![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে জামাতের অবস্থান একটি ঐতিহাসিক বাস্তবতা, একে অস্মিকার করা বা অন্যকোনভাবে ব্যক্ষ্যা করার সুয়োগ আসলে নেই। যে রাজনৈতিক দলই তাদের ব্যবহার করুন না কেন এই ঐতিহাসিক সত্যটাকে মেনে নিয়েই তাদের সাথে গাটছারা বাধতে হয়েছে এবং হবে। ১৪ই ডিসেম্বরের বুদ্ধিজিবী নিধনের পিছনে তাদের নীল নকশা নতুন কোন ব্যাক্ষার দাবী রাখে না । এখন প্রশ্ন হচ্ছে শুধু কি মুক্তি যুদ্ধের সময়ে তাদের অবস্থানের কারনেই কি তাদের ততপরতা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন ? বিষয়টা কিন্তু এমন না । যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বাংলাদেশকে পূণ:র্নিমাণের সময় এই দল এবং এর সর্মথকদের্ অবস্থান টা আলোচনায় আনাটা খুবই জরুরি। ৭০ দশকে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মাত্র শেষ হওয়া যুদ্ধের রেশ তখন ভুলতে না পারা একটা দেশ। সেই সময়ের ঘটনা প্রবাহ ঘাটলে এই দল বা এর নেতা নেতৃত্বে অবস্থান কিন্তু খুব একটা চোখে পরে না । কারন খুবই সহজ এ সময়টা আসলে নিজেদের আড়াল করতে এবং অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই তারা অনেক বেশী ব্যাস্ত ছিলো । সামনের সারির যারা পেরেছে ইংল্যান্ডে পারি জমিয়েছে, তৃনমুল কর্মীরা গা ঢাকা দিয়েছে দেশের ভেতরেই । ৮০ এর দশক থেকে বিভিন্ন ভাবে এদের কর্ম পন্থা আবার করে চোখে পরতে থাকে । বিষয়টা আসলে গোলাম আজম কে জিয়াউর রহমানের দেশের ভিতরে প্রতিষ্ঠা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো ভাবলে ভূল হবে । ৮০ এর দশকে বাংলাদেশে উন্নয়নের লক্ষ্যে এনজিও মুভমেন্ট বলে বেসসরকারী ভাবে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর একটি আন্দোলন শুরু হয়। এখনকার এনজিওগুলোর কর্মপন্থা দিয়ে আসলে ৮০র দশকের এনজিও আন্দোলনের স্বরুপ বোঝা যাবেনা । এই আন্দোলনের মোটোছিল অরাজনৈতিকভাবে দেশের উন্ন্য়ন সাধন করা । এবং আক্ষরিক অর্থেই সেই সময় উন্নয়ন কর্মীদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। সেই আশির দশকে এনজিও মুভমেন্টের সবচেয়ে বড় বাধা কিন্তু আসতে থাকে তৃনমূল পর্যায় ধমীর্য়নেতাদের কাছথেকে । দু:খের বিষয় হলেও এটাই বাস্তবতা য়ে তৃনমূল পর্যায় জামাত ইসালমি কাজ করতে থাকে মসজীদগুলোর ছত্রছায়ায় । প্রগতির কথা যখন বামপন্থীরা বলে তখন তাদের বিরোধীতা করা হয় নাস্তিক হিসেবে ট্যাগ পরিয়ে দিয়ে। কিন্তু এনজিওরা নাস্তিক এই মর্মে প্রমান কোন ধর্মীয় নেতা কারো কাছেই নেই । তাহলে এনজিও মুভমেন্টের বিরোধিতা করা কেন? তারা নারী সমাজকে বেপর্দা, বেগানা বানাচ্ছে। বাংলাদেশে নারী অগ্রগতির ক্ষেত্রে কেউ যদি বাধা হয়ে থাকে, সেখানে যে এই সমস্ত ধর্মীয় দল এবং নেতারা কি পরিমান শক্ত ভূমিকা রেখেছে এবং রাখছে তা আর বোধকরি নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না । কিন্তু মুশকিল হলো এই আলোচনাগুলো কেন যেন শক্ত যুক্তি দিয়ে কেউ বলছে না । সবাই তেতুল হুজুর পর্যন্ত বলেই বিষয়টাকে উরিয়ে দিচ্ছে । জামাত বা হেফাজত কিংবা বাংলাদেশের নারী উন্নয়ন অথবা মুক্তিযুদ্ধ কোনটাই কিন্তু একটার থেকে আরেকটাকে আলাদা করে ভাবার সুযোগ নেই।প্রত্যেকটা বিষয় একটা আরেকটার সাথে যুক্ত । জামাতের রাজনিতী বুঝতে হলে তার পিছনে এর আর্দশিক অবস্থান এবং কর্ম পন্থাটা বুঝতে হবে । জামাতের রাজনীতির সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এরা মৌখিক ভাবে হলেও একটা আদর্শের কথা বলে সেটা হলো ইসলাম এবং একমাত্র রাজনৈতিক দল যাদের নিয়মিত কাজকর্ম করা বা সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও একটি প্রতিষ্ঠান আছে, সেটা হলো মসজিদ। এখন পর্যন্ত বাংরাদেশের সামাজিক কাঠামোতে স্কুলের শিক্ষক এবং মসজিদের ইমাম একটি গ্রাম বা পাড়ার সবচেয়ে সন্মানিত ব্যক্তিদের একজন। কাজেই এই ইমামকে দিয়ে যদি আপনি আপনার বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেন তা অনেক বেশী গ্রহনযোগ্যতা পায়। আমার স্বল্প ঞ্জান বলে জামাতের রাজনীতি বা দল সম্প্রসারনের এইটা একটা র্ফমূলা । যার প্রভাব আমরা দেখেছি সাইদিকে চাঁদে পাঠানোরা মধ্যে। বিশ্বাসের ভিত্তি যখন হয় আবেগ তখন সেটা মানুষকে অন্ধ করে দেয় । আর বিশ্বাসের ভিত্তি যখন হয় যুক্তি তখনসেটা আপনাকে জাযমেন্টাল মানে বিবেচনাকারী হতে শেখায়। আপনি যখন শ্লোগান দিচ্ছেন "বাচলে গাজী মরলে শহীদ" তখনসেটা ইহকাল এবং পরকাল দুই কালেরই সোয়াবকে নিশ্চিত করছে । আমাদের যাদের চাল ন্ই, চুলা নেই, দুইবেলা পেটভরে খাবার নিশ্চয়তা নেই, যাদের একমাত্র সম্বল ঐ সৃষ্টিকর্তার করুনা মানে সোয়াব তাদের জন্যতো এই শ্লোগান বিশাল অর্থ বহন করে বই কি। শহুরে মধ্যবিত্তচোখ দিয়ে জামাতের রাজনীতি বুঝতে গেলে সাইদিকে কেন চাদে দেখা যায় তা কোন দিন বোঝাযাবে না । জামাতকে বুঝতে হলে হাটতে হবে তৃনে । বুঝতে হবে পচনটা ধরাচ্ছে কোন শিকরে এবং কেন পারছে, কিভাবে পারছে।
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৫
আলোকন বলেছেন: হ ভাইজান খুব বুঝসেন।
আজকে জামাইত্যারা আপনাগো ক্ষমতার বাড়া ভাতে ছাই দিসে দেখে আপনারা আজ জামাইত্যাগো চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করতেসেন। স্বাধীনতার পরে থেকে এতবছর বাল ফালাইসিলেন?
আর যেই হুজুরদের আজ তেতুল হুজুর নামে ডাকতাসেন, এই তেতুল হুজুররাই স্বাধীনতার আগে থেকেই জামাইত্যাদের স্বরুপ প্রকাশ করে একের পর এক বই লিখসেন। প্রতিনিয়ত জামাইত্যাদের ধর্মব্যবসার কথা মানুষের কাছে তুলে ধরসেন। বলসেন, জামাইত্যারা মুসলিম কিনা সন্দেহ আছে। তাদের আকিদায় ভেজাল আছে। কিন্তু সেই সময় তো আপনারা ভোটের জন্যে গোয়াজমের দোয়া নিতে ব্যস্ত ছিলেন।
আজ তেতুল হুজুররা যখন ইসলামবিদ্বেষিদের শাস্তির দাবি করলেন, তখন আপনাদের কাছে তারা জামাইত্যাদের সহযোগি হয়ে গেলেন। সবাইকে শত্রুভাবে পাগলে। সুস্থ মানুষ সবাইকে শত্রু ভাবে না।
খামাখা তেতুল হুজুরদের গায়ে হাত তুলে ৫ সিটিতে গোল খাইলেন। তত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচিন হইলে মিনিমাম ২০০ গোল খাইতেন। জামাইত্যাদের চিরশত্রু তেতুল হুজুরদের সাথে খারাপ ব্যবহার, গালিগালাজ, অপপ্রচার করে নূন্যতম সামনের ৫০ বছরের জন্যে তেতুল হুজুর এবং তাদের সমর্থকদের ভোট জামাইত্যাদের পোস্টে জমা করে দিলেন আপনারা। আপনাদের উপর রাগ ঝাড়ার জন্যে আপনারা যতই ইসলামের খেদমত করেন না কেন, সামনের ৫০ বছর এই তেতুল হুজুররা আ.লীগের বিপক্ষে ভোট দিবে।
বাংলাদেশের ৯৫% থেকেও বেশি ইসলামি প্রতিষ্ঠান কিন্তু আপনাদের কথিত এই তেতুল হুজুররাই চালায়। তাদেরকে খামাখা শত্রু বানায়া কি ভুল করলেন, একদিন বুঝবেন।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
dilshan বলেছেন: আলোকন অনেকখানিই একমত ! অল্প কিছু যায়গা ছাড়া
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১২
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: জামাতীরা জাহান্নামী ।
Click This Link