয়?
হযরত মায়মুনা বিন্তে আল হারিসা (Hazrat Maymuna Bint Al-Haritha.) মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর অনুমতি ছাড়াই একজন দাসী মুক্ত করলে তিনি বলেন.....দাসী মুক্ত না করে বরং তোমার চাচা/মামা কে দিয়ে দিলেই অধিক সওয়াব পেতে। Volume 3, Book 47, Number 765: হাদীস এর সূত্র
উপরের হাদীসে মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপদেশ দাস প্রথার পক্ষে না বিপক্ষে,এই হাদীস আমার কাছে অমানবিক মনে হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:১৫
রুপবান বলেছেন: "Kitab al-Tabaqat al-Kabir", mention is made of Mariyah. On page 151, it says
"He [the Lord of Alexandria] presented to the prophet Mariyah, her sister Sirin, a donkey and a mule which was white....The apostle of Allah liked Mariyah who was of white complexion and curly hair and pretty.... Then he cohabited with Mariyah as a handmaid and sent her to his property which he had acquired from Banu al-Nadir."
The note for the word "handmaid" says "Handmaids gained the status of wedded wives if they bore children. They were called "umm walad" and became free.
This story is also supported by Tabari's History, volume 39, page 194. Here is the quote: (my words are in ( ) parenthesis).
"He (Muhammad) used to visit her (Mariyam) there and ordered her to veil herself, [but] he had intercourse with her by virtue of her being his property."
The note (845) on this says, "That is, Mariyah was ordered to veil herself as did the Prophet's wives, but he did not marry her."