নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

dilshan

dilshan › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে একটি কার্যকরি সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রস্তাবনা

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪২

লক্ষ্য: বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন

উদ্দেশ্য: একটি কার্যকরি সাং¯কৃতিক আন্দলোন গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সমাজ পরিবর্তনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা

প্রত্যাশিত ফলাফল:

১. সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ বিভাগীয় শহরে যে সমস্ত প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন সক্রিয় আছে তাদের মাঝে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা

২. ১৩ টি পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয় এর সক্রিয় এবং প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে এই প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত করা এবং নেতৃত্ব দানকারী ভ’মিকা রাখতে উৎসাহিত করা

৩. আন্দলোনের সরিক সমস্ত সংগঠন এবং ব্যক্তিগন যে কোন সামাজিক এবং রাজনৈতিক অনাচার এবং অন্যায় এর বিরুদ্ধে সারাদেশে একত্রে সোচ্চার প্রতিবাদ জানাবে

৪. প্রক্রিয়াটির সাথে যুক্ত দল বা ব্যক্তি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষের মাঝে সমাজ বদলের বার্তা পৌছে দেবে

প্রস্তাবিত কর্ম কৌশল :

১. প্রস্তাবিত লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যের সাথে একমত এবং এই লক্ষ্য কে সামনে রেখে কাজ করতে আগ্রহী এরকম নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রগতিশীল ব্যক্তিকে একত্র করে একটি স্বেচ্ছাসেবি দল গঠন করা যারা পরবর্তিতে উদ্যোগ নেবে এবং প্রক্রিয়াটির মূল কার্যকরী শক্তি হিসেবে কাজ করবে ।

২. বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলায় বর্তমানে বিদ্যমান এবং সক্রিয় তুলনামূলকভাবে প্রগতিশীল এরকম কমপক্ষে ৬৪ টি সাংস্কৃতিক সংগঠন কে খুজে বের করা এবং নিয়মিত যোগাযোগ ও মতবিনিময় এর মাধ্যমে তাদেরকে প্রক্রিয়াটির সাথে যুক্ত করা।

৩. দেশে বিদ্যমান ১৩ টি পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে ১৩ টি প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যোগাযোগ ¯থাপন করে এবং নিয়মিত মতবিনিময় সভার মাধ্যমে তাদেরকে প্রক্রিয়াটিতে নেতৃত্ব দানকারী ভ’মিকা নেয়ার জন্য উৎসাহিত করা। পরবর্তীতে এই সংগঠনগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগের সকল কর্মকান্ডের দায়িত্ব পালন করবে । অর্থাৎ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় এবং এই উদ্যগের সাথে সম্পৃক্ত সংগঠনটি রাজশাহী বিভাগের সকল কর্মকান্ডের নেতৃত্বে থাকবে। একই ভাবে সিলেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশিল সংগঠন সিলেটের দায়িত্ব পালন করবে ইত্যাদি ।

৪. নেটওয়ার্কটি এবং একটি কার্যকরি সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত কর্মকান্ড বা কর্মসূচি। সেই প্রয়োজনকে সামনে রেখে প্রথম কর্মসূচি হিসেবে নেটওয়ার্কটি জাতীয় সাংস্কৃতিক সম্মেলন আয়োজন করতে পারে। যেখানে সারাদেশের ৬৪ জেলার অন্তত ৬৪ টি প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহন করবে । সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গনমূখি পরিবেশনা মঞ্চে উপস্থাপিত হবে। এর গ্রহনযোগ্যতা এবং প্রচার বৃদ্ধির জন্য দেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যেতে পারে । প্রথমে পর পর তিন বছর জাতীয় পর্যায় সম্মেলন সফল ভাবে আয়োজন করা গেলে ৪র্থ বছর থেকে তা বিভাগীয় পর্যায় আয়োজন করা । এবং বিভাগীয় পযার্য় সফল আয়োজন করা সম্ভব হলে তা জেলা পর্যায় র্পযন্ত ছরিয়ে দেয়া ।

নেতৃত্ব: প্রক্রিয়াটি একক নেতৃত্বে আস্থা রাখে না । বর্তমান সময় ব্যাক্তি বিকাশের যুগ নয়। সেই যায়গা থেকেই বর্তমান সময় এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে একটি সমন্বিত নেতৃত্বের কাঠামো বা অবয়ব প্রস্তুত হবে এবং ক্রিয়া করবে। প্রক্রিয়াটির শুরুতে যে ব্যাক্তিগন মূখ্য ভ’মিকা পালন করবেন প্রক্রিয়াটি গড়ে তোলার জন্য তারা মূলত সমন্বিত নেতৃতের চর্চা প্রক্রিয়ার মাধমেই প্রক্রিয়াটির শুরু করবেন । পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী সমন্বিত নের্তত্বেও মূল কোষে সংযোজন বিয়োজন ঘটতে পারে ।

রাজনৈতিক অবস্থান: রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে অবস্থান করে কোন ব্যাক্তি বা গোষ্ঠির অরাজনৈতিক অবস্থান সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতার আলোকে এই প্রক্রিয়াটি একটি সম্পূর্ন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। তবে এই প্রক্রিয়া মনে করে যে প্রতিটি রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি নিজস্ব ভাষা আছে । সেই প্রেক্ষাপটে এই প্রক্রিয়াটি ভাষা হিসেব সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে প্রধান্য দেবে তবে প্রয়োজনে যে কোন ধরনের প্রতিবাদ প্রকাশের মাধ্যম বেছে নিতে দ্বিধা বোধ করবে না ।

যোগাযোগের মাধ্যম: বর্তমান কর্ম ব্যস্ততা, সময় স্বল্পতা এবং দেশের বাইরের মানুষদের সম্পৃক্ত করার কথা মাথায় রেখে প্রক্রিয়াটি আসিটিকে (ওঈঞ) একটি গুরুত্বপূর্ন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করবে। টেলিফোন, ফেইসবুক, ভিডিও কনফারেন্স ইত্যাদিকে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

অর্থনৈতিক যোগান: সংগঠনগুলোর উদ্যোগে সংগৃহিত অর্থ, ব্যাক্তি অনুদান, সংস্থার অনুদান প্রথমিক র্পযায় প্রক্রিয়াটি দাড় করানোর জন্য ব্যবহৃত হলেও সময়ের সাথে প্রক্রিয়াটি নিজস্ব অর্থ উৎসের জন্য কাজ করবে। প্রথম তিন বছর জাতীয় পর্যায় সাংস্কৃতিক সম্মেলন করার জন্য বড় বড় সংস্থার করপোরেট সোশাল রেসপনসিবিলিটির (ঈঝজ) অর্থ সংগ্রহ করে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। সমস্ত অনুদান ব্যবহারের একমাত্র শর্ত এবং বিবেচনার বিষয় হচ্ছে, যে ব্যাক্তি বা সংস্থা অনুদান দেবে তার উদ্দেশ্য সমন্ধে একশভাগ নিশ্চিত হওয়া। এবং ব্যাক্তি বা সংস্থা অনুদানের পরিবর্তে প্রক্রিয়াটিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন না ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫২

সফিক৭১ বলেছেন: শুভ হোক সফল হোক এই আশা

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৬

ধ্রুব... বলেছেন: পুরান পাগলে ভাত পায়না
নতুন পাগলের আমদানি :-B :-B

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.