![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের পরিবেশ কখনই শ্রম বান্ধব ছিলো না । শ্রমিক বান্ধব হওয়ারতো প্রশ্নই ওঠেনা । দাস এবং শ্রমিক এই শব্দ দুটার মধ্যে শুধু আভিধানিক না আর্র্দশ্গত এবং চর্চাগত মানে ইংরেজীতে বললে ইন প্রেকটিস পার্র্থ্ক্য আছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের শ্রমিকরা, শ্রমিকের সঠিক সংগা অনুযায়ী তাদের প্রাপ্ত সম্মান যদি পায় তাহলে বাংলাদেশের শ্রমিকরা তার সাথে তুলনা করলে কোনভাবেই শ্রমদাসের সংগার বাইরে পরে না । আমরা শত বছর হলো ইংরাজদের গোলামী করতে করতে দাসপ্রবৃত্তির সাথে এতটাই অভ্যস্ত হয়েগেছি যে এই দুটোকে সংস্কৃতগতভাবে আর আলাদা করতে পারিনা। আমাদের দেশের মালিকরা শ্রমিকদের তাদের দাস বই অন্য কিছু সংস্কৃতির অংশ হিসেবেই মনে করে না । যে কারনে তাজরিনে নিদ্বির্ধায় শ্রমিক পুরিয়ে হত্যা করে দেলোয়াররা পার পেয়ে যায়, রানা প্লাজায় হাজার শ্রমিককে হত্যা করেও রানারা পার পেয়ে যায় । কারাখানাগুলোর ভিতরের কাজ করার পরিবেশ, শ্রমিক মালিকের সম্পর্র্ক্, বেতনভাতা প্রদানের নিতীমালা, শ্রমিক নিয়োগ থেকে শুরু করে প্রতিটা স্তরে একচ্ছত্র ভাবে মালিকের আধিপত্য, ইনফেক্ট তিনিই একক হর্তাকর্তা। এখন মজার বিষয় হলো একটা কারখানায় শ্রমিকতো শতশত কিন্তু মালিকতো মোটে একজন ! ওইজন্য বভিন্ন এক্সিকিউটিভ পদ গুলো তৈরি করে এবং ব্যবহার করে মালিক তার অবস্থান শক্ত করে। মালিক যখন তারপরও এটে উঠতে পারে না তখন একজন মালিক থেকে হয়ে যান মালিকগন এবং নিজেদের স্বার্থ্ রক্ষার জন্য তৈরি করেন বিজিএমইর মত মালিক স্মপ্রদায়ের স্বার্থ্ রক্ষাকারি সংগঠন। আবার এই মালিক শ্রেনীই পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে, ওতপ্রোতভাবে জরিত রাস্ট্র পরিচালনার সাথে । যে কারনে প্রচলিত সমস্ত আইন তাদের রক্ষা করার জন্যই কেবল ব্যবহৃত হয়। উচ্চ আদালত থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন পর্য্ন্ত সম্স্ত শক্তি ব্যাবহার করা হয় এই সমস্ত মালিকদের সমস্ত অন্যায়, কুকির্তীকে লুকানোর জন্য, পশ্রয় দেয়ার জন্য।
এতদিন পর্র্যন্ত এই মালিকেরা শ্রমিকদের দাশ মনবৃত্তিতেই অভস্ত্য হয়ে এসেছে। সাত চরে রা করবে না, দয়া করে যা দেব শোনা মুখ করে তাই নেবে। তোবা গার্মেন্টেসের আন্দোলন হচ্ছে মালিকদরে মুখে কষে একটা চপেটা আঘাত। এই চরের ওজন এবং শব্দ এতটাই ওজনদার যে প্রত্যেকটা মালিককে এটা নরে চড়ে বসতে বাধ্য করেছে । “আমার বেতন আমি নেব, এটিা তোমার কোন দয়া দাক্ষিনের ব্যাপার না” এই একটা সত্যি তোবা গার্মেন্টেসের শ্রমিকরা রাস্ট্রের গালে সিল মেরে বসিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। আর কিছু না হোক এরপর কোন মালিক যেমন শ্রমিকের পাওনা নিয়ে টালবাহানা করার সময় দ্বিতীয়বার ভাববে তমেনি যে কোন প্রতারিত শ্রমিক নিজেকে আর একা ভাববে না । মানুষের অধিকারের পক্ষের যে কোন আন্দোলন দুই ধরনের পর্রির্ব্তন আনে একটা হচ্ছে তাৎখনিক যেটা চোখে দেখা যায় মানে তাৎখনিকভাবে দাবী আদায়ের মধ্যে দিয়ে যেটাকে আপনি আডেনটিফাই করতে পারেন। আরেকটা হচ্ছে সূদূরপ্রসারি পরিবেশগত যেটা আপনি তাৎক্ষনিকভাবে দেখতে পাবেন না । সেটা কি ? তোবা র্গান্টেসের 1600 শ্রমিকের মনন জগতে যে পরিবর্ত্ন ঘটে গেছে, তাদের চেতনা স্তরের যে উন্নয়ন ঘটেছে সেটা কোন আথির্ক্ মূল্যামনে বিচার করা যায় না। তোবার এক একটা শ্রমিক এখন এক একজন শ্রমিক নেতা। এই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে যে শাহস তারা সারা বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে সঞ্চার করেছে তা মালিকদের সামনে স্থায়ীভাবে একটি মূর্তিমান থ্রেট।
©somewhere in net ltd.