![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্প্রতি দুটি ঘটনা দুনিয়াতে বেশ সাড়া ফেলেছে আর বলা বাহুল্য দুটোই শান্তির ধর্ম ইসলামকে নিয়ে। একটা হলো – পাকিস্তানে এক খৃষ্টান বালিকার কথিত কোরান পোড়ানোর ঘটনা ও তা নিয়ে তুল কালাম কান্ড এবং মোহাম্মদকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করে লিবিয়াতে মার্কিন দুতাবাস আক্রমন ও তাতে একজন মার্কিন কুটনীতিক ও আরও কয় জন কর্মচারীর হত্যাকান্ড।এ ছাড়াও মিশর ও ইয়েমেনে মার্কিন দুতাবাস আক্রমনের খবর পাওয়া গেছে। সামনে হয়ত বিভিন্ন দেশে এ ধরনের আক্রমনের আরও খবর পাওয়া যাবে। বলা বাহুল্য দুটো ঘটনাই ইসলামি বিধান অনুযায়ী অমার্জনীয় অপরাধ- প্রথমটি কোরান পোড়ানো ও দ্বিতীয়টি মোহাম্মদের কথিত চরিত্র হনন।
কোরান পোড়ানো কিভাবে অপরাধ হতে পারে তা ঠিক বোধ গম্য নয়। কারন আল্লাহ নিজেই ঘোষণা দিয়েছে-
আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক । কোরান, আল হিজর- ১৫:০৯
যেখানে আল্লাহ নিজেই কোরান নাজিল করে তা সংরক্ষণ করার ঘোষণা দিয়েছে সেখানে দুনিয়াতে দু’চারজন এমন কি হাজার হাজার লাখ লাখ কাফির মুশরিক যদি লক্ষ লক্ষ কোরান গাটের পয়সা খরচ করে পুড়িয়ে ফেলে, তাহলে কোরান তো দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার কথা নয় কারন যা স্বয়ং আল্লাহ সংরক্ষন করবে তা কিভাবে কিছু কাফের মুশরিক নিশ্চিহ্ন করতে পারে। তাছাড়া কিভাবে তা অপরাধ হয় তাও বোঝা মুশকিল।কেউ যদি ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে কোরান পোড়ায় তাহলে মুসলমানরাই বা উন্মত্ত হয়ে কেন হত্যা খুন লুট তরাজ রাহাজানিতে লিপ্ত হয়ে পড়বে ? মুসলমানরা যদি খৃষ্টানদের বাইবেল পোড়ায় তাহলে খৃষ্টানরা কি এভাবে মুসলমানদেরকে খুন করার জন্য পাগল হয়ে যাবে ? প্রশ্নটা একারনে যে – যেহেতু কোরান সংরক্ষনের দায় দায়িত্ব পুরোটাই আল্লাহর হাতে তাহলে মুসলমানরা কেন সে কোরান রক্ষার জন্য খুন খারাবিতে লিপ্ত হবে ? আল্লাহ কি তাহলে কোরান সংরক্ষন করতে অক্ষম ? আর সেকারনেই মুসলমানরা এ ধরনের কোরান পোড়ানোর ঘটনায় ভীত এই ভেবে যে কোন একদিন দুনিয়ার সব কাফির এক জোট হয়ে দুনিয়ার সব কোরান পুড়িয়ে শেষ করে কোরানকে দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে ?
এবার আসা যাক, দ্বিতীয় ঘটনায়।আমেরিকাতে কোন এক কপ্টিক খৃষ্টাণ একটা চলচ্চিত্র তৈরী করেছে যাতে মোহাম্মদের চরিত্র হনন করা হয়েছে।উক্ত চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে মোহাম্মদ নারী আসক্ত ছিলেন। তো এ চলচ্চিত্র দেখে লিবিয়ার কিছু ধর্মপ্রান মুসলমান প্রচন্ড খেপে গিয়ে মার্কিন দুতাবাস আক্রমন করে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং একজন কুটনীতিককে হত্যা ছাড়াও কয়েকজন কর্মচারীকে হত্যা করেছে। এখন বিষয় হলো মোহাম্মদ কি সত্যি নারী আসক্ত ছিলেন? দেখা যাক হাদিস কি বলে।
কাতাদা বর্ণিত: আনাস বিন মালিক বলেছিলেন., “ রাত ও দিন ব্যপী নবী তাঁর সকল স্ত্রীর সাথে মিলিত হতেন আর তাদের সংখ্যা ছিল এগার। আমি আনাস কে জিজ্ঞেস করলাম, “ নবীর কি এত শক্তি ছিল ?” আনাস উত্তর দিলেন, “ আমাদেরকে বলা হয়েছিল ত্রিশ জন পুরুষের সমান শক্তি ছিল নবীর”।সহি বুখারি, ভলিউম-১,বই-৫, হাদিস-২৬৮
উক্ত হাদিস থেকে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে যে দিন ও রাতে মোহাম্মদ যে তাঁর সকল স্ত্রীর সাথে দেখা সাক্ষাত করতেন বিষয়টি মোটেও সৌজন্যমূলক দেখা সাক্ষাতের বিষয় ছিল না। তাহলে এ প্রশ্ন আসত না যে তার সে শক্তি ছিল কি না। সৌজন্যমূলক দেখা সাক্ষাত করার জন্য নিশ্চয়ই ত্রিশ জন পুরুষের সমান শক্তি দরকার পড়ে না। যে লোক তার এগারজন স্ত্রীর সাথে নিত্যদিন দেখা করে তাদের সাথে মিলিত হতেন , প্রশ্ন হলো, তাকে নারী আসক্ত বলা যায়, কি যায় না।
সুন্দরী নারী দেখলে মোহাম্মদের শরীরে কি প্রতিক্রিয়া হতো তা দেখা যায় নীচের হাদিসে-
জাবির বর্ণিত:আল্লাহর নবী রাস্তায় একজন নারী দেখলেন এবং তাকে দেখেই তাড়াতাড়ি তার স্ত্রী জয়নাবের ঘরে চলে গেলেন যে তখন একটা চামড়া রং করছিল এবং নবী তার সাথে যৌন ক্রিড়া করলেন।তারপর তিনি তার সাহাবীদের কাছে গেলেন এবং তাদেরকে বললেন: স্ত্রীলোকটি অগ্রসর হয়ে একটা শয়তানের রূপ ধারন করল, তাই তোমরা যখন কোন নারীকে দেখবে তখন তোমাদের উচিত তোমাদের স্ত্রীদের কাছে যাওয়া, তাহলে তার মনে যে কামনার উদ্রেক করেছিল তার প্রশমন হবে। সহি মুসলিম, বই-৮ হাদিস-৩২৪০
ইসলামে যাকে বলা হচ্ছে শ্রেষ্ট আদর্শ মানুষ যাকে দুনিয়ার শেষ দিন পর্যন্ত অনুসরণ করতে হবে, তিনি রাস্তায় একটা সুন্দরী নারী দেখে সাথে সাথে দৌড়ে তার স্ত্রী জয়নাবের কাছে গেলেন ও তার সাথে যৌন ক্রিড়া করলেন।দৃশ্য কল্পটা কি অদ্ভুত! তাহলে রাস্তায় নারী দেখার পর তার দেহ ও মনে কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল যে কারনে তাকে দৌড়ে গিয়ে তার স্ত্রীর সাথে যৌন ক্রিড়া করতে হলো? একজন আদর্শ মানবের সাথে এ দৃশ্য কল্পটা কি মানানসই ? ঠিক একই আচরন যদি এখন কেউ করে তাকে কি বলে আখ্যায়িত করা হবে ? তাকে কি সবাই নারী লিপ্সু বলবে না ? যুক্তি হিসাবে বলা যেতে পারে যে- যৌন কাজটা তো স্ত্রীর সাথেই করা হয়েছে তাই সেটা খারাপ কিছু নয়। কিন্তু বিষয়টা হলো একজন আদর্শ মানুষের মানসিকতা ও সংযমের। একজন আদর্শ মানুষ রাস্তায় বেরুলে যদি কোন নারীর সাথে তার দেখা হয়ে যায়, তাহলেই সে উত্তেজিত হয়ে পড়বে? তার কি কোন রকম সংযম নেই ? যদি সংযম না-ই থাকে তাহলে সে কিভাবে আদর্শ মানুষ? আর তা ছাড়া নারী দেখলেই উত্তেজিত হয়ে পড়তে হবে, এটা কোন্ ধরনের সভ্য আচরন? আর যে লোক নারী দেখলেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে তাকে কি নারী আসক্ত বলা যায় না ?
এখন একজন কোরান পুড়িয়েছে বলে তার বিরুদ্ধে ধর্ম দ্রোহের অপরাধ আনা হয়েছে, ধরে জেলে পোরা হয়েছে, বর্তমানে জামিনে আছে, কিন্তু আশ পাশের মুসলমানরা তাদের পরিবার শুদ্ধ পুড়িয়ে মারার হুমকি দিচ্ছে। অন্য একজন মোহাম্মদের জীবনের সত্য ঘটনাকে নিয়ে একটা চলচ্চিত্র তৈরী করেছে কিন্তু তাকে হাতের কাছে না পাওয়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুতাবাস আক্রমন করে তাতে আগুন লাগানো হচ্ছে ও মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। অপরাধ হলো – ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলা হয়েছে, ইসলামকে অপমান করা হয়েছে, মোহাম্মদের চরিত্র হনন করা হয়েছে।কিন্তু আসলেই কি ইসলামকে অপমান করা হয়েছে , মোহাম্মদের চরিত্র হনন করা হয়েছে? উপরে কোরান ও হাদিস থেকে যে উদাহরণ দেয়া হলো তা কি প্রমান করে যে সত্যি সত্যি ইসলাম ও মোহাম্মদকে অবমাননা করা হয়েছে? কোন ব্যক্তি সম্পর্কে সত্য ঘটনা জানা বা প্রকাশ করা কি তাকে অবমাননা করা ?
এখন ইসলাম বা মোহাম্মদকে অবমাননা করার কি শাস্তি সেগুলো দেখা যাক।
ঐ ব্যক্তির চাইতে বড় জালেম কে হবে, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে অথবা বলেঃ আমার প্রতি ওহী অবতীর্ণ হয়েছে। অথচ তার প্রতি কোন ওহী আসেনি এবং যে দাবী করে যে, আমিও নাযিল করে দেখাচ্ছি যেমন আল্লাহ নাযিল করেছেন। যদি আপনি দেখেন যখন জালেমরা মৃত্যু যন্ত্রণায় থাকে এবং ফেরেশতারা স্বীয় হস্ত প্রসারিত করে বলে, বের কর স্বীয় আত্মা! অদ্য তোমাদেরকে অবমাননাকর শাস্তি প্রদান করা হবে। কারণ, তোমরা আল্লাহর উপর অসত্য বলতে এবং তাঁর আয়াত সমূহ থেকে অহংকার করতে।কোরান, সূরা- আল আনাম ০৬:৯৩ ( মক্কায় অবতীর্ণ)
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি ইহকালে ও পরকালে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি।কোরান, সূরা আহযাব-৩৩:৫৭
মুনাফিকরা এবং যাদের অন্তরে রোগ আছে এবং মদীনায় গুজব রটনাকারীরা যদি বিরত না হয়, তবে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আপনাকে উত্তেজিত করব। অতঃপর এই শহরে আপনার প্রতিবেশী অল্পই থাকবে।কোরান, সূরা আহযাব-৩৩:৬০
অভিশপ্ত অবস্থায় তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে, ধরা হবে এবং প্রাণে বধ করা হবে।কোরান, সূরা আহযাব-৩৩:৬১
উপরের আয়াত সমূহ থেকে দেখা যাচ্ছে যে যারাই আল্লাহ ও তার রসুল মোহাম্মদকে কষ্ট দেবে, তার বিরুদ্ধে গুজব রটনা করবে তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে ধরতে হবে ও হত্যা করে ফেলতে হবে। বলা বাহুল্য, মোহাম্মদকে অবমাননা করা আল্লাহকে কষ্ট দেয়ার শামিল। কারন মোহাম্মদ তো আর বর্তমানে জীবিত নেই, তাই তাকে অবমাননা করে তাকে কষ্ট দেয়া সম্ভব নয়। আর তাই এমতাবস্থায় মুমিন মুসলমানদের কর্তব্য হলো জিহাদী জোস নিয়ে বেরিয়ে পড়ে অবমাননাকারীদেরকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে ছারখার করে দেয়া।আর ঠিক সেটাই করছে লিবিয়া, মিশর, ইয়েমেনের মুমিন মুসলমানরা যা বস্তুত তাদের পবিত্র ইমানি দায়িত্ব।কিন্তু কথা হলো- সত্য কথা বলাটা কিভাবে অবমাননা করা হয়, সত্য কথা বললে কেন মোহাম্মদের আল্লাহ কষ্ট পাবে ও রাগান্বিত হবে ? মোহাম্মদের নারী প্রীতি ছিল সেই আরব সমাজে সর্বজন বিদিত।আর তার নারী প্রীতিকে বৈধ করতে তিনি তার ওহীর নামে নিচের আয়াত পর্যন্ত নাজিল করে নেন-
কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। কোরান, সূরা আল আহযাব-৩৩:৫০
উক্ত আয়াত দ্বারা তো এটাই বুঝায় যে নবীর নারী প্রীতিকে বৈধ করাই ছিল এর নাজিলের একমাত্র উদ্দেশ্য।তাই কোন রাখ ঢাক ছাড়াই বলা হচ্ছে- অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে।যদি ধরা হয় যে নীচের আয়াত দ্বারা সেটা রদ করা হয়েছে-
এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। কোরান, সূরা আল আহযাব-৩৩:৫১
তাহলেও দেখা যাচ্ছে যে যেমন ইচ্ছা খুশী বৈচিত্রপূর্ণ নারী সঙ্গ যাতে মোহাম্মদ পেতে পারেন তার জন্য তার আল্লাহ বিশেষ সুবিধা বলবত রেখেছে এই বলে যে- তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে মোহাম্মদ মূলত: আল্লাহর এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খায়বার বিজয়ের পর সাফিয়াকে বিয়ে করেন, আর সেটা করেন শুধুমাত্র সাফিয়ার রূপ গুণের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যা সুন্দরভাবে বর্ণিত আছে হাদিসে।অর্থাৎ দরকার বোধে মোহাম্মদ উক্ত নিষেধাজ্ঞার আয়াত নাজিল করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু যখন তার বিরুদ্ধে টু শব্দ করার কেউ ছিল না ( মদিনা জীবনের শেষ দিকে )তখন তিনি আর উক্ত নিষেধাজ্ঞা মানার দরকার মনে করেন নি। এত ঘটনার পর যদি কোন লোক মোহাম্মদকে নারী লোলুপ বলে তাহলে সেটা কি ভুল বা অসত্য বলা হয় ? আর সত্য কথা বললে তা অবমাননাকর হয় কিভাবে? তবে তার চাইতে বড় প্রশ্ন হলো- সত্য বলার অপরাধে কিভাবে মানুষকে খুন করতে বলে আল্লাহ? কোরানের বানী ছাড়াও হাদিসে আছে কিভাবে মোহাম্মদের সমালোচনাকারীদের সাথে আচরণ করতে হবে। যেমন-
বুখারি, বই-৫৯, হাদিস-৩৬৯
জাবির বিন আব্দুল্লাহ বর্ণিত: আল্লাহর রসুল বললেন, “ কে কা’ব বিন আল আশরাফকে হত্যা করতে পারবে যে আল্লাহ ও তার রসুলকে কষ্ট দিয়েছে? মোহাম্মদ বিন মুসায়লামা উঠে দাড়িয়ে বলল, “ হে রসুল, আপনি কি তাকে হত্যা করার জন্য আমাকে পছন্দ করেন ?” নবী বললেন, “ হ্যা”। মুসায়লামা বলল, “ তাহলে আমাকে প্রতারনা করার জন্য কিছু বলার অনুমতি দিন”।———————–এর পরের কাহিনী হলো ছল চাতুরির কথা বলে মাসায়লামা রাতের বেলা কা’ব বিন আল- আশরাফকে ঘর থেকে বের করে হত্যা করে।পূরো ঘটনা নিচে দেয়া হলো-
Bukhari,Volume 5, Book 59, Number 369: Narrated Jabir bin ‘Abdullah:Allah’s Apostle said, “Who is willing to kill Ka’b bin Al-Ashraf who has hurt Allah and His Apostle?” Thereupon Muhammad bin Maslama got up saying, “O Allah’s Apostle! Would you like that I kill him?” The Prophet said, “Yes,” Muhammad bin Maslama said, “Then allow me to say a (false) thing (i.e. to deceive Kab). “The Prophet said, “You may say it.” Then Muhammad bin Maslama went to Kab and said, “That man (i.e. Muhammad demands Sadaqa (i.e. Zakat) from us, and he has troubled us, and I have come to borrow something from you.” On that, Kab said, “By Allah, you will get tired of him!” Muhammad bin Maslama said, “Now as we have followed him, we do not want to leave him unless and until we see how his end is going to be. Now we want you to lend us a camel load or two of food.” (Some difference between narrators about a camel load or two.) Kab said, “Yes, (I will lend you), but you should mortgage something to me.” Muhammad bin Mas-lama and his companion said, “What do you want?” Ka’b replied, “Mortgage your women to me.” They said, “How can we mortgage our women to you and you are the most handsome of the ‘Arabs?” Ka’b said, “Then mortgage your sons to me.” They said, “How can we mortgage our sons to you? Later they would be abused by the people’s saying that so-and-so has been mortgaged for a camel load of food. That would cause us great disgrace, but we will mortgage our arms to you.” Muhammad bin Maslama and his companion promised Kab that Muhammad would return to him. He came to Kab at night along with Kab’s foster brother, Abu Na’ila. Kab invited them to come into his fort, and then he went down to them. His wife asked him, “Where are you going at this time?” Kab replied, “None but Muhammad bin Maslama and my (foster) brother Abu Na’ila have come.” His wife said, “I hear a voice as if dropping blood is from him, Ka’b said. “They are none but my brother Muhammad bin Maslama and my foster brother Abu Naila. A generous man should respond to a call at night even if invited to be killed.” Muhammad bin Maslama went with two men. (Some narrators mention the men as ‘Abu bin Jabr. Al Harith bin Aus and Abbad bin Bishr). So Muhammad bin Maslama went in together with two men, and sail to them, “When Ka’b comes, I will touch his hair and smell it, and when you see that I have got hold of his head, strip him. I will let you smell his head.” Kab bin Al-Ashraf came down to them wrapped in his clothes, and diffusing perfume. Muhammad bin Maslama said. ” have never smelt a better scent than this. Ka’b replied. “I have got the best ‘Arab women who know how to use the high class of perfume.” Muhammad bin Maslama requested Ka’b “Will you allow me to smell your head?” Ka’b said, “Yes.” Muhammad smelt it and made his companions smell it as well. Then he requested Ka’b again, “Will you let me (smell your head)?” Ka’b said, “Yes.” When Muhammad got a strong hold of him, he said (to his companions), “Get at him!” So they killed him and went to the Prophet and informed him. (Abu Rafi) was killed after Ka’b bin Al-Ashraf.”
প্রশ্ন হলো- কা’ব বিন আশরাফ কিভাবে আল্লাহ ও তার রসুলকে কষ্ট দিল? আসলে কা’ব ছিল একজন কবি ও মোহাম্মদের আল্লাহর ওহী নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করত, কারন সে বুঝতে পেরেছিল যে মোহাম্মদের এসব ওহী আসলে সব বোগাস। আর তাই তাকে হত্যা করা। কা’বের কর্তিত মুন্ডু নিয়ে কি উল্লাস মোহাম্মদ প্রকাশ করেছিলেন তার নমূনা নিচে-
আমরা কা’ব এর কর্তিত মাথা রাতের বেলা মোহাম্মদের নিকট উপস্থিত করলাম। আমরা তাকে স্যলুট করলাম যখন তিনি নামাজের জন্য দাড়িয়ে ছিলেন ও বললাম যে আল্লাহর শত্রুকে আমরা হত্যা করেছি।যখন তিনি বের হলেন আমরা তার সামনে কা’ব আশরাফের কাটা মুন্ডু তার সামনে পেশ করলাম। নবী আল্লাহর নিকট এই বলে প্রশংসা করলেন যে কবিকে কতল করা হয়েছে ও আমরা আল্লাহর নিমিত্তে একটা ভাল কাজ করেছি। আল্লাহর শত্রুদের ওপর আমাদের আক্রমন ইহুদিদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করেছে এবং মদিনায় এমন কোন ইহুদি নেই যারা তার জীবনের ভয়ে ভীত নয়।Al-Tabari, Vol. 7, p. 97
একই বর্ণনা পাওয়া যায় ইবনে ইসহাকের বর্ণনায়।
তখন তারা সা’দ এর কর্তিত মাথা এনে মোহাম্মদের সামনে রাখল। মোহাম্মদ তাকে হত্যা করার জন্য আল্লাহর নিকট প্রশংসা করলেন। Ibn Sa’d, Vol. 1, P. 37
আল্লাহর নবীর সামনে একজন কবির কাটা মুন্ডু রাখা হয়েছে, আর নবী মহা আনন্দে তার আল্লাহর নিকট তার প্রশংসা করছেন। দৃশ্যকল্পটা কল্পনা করলেও গায়ে কাটা দিয়ে ওঠে।
বুখারি, বই-৮৪, হাদিস-৫৭
ইকরিমা বর্ণিত:কতিপয় নাস্তিককে আলির নিকট আনা হলো এবং আলি তাদেরকে পুড়িয়ে মেরে ফেললেন।এ ঘটনা ইবনে আব্বাসের কাছে পৌছলে তিনি বললেন, “ যদি আমি উক্ত যায়গায় থাকতাম তাহলে আমি তাদেরকে পোড়াতাম না কারন আল্লাহর নবী এটা নিষেধ করেছেন ও বলেছেন, ‘ আল্লাহর শাস্তির দ্বারা কাউকে শাস্তি দিও না’ ও ‘আল্লাহর নবীর বিধান অনুযায়ী আমি শাস্তি দিতাম, ‘ যে কেউ ইসলাম ত্যাগ করবে তাকে হত্যা কর”।
বুখারি,বই-২৯, হাদিস-৭২
আনাস বিন মালিক বর্ণিত: মক্কা বিজয়ের বছর আল্লাহর রসুল মাথায় হেলমেট পরিহিত অবস্থায় মক্কায় উপস্থিত হলেন। যখন তিনি তার হেলমেট খুলে ফেললেন এক লোক তার কাছে এসে বলল- ইবনে খাতাল কাবা ঘরের গিলাফ ধরে দাড়িয়ে আছে। নবী বললেন- তাকে হত্যা কর।
একই হাদিস সহি মুসলিম বই-৭, হাদিস-৩১৪৫ এ বর্ণিত আছে। মক্কা তখন মোহাম্মদের ১০,০০০ সৈন্য দখল করে ফেলেছে। একটা মাত্র লোক খাতাল কাবা ঘরের গিলাফ ( পর্দা ) ধরে দাড়িয়ে আছে। তাকে হত্যা করার তো কোন কারনই দেখা যায় না। তবে হ্যা একটা কারন আছে। তা হলো – এ ঘটনা দিয়ে মক্কাবাসীদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করা যাতে তারা বুঝতে পারে, মোহাম্মদের বিরুদ্ধাচরনের শাস্তি কি ভয়াবহ হতে পারে। মক্কা বিজয়ের দিন অন্তত: দশ জন নিরস্ত্র মানুষকে মোহাম্মদের নির্দেশে খুন করা হয়, যেমন-
The apostle of Allah entered through Adhakhir, [into Mecca], and prohibited fighting. He ordered six men and four women to be killed, they were (1) Ikrimah Ibn Abi Jahl, (2) Habbar Ibn al-Aswad, (3) Abd Allah Ibn Sa`d In Abi Sarh, (4) Miqyas Ibn Sababah al-Laythi, (5) al-Huwayrith Ibn Nuqaydh, (6) Abd Abbah Ibn Hilal Ibn Khatal al-Adrami, (7) Hind Bint Utbah, (8) Sarah, the mawlat (enfranchised girl) of Amr Ibn Hashim, (9) Fartana and (10) Qaribah. Ibn Sa`d, Vol. 2, p. 168
মোহাম্মদ তার জীবনে নিরস্ত্র মানুষদেরকে যত খুন করেছেন তার বিস্তারিত তালিকা পাওয়া যাবে এখানে- নিহতের তালিকা ।
প্রচার করা হয় মক্কা বিজয়ের সময় নবী মক্কাবাসীদের কিছুই বলেন নি। আর এটা তার অতুলনীয় ক্ষমার উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হয়। কিন্তু বিষয়টি কি আসলে তাই ? উক্ত ১০ জনকে নিরস্ত্র অবস্থায় নির্মমভাবে খুন করা হয় শুধুমাত্র আতংক সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে যাতে মক্কাবাসীরা মনের ভুলেও মোহাম্মদের বিরুদ্ধাচরন না করে। আর বলা বাহুল্য, এরা কেউই মোহাম্মদের নবুয়ত্ব বিশ্বাস করে নি। আর এর ঠিক মাস ছয়েক পরেই মোহাম্মদ মক্কা ও তার আশ পাশ থেকে সকল ইহুদি ও খৃষ্টানদেরকে তাদের শত শত বছরের বসত ভিটা থেকে বিতাড়িত করেন। অর্থাৎ মক্কা বিজয় করার পর যে মহানুভবতার পরিচয় তুলে ধরেছিলেন তা টিকে ছিল মাত্র ছয়মাস।
শুধু তাই নয়, যদি কেউ নামাজ পড়তে না আসে তাদের জন্য কি হুকুম তিনি জারী করেছিলেন তা দেখা যায় নিচের হাদিসে-
বুখারি, বই-১১, হাদিস-৬২৬
আবু হুরায়রা বর্ণিত: নবী বলেছেন-ভন্ডদের জন্য ফজর ও এশার নামাজের চেয়ে অধিক কঠিন নামাজ আর নেই এবং যদি তারা সঠিক সময়ে এ দুটি নামাজ পড়ার পুরস্কার কি তা জানত, তারা এমন কি হামা গুড়ি দিয়ে হলেও মসজিদে নামাজ পড়তে আসত। নবী আরও যোগ করলেন- আমি নিশ্চিতভাবেই একজনকে আযান দেয়ার ও একজন কে ইমামতি করার হুকুম দিচ্ছি এবং হুকুম দিচ্ছি একটা আগুনের শিখা নিয়ে তাদের ঘরে আগুন দিতে যারা নামাজ পড়ার জন্য তাদের ঘর ত্যাগ করে নি।
উক্ত হাদিসের বর্ণনাকে আমরা উপমা হিসাবে গ্রহণ করলেও এটা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে – মোহাম্মদ তার অনুসারীদের জন্য ন্যুনতম কোন স্বাধীনতা রেখে যান নি। শয়নে স্বপনে জাগরনে একটাই নাম জপ করতে হবে মোহাম্মদ ও তার আল্লাহকে। এ ছাড়া আর কিছু করা যাবে না। আর কেউ কোথাও মোহাম্মদ ও তার আল্লাহকে অবমাননা করলে মরন পণ লড়াই শুরু করে হয় শহিদ হতে হবে, না হয় হতে হবে গাজী। এ ছাড়া একজন মুসলমানের আর কোন আদর্শ জীবন নেই। আর সেই মোহাম্মদ তাঁর নিজ জীবনে কি আদর্শ তুলে ধরেছেনে মানুষের কাছে?
মোহাম্মদ ও তাঁর আল্লাহকে অবমাননা করলে তার শাস্তি হলো মৃত্যুদন্ড কিন্তু মোহাম্মদ ও তার অনুসারীরা যদি অন্যদের ধর্মকে অবমাননা করে , তার শাস্তি কি ? না, তার কোন শাস্তি নেই। এটা মোহাম্মদ ও তার অনুসারীদের একক এক্তিয়ার যে তারা যেমন খুশী অন্য ধর্ম ও তার অনুসারীদেরকে অপমান, গালি ও অসম্মান করতে পারবে এবং এজন্য তাদেরকে কিছুই বলা যাবে না। বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে দেখা যাক কোরান কি বলছে-
তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। আর আহলে-কিতাবরা যদি ঈমান আনতো, তাহলে তা তাদের জন্য মঙ্গলকর হতো। তাদের মধ্যে কিছু তো রয়েছে ঈমানদার আর অধিকাংশই হলো পাপাচারী।সূরা আল ইমরান, ০৩:১১০(মদিনায় অবতীর্ণ)
যারা অমুসলিম তারা সবাই পাপাচারী , যারা মোহাম্মদকে অনুসরণ করবে তারা সবাই পূণ্যবান।
আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম।সূরা, বাইয়িনাহ,৯৮:০৬ (মক্কায় অবতীর্ণ)
সমস্ত জীবের মাঝে আল্লাহর নিকট তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা অস্বীকারকারী হয়েছে অতঃপর আর ঈমান আনেনি।সূরা আনফাল, ৮:৫৫(মদিনায় অবতীর্ণ)
অবশ্য আমি ইচ্ছা করলে তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিতাম সে সকল নিদর্শনসমূহের দৌলতে। কিন্তু সে যে অধঃপতিত এবং নিজের রিপুর অনুগামী হয়ে রইল। সুতরাং তার অবস্থা হল কুকুরের মত; যদি তাকে তাড়া কর তবুও হাঁপাবে আর যদি ছেড়ে দাও তবুও হাঁপাবে। এ হল সেসব লোকের উদাহরণ; যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আমার নিদর্শনসমূহকে। অতএব, আপনি বিবৃত করুন এসব কাহিনী, যাতে তারা চিন্তা করে।সূরা আল আরাফ, ০৭:১৭৬
অমুসলিমরা সব সৃষ্টির অধম অর্থাৎ নীচ সম্প্রদায়, মোহাম্মদের অনুসারীরা হলো শ্রেষ্ট সম্প্রদায়।মোহাম্মদের মত শিশু বিয়ে না করলে, কাবা ঘরের পাথরের কাছে মাথা নত না করলে বা চুমু না খেলে, দাসী বা বন্দী নারীদের সাথে সেক্স না করলে সবাই নিকৃষ্ট মানুষ আর সেসব করলে তারা হলো শ্রেষ্ট মানুষ।শুধু তাই নয়, তারা কুকুর সদৃশ।
বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি, তাদের মধ্যে কার মন্দ প্রতিফল রয়েছে আল্লাহর কাছে? যাদের প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, যাদের প্রতি তিনি ক্রোধাম্বিত হয়েছেন, যাদের কতককে বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছেন এবং যারা শয়তানের আরাধনা করেছে, তারাই মর্যাদার দিক দিয়ে নিকৃষ্টতর এবং সত্যপথ থেকেও অনেক দূরে।সূরা মায়দাহ, ০৫:৬০
এখানে বলা হচ্ছে- ইহুদিদেরকে মোহাম্মদের আল্লাহ বানর ও শুকরে পরিণত করেছে। এছাড়া যারা মোহাম্মদের অনুসারী নয় তারা শয়তানের অনুসারী ও তারা নিকৃষ্টতর প্রজাতির মানুষ।
বুখারি, বই-৫৪, হাদিস-৫২৪
আবু হুরায়রা বর্ণিত: নবী বললেন, “ ইসরাইলিদের একটা গোত্র হারিয়ে গেছিল, কেউ জানে না তারা কি করেছিল। তাদেরকে অভিসম্পাত করা হয়েছিল আর এর ফলে তারা ইদুরে পরিণত হয়ে গেছিল।
অর্থাৎ বর্তমানে যে ইদুর আমরা দেখি তাদের অনেকেই সেই ইসরাইলি তথা ইহুদিদের বংশধর।
তারা কাফের, যারা বলে যে, মরিময়-তনয় মসীহ-ই আল্লাহ; অথচ মসীহ বলেন, হে বণী-ইসরাঈল, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর, যিনি আমার পালন কর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা। নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন। এবং তার বাসস্থান হয় জাহান্নাম। অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই।সূরা মায়েদা-৫:৭২
নিশ্চয় তারা কাফের, যারা বলেঃ আল্লাহ তিনের এক; অথচ এক উপাস্য ছাড়া কোন উপাস্য নেই। যদি তারা স্বীয় উক্তি থেকে নিবৃত্ত না হয়, তবে তাদের মধ্যে যারা কুফরে অটল থাকবে, তাদের উপর যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি পতিত হবে।নেই।সূরা মায়েদা-৫:৭৩
সুতরাং খৃষ্টানরা হলো কাফের আর তাই তারা সবাই জাহান্নামে যাবে মরার পর আর বেঁচে থাকতে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে, তাদেরকে বশ্যতা স্বীকার করিয়ে তাদের কাছ থেকে জিজিয়া কর নিতে হবে ও তাদের মর্যাদা হবে মুসলমানদের নীচে।তারা করজোড়ে জিজিয়া কর প্রদান করে মুসলমানদের বশ্যতা স্বীকার করবে। যা দেখা যায় নিচের আয়াতে-
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।সূরা আত তাওবা-৯:২৯
যেহেতু খৃষ্টান ও ইহুদিরা মুসলমানদের অধীনে মর্যাদাহীন হয়ে থাকবে তাই তাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করা যাবে না কারন তারা বন্ধু হওয়ার মত যোগ্যতা রাখে না, যেমন-
হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।সূরা আল মায়েদা-৫:৫১
এ পর্যন্ত হলেও চলত মোহাম্মদ ঘোষণা করছেন যদি কোন লোক ইসলাম অনুসরণ না করে , সে যদি পিতা, মাতা, ভাই, বোন , পূত্র , কন্যাও হয় তাদের সাথে কোন সম্পর্ক রাখা চলবে না, যেমন-
যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।সূরা আল মুজাদালাহ, ৫৮:২২
আর বলা বাহুল্য, তাদেরকে মোহাম্মদের হুকুম মতো হত্যা করতে হবে ,যা দেখা যাচ্ছে নীচে-
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।সূরা আত তাওবা-৯:৫
সেই প্রাথমিক যুগে মোহাম্মদের অনেক অনুসারীরই আত্মীয় স্বজন ভাই বোন পিতা মাতা ছিল তথাকথিক মুশরিক বা খৃষ্টান বা ইহুদি। আর এসব ক্ষেত্রে কোন মায়া দয়া দেখানো চলবে না, তাদেরকে অকাতরে হত্যা করতে হবে।সেটাই মোহাম্মদের হুকুম।এছাড়াও মোহাম্মদের হুকুম-কুরাইশরা আর শত শত বছর ধরে তাদের অধিকারে থাকা মন্দির কাবা ঘরে ঢুকতে পারবে না। কারন সেটা নাকি মোহাম্মদের আল্লাহর প্রথম ঘর যা ইব্রাহিম ও ইসমাইল সংস্কার করেছিল। অথচ নিরপেক্ষ কোন ঐতিহাসিক সূত্র নেই যা মোহাম্মদের এ দাবী সমর্থন করে। দুনিয়ার সকল প্রাচীন মন্দির বা স্থাপনার একটা নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক সূত্র আছে কাদের দ্বারা সেসব তৈরী হয়েছিল।কাবা ঘরের যে ঐতিহাসিক সূত্র পাওয়া যায় তাতে অন্তত কোন কালে কথিত ইব্রাহিম নবী আর তার পূত্র ইসমাইল কোন কালে মক্কায় এসে কাবা ঘর সংস্কার করেছিল তার কোন সাক্ষ্য প্রমান নেই। একমাত্র সাক্ষ্য হলো মোহাম্মদ আর তার কথিত কিচ্ছা। আর সেটার ওপর ভিত্তি করেই মোহাম্মদ হুংকার দিয়ে ঘোষণা দিচ্ছেন অত:পর সেখানে কুরাইশরা আর আসতে পারবে না।যদি আসে তাহলে তাদেরকে কচু কাটা করে হত্যা করা হবে।
অর্থাৎ খোদ কোরান অমুসলিমদেরকে চরমভাবে অপমান করেছে, অসম্মান করেছে অথচ এ ব্যপারে টু শব্দটি করা যাবে না। কিন্তু কেউ যদি মোহাম্মদ ও তার ইসলামকে সমালোচনা করে তাহলে আর রক্ষা নেই, বিচার সোজা- তার কল্লা কাটা চাই।
বর্তমান কালের নিরিখে বিচার করলে, মোহাম্মদ অসংখ্য সভ্যতা, নৈতিকতা, মানবতা বহির্ভুত কাজ করেছেন , এমনকি অপরাধ মূলক কাজও করেছেন, যেমন-
-তিনি ১৩ টা বিয়ে করা ছাড়াও অসংখ্য দাসীদের সাথে সেক্স করেছেন অথচ তাকে নারী লোলুপ বলা যাবে না,বলতে হবে সংযমী এক মহান আদর্শ পুরুষ,
-তিনি ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করেছেন ৫১ বছর বয়েসে আর তার বয়স যখন ৯ তখন ৫৪ বছরের প্রৌড় মোহাম্মদ সেক্স করেছেন আয়শার সাথে অথচ তাকে শিশু নির্যাতনকারী বলা যাবে না,বলতে হবে তিনি শিশুদেরকে খুব ভালবাসতেন,
- তিনি তার পালিত পূত্র বধু যয়নবকে বিয়ে করেছেন অথচ তাকে অসামাজিক বা অনৈতিক কাজ বলা যাবে না,বলতে হবে বৈপ্লবিক এক সমাজ সংস্কার
- তিনি নিজের কন্যা ফাতিমাকে তার আপন চাচাত ভাই আলীর সাথে বিয়ে দিয়েছেন( অর্থাৎ আলী তার ভাইঝিকে বিয়ে করেছে) অথচ এটাকেও কোন অসামাজিক অনৈতিক কাজ বলা যাবে না , বলতে হবে সমাজ সংস্কার
-মোহাম্মদ ও তার দল বল মদিনার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া নিরাপরাধ বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করে তাদের মালামাল লুট পাট করেছে, অথচ তাকে ডাকাতি বলা যাবে না , বলতে হবে আত্মরক্ষামূলক আক্রমন,
- মোহাম্মদ আগ বাড়িয়ে একের পর এক ইহুদি বসতি আক্রমন করে তাদেরকে মেরে কেটে সাফ করে , তাদের ধন সম্পদ ও নারীদেরকে গণিমতের মাল হিসাবে ভাগ ভাগি করে নিয়েছেন কিন্তু তাকে আক্রমনাত্মক যুদ্ধ বলা যাবে না , বলতে হবে আত্ম রক্ষামূলক যুদ্ধ,
-মোহাম্মদ বিয়ে করা ছাড়াই দাসী ও বন্দী নারীদের সাথে সেক্স করার জন্য অনুমতি দিচ্ছেন আল্লাহর বানীর নামে অথচ এটাকে অমানবিক বলা যাবে না, বলতে হবে আল্লাহর অশেষ রহমতের বিধান (সূরা নিসা-০৪:২৪)
-মোহাম্মদ নারীকে টাকা বা সম্পদ দিয়ে সাময়িক বিয়ে করে সেক্স করে তার পর তাদেরকে তালাক দিতে বলছেন , অথচ এটাকে বলা যাবে বেশ্যাবৃত্তি, বলতে হবে আল্লাহর রহমতের বিধান( সূরা নিসা,০৪:২৪)
উপরোক্ত ঘটনার প্রতিটি সত্য ঘটনা যা কোরান, হাদিস ও মোহাম্মদের জীবনী দ্বারা সমর্থিত, সেসব কোন ইহুদি বা কাফেরের লেখা বিকৃত বক্তব্য নয়, কিন্তু এত কিছুর পরও মোহাম্মদের সমালোচনা করা যাবে না , যাবে না তার চরিত্র বিচার। যদি কেউ করে সাথে সাথে তার মাথা কাটা যাবে। অথচ মোহাম্মদের অনুসারীরা সারা দুনিয়াতে যখন কোরান পাঠ করে , নামাজ পড়ে, হাদিস পড়ে তখন তারা চরমভাবে অমুসলিমদেরকে অপমান করে , অসম্মান করে, শুকর , বানর , ইদুর,নিকৃষ্ট জীব বলে গালি দেয়, অভিশাপ দেয় ধ্বংস হয়ে যাওয়ার , অথচ তাদেরকে কিছুই বলা যাবে না। কিছু বললেই মাথা কাটা যাবে। মোহাম্মদের আদর্শ অনুসারীরা ঠিক সেটাই করে যাচ্ছে বর্তমানে দেশে দেশে। চলচ্চিত্র বানাল এক কপ্টিক খৃষ্টান, নিশ্চয়ই মার্কিন সরকার তাকে বলেনি সেটা বানাতে। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হলো ব্যক্তি স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতার দেশ। যে কেউ যে কোন কিছু বলতে পারে , করতে পারে তাদের মত প্রকাশ। ঠিক সেটাই করেছে এক কপ্টিক খৃষ্টাণ আর সেটা করতে যেয়ে সে যে কোন মনগড়া বা বানান তথ্য পরিবেশন করেছে তাও নয়, তার প্রতিটি তথ্যই কোরান, হাদিস ও সিরাত দ্বারা সমর্থিত। হতে পারে তারা চলচ্চিত্রটা কাঁচা হাতের হয়েছে।কিন্তু তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার দায়ী নয়। অথচ সেটার জন্য প্রান দিতে হচ্ছে মার্কিন কুটনীতিককে, মুসলিম অধ্যুষিত দেশে দেশে মার্কিন দুতাবাস হচ্ছে আক্রান্ত। আর বলা বাহুল্য, এটাও মহানবী মোহাম্মদের নির্দেশ ও শিক্ষা, তাঁর অনুসারীদের জন্য। তাঁর আদর্শ অনুসারীরা ঠিক সেটাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাচ্ছে।
মনে রাখতে হবে এ মোহাম্মদ হলেন আল্লাহ প্রেরিত একজন সর্বশেষ নবী যার শিক্ষা চলবে দুনিয়ার শেষ দিন পর্যন্ত যার আদর্শ অনুসরণীয় হবে কেয়ামত পর্যন্ত। আর তার প্রধান শিক্ষাই হলো- যে তার সমালোচনা করবে তাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই কতল করতে হবে। কি মহান শিক্ষা! তার আল্লাহ এতটাই অসহায় যে- খুন খারাবি ছাড়া সে তার বানী মানুষের কাছে প্রচার ও প্রসার করতে অক্ষম। অসহায় আল্লাহর কাজটাই বর্তমানে মোহাম্মদের আদর্শ অনুসারীরা পালন করে যাচ্ছে দেশে দেশে। এখন দেখার বিষয় কখন তথাকথিত ইসলামি পন্ডিতরা বলে যে এসব হলো কিছু উচ্ছৃংখল ও বিপথগামী মুসলমানদের কাজ, প্রকৃত মুসলমানের কাজ নয়। আমরা অপেক্ষায় থাকলাম।
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮
রুপবান বলেছেন: [b]Generally Accepted Translations of the Meaning[/b]
[b]Muhammad Asad[/b] [However,] it is no sin for them [to appear freely] before their fathers, or their sons, or their brothers, or their brothers’ sons, or their sisters’ sons, or their [b]womenfolk, or such [male slaves] as their right hands may possess.[/b] But [always, O wives of the Prophet,] remain conscious of God - for, behold, God is witness unto everything. zoom
[b]M. M. Pickthall [/b] It is no sin for them (thy wives) to converse freely) with their fathers, or their sons, or their brothers, or their brothers' sons, or the sons of their sisters or of their own women, [b]or their slaves.[/b] O women! Keep your duty to Allah. Lo! Allah is ever Witness over all things. zoom
[b]Shakir[/b] There is no blame on them in respect of their fathers, nor their brothers, nor their brothers' sons, nor their sisters' sons nor their own women, nor of [b]what their right hands possess;[/b] and be careful of (your duty to) Allah; surely Allah is a witness of all things. zoom
[b]Yusuf Ali[/b] (Saudi Rev. 1985) There is no blame (on these ladies if they appear) before their fathers or their sons, their brothers, or their brother's sons, or their sisters' sons, or their women, [b]or the (slaves) whom their right hands possess.[/b] And, (ladies), fear Allah; for Allah is Witness to all things. zoom
[b]Yusuf Ali (Orig. 1938)[/b] There is no blame (on these ladies if they appear) before their fathers or their sons, their brothers, or their brother's sons, or their sisters' sons, or their women, [b]or the (slaves) whom their right hands possess.[/b] And, (ladies), fear God; for God is Witness to all things. zoom
[b]Dr. Laleh Bakhtiar[/b] There is no blame on them (f) to converse freely with their (f) fathers nor their (f) sons nor their (f) brothers, nor the sons of their (f) brothers nor the sons of their (f) sisters, nor their (f) women, nor [b]what their (f) right hands possessed.[/b] And be Godfearing of God. Truly, God had been Witness over everything. zoom
[b]Wahiduddin Khan[/b] There shall be no blame on them for appearing before their fathers, their sons, their brothers, their brothers sons, their sisters sons, their women [b]or those whom their right hands may possess.[/b] Women, fear God. God observes all things. zoom
[b]T.B.Irving[/b] There is no objection to their [appearing before] their fathers, their sons nor their brothers, nor their brothers´ and sisters´ sons, nor their own womenfolk, [b]nor anyone their right hands control[/b]. Heed God (you women); God is a Witness for everything! zoom
[b][Al-Muntakhab][/b] Your wives O Muhammad incur no blame nor do they stand at the mark of criticism for discoursing and appearing before their fathers or before their sons, before their brothers or their brothers' sons, before their sisters' sons or before their women [b]or before those who serve them of those they have on hand. [/b]As for you O wives of the Prophet: you actuate yourselves with the mixed feeling of dread and reverence toward Allah and entertain the profound reverence dutiful to Him and bear in mind that He is ever a witness to all things. zoom
[b][Progressive Muslims][/b] There is no sin upon them before their fathers, or their sons, or their brothers, or the sons of their brothers, or the sons of their sisters, or their offspring yet to come, or their women, [b]or those who are still their dependants.[/b] And be aware of God, for God is witness over all things. zoom
[b]Abdel Haleem [/b] The Prophet’s wives are not to blame [if they are seen by] their fathers, their sons, their brothers, their brothers’ sons, their sisters’ sons, their women, [b]or their slaves.[/b] [Wives of the Prophet], be mindful of God. God observes everything. zoom
[b]Abdul Majid Daryabadi[/b] It is no sin for them in respect to their fathers or their brothers, or their brothers sons, or their sisters sons, or their own women, [b]or those whom their right hands own;[/b] and fear Allah; verily Allah is of everything ever a Witness. zoom
[b]Ahmed Ali[/b] There is no harm if they come before their fathers or their sons, or their brothers and their brothers' and sisters' sons, or their women folk [b]or captive they possess.[/b] Follow the commands of God. Verily God is witness to everything. zoom
[b]Aisha Bewley[/b] They incur no blame in respect of their fathers or their sons or their brothers or their brothers´ or sisters´ sons, or their women or [b]any slaves they own.[/b] Have taqwa of Allah. Allah is witness of all things. zoom
[b]Ali Ünal[/b] There is no blame on them (the wives of the Prophet, if they speak without a screen) with their fathers (including grandfathers and uncles both paternal and maternal), or their sons (including grandsons), or their brothers, or their brothers’ sons, or the sons of their sisters, or the Muslim women and women of good conduct with whom they associate, [b]or those whom their right hands possess.[/b] Keep, (O wives of the Prophet,) from disobedience to God in reverence for Him and piety (observing this command as well as all of His other commands). God is indeed a witness over everything. zoom
[b]Ali Quli Qara'i[/b] There is no sin on them [in socializing freely] with their fathers, or their sons, or their brothers, or their brothers’ sons, or the sons of their sisters, or their own womenfolk, [b]or what their right hands own. [/b]Be wary of Allah. Indeed Allah is witness to all things. zoom
[b]Hamid S. Aziz[/b] There is no blame on them in respect of their fathers, nor their brothers, nor their brothers´ sons, nor their sisters´ sons nor their own women, nor of [b]what their right hands possess[/b]; and be careful of your duty to Allah; surely Allah is a wi zoom
[b]Muhammad Mahmoud Ghali[/b] There is no fault in the (Prophet's spouses) concerning their fathers, nor their sons, nor their brothers, nor their brothers? sons, nor their sisters? sons, nor their women, nor [b]what their right hands possess.[/b] And be pious to Allah; surely Allah has been an Ever-Present Witness over everything. zoom
[b]Muhammad Sarwar[/b] It will not be an offense for the wives of the Prophet (not to observe the modest dress) in the presence of their fathers, sons, brothers, sons of their brothers and sisters, their own women, [b]and their slave[/b]. They should have fear of God. God witness all things. zoom
[b]Muhammad Taqi Usmani[/b] There is no sin for them (the wives of the Prophet) in (appearing without Hijab before) their fathers, or their brothers, or the sons of their brothers, or the sons of their sisters, or their own (Muslim) women, [b]or their slave[/b]. And (O wives of the Prophet,) fear Allah. Surely, Allah is witness to every thing. zoom
[b]Shabbir Ahmed[/b] There is no blame on women to relax their privacy with their fathers, their sons, their brothers, sons of their brothers, sons of their sisters, their womenfolk [b]or their servants.[/b] But, O Women! Be mindful of Allah - for, behold, Allah is Witness to everything. (24:31). zoom
[b]Syed Vickar Ahamed[/b] There is no sin (on the women when they go) before their fathers, or their sons, their brothers, or their brothers’ sons, or their sisters’ sons, or their (believing) women, or [b]the slaves whom their right hands possess. [/b]And, fear Allah: Verily, Allah is Witness (Shaheed) for all things. zoom
[b]Umm Muhammad (Sahih [/b]International) There is no blame upon women concerning their fathers or their sons or their brothers or their brothers' sons or their sisters' sons or their women or [b]those their right hands possess.[/b] And fear Allah . Indeed Allah is ever, over all things, Witness. zoom
[b]Farook Malik[/b] There is no blame on the ladies if they appear before their fathers, their sons, their brothers, their brothers’ sons, their sisters’ sons, their familiar women and those [b]whom their right hands possess (slaves)[/b]. O Ladies! Have fear of Allah: for Allah is a witness to all things. zoom
[b]Dr. Munir Munshey[/b] It is not improper for the ladies (and will not be held against them), if they converse freely with their fathers, their sons, their brothers and their sons, their sisters´ sons and other women _ i[b]ncluding the slave[/b] . Oh women! Fear Allah! Indeed, Allah observes every single thing! zoom
[b]Dr. Mohammad
Dr. Kamal Omar There is no harm for these women (i.e., the consorts of the Prophet if they appear and move-about adorned, and in beauty) before their fathers, and nor their sons, and nor their brothers; and nor their brothers’ sons, and nor their sisters’ sons; and nor their own (i.e., those who are Believers and trust worthy) women, and nor (any harm before) [b]those whom their right (hands) held in trust.[/b] And (o consorts of the prophet) keep your duty to Allah. Verily, Allah is All-Witness over every thing . zoom
[b]Bilal Muhammad [/b](2013 Edition) There is no blame on these women if they appear before their parents or their sons, their brothers or their brother’s sons, or their sisters’ sons, or their maids, or [b]the those whom their right hands possess, [/b]but be conscious of God, for God is witness to all things. zoom
[b]Maududi[/b] It will not be blameworthy for the wives of the Prophet if their fathers, their sons, their brothers, their brothers´ sons, their sisters´ sons, and the women with whom they have social relations, and [b]the persons whom their right hands possess[/b] enter their houses. (O women), shun disobeying Allah. Allah is watchful over everything. zoom
Free Minds There is no sin upon them before their fathers, or their sons, or their brothers, or the sons of their brothers, or the sons of their sisters, or their women, or those who are maintained by their oaths. And be aware of God, for God is witness over all things.
৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
রুপবান বলেছেন: -তিনি ১৩ টা বিয়ে করা ছাড়াও অসংখ্য দাসীদের সাথে সেক্স করেছেন অথচ তাকে নারী লোলুপ বলা যাবে না,বলতে হবে সংযমী এক মহান আদর্শ পুরুষ,
-তিনি ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করেছেন ৫১ বছর বয়েসে আর তার বয়স যখন ৯ তখন ৫৪ বছরের প্রৌড় মোহাম্মদ সেক্স করেছেন আয়শার সাথে অথচ তাকে শিশু নির্যাতনকারী বলা যাবে না,বলতে হবে তিনি শিশুদেরকে খুব ভালবাসতেন,
- তিনি তার পালিত পূত্র বধু যয়নবকে বিয়ে করেছেন অথচ তাকে অসামাজিক বা অনৈতিক কাজ বলা যাবে না,বলতে হবে বৈপ্লবিক এক সমাজ সংস্কার
- তিনি নিজের কন্যা ফাতিমাকে তার আপন চাচাত ভাই আলীর সাথে বিয়ে দিয়েছেন( অর্থাৎ আলী তার ভাইঝিকে বিয়ে করেছে) অথচ এটাকেও কোন অসামাজিক অনৈতিক কাজ বলা যাবে না , বলতে হবে সমাজ সংস্কার
-মোহাম্মদ ও তার দল বল মদিনার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া নিরাপরাধ বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করে তাদের মালামাল লুট পাট করেছে, অথচ তাকে ডাকাতি বলা যাবে না , বলতে হবে আত্মরক্ষামূলক আক্রমন,
- মোহাম্মদ আগ বাড়িয়ে একের পর এক ইহুদি বসতি আক্রমন করে তাদেরকে মেরে কেটে সাফ করে , তাদের ধন সম্পদ ও নারীদেরকে গণিমতের মাল হিসাবে ভাগ ভাগি করে নিয়েছেন কিন্তু তাকে আক্রমনাত্মক যুদ্ধ বলা যাবে না , বলতে হবে আত্ম রক্ষামূলক যুদ্ধ,
-মোহাম্মদ বিয়ে করা ছাড়াই দাসী ও বন্দী নারীদের সাথে সেক্স করার জন্য অনুমতি দিচ্ছেন আল্লাহর বানীর নামে অথচ এটাকে অমানবিক বলা যাবে না, বলতে হবে আল্লাহর অশেষ রহমতের বিধান (সূরা নিসা-০৪:২৪)
-মোহাম্মদ নারীকে টাকা বা সম্পদ দিয়ে সাময়িক বিয়ে করে সেক্স করে তার পর তাদেরকে তালাক দিতে বলছেন , অথচ এটাকে বলা যাবে বেশ্যাবৃত্তি, বলতে হবে আল্লাহর রহমতের বিধান( সূরা নিসা,০৪:২৪)
উপরোক্ত ঘটনার প্রতিটি সত্য ঘটনা যা কোরান, হাদিস ও মোহাম্মদের জীবনী দ্বারা সমর্থিত।”
- See more at: Click This Link
৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
রুপবান বলেছেন: লিখেছেনঃ অনিক সরকার
নাস্তিকঃ মুসলমানরা তো হিন্দুদেরকে মালাউন বলে গালাগাল করে।
মুমিনঃ দেখ ইসলাম ধর্ম অন্য সব ধর্মকে সম্মান করতে শেখায়। এটাকে ইসলাম কখনোই সমর্থন করে না।
নাস্তিকঃ ইসলাম তো বিধর্মীদের কল্লা কাটার অনুমতি দেয়।
মুমিনঃ না জেনে কথা বলবেন না। কোরানের মাঝখান থেকে একটা আয়াত তুলে ধরে তার অপব্যাখ্যা করবেন না। আয়াতটির আগের ও পরের আয়াতগুলোও সাথে পড়েন। তাহলে আপনার ভুল ধারণা দূর হবে।
নাস্তিকঃ প্রতি বছরই জঙ্গীরা ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য বোমা মেরে শত শত নিরীহ মানুষ হত্যা করছে।
মুমিনঃ দু ‘একজনের জন্য আপনি কোনভাবেই ইসলামকে দোষ দিতে পারেননা।যারা এরকম করে তারা পথভ্রস্ট।ইসলাম শান্তির ধর্ম।
নাস্তিকঃ আপনাদের নবী তো ছিল নারীলোভী।তিনি ১৪ টা বিয়ে ছাড়াও ৪ জন দাসী আর অসংখ্য যুদ্ধবন্দী ভোগ করেছে।
মুমিনঃ কি??? হারামজাদা তুই এইডা কি কইলি? তোর কল্লা কাটা ফরজ। তোর চৌদ্দ গুষ্টির খবর আছে। কুত্তার বাচ্চা মালাউন তোর মায়রে *দি…
- See more at: Click This Link
৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৫
রুপবান বলেছেন: আদম- হাওয়াকেই তো প্রথম দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছিলো, তাহলে তাঁরা বংশবৃদ্ধি করেছিল কিভাবে?
সম্ভাব্য উত্তরঃ
১। বিবি হাওয়া তার ছেলের সাথে যৌনক্রিয়া করেছিলেন।
২।আদম তার মেয়ের সাথে যৌনক্রিয়া করেছিলেন।
৩।তাঁদের ছেলে- মেয়ে পরস্পর(ভাইবোন)যৌনক্রিয়া করেছিলেন।( নাউজুবেল্লাহ!!!)
এখন প্রশ্ন হলঃ
সৃষ্টিকর্তার কাছে কি মানুষ তৈরির কাঁচামালের অভাব পড়েছিল যে তিনি মাত্র দুইজন কে পাঠিয়ে মানব জাতির মাঝে এইসব বেশরিয়তি!!!! কাজের শুরু করালেন? (আবার ধার্মিকরা বলে নাস্তিকরা নাকি মা-বোন বাছবিচার করেনা) তা আপনাদের শুরুই হল অশ্লীল কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে।
নাকি এইসব দেখে আল্লাহ্ ………….সুখ লাভ করেছিলেন?
- See more at: Click This Link
৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২০
রুপবান বলেছেন: (বুখারী:4:52:260) এবং তার সমালোচকেদেরও হত্যা করেছেন শুধু তার বিরুদ্ধে কবিতা লিখায়(বুখারীঃ59:369) এবং বলে গেছেন এসব সমালোচকদের হত্যা করার কথা (বুখারী ৩:১০৬) - See more at: Click This Link
৭| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৫
রুপবান বলেছেন: আপনি কি একজন নাস্তিক? আপনি কি জন্মগতভাবে মুসলিম ছিলেন? ইসলামের ভণ্ডামি বুঝতে পেরে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছেন???
তাহলে আপনাকেই খুঁজছে মুমিনবান্দারা। জানতে চান কেন? কারণ আপনার কল্লা নামানো হবে। এটা প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য ঈমানী দায়িত্ব।
হা-হা-হাদিসঃ
সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪২২৮, ষষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৩:
“তিন কাজ করলে মুসলমানকে হত্যা করা হালাল। এগুলো হলো, বিবাহিত অবস্থায় যিনায় লিপ্ত হওয়া, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা, ধর্মত্যাগী হওয়া।”
জেনে রাখবেন ইসলামে জোর জবরদস্তির কোন স্থান নেই। কারণ ইসলামই একমাত্র শান্তির এবং মানবতার ধর্ম। :LOTPOT:
সবাই বলুন ছোভানাল্লাহ। আমিন।
- See more at: Click This Link
৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৯
রুপবান বলেছেন: আল্লাহ মহান! তিনি শান্তি প্রিয়। তিনি দয়ালু। দুনিয়ার যত ভালো বিশেষণগুলো আছে, মোমিনরা পারলে সবই আল্লার নামের আগে লাগিয়ে দেয়।
কিন্তু এত কিছুর পরও সামান্য সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতা আল্লার নেই
- See more at: Click This Link
৯| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩০
রুপবান বলেছেন: আল্লার সাথে নিয়মিত সাক্ষাত্ থাকার পরও সামান্য সূর্যগ্রহণের ব্যাখ্যা না জানার কারণে এটা দেখে সে মনে করত কেয়ামতের দিন বুঝি হাজির! - See more at: Click This Link
১০| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
রুপবান বলেছেন: Hell-Fire for Women:
According to the Hadith:
Bukhari Vol. I, No. 28: The Prophet said, “I was shown the Hell-fire and that the majority of its dwellers were women who were ungrateful.”
Bukhari Vol. I, No. 301: Allah’s Apostle … said, “O women! Give alms, as I have seen that the majority of the dwellers of Hell-fire were you women…. I have not seen anyone more deficient in intelligence and religion than you.”
Bukhari Vol. II, No. 161: The Prophet then said … “I also saw the Hell-fire and I had never seen such a horrible sight. I saw that most of the inhabitants were women.”
- See more at: Click This Link
১১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৬
রুপবান বলেছেন: According to the Hadish Vol 04.509
Narrated Abu Huraira:
The Prophet said, “Yawning is from Satan and if anyone of you yawns, he should check his yawning as much as possible, for if anyone of you (during the act of yawning) should say: ‘Ha’, Satan will laugh at him.”
- See more at: Click This Link
১২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
রুপবান বলেছেন: হাদিস মতে (বুখারি ৪:৩৮০), মুহাম্মদ ৬০০ ডানা যুক্ত জিব্রাইল ফেরেস্তাকে দেখতে পেতেন। - See more at: Click This Link
১৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
রুপবান বলেছেন: ২:১৯১-১৯৩
আর তাদেরকে হত্যা কর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুতঃ ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি।
আর তারা যদি বিরত থাকে, তাহলে আল্লাহ অত্যন্ত দয়ালু।
আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)।
২:২১৬
তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।
২:২৪৪
আল্লাহর পথে লড়াই কর এবং জেনে রাখ, নিঃসন্দেহে আল্লাহ সবকিছু জানেন, সবকিছু শুনেন।
৩:৫৬
অতএব যারা কাফের হয়েছে, তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি দেবো দুনিয়াতে এবং আখেরাতে-তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
৩:১৫১
খুব শীঘ্রই আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করবো। কারণ, ওরা আল্লাহর সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করে যে সম্পর্কে কোন সনদ অবতীর্ণ করা হয়নি। আর ওদের ঠিকানা হলো দোযখের আগুন। বস্তুতঃ জালেমদের ঠিকানা অত্যন্ত নিকৃষ্ট।
৩:১৬৭
এবং তাদেরকে যাতে সনাক্ত করা যায় যারা মুনাফিক ছিল। আর তাদেরকে বলা হল এসো, আল্লাহর রাহে লড়াই কর কিংবা শত্রুদিগকে প্রতিহত কর। তারা বলেছিল, আমরা যদি জানতাম যে, লড়াই হবে, তাহলে অবশ্যই তোমাদের সাথে থাকতাম। সে দিন তারা ঈমানের তুলনায় কুফরীর কাছাকাছি ছিল। যা তাদের অন্তরে নেই তারা নিজের মুখে সে কথাই বলে বস্তুতঃআল্লাহ ভালভাবে জানেন তারা যা কিছু গোপন করে থাকে।
৪:৭৪
কাজেই আল্লাহর কাছে যারা পার্থিব জীবনকে আখেরাতের পরিবর্তে বিক্রি করে দেয় তাদের জেহাদ করাই কর্তব্য। বস্তুতঃ যারা আল্লাহর রাহে লড়াই করে এবং অতঃপর মৃত্যুবরণ করে কিংবা বিজয় অর্জন করে, আমি তাদেরকে মহাপুণ্য দান করব।
৪:৭৬
যারা ঈমানদার তারা যে, জেহাদ করে আল্লাহর রাহেই। পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে শয়তানের পক্ষে সুতরাং তোমরা জেহাদ করতে থাক শয়তানের পক্ষালম্বনকারীদের বিরুদ্ধে, (দেখবে) শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল।
৪:৮৯
তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না।
৪:৯৫
গৃহে উপবিষ্ট মুসলমান-যাদের কোন সঙ্গত ওযর নেই এবং ঐ মুসলমান যারা জান ও মাল দ্বারা আল্লাহর পথে জেহাদ করে,-সমান নয়। যারা জান ও মাল দ্বারা জেহাদ করে, আল্লাহ তাদের পদমর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন গৃহে উপবিষ্টদের তুলনায় এবং প্রত্যেকের সাথেই আল্লাহ কল্যাণের ওয়াদা করেছেন। আল্লাহ মুজাহেদীনকে উপবিষ্টদের উপর মহান প্রতিদানে শ্রেষ্ঠ করেছেন।
৪:১০৪
তাদের পশ্চাদ্ধাবনে শৈথিল্য করো না। যদি তোমরা আঘাত প্রাপ্ত, তবে তারাও তো তোমাদের মতই হয়েছে আঘাতপ্রাপ্ত এবং তোমরা আল্লাহর কাছে আশা কর, যা তারা আশা করে না। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
৫:৩৩
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।
৫:৫১-৫২
হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।
বস্তুতঃ যাদের অন্তরে রোগ রয়েছে, তাদেরকে আপনি দেখবেন, দৌড়ে গিয়ে তাদেরই মধ্যে প্রবেশ করে। তারা বলেঃ আমরা আশঙ্কা করি, পাছে না আমরা কোন দুর্ঘটনায় পতিত হই। অতএব, সেদিন দুরে নয়, যেদিন আল্লাহ তা’আলা বিজয় প্রকাশ করবেন অথবা নিজের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশ দেবেন-ফলে তারা স্বীয় গোপন মনোভাবের জন্যে অনুতপ্ত হবে।
৮:১২
যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্থির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।
৮:১৫-১৬
হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ করবে না।
আর যে লোক সেদিন তাদের থেকে পশ্চাদপসরণ করবে, অবশ্য যে লড়াইয়ের কৌশল পরিবর্তনকল্পে কিংবা যে নিজ সৈন্যদের নিকট আশ্রয় নিতে আসে সে ব্যতীত অন্যরা আল্লাহর গযব সাথে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে। আর তার ঠিকানা হল জাহান্নাম। বস্তুতঃ সেটা হল নিকৃষ্ট অবস্থান।
৮:৩৯
আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন।
৮:৫৭
সুতরাং যদি কখনো তুমি তাদেরকে যুদ্ধে পেয়ে যাও, তবে তাদের এমন শাস্তি দাও, যেন তাদের উত্তরসূরিরা তাই দেখে পালিয়ে যায়; তাদেরও যেন শিক্ষা হয়।
৮:৫৯-৬০
আর কাফেররা যেন একা যা মনে না করে যে, তারা বেঁচে গেছে; কখনও এরা আমাকে পরিশ্রান্ত করতে পারবে না।
আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।
৯:৫
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
৯:১৪
যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন।
৯:২০
যারা ঈমান এনেছে, দেশ ত্যাগ করেছে এবং আল্লাহর রাহে নিজেদের জান ও মাল দিয়ে জেহাদ করেছে, তাদের বড় মর্যাদা রয়েছে আল্লাহর কাছে আর তারাই সফলকাম।
৯:২৯
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
৯:৩০
ইহুদীরা বলে ওযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা বলে ‘মসীহ আল্লাহর পুত্র’। এ হচ্ছে তাদের মুখের কথা। এরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মত কথা বলে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন, এরা কোন উল্টা পথে চলে যাচ্ছে।
৯:৩৮-৩৯
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প।
যদি বের না হও, তবে আল্লাহ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান।
৯:৪১-৪২
তোমরা বের হয়ে পড় স্বল্প বা প্রচুর সরঞ্জামের সাথে এবং জেহাদ কর আল্লাহর পথে নিজেদের মাল ও জান দিয়ে, এটি তোমাদের জন্যে অতি উত্তম, যদি তোমরা বুঝতে পার।
যদি আশু লাভের সম্ভাবনা থাকতো এবং যাত্রাপথও সংক্ষিপ্ত হতো, তবে তারা অবশ্যই আপনার সহযাত্রী হতো, কিন্তু তাদের নিকট যাত্রাপথ সুদীর্ঘ মনে হল। আর তারা এমনই শপথ করে বলবে, আমাদের সাধ্য থাকলে অবশ্যই তোমাদের সাথে বের হতাম, এরা নিজেরাই নিজেদের বিনষ্ট করছে, আর আল্লাহ জানেন যে, এরা মিথ্যাবাদী।
৯:৭৩
হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা।
৯:৮৮
কিন্তু রসূল এবং সেসব লোক যারা ঈমান এনেছে, তাঁর সাথে তারা যুদ্ধ করেছে নিজেদের জান ও মালের দ্বারা। তাদেরই জন্য নির্ধারিত রয়েছে কল্যাণসমূহ এবং তারাই মুক্তির লক্ষ্যে উপনীত হয়েছে।
৯:১১১
আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য।
৯:১২৩
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক আর জেনে রাখ, আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন।
১৮:৬৫-৮১
অতঃপর তাঁরা আমার বান্দাদের মধ্যে এমন একজনের সাক্ষাত পেলেন, যাকে আমি আমার পক্ষ থেকে রহমত দান করেছিলাম ও আমার পক্ষ থেকে দিয়েছিলাম এক বিশেষ জ্ঞান।
মূসা তাঁকে বললেনঃ আমি কি এ শর্তে আপনার অনুসরণ করতে পারি যে, সত্যপথের যে জ্ঞান আপনাকে শেখানো হয়েছে, তা থেকে আমাকে কিছু শিক্ষা দেবেন?
তিনি বললেনঃ আপনি আমার সাথে কিছুতেই ধৈর্য্যধারণ করে থাকতে পারবেন না।
যে বিষয় বোঝা আপনার আয়ত্তাধীন নয়, তা দেখে আপনি ধৈর্য্যধারণ করবেন কেমন করে?
মূসা বললেনঃ আল্লাহ চাহেন তো আপনি আমাকে ধৈর্য্যশীল পাবেন এবং আমি আপনার কোন আদেশ অমান্য করব না।
তিনি বললেনঃ যদি আপনি আমার অনুসরণ করেনই তবে কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেন না, যে পর্যন্ত না আমি নিজেই সে সম্পর্কে আপনাকে কিছু বলি।
অতঃপর তারা চলতে লাগলঃ অবশেষে যখন তারা নৌকায় আরোহণ করল, তখন তিনি তাতে ছিদ্র করে দিলেন। মূসা বললেনঃ আপনি কি এর আরোহীদেরকে ডুবিয়ে দেয়ার জন্যে এতে ছিদ্র করে দিলেন? নিশ্চয়ই আপনি একটি গুরুতর মন্দ কাজ করলেন।
তিনি বললেনঃ আমি কি বলিনি যে, আপনি আমার সাথে কিছুতেই ধৈর্য্য ধরতে পারবেন না ?
মূসা বললেনঃ আমাকে আমার ভুলের জন্যে অপরাধী করবেন না এবং আমার কাজে আমার উপর কঠোরতা আরোপ করবেন না।
অতঃপর তারা চলতে লাগল। অবশেষে যখন একটি বালকের সাক্ষাত পেলেন, তখন তিনি তাকে হত্যা করলেন। মূসা বললেন? আপনি কি একটি নিস্পাপ জীবন শেষ করে দিলেন প্রাণের বিনিময় ছাড়াই? নিশ্চয়ই আপনি তো এক গুরুতর অন্যায় কাজ করলেন।
তিনি বললেনঃ আমি কি বলিনি যে, আপনি আমার সাথে ধৈর্য্য ধরে থাকতে পারবেন না।
মূসা বললেনঃ এরপর যদি আমি আপনাকে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করি, তবে আপনি আমাকে সাথে রাখবেন না। আপনি আমার পক্ষ থেকে অভিযোগ মুক্ত হয়ে গেছেন।
অতঃপর তারা চলতে লাগল, অবশেষে যখন একটি জনপদের অধিবাসীদের কাছে পৌছে তাদের কাছে খাবার চাইল, তখন তারা তাদের অতিথেয়তা করতে অস্বীকার করল। অতঃপর তারা সেখানে একটি পতনোম্মুখ প্রাচীর দেখতে পেলেন, সেটি তিনি সোজা করে দাঁড় করিয়ে দিলেন। মূসা বললেনঃ আপনি ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে এর পারিশ্রমিক আদায় করতে পারতেন।
তিনি বললেনঃ এখানেই আমার ও আপনার মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হল। এখন যে বিষয়ে আপনি ধৈর্য্য ধরতে পারেননি, আমি তার তাৎপর্য বলে দিচ্ছি।
নৌকাটির ব্যাপারে-সেটি ছিল কয়েকজন দরিদ্র ব্যক্তির। তারা সমুদ্রে জীবিকা অন্বেষন করত। আমি ইচ্ছা করলাম যে, সেটিকে ক্রটিযুক্ত করে দেই। তাদের অপরদিকে ছিল এক বাদশাহ। সে বলপ্রয়োগে প্রত্যেকটি নৌকা ছিনিয়ে নিত।
বালকটির ব্যাপার তার পিতা-মাতা ছিল ঈমানদার। আমি আশঙ্কা করলাম যে, সে অবাধ্যতা ও কুফর দ্বারা তাদেরকে প্রভাবিত করবে।
অতঃপর আমি ইচ্ছা করলাম যে, তাদের পালনকর্তা তাদেরকে মহত্তর, তার চাইতে পবিত্রতায় ও ভালবাসায় ঘনিষ্ঠতর একটি শ্রেষ্ঠ সন্তান দান করুক।
২১:৪৪
বরং আমি তাদেরকে এবং তাদের বাপ-দাদাকে ভোগসম্বার দিয়েছিলাম, এমনকি তাদের আয়ুস্কালও দীর্ঘ হয়েছিল। তারা কি দেখে না যে, আমি তাদের দেশকে চতুর্দিক থেকে হ্রাস করে আনছি। এরপরও কি তারা বিজয়ী হবে?
২৫:৫২
অতএব আপনি কাফেরদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের সাথে এর সাহায্যে কঠোর সংগ্রাম করুন।
৩৩:৬০-৬২
মুনাফিকরা এবং যাদের অন্তরে রোগ আছে এবং মদীনায় গুজব রটনাকারীরা যদি বিরত না হয়, তবে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আপনাকে উত্তেজিত করব। অতঃপর এই শহরে আপনার প্রতিবেশী অল্পই থাকবে।
অভিশপ্ত অবস্থায় তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে, ধরা হবে এবং প্রাণে বধ করা হবে।যারা পূর্বে অতীত হয়ে গেছে, তাদের ব্যাপারে এটাই ছিল আল্লাহর রীতি। আপনি আল্লাহর রীতিতে কখনও পরিবর্তন পাবেন না।
৪৭:৩-৪
এটা এ কারণে যে, যারা কাফের, তারা বাতিলের অনুসরণ করে এবং যারা বিশ্বাসী, তারা তাদের পালনকর্তার নিকট থেকে আগত সত্যের অনুসরণ করে। এমনিভাবে আল্লাহ মানুষের জন্যে তাদের দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন।
অতঃপর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দার মার, অবশেষে যখন তাদেরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না।
৪৭:৩৫
অতএব, তোমরা হীনবল হয়ো না এবং সন্ধির আহবান জানিও না, তোমরাই হবে প্রবল। আল্লাহই তোমাদের সাথে আছেন। তিনি কখনও তোমাদের কর্ম হ্রাস করবেন না।
৪৮:১৭
অন্ধের জন্যে, খঞ্জের জন্যে ও রুগ্নের জন্যে কোন অপরাধ নাই এবং যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের অনুগত্য করবে তাকে তিনি জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত হয়। পক্ষান্তরে যে, ব্যক্তি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে, তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিবেন।
৪৮:২৯
মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত দেখবেন। তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন । তওরাতে তাদের অবস্থা এরূপ এবং ইঞ্জিলে তাদের অবস্থা যেমন একটি চারা গাছ যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে-চাষীকে আনন্দে অভিভুত করে-যাতে আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন।
৬১:৪
আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।
৬১:৯
তিনি তাঁর রসূলকে পথ নির্দেশ ও সত্যধর্ম নিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে একে সবধর্মের উপর প্রবল করে দেন যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে।
৬১:১০-১২
মুমিনগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে?
তা এই যে, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবনপণ করে জেহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বোঝ।
তিনি তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন এবং এমন জান্নাতে দাখিল করবেন, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত এবং বসবাসের জান্নাতে উত্তম বাসগৃহে। এটা মহাসাফল্য।
৬৬:৯
হে নবী! কাফের ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জেহাদ করুন এবং তাদের প্রতি কঠোর হোন। তাদের ঠিকানা জাহান্নাম। সেটা কতই না নিকৃষ্ট স্থান।
- See more at: Click This Link
১৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:১০
রুপবান বলেছেন: [img]http://www.bdtoday.net/blog/bloggeruploadedimage/lituara/1377116000.jpg[/img]
আমাদের স্বীকার করতে হবে যে, যুদ্ধকালে নারীদের ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন করা যে কোন সভ্য সমাজে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। সে কারণে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন যুদ্ধের আচরণবিধি সংক্রান্ত জেনেভা কনভেনশন প্রণয়ন করেছে। সম্প্রতি ইরাকের আবুগ্রেইব কারাগারে নারী যুদ্ধবন্দীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার বেশকিছু মার্কিন সৈন্যকে যুদ্ধের আচরণবিধি সংক্রান্ত জেনেভা কনভেনশন আইনের আওতায় এনে সাজা দেয়া হয়েছে। অনুরুপ ভাবে বসোনিয়া যুদ্ধে নারী ধর্ষনকারী সার্বিয়ান সৈন্যদেরও বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। বাংলাদেশেও ১৯৭১ এর নারী ধর্ষকদের বিচার চলছে।
[u][b]কিন্তু দুঃখজনক ভাবে পৃথিবীর ৩য় বৃহৎ ধর্ম ইসলামে যুদ্ধবন্ধি নারী ধর্ষনের বিষয়টি দোষের কিছু না। এটি মুসলমানদের জন্য আল্লাহর হুকুম।[/b][/u] কোরানের বিভিন্ন সুরা-আয়াতে দক্ষিহস্তের মালিকানাধীন যুদ্ধবন্ধি নারীদের দাসী বানিয়ে তাদের সাথে অতিরস্কারযোগ্য যৌনতার তাগিত দিয়েছে। সুরা ৩৩:৫০, ২৩:৬, ........... অনুরুপ আরো সুরা/আয়াত দেখা যেতে পারে।
[b]সহিহ্ বোখারি ভলুম ৭ বই ৬২ হাদিস ১৩৭:[/b]
[i]আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণনা করলেন:
এক জিহাদে আমরা শত্রুপক্ষের নারী বন্দি পেলাম। [b]তারা আমাদের হাতে আসলে আমরা তাদের সাথে আজল করে সহবাস করলাম।[/b] এরপর আমরা রসুলুল্লাহকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: “তাই নাকি! তোমরা কি এরূপ করে থাক?” রসুলুল্লাহ তিনবার এই প্রশ্ন করলেন, এবং বললেন: “আখেরাত পর্যন্ত যত লোক সৃষ্টি হবে তাদের প্রত্যেকটি অবশ্য জন্মলাভ করবে”।[/i]
[b]সহি মুসলিম, বই- ৮, হাদিস- ৩৪৩২[/b]
[i]আবু সাদ খুদরি বর্ণিত - হুনায়নের যুদ্ধের সময় আমাদের কিছু সৈন্যকে আওতাসে প্রেরন করলেন ও সেখানে আমরা শত্রুদের পরাজিত করলাম ও বেশ কিছু নারী বন্দি করলাম। কিন্তু নবীর সাহাবিরা সেসব যুদ্ধ বন্দিনী নারীদের সাথে যৌনাচারে অনিচ্ছূক ছিল কারন তাদের স্বামীরা তখনও জীবিত ছিল। আর তখনই আল্লাহ নাজিল করল -তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম-----------সুরা( ৪: ২৪)।[/i]
[u]সুরা নিসা ২৪ আয়াত এবং এই আয়াত নাজিলের পেক্ষাপট বর্ননায় ইবনে কাথিরের তাফসির থেকে বুঝা যায় ইসলাম ধর্ম কোন রাখঢাক না করেই যুদ্ধবন্ধি নারী ধর্ষনের অনুমতি দেয় ।[/u]
[img]http://www.bdtoday.net/blog/bloggeruploadedimage/lituara/1377117447.jpg[/img]
১৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রসুল সাঃ আল্লাহর আদেশের বাইরে কিছু করেন নি। অবশ্য নাস্তিকরাতো আল্লাহকে নিয়েই বিদ্রুপ করেন!বুদ্ধিমানের কাজ হলো পেইনট ইউর ওয়াগন।
১৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
রুপবান বলেছেন: ইহা একটি কোরানিক শিক্ষা। বুমেরাং!
========================
মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লার সাথে তাদের কোন সম্পর্ক থাকবে না। ৩:২৮
মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না। ৩:১১৮
অবিশ্বাসীদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লার পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না। ৪:৮৯
তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লা জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না। ৫:৫১
ইহুদী-নাসারা এবং অন্যান্য কাফেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না। ৫:৫৭
========================
এই বন্ধু বানানো বিষয়টা নিয়ে আয়াতের অভাব নাই, তাই আগে পরের আয়াত দেইখা ত্যানা প্যাচানির কিছু নাই। আল্যাফাক ওরফে মহাউন্মাদ হারামজাদা কতবড় সাম্প্রদায়িক, তা এখান থেকেই টের পাওয়া যায়। হারামজাদা কোরানের কোথাও কয় নাই যে দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর মিথ্যাবাদী চোর ডাকাত বদমাইশ আউল ফাউল হারামী লোকদের সাথে বন্ধুত্ব করিও না। পুরা সম্প্রদায় ধইরা ব্যান করছে।
বর্তমানে ইসলামের চোখে পৃথিবীর ৩/৪ ভাগের লোকেরও বেশি কাফের (কোরান নাজিলের সময় এই অনুপাতটা নিশ্চয়ই আরো বেশি ছিল) এবং কোরানের মতে এদের সবাই খারাপ তাই এদেরকে বন্ধু হিসাবে নেয়া যাবে না। বিধর্মীদের মধ্যে কি একটাও ভালো মানুষ নাই? শুধু তাদের ধর্ম ভিন্ন বা আল্যাফাকে বিশ্বাস নাই বলেই তারা খারাপ!?
আচ্ছা, কোরানের এই শিক্ষা নিয়ে যদি মুসলমানদের এইভাবে বিচার করা হয়, যেমন ধরেন-
বাংলা ভাই সন্ত্রাসী। বাংলা ভাই মুসলমান। অতএব, সব মুসলমান সন্ত্রাসী।
তারেক চোর। তারেক মুসলমান। অতএব, সব মুসলমান চোর।
শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজ। শেখ হাসিনা মুসলমান। অতএব, সব মুসলমান দুর্নীতিবাজ।
গোলাম আজম রাজাকার। গোলাম আজম মুসলমান। অতএব, সব মুসলমান রাজাকার।
আনিচুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন সন্ত্রাসী। আনিচুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন মুসলমান। অতএব, সব মুসলমান রাজাকার সন্ত্রাসী।
সেঞ্চুরী মানিক ধর্ষণকারী। সেঞ্চুরী মানিক মুসলমান। অতএব, সব মুসলমান ধর্ষণকারী।
ডট ডট ডট
…মুসলমান মাত্রই হারামী।
========================
এইবার আসেন আরেকটা আয়াত নাজিল করা যাক-
অতএব, হে বিধর্মী কাফেরগন, মুসলমান মাত্রই হারামীর বাচ্চা হারামী। ইহাদের সাথে বন্ধুত্ব করিও না। তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর।
========================
ইহা একটি কোরানিক শিক্ষা। বুমেরাং!
========================
লিখেছেন: দাঁড়িপাল্লা ধমাধম
- See more at: http://www.dharmaleaks.org/514#more-514
১৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭
রুপবান বলেছেন:
The People of the Book
Al-Adab al-Mufrad Al-Bukhari
by Imam Bukhari
Translated by: Ustadha Aisha Bewley
XDIII. The People of the Book
512. When a dhimmi writes and gives the greeting, he is answered
1101. Abu 'Uthman an-Nahdi said, "Abu Musa wrote to a Persian grandee and greeted him in his letter. He was asked, 'Do you greet him when he is an unbeliever?' He replied, 'He wrote to me and greeted me, so I have answered him.'"
1102. Abu Basra l-Ghifari reported that the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, "I will ride to the Jews tomorrow. Do not give them the greeting first. If they greet you, then say, 'and on you.'"
1103. Abu Hurayra reported that the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, "Do not give the People of the Book the greeting first. Force them to the narrowest part of the road."
১৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৭
রুপবান বলেছেন: al tabari tafsir, surah 9:49
And among them is he who says:
Allah says, some hypocrites say to you, O Muhammad,
... ائْذَن لِّي ...
Grant me leave, (to stay behind),
... وَلاَ تَفْتِنِّي ...
and put me not into trial,
if I go with you and see the women of the Romans.
Allah, the Exalted, replied,
... أَلاَ فِي الْفِتْنَةِ سَقَطُواْ ...
Surely, they have fallen into trial,
because of the statement they uttered.
Muhammad bin Ishaq reported from Az-Zuhri, Yazid bin Ruwman, Abdullah bin Abi Bakr, Asim bin Qatadah and several others that they said,
"The Messenger of Allah said to Al-Jadd bin Qays from Bani Salimah,
هَلْ لَكَ يَا جَدُّ الْعَامَ فِي جَلَادِ بَنِي الْأَصْفَرِ؟
`Would you like to fight the yellow ones (Romans) this year?
He said, `O Allah's Messenger! Give me permission (to remain behind) and do not cause Fitnah for me. By Allah! My people know that there is not a man who is more fond of women than I. I fear that if I see the women of the yellow ones, I would not be patient.'
The Messenger of Allah turned away from him and said,
قَدْ أَذِنْتُ لَك
I give you permission.
In Al-Jadd's case, this Ayah was revealed, وَمِنْهُم مَّن يَقُولُ ائْذَن لِّي وَلاَ تَفْتِنِّي (And among them is he who says: "Grant me leave and put me not into trial).''
Therefore, Allah says that the Fitnah that he fell into because of not joining the Messenger of Allah (in Jihad) and preferring his safety to the safety of the Messenger is worse than the Fitnah that he falsely claimed to fear.''
It was reported from Ibn Abbas, Mujahid and several others that;
this Ayah was revealed in the case of Al-Jadd bin Qays, who was among the chiefs of Bani Salimah.
It is also recorded in the Sahih that the Messenger of Allah asked,
مَنْ سَيِّدُكُمْ يَا بَنِي سَلَمَةَ ؟
Who is your chief, O Bani Salamah?
They said, "Al-Jadd bin Qays, although we consider him a miser.''
The Messenger of Allah said,
وَأَيُّ دَاءٍ أَدْوَأُ مِنَ الْبُخْلِ وَلَكِنْ سَيِّدُكُمْ الْفَتَى الْجَعْدُ الْأَبْيَضُ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُور
There is not a disease worse than stinginess! Therefore, your chief is the white young man with curly hair, Bishr bin Al-Bara' bin Ma'rur.
Allah said next,
http://www.quran4u.com/Tafsir Ibn Kathir/009 Taubah.htm#ÙÙÙ
ÙÙÙÙÙÙ
Ù
১৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫০
রুপবান বলেছেন: যারা বলেঃ আমরা নাছারা, আমি তাদের কাছ থেকেও তাদের অঙ্গীকার নিয়েছিলাম। অতঃপর তারাও যে উপদেশ প্রাপ্ত হয়েছিল, তা থেকে উপকার লাভ করা ভুলে গেল। অতঃপর আমি কেয়ামত পর্যন্ত তাদের মধ্যে পারস্পরিক শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিয়েছি। অবশেষে আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অবহিত করবেন। সুরা ৫/১৪
২০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০০
২১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৫
রুপবান বলেছেন: Click This Link
২২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
২৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৩৬
২৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
রুপবান বলেছেন: [img]http://www.bdtoday.net/blog/bloggeruploadedimage/bilkiss/1378570279.jpg[/img]
২৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫
রুপবান বলেছেন: ইদানিং একটি প্রবচন খুব বেশী বেশী শোনা যায়- ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে ইসলামী পন্ডিত কাঠ মোল্লা সবাই এক বাক্যে তারস্বরে চিৎকার করে বলছে- শান্তির ধর্ম ইসলাম, ইসলাম কোন সংঘাত, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বা উগ্রবাদীতাকে প্রশ্রয় দেয় না। তার মধ্যে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশ বা বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার যেমন আছে, তেমনি আছে জাকির নায়েক, হারুন ইয়াহিয়া এমনকি বাংলাদেশের দেলোয়ার সায়েদি। ইসলামি পন্ডিতদের বক্তব্য- সেই অতীত কাল থেকে মানুষ যে ইসলামের পতাকা তলে এসেছে তা এসেছে মূলতঃ ইসলামের শান্তির বানী ও সাম্যতার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- হঠাৎ করে ইসলাম যে একটা শান্তির ধর্ম ঘটা করে সেটা এভাবে প্রচারের জন্য কেন এত হাক ডাক? এমন কি ঘটল যে- এখন রেডিও, টিভি, পত্র-পত্রিকা খবরের কাগজ, ইসলামি মজলিস, ইন্টারনেট সব যায়গাতে জোরে সোরে ইসলামের পে এভাবে সাফাই গাওয়া শুরু হলো যে ইসলাম একটা শান্তির ধর্ম?
আগেও হয়ত এ বিষয়টা ছিল কিন্তু তত প্রকাশ্য বা জোরে শোরে ছিল না। বিষয়টা ব্যপক ভাবে সাধারন্যে আসে ২০০১ সালে নিউইয়র্কের সেই বিখ্যাত বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্রে কতিপয় ইসলামী জঙ্গি কর্তৃক সন্ত্রাসী হামলা করা ও তাকে গুড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান পার্ল হারবারে যে ভয়াবহ আতর্কিত আক্রমন করেছিল তাতে লোক মারা গেছিল তিন হাজারের কিছু বেশী। কিন্তু বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্রে লোক মারা গেছিল তার চাইতেও বেশী। আমেরিকার ইতিহাসে সন্ত্রাসী হামলা তো দুরের কথা গত দুই দুটি বিশ্বযুদ্ধ সহ কোন যুদ্ধেই এক সাথে এত মানুষ কখনও মারা যায় নি। বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে সেটা গুড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা এতটাই বিস্ময়কর ছিল যে প্রথমে অনেকেই খবরটি শুনে বিশ্বাসই করতে চায় নি। তার মধ্যে আমিও অন্যতম। পরে যখন টেলিভিশনে দেখি তখন সেটা বিশ্বাস করি। আর যেহেতু ঘটনার নায়করা ছিল সবাই মুসলমান ও একটি মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠির সদস্য বা সমর্থক, তাই সব দোষ গিয়ে পড়ে মুসলমানদের ওপর পড়ে। বিষয়টির ভয়াবহতা ও গুরুত্ব এতটাই ছিল যে- আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুনিয়র বুশ আবেগ ও উত্তেজনার বশে ঘোষনাই দিয়ে ফেলেছিলেন যে- আবার মুসলমানদের সাথে ধর্ম যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। যদিও বিষয়টি পরবর্তীতে নানা কারনে চেপে যাওয়া হয়। তবে এ ঘটনার পর পরই আমেরিকায় সন্ত্রাসী আক্রমন ঠেকাতে গঠন করা হয় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি যার পেছনে হাজার হাজার কোটি ডলার প্রতি বছর খরচ করা হচ্ছে। বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্রে সন্ত্রাসী আক্রমনের হোতা ওসামা বিন লাদেনকে ধরতে আমেরিকা আফগানিস্তান আক্রমন ও দখল করে। রাসায়নিক ও পারমানবিক অস্ত্র তৈরী করছে অজুহাতে তারা ইরাক আক্রমন ও দখল করে। আর স্বাভাবিক ভাবেই এসব আক্রমন ও দখলে ল ল নিরীহ লোক এ পর্যন্ত প্রান হারিয়েছে। যে কারনে মুসলমানদের মধ্যে জঙ্গিবাদী চিন্তা চেতনার আরও প্রসার ঘটেছে। বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলার কারন জানাতে গিয়ে আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন বলেছিলেন যে পবিত্র আরব ভুমিতে আমেরিকান ইহুদি নাসারারা ঘাটি গেড়ে বসেছে বলেই আমেরিকায় হামলা করা হয়েছে। বিষয়টি কিন্তু গুরুত্বপূর্ন। ১৯৯১ সালে ইরাক যখন কুয়েত আক্রমন করে, তখন তথাকথিত বহুজাতিক বাহিনীর নামে আমেরিকান সৈন্যরা মুসলমানদের পবিত্র আরব ভুমিতে পদার্পন করে। কুয়েত থেকে সাদ্দাম বাহিনী হটে গেলেও আমেরিকান সৈন্যরা আরবের প্রতিটি দেশেই ঘাটি গেড়ে বসে। মুসলমানদের কাছে আরব দেশ বিশেষ করে বাদশাহ শাসিত সৌদি আরব হলো অতি পবিত্র দেশ কারন সেখানে ইসলামের নবী মোহাম্মদের জন্ম ও মুসলমানদের প্রধান ও সবচাইতে পবিত্র মসজিদ কাবা শরিফ সেখানে অবস্থিত। সুতরাং পবিত্র ভুমিতে কাফের নাসারা ইহুদি বাহিনী ঘাটি গেড়ে বসে থাকবে তা সাচ্চা মুসলমান মাত্রেরই সহ্য হওয়ার কথা না, সহ্য হয়ও নি। ফলাফল- আমেরিকায় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে টুইন টাওয়ার ধ্বংস করে দেয়া। এ হামলার পর আমি অন্তত আমাদের দেশে একটা মানুষকেও খুজে পাইনি যারা মনে মনে অখুশী হয়েছে। মুখে এর নিন্দা করলেও মনে মনে যে দারুন খুশী হয়েছে তা ছিল প্রকাশ্য। এর কারনও বহুধা। আমাদের দেশে এর কারন আরও বিচিত্র। যারা ইসলাম পন্থি রাজনীতি করে বা তাদেরকে মনে মনে সমর্থন করে তারা খুশী হয়েছিল ঠিক আগের উল্লেখিত কারনে। আর যারা ধর্মনিরপে রাজনীতি করে বা সমর্থন করে তারা খুশী হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমেরিকার পাকিস্তানের পে অনৈতিক ও অমানবিক সমর্থনের কারনে , এছাড়াও প্রথমোক্ত কারনও এদের মনের মধ্যে কাজ করেছিল কারন এরাও তো সব মুসলমান। এরাও চায় না ইসলামের পবিত্র ভুমিতে আমেরিকা ঘাটি গেড়ে বসে থাকুক। সুতরাং চুড়ান্ত বিচারে বিষয়টি ছিল ধর্মীয় চেতনার। কিন্তু সবচাইতে গুরুত্ব পূর্ন বিষয় হলো- উক্ত আত্মঘাতী হামলায় যে কথিত ১৯ জন মুসলমান অংশ গ্রহন করেছিল তাদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে যারা প্রত্যেকেই প্রায় আমেরিকায় স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বসবাস করছিল। এখন প্রশ্ন হলো- আমেরিকার মত একটা দেশে বসবাসকারী সেসব নবীন তরুনদের সামনে ছিল জীবনকে উপভোগ করার অবারিত সুযোগ সেসবকে অকাতরে জলাঞ্জলী দিয়ে আত্মঘাতী হামলায় অংশ নিয়ে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিল কোন্ আদর্শে উজ্জিবীত হয়ে? বিষয়টি আমার মনে হয়না হালকা ভাবে নেয়ার কোন সুযোগ আছে। গোটা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ-বিগ্রহ, সন্ত্রাসী হামলায় মদদ দান ইত্যাদি বিষয়ে প্রত্য বা পরো ভাবে আমেরিকার ইন্ধনের বিষয়টি সুবিদিত। সেকারনে যুক্তির খাতিরে হলেও ধরে নেয়া যেতে পারে যে- তাদের এসব অনৈতিক অপকর্মের জন্য একটা শিা পাওয়া দরকার ছিল যা কোন দেশ কখনো দিতে পারেনি। সেদিক দিয়ে চিন্তা করলে এ তরুনরা দারুন বীরত্বের পরিচয় দিয়েছে বলাই বাহুল্য। কিন্তু আসল বিষয়টা হলো- কি এমন সে আদর্শ যাতে উজ্জিবীত হয়ে এভাবে তরতাজা তরুনরা তাদের জীবনকে অকাতরে শেষ করে দিল স্বেচ্ছায়? এর একটাই উত্তর ইসলাম। আত্মঘাতী হামলার উদাহরন যে এটাই একমাত্র তা কিন্তু না। শ্রীলংকায় তামিল টাইগারদের আত্মঘাতী হামলার কথা আমরা জানি, এমনকি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়েও কিছু বাঙালীও পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু সেসব ছিল পরাধীনতার হাত থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার উদগ্র কামনায়। তারা স্ব স্ব দেশেই পরাধীনতার শৃংখল থেকে দেশকে স্বাধীন করতে এসব হামলা চালিয়েছিল। অন্য দেশে গিয়ে কিছু করেনি। অথচ ১৯ তরুনের সবার জন্মস্থান ছিল আরব দেশ আর তারা আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে আমেরিকাতে। আমেরিকা কিন্তু কোন আরব দেশকে দখল করে পরাধীনও করেনি, কিছু সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন রেখেছিল তাও সেসব দেশের বাদশাহ আমীরদের অনুমতি ক্রমেই। সুতরাং গোটা বিষয়টি বিশ্লেষণের দাবী রাখে। ইদানিং বিভিন্ন পশ্চিমা দেশে বসবাসকারী পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত মুসলমান তরুনদের এধরনের আত্মঘাতী প্রবোনতা বেশ লনীয়। ২০০৫ সালে লন্ডনে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল এরকম একজন পাকিস্তানী, সম্প্রতি নিউইয়র্কে ফয়সাল নামের আর এক পাকিস্তানীকে পাকড়াও করেছে এফ বি আই সন্ত্রাসী হামলা পরিকল্পনার অভিযোগে। খেয়াল করুন এসব তরুনরা ওসব দেশে জন্ম গ্রহন করেছে, ওখানকার পরিবেশে মানুষ কিন্তু শুধু ধর্ম ইসলাম হওয়াতে তারা কিন্তু ওদেশের সংস্কৃতিকে আত্মস্থ দুরের কথা গ্রহনও করতে পারেনি, উল্টো ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিরীহ মানুষকে আত্মঘাতী হামলার মাধ্যমে হত্যা করার মধ্যে পবিত্র দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ হয়েছে আর তা করা পবিত্র কাজ মনে করেছে। এসব ঘটনা থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার তা হলো- মুসলমানদের মানসিকতার ন্যূনতম কোন পরিবর্তন নেই তা সে যে দেশে বা পরিবেশে জন্মগ্রহন করুক অথবা বাস করুক। হয়ত সব মুসলমান এরকম সন্ত্রাসী আক্রমনে অংশ নেবে না , কিন্তু আশংকা থেকেই যায় যে , যে কেউ যে কোন সময়ই জিহাদী আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে এ ধরনের কাজে অংশ নিতে পারে। অর্থাৎ মুসলমানরা শূধুমাত্র তাদের ধর্মের কারনেই সবার কাছে অবিশ্বস্থ হয়ে পড়েছে যা গোটা মানবজাতির জন্য সবিশেষ হুমকির কারন। কারন তাদের সংখ্যা কম করে হলেও গোটা পৃথিবীতে ১.৫ বিলিয়ন। এখন দেখা যাক, তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতরা ইসলাম শান্তির ধর্ম বলে তারস্বরে এত চিৎকার চেচামেচির পরও কেন এসব তরতাজা তরুন এধরনের আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে? এটাও বিশ্লেষণ করা যাক, ইসলাম কি আদৌ শান্তির ধর্ম? আর ইসলাম যদি সত্যি সত্যি শান্তির ধর্ম হয়েই থাকে তাহলে তো তার কিতাবেই তা ভালমতো লেখা থাকবে, তারস্বরে চিৎকার করে বা মিডিয়াতে ব্যপক প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে তো তা প্রচার করার দরকার নেই। এটাও দেখা যেতে পারে যারা আত্মঘাতী হামলা চালাচ্ছে এরা সাচ্চা মুসলমান নাকি যারা ইসলাম শান্তির ধর্ম বলছে এরা সাচ্চা মুসলমান?
বিশ্লেষণের আগে আমাদের জানতে হবে ইসলাম কি ও মুসলমান কারা। ইসলাম হলো কোরানের ভাষায় শেষ নবী মোহাম্মদ প্রবর্তিত ধর্ম। মুসলমান হলো যারা ইসলামে বিশ্বাস করবে। ইসলামের পাচটি স্তম্ভ- ইমান, নামাজ, রোজা, হজ্জ ও যাকাত। তার মধ্যে ইমান বা বিশ্বাস হলো সর্বপ্রথম ও সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন। কিসে বিশ্বাস? আল্লাহ ও তার রসুলের ওপর বিশ্বাস, শর্তহীন বা প্রশ্নহীন চুড়ান্ত বিশ্বাস। যে এতে সামান্যতম সন্দেহ বা প্রশ্ন করবে সে মুসলমান না। তবে সবার আগে আল্লাহ কে সেটার ফয়সালা আগে করা দরকার। তা না করলে আলোচ্য নিবন্ধের মূল ভাবটা বোঝা মুসকিল হবে। আমরা প্রচলিত অর্থে যাকে সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর বলি তারই অনেকটা আরবি নাম আল্লাহ। তবে কোরান খুব মন দিয়ে পাঠ করলে দেখা যায়, কোরানে বর্নিত আল্লাহ আমাদের ধারনা করা প্রচলিত সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর এর সাথে মেলে না। কোরানের বানী গুলো পড়লে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে এর আল্লাহ আসলে স্বয়ং মোহাম্মদ নিজেই। মোহাম্মদ তার নিজের কথাগুলোকেই আসলে আল্লার বলে চালিয়ে দিয়েছেন। নিচের আয়াতটি লক্ষ্য করুন-
যে লোক রসুলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহর হুকুমই মান্য করল। ৪ঃ ৮০
এখানে মোহাম্মদ আর আল্লাহ হুবহু এক বা সমার্থক অর্থাৎ মোহাম্মদ ও আল্লাহর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই এখানে।কোরানের বানী প্রচার করা ছাড়াও মোহাম্মদ অনেক হুকুম দিতেন, বিচার সালিশ করতেন, আদেশ উপদেশ দিতেন। আর বলা বাহুল্য তা সবই ্েয প্রকারান্তরে আল্লার হুকুম , বিচার সালিশ, আদেশ নিষেধ তা কিন্তু উক্ত আয়াতে পরিষ্কারভাবেই প্রকাশ পেয়েছে। এখানে কোন রূপক নেই, নেই কোন অস্পষ্টতা। উপরোক্ত আয়াতটির পরের অংশ দেখা যাক-
আমি আপনাকে( মোহাম্মদকে) তাদের জন্য রক্ষনাবেক্ষনকারী রূপে পাঠাইনি। ৪ঃ ৮০
উক্ত আয়াত থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, মোহাম্মদ অনেকটা হিন্দু সনাতন ধর্মীয় মতানুযায়ী নিজেকে আল্লাহর অবতার রূপে প্রতিষ্ঠা করে লোকদেরকে বলছেন যে- তার হুকুম, আদেশ নিষেধ সবকিছু বিনা প্রশ্নে মানতে হবে, কারন তার অত সময় নাই মানুষকে দেখা শোনা তথা রক্ষনাবেক্ষন করার।
এরা কি লক্ষ্য করে না কোরানের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ছাড়া অপর কারো পক্ষ থেকে হতো তবে এতে অবশ্যই কিছু বৈপরিত্য দেখতে পেত। ৪ঃ ৮২
তার মানে মোহাম্মদের দাবী তার কোরানে কোন বৈপরীত্য নেই। এবার দেখা যাক, কোন বৈপরিত্য আছে কি নেই।
দ্বীনের ব্যপারে জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নাই। ২ ঃ২৫৬
্
কি সুন্দর কথা। সত্যিই মনে হয় ইসলাম হলো মহা শান্তির বানী। মূলতঃ এই একটি বানী প্রচার করতে করতে ইসলামী পন্ডিতরা মুখে ফেনা তুলে ফেলেছে। আর প্রান পনে প্রমান করার চেষ্টা করছে ইসলামের চেয়ে মহাশান্তির ধর্ম সত্যি সত্যি আর নেই। এখন এর পরেই আয়াতটি দেখা যাক-
আর তোমরা লড়াই কর যে পর্যন্ত ফেতনার অবসান না হয়, আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না হয়। অতঃপর যদি তারা বিবৃত্ত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি জবর দস্তি নাই, কিন্তু যারা যালেম তাদের কথা আলাদা। ২ঃ ১৯৩
ল্ক্ষ্য করার বিষয়, এক ফুৎকারে শান্তির বানী হাওয়া হয়ে গেছে। আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই করতে হবে। তাহলে দ্বীনের ব্যপারে জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নাই- কথা গুলি কোথায় গেল? তারা যদি নিবৃত্ত হয়ে যায় তাহলে তাদের প্রতি জবর দস্তি নাই- এর অর্থ কি? তার মানে অমুসলিমরা যদি আত্মসমর্পন করে বা পালিয়ে যায় তাহলে তাদের ওপর চড়াও হতে নিষেধ করছে। মনে হয় আহা কি সুন্দরই না ব্যবস্থা, অনেকটা আজকের যুগের জেনেভা কনভেনশনের মত যাতে বলা আছে যুদ্ধেক্ষেত্রে আত্মসমর্পনকারী শত্র“র ওপর কোন অত্যাচার নির্যাতন বা তাদেরকে খুন করা যাবে না। এখন এই আক্রমনাত্মক আয়াতের যে ব্যখ্যা ইসলামী পন্ডিতরা করে থাকে তা হলো-মোহাম্মদ কখনই আগ বাড়িয়ে আক্রমন করেননি, সব সময় তিনি আত্মরার্থে যুদ্ধ করেছেন। এবার নীচের হাদিসটি দেখা দেখা যেতে পারে তিনি আগ বাড়িয়ে আক্রমন কারী নাকি আক্রান্ত হয়ে আত্মরাকারী।
ইবনে আনু থেকে বর্নিত- আমি নাফির কাছে একথা জানতে চেয়ে একটা বার্তা পাঠিয়েছিলাম যে কোন গোত্রকে আক্রমনের আগে ইসলামের প্রতি দাওয়াত দেয়া আবশ্যক কিনা। তিনি উত্তরে জানিয়েছিলেন ইসলামের প্রাথমিক যুগে সেটা প্রয়োজন ছিল। আল্লাহর নবী আবু মুত্তালিক গোত্রের লোকদের ওপর যখন আক্রমন করলেন তখন তারা অপ্রস্তুত ছিল আর তারা তাদের গবাদি পশুকে পানি পান করাচ্ছিল। যারা তার সাথে যুদ্ধ করেছিল নবী সবাইকে হত্যা করলেন আর বাকীদেরকে বন্দী করলেন। সেদিনই তিনি জুরাইয়াকে দখল করলেন। নাফি বর্ননা করেন- এ রীতিটি আব্দুল্লাহ বিন ওমরের সাথে সম্পর্কিত ছিল যিনি নিজেই আক্রমনকারী দলের সাথে ছিলেন। সহী মুসলিম, বই-১৯, হাদিস-৪২৯২
এখন উপরে কোরানের আয়াতটি পড়েও কিন্তু বোঝা যায় যে মোহাম্মদই আক্রমনকারী।কারন তিনি বলছেন- লড়াই কর যে পর্যন্ত দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না হয় । একজন বলশালী মতাবান ব্যক্তিই এমন ধরনের জঙ্গী কথা তার অনুসারীদের বলতে পারে। দুর্বল কোন নেতার পক্ষ এ ধরনের কথা বলা সম্ভব নয়। যখন উনি দুর্বল ছিলেন সেই মক্কাতে তখন তার বানী ছিল-
দ্বীনের ব্যপারে জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নাই। ২ ঃ২৫
আর যেই তিনি শক্তিশালী হয়ে গেছেন, লড়াই করে অন্য গোষ্ঠিকে পরাস্ত করার মত মতা অর্জন করে ফেলেছেন তখন তার বানী হয়ে গেছে- লড়াই কর যে পর্যন্ত দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না হয় । তো এধরনের আচরন তো কোন আল্লাহর নবীকে মানায় না, মানায় একজন গোষ্ঠি নেতাকে।
যাহোক, মদিনার আশে পাশে যে সব গোত্র ইসলাম কবুল করেনি, অথচ মোহাম্মদের বাহিনী ততদিনে যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, আশে পাশের ছোট ছোট গোত্রগুলিকে আক্রমন করে পরাস্ত করতে পারঙ্গম, তাই এভাবে মোহাম্মদ তার বাহিনীকে আল্লাহর বানীর নামে ক্রমাগত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। আর বলাবাহুল্য সে েেত্র মোহাম্মদ ই আক্রমন কারী। যেটা উপরের হাদিসে বর্নিত ঘটনা তাকেই সমর্থন করছে। এেক্ষেত্র মোহাম্মদের সর্বাত্মক আগ্রাসী চরিত্রও ফুটে উঠেছে খুব সুন্দরভাবে। হাদিসটি পড়ে বোঝা যায়- সেই যুগেও অর্ধ সভ্য আরবরা যতই বর্বর হোক না কেন, তারা একটা নীতি অনুসরন করত আর তা হলো কাউকে বিনা প্ররোচনায় আক্রমন করত না। তারা যেটা করত- কোন একটা গোত্র প্রথমে কোন একটা ব্যপারে অন্য গোত্রকে আহবান করত তাদের শর্ত মেনে নেয়ার জন্য। যদি অন্য গোত্র সে শর্ত না মানত তারপরেই তারা আক্রমন করতে উদ্যত হতো। প্রথম দিকে মোহাম্মদও সেটাই করতেন কারন তখনও মদিনা বাসীদের ওপর তিনি নিরঙ্কুশ আধিপত্য বিস্তার করতে পারেন নি। যে কারনে প্রথম দিকে আশে পাশের গোত্রকে আহ্বান করা হতো ইসলাম কবুল করে তাদের অধীনে আসতে। অর্থাৎ দুর্বল গোষ্টিগুলি একটা সুযোগ পেত। যেটা হাদিসটিতে খুব স্পষ্টভাবে বর্ননা করা হয়েছে। পরবর্তীতে মোহাম্মদ যখন মদিনা বাসীর ওপর নিরঙ্কুশ আধিপত্য বিস্তার করলেন তখন নিয়মটি আমুল পাল্টে যায়। তখন থেকে যখন তখন মোহাম্মদ তার বাহিনী নিয়ে অপ্রস্তুত ছোট ছোট গোত্রের ওপর আক্রমন করত, পুরুষ মানুষগুলোকে হত্যা করত, নারীগুলোকে বন্দী করে গনিমতের মাল হিসাবে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিত যৌন আনন্দ করার জন্য, ধন-সম্পদও সব লুটপাঠ করে নিজেদের মধ্যে বিলি বন্টন করা হতো। উপরোক্ত ঘটনায় দেখা যায়-মোহাম্মদ জুরাইয়া নামের এক সুন্দরী যুবতীকে ভাগে পেয়েছিলেন, অবশ্য পরে তাকে তিনি বিয়ে করেছিলেন। বিনা উস্কানীতে একটা অপ্রস্তুত গোত্রকে আক্রমন করে তাদের পুরুষ মানুষগুলোকে হত্যা করার পর তাদের সুন্দরী নারিদেরকে ধরে এনে জোর পুর্বক বিয়ে করা কি ধরনের মহত্ব তা সত্যিই আমি বুঝতে অপারগ। আর এ ধরনের কাজটি করেছেন কে ? আল্লাহর প্রেরিত রসুল, সর্বশ্রেষ্ট মানুষ, মহামানব আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ। যে একটা সভ্য নীতি অর্ধ সভ্য আরবরা পর্যন্ত অনুসরন করত, যা হলো- বিনা উস্কানীতে কাউকে আক্রমন না করা, আমাদের প্রিয় নবী মহামানব আল্লাহর রসুল মোহাম্মদ তাও এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে চুড়ান্ত ভাবে আগ্রাসী ও অনৈতিক আক্রমনকারী হিসাবে আবির্ভূত হলেন।আর এসব করার পর তার ধর্মকে বলা হচ্ছে চির শান্তির ধর্ম। এর চাইতে নিষ্ঠূর কৌতুক আর কি হতে পারে? এটা আমার কোন নিজস্ব বক্তব্য না, কোরানের আয়াত আর হাদিস যা বলছে সেটাই এখানে ব্যখ্যা করা হচ্ছে। অথচ এসব ঘটনাকেই আবার একদল ইসলামী পন্ডিত আত্মরার্তে যুদ্ধ বলে চালিয়ে দিতে কি প্রান পাত চেষ্টা টাই না করে যাচ্ছে। ধুরন্ধর এসব তথাকথিত পন্ডিতরা এসব করে, প্রকারান্তরে গোটা মুসলমান জাতিরই অপরিসীম তি সাধন করছে।
এবারে শান্তির ধর্ম ইসলামের আরও কিছু আয়াত দেখা যাক।
তোমরা কিতাবধারীদের (ইহুদি ও খৃষ্টান) সাথে তর্ক বিতর্ক করবে না, কিন্তু উত্তম পন্থায়, তবে তাদের সাথে নয় যারা তাদের মধ্যে বে ইনসাফ। এবং বল আমাদের প্রতি ও তাদের প্রতি যা নাজিল করা হয়েছে, তাতে আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমাদের উপাস্য ও তোমাদের উপাস্য একই এবং আমরা তারই আজ্ঞাবহ। ২৯ঃ৪৬
আয়াতটি পড়লে মনে হয় মুসলিম খৃষ্টান ইহুদি ভাই ভাই, কোন ঝগড়া বিবাদ নাই। আরও মনে হয় ইসলামের মত উদার ও শান্তিপ্রিয় ধর্ম আর নাই। আর বলা বাহুল্য উক্ত সূরার আয়াতটি মক্কাতে অবতীর্ন যখন মোহাম্মদ ছিলেন অতিশয় দুর্বল, দুই চারজন ছাড়া তার কোন অনুসারী ছিল না। কারও সাথে ধর্ম নিয়ে তর্ক বিতর্ক তো দুরের কথা, নিজের জীবন বাচাতেই তাকে সব সময় তটস্থ থাকতে হতো। ঠিক আজকের মত অনেকটা , কোন মুসলিম দেশে আপনি ইসলাম নিয়ে সামান্যতম সমালোচনাও করতে পারবেন না, যদি করেন যে কোন সময় আপনার কল্লা কাটা যেতে পারে। ঠিক সেকারনেই মোহাম্মদের কন্ঠ থেকে কুরানের বানীর নামে মহাসাম্য আর মহা শান্তির বানী ঝরে পড়ছে।কিন্তু এর পরেই দেখেন একই মাহাম্মদের বানী যা তিনি আল্লাহর বানী রূপে প্রচার করছেন-
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে কিতাবের ঐ লোকদের (খৃষ্টান) সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরের ওপর ইমান রাখে না, আল্লাহ ও তার রসুল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহন করে না সত্য ধর্ম, যতন না তারা জিজিয়া প্রদান না করে। ৯ঃ ২৯
আমাদের মহান আল্লাহর নবী মোহাম্মদের মুখ থেকে সাম্য, মৈত্রী আর শান্তির বানী উধাও হয়ে গেছে। আমাদের মহামানব মোহাম্মদের মুখ থেকে কেন তা উধাও হয়ে গেল? কারনটা কিন্তু সহজেই বোধগম্য। এ সূরার আয়াত মদিনাতে অবতীর্ন। মদিনাতে ততদিনে লুট তরাজের মালের ভাগ দেয়ার লোভ দেখিয়ে একটা বড় সড় শক্তিশালী বাহিনী গড়ে তুলেছেন। তখন তিনি মক্কার মত আর এতিম ও দুর্বল নন। তখন আর মদিনার আশে পাশের এলাকাতে ছোট ছোট গোষ্ঠিতে বাস করা ইহুদী ও খৃষ্টানদেরকে আর ভয় করার কিছু নেই। বরং যে কোন সময়ই তাদেরকে আক্রমন করে নিঃশেষ করে দেয়া যায়। তাই এবার মোহাম্মদ সিংহের মত হুংকার ছাড়ছেন।আয়াত দুটো লক্ষ্য করলেই কিন্তু তা সহজে বোঝা যায়, বেশী চিন্তা ভাবনা করা লাগে না। এখন পাঠক আপনারাই বলুন ইসলাম কি শান্তির ধর্ম?
শুধু তাই নয়, পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ছাড়া অপর কারো পক্ষ থেকে হতো তবে এতে অবশ্যই কিছু বৈপরিত্য দেখতে পেত। ৪ঃ ৮২- এ আয়াতে আল্লাহ চ্যলেঞ্জ করেছিলেন যে কোরানে কোন বৈপরিত্য নেই। এখন উপরোক্ত সূরাগুলো কি প্রমান করে? স্ববিরোধিতা বা বৈপরিত্য নেই? মোহাম্মদ যখন দুর্বল একাকি তখন তার মুখে শান্তি আর সাম্যের বানী ঝরে পড়ে, আর যখন তিনি শক্তিশালী তখন বাঘের মত হুংকার দিয়ে দুর্বলের ওপর ঝাপিয়ে পড়েন। এ হলো আমাদের শ্রেষ্ট মানব আল্লাহর নবী মোহাম্মদের চরিত্র , আর আল্লাহ প্রেরিত কোরানের ঐশি বানীর নমুনা। মহানবী যে একই মুখে দুইরকম কথা বলছেন তা কিন্তু তিনি ভালই বুঝতে পেরেছিলেন , আর মক্কায় থাকতে কোরানের বানীর নামে যে সব সাম্য ও শান্তির বানী তিনি বলেছিলেন মদিনাতে কয়েক বছর থেকে শক্ষিশালী হওয়ার পর হঠাৎ করে কেন তিনি উল্টো সুর ধরলেন এ ব্যপারে তার সাহাবীরা তাকে প্রশ্ন করতে লাগল। ফলে এরও একটা যুত সই ব্যখ্যা দেয়ার দরকার হয়ে পড়ল, আল্লাহও আর বিন্দু মাত্র দেরী না করে ওহি পাঠিয়ে দিলেন মোহাম্মদের চাহিদা মোতাবেক-
যখন আমি এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত উপস্থিত করি এবং আল্লাহ তিনি যা অবতীর্ন করেন তিনি সে সম্পর্কে ভাল জানেন, তখন তারা বলেন, আপনি তো মনগড়া উক্তি করেন, বরং তাদের অধিকাংশ লোকই জানে না। ১৬ঃ ১০১
কি আজব কথা , সর্বজ্ঞানী সব জান্তা আল্লাহ কিছুদিন আগে এক কথা বলেছিলেন , আর কিছু কাল পরেই তা যথার্থ মনে না হওয়ায় তা বাতিল করে নতুন আয়াত উপহার দিচ্ছেন ? এ আয়াত দিয়ে এটাই বোঝানো হচ্ছে যে-অমুসলিমদের ব্যপারে পূর্বে যেসব সাম্য ও মৈত্রীর কথা বলা হয়েছিল , পরবর্তী আয়াত সমুহে জেহাদের আহ্বান তথা যুদ্ধ করে তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়ার মাধ্যমে অতঃপর সেসব সাম্য ও মৈত্রীর আয়াত সমূহ বাতিল হয়ে গেল। এর পর কোরানের বানী শান্তি বানী তথা ইসলাম শান্তির ধর্ম কেমনে হয় যেখানে স্বয়ং আল্লাহ আগেকার সাম্য মৈত্রী বর্ননাকারী আয়াত নিজেই বাতিল ঘোষণা করে নতুন আয়াত নাজিল করেছেন?
একমাত্র অর্ধ বা পুরোপুরি অসভ্য এক দল মানুষকেই এ ধরনের কথা বলে ধোকা দেয়া যায়। অবশ্য আজকের যুগেও একশ্রেনীর ইসলামী পন্ডিতরা মুসলমানদেরকে ধাপ্পা দিয়ে চলেছে। এ ধরনের কথা বলাটা যে আল্লাহর সর্বজ্ঞানী সত্ত্বাকে অস্বীকার করা হচ্ছে সেটা বোঝারও মতা সেই আরবদের ছিল না। আর থাকলেও কারও সাহস ছিল না কিছু বলার। কারন সেরকম কিছু বললেই তো গর্দান কাটা পড়ত খোলা তলোয়ারের নীচে। অথচ কি বিস্ময়কর ব্যপার , স্বয়ং আল্লাহ তথা মোহাম্মদ যেখানে আগের এসব সাম্য মৈত্রীর আয়াত বাতিল করে দিয়ে গেছেন, সেখানে এখন কিছু তথাকথিত ইসলামী পন্ডিত মহাসমারোহে প্রচার করে চলেছে ইসলাম হলো একটা শান্তির ধর্ম। এছাড়াও আয়াত টি ভাল করে ল্ক্ষ্য করলে দেখা যায়, এটা রচনা করতে গিয়ে নিরক্ষর মোহাম্মদ দক্ষতারও পরিচয় দিতে পারেন নি, বাক্যটি যে তার নিজের তা কিন্তু খুব সহজেই বোঝা যায়। দেখুন- বাক্যটি শুরু হয়েছে আমি সর্বনাম দিয়ে মানে খোদ আল্লাহ বলছেন, যা হলো- যখন আমি এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত উপস্থিত করি , ঠিক এর পরেই একই বাক্যে (যৌগিক বাক্য) বলা হচ্ছে- এবং আল্লাহ তিনি যা অবতীর্ন করেন তিনি সে সম্পর্কে ভাল জানেন। এটা কেমনে সম্ভব ? তার মানে সহজেই বোঝা যাচ্ছে মোহাম্মদ নিজে কথা শুরু করেছিলেন পরে মনে পড়ে গেল এটা তো আসলে আল্লাহর বানী তাই তিনি বাক্যের পরের অংশেই বললেন আল্লাহ তিনি যা অবতীর্ন করেন—–। একই বাক্যে ফার্ষ্ট পারসন (আমি) ও থার্ডপার্সন( আল্লাহ) একই সাথে কর্তা বা সাবজেক্ট ব্যকরনর কোন ধারায় হয় তা আমি বুঝতে একেবারেই অম। আরবী ব্যকরনে বোধ হয় এটা সম্ভব তার কারন আসলে আরবী ব্যকরন টা মনে হয় কোরান নাজিল হওয়ার পরই সৃষ্টি করা হয়েছে আর তাতে কোরানের ব্যকরনকে বজায় রেখে সেটাকেই আসল ব্যকরন বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। কারন কয়দিন আগে একজন ইসলামী চিন্তাবিদের কথা বার্তা শুনে তাই মনে হলো।শুদ্ধ ব্যকরনের এটা ব্যকরনের ধারায় এটা অমার্জনীয় ভুলের এক উজ্জ্বল নিদর্শন।
এক পর্যায়ে অবস্থা ও পরিবেশ অনুযায়ী যা মনে আসত সেটা বলেই মোহাম্মদ তাকে আল্লাহর বানী বলে চালিয়ে দিতেন এটা তার এক উজ্জ্বল নমুনা। কারন আল্লাহ কিছুদিন আগে এক কথা বলেছিলেন আর এখন অন্য কথা বলছেন, এটা বললে যে আসলে আল্লা সবজান্তা বা সর্বজ্ঞানী এটা অস্বীকার করা হয়, এটারও ধার ধারতে মোহাম্মদকে দেখা যাচ্ছে না আলোচ্য আয়াতে। আর এটা নিয়ে সাধারন সাহাবীদেরও কোন মাথা ব্যথা ছিল না কারন তারা ততদিনে মোহাম্মদের বাহিনীতে যোগ দিয়ে আশেপাশের জনপদ আক্রমন করে তাদের ধন সম্পদ লুটপাট করছে, তাদের সুন্দরী নারীগুলোকে দেদারসে ভোগ করছে, আর কি চাই। তখন মোহাম্মদ আল্লাহর বানীর নামে কি বলল না বলল এটা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ন ছিল না।
এখন যদি কোন মুসলমান এটাকেই আল্লাহর আমোঘ বানী মনে করে, তাহলে তার পক্ষে তো চুপ করে বসে থাকা যায় না, ইসলামের জন্য জান বাজী রেখে অমুসলিমদের ওপর ঝাপিয়ে পড়বে সময় সুযোগ পেলেই, যা বর্তমানে দেখা যাচ্ছে। আর সেকারনেই মুসলিম তরুনেরা আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
inShare
লেখকের আরএসএস ফিড
২৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
রুপবান বলেছেন: [u][b]ইসলামের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে এত কিছু করারপরও এ যুগের মুসলমানরা তালেবানদের প্রসঙ্গ আসলে কৌশলে এড়িয়ে যেতে চায়। তা হলে- কোরান, হাদীস, নবী মোহাম্মদ এবং আল্লার প্রকৃত বিধান কি এতোটাই খারাপ এবং লজ্জাজনক যে কারনে মুসলিমরা তালেবান বিধান নিয়ে বিব্রত???? [/b][/u]
তালিবান শব্দের অর্থ "দ্বিনের ছাত্র"........................
নাস্তিক রাশিয়াকে উছ্ছেদ করার পর ১৯৯৬ সালে নিঃস্বার্থ ইসলাম প্রেমিক তালেবানরা আফগানিস্তানের রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা দখন করে। তালিবান আন্দোলনের প্রধান ছিলেন মোল্লা মুহাম্মাদ উমার। উমারের পরেই ছিল সামরিক কমান্ডার ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের একটি মিশ্র ইউনিটের অবস্থান। এর পরে স্থান ছিল পদমর্যাদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধর্মীয় বিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণকারী ব্যক্তিদের। এছাড়াও ইউরোপ ও চীন থেকে অকেক স্বেচ্ছাসেবক, আলেম ওলেমারা এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন।
ক্ষমতা দখলের পর পরই তালেবানরা আফগানিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে এবং কোরান-হাদীসের আলোকে এযাবৎ কালের সবচেয়ে কঠোর মুসলিম শরিয়াহ্ভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে।
১। তালেবানরা নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা কঠর ভাবে নিয়ন্ত্রন করে এবং মেয়েদের সর্বাঙ্গ ঢেকে বোরকা পরার ডিক্রি জারি করে।
২। মেয়েদের সব স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেয়।
৩।মুসলিম পুরুষের দাড়ি রাখা বাধ্যতা মুলক করা হয়।
৪। চিকিতসার জন্য মহিলারা শুধু মহিলা ডাক্তারের কাছে যেতে পারবে, যদি নিতান্তই পুরুষ-চিকিৎসকদের দেখাতে হয় তবে কোনো ঘনিষ্ট আত্মীয়কে সঙ্গে রাখতে হবে।
৫। ধর্ম রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ বিনা অনুমতিতে যে কোন স্থানে তল্লাসি চালাতে পারবে।
৬। পাথর ছুড়ে জেনার শাস্তি বিধান চালু করা হয়। চাবুক,দোররা, হাতকাটা, পাকাটার আইন জারি করা হয়।
৭।মদ, জুয়া, সুদ, গান, বাজনা, টিভি, ক্যাসেট, সিনেমা, কবিতা, উপন্যাস............ সহ সব অনৈসলামিক কাজ নিষিদ্ধ করা হয়।
৮। সাদা পতাকাকে জাতীয় পতাকা হিসেবে চিত্রিত করে এবং ঐ পতাকায় শাহাদাহ চিহ্ন যুক্ত করা হয়।
৯। অমুসলিমদের বিরুদ্ধে জেহাদ কে বাধ্যতামুলক করে প্রত্যেক সক্ষম পুরুষকে বিভিন্ন উৎস থেকে ভারী অস্ত্র, গোলাবারুদের প্রশিক্ষণ দেয়ার নিয়ম চালু করা হয়।
এক কথায় বলতে এই তালেবান মুমিনরাই এ যুগে সর্ব প্রথম নবী-সাহাবী আমলের ১০০ ভাগ ইসলামী বিধান কঠর ভাবে চালু করার সাহস দেখিয়েছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২৬
রুপবান বলেছেন: @ Mr. Raihan......................
India's Nobel prize winners in Physics, Chemistry and Medicine.
Here is the list:
Chandrasekhara Venkata Raman (C. V. Raman) - Nobel Prize for Physics in 1930
Har Gobind Khorana - Nobel Prize in Medicine in 1968
Subrahmanyan Chandrasekhar - Nobel Prize for Physics in 1983
Venkatraman Ramakrishnan - Nobel Prize in Chemistry in 2009
These are the winners of Nobel prizes in science - all of them from India a Hindu nation.
Now, can you please list any Nobel Prize winners in science from any of the 54 Muslim nations? Except for Abdus Salam of Pakistan, who is a KADIANY, not a Muslim.
Isn't it such a shame that there are not any Muslim believers that have won Nobel prizes in science? You always say that Hinduism is a false, non-scientific religion, then what kind of scientific religion is Islam, when they cant even produce one Nobel winner from one of the 54 countries? Don't you see your IGNORANT face in mirror? Do you??