নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

dilshan

dilshan › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন তারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার চায় না ..........

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

যু্দ্ধ অপরাধীর বিচারের রায় ঘোষনা এবং হরতাল এই দুইটা যেন এখন ওতোপ্রতোভাবে জরিত। আমার খুব অদ্ভুত লাগে একটা স্বাধীণ দেশে যুদ্ধাপরাধের মত বিষয়ে বিচার করতে ৪০ বছরের উপর লাগে এবং বিচার হলে তাও আবার এর বিরুদ্ধে এ দেশেরই মানুষ শুধূ প্রতিরোধ না শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে !!!!!!! দ্বীতিয় বিশ্ব যুদ্ধের নাৎসী বাহিনীর দারা গন হত্যার বিচার যে কজনেরই হয়েছে জামানির্র্ একটা লোকও তার প্রতিবাদ করেছে বলে অন্তত আমার জানা নাই । সেটা করেনি সভ্যতার কারনে। যুদ্ধাপরাধ মানব সভ্যতা পরিপন্থি। কাজেই যে বা যারা এই বিষয়টার সংগে যুক্ত থাকবে আপনি সভ্য সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে তার বিরুদ্ধে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক । আমাদের দেশের আরো অসংখ্য অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটার মতো এর বিরুদ্ধেও আমার দেশেরই মানুষ কাতার দিয়ে দারিয়ে যায়, গাড়ি পোরায়, আবার করে মানুষ মারে। তাও যদি যাদের বিচার হয়েছে বা হচ্ছে তাদের নিয়ে নূন্যতম কোন সন্দেহ থাকত যে এরা বোধয় এই অপরাধের সাথে যুক্ত ছিলো না একটা কথা হতে পারত। কিন্তু গোলাম আজম, সাইদী, নিজামী এই নামগুলো আমি জানি সেই জ্ঞান হওয়ার পর থেকে আর আপনি যানেন না ? শুধু লিখিত দলিলই না রিতিমত ভিডিও ফুটেজও আছে অনেকের। এটা ঠিক পুরা প্রক্রিয়াটা নিয়ে জামাত বিএনপি যেমন মাঠ গরম করেছে, আওয়ামেলীগও তার আখের গুছিয়েছে। গনজাগরন মঞ্চ যে ভাবে জেগে উঠেছিলো, কোন ধরনের ব্যাক্তি নেতৃত্ব ছারা যে ভাবে দিনের পর দিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে ( যারা ওখানে ছিলেন না তারা আমার কথা বিশ্বাস করবেন না ) ! তাতে করে শুধু জামাত কেন আন্দোলনের পক্ষে বিপক্ষে আরো অনেকেরই যে বুকে ভয়ের কাপন লেগেছিলো তা হলপ করে বলা যায় । সেই শতবছরের পুরোনো কনসপিরেসি থিউরি “ ডিভাইড এন্ড রুল ” মুহূর্র্তের মধ্যে জাগরন মঞ্চ ওরগানাইজার রা দুই ভাগ, অংশগ্রহনকারীরা দুই ভাগ, সারা দেশ সো কল দেশ বাচাও আর ধরর্ম বাচাও এই দুই শ্লোগান নিয়ে দুই ভাগ । একটু ভেবে দেখেনতো দিনের শেষে ফায়দা গেছে কোন ঝুড়িতে ? সেটাও দুই ভাগ হয়ে দুই ঝুড়িতে। এটা জরুরি না যে আপনাকে আমার মত করেই ভাবতে হবে, কিন্তু যা ন্যায়, যা ঠিক সেখানে কেন দ্বিমত হচ্ছে ? সঠিক যা তা একসাথে সঠিক নাই ভাবতে পারি, একটু আগে পরে হতে পারে কিন্তু কাছাকাছিতো হবে। একদম আমি যখন উত্তর আমারই ভাই অথবা বোন তখন দক্ষিন ভাবে অথচ আমরা এক পরিবারেই মানুষ? এ কেমন করে সম্ভব হয় ? যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে আমি শুধু এইটাই ভেবেছি। যারা পক্ষে দারয়েছিলেণ তাদের চেয়ে অনেক বেশী কথা বলেছি যারা বিরোধীতা করেন । একজন মানুষকে একই বিষয়ে কখন আপনি আপনার পক্ষে পাবেন বলুনতো ? যখন সে আপনার মত করে ভাববে । কখন আপনার মত করে ভাববে ? যখন সে নিজের মত করে ভাবতে শিখবে না, অন্যের ভাবনাকে চিন্তাকে বিশ্লেষন করতে পারবে না। কাউকে যদি স্বাধীন চিন্তুক করতে না পারেন তাহলে তার চিন্তাকে মেনুপুলেট করে আপনি অনেক কিছুই কারতে পারেন । আমার দেশে কেন শুধু দুটো দলই রাজ করে? খুব সাধারন, আমার দেশের মানুষ এর বাইরে যে আর কিছু হয় বা হতে পারে তাই তো ভাবতে শিখেনি ! কেন ? বিশ্বাস করেন আর নাই করেন আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা খুব যন্ত করে মানুষের চিন্তা করার ক্ষমতাকে আস্তে আস্তে ভোতা করতে করতে প্রায় নাই এর পযার্য় ফেলে দেয়। বিষয়টা কিন্তু এমন না যে শুধু মাদ্রাসা পরুয়া ছেলেরা এই বিচারের বিরোধীতা করছে, আমার নিজের ডিপার্মেন্ট পরিসংখ্যানের মতো সাবেজেক্টে অল ফাস্ট ক্লাস পাওয়া একজন, ব্যাংকে বড় চাকরি করে, শাহবাগের আন্দলনকারী মেয়েদের পতিতা বলতে দেখেছি । এরকম শুধু একজন না আরো অসংখ্য আছে যারা কোন স্বার্থের্ জন্য এমন করে ভাবেন না । এই ভাবনাটা তার কাছে সঠিক মনে হয় তাই এমন করে ভাবেন । এইটা এক ধরনের চিন্ত প্রক্রিয়া যেটা পুরোটাই কোন ব্যা্ক্তি, মহল বা আদর্র্শ দারা নিয়ন্ত্রিত। অথার্ত অন্য একজন আমার ভাবনা ভেবে দিয়ে বলছে এইটা করতে হবে কর আর আমিও বুদ্ধি প্রতিবন্ধির মতো তাই করছি। কারন আমার মস্তিষ্কতো জানেই না কেমন করে ভাবতে হয়। আমিতো শিখিইন কেমন করে যুক্তি করে সঠিক জিনিষ বের করে আনতে হয়, কেমন করে বিশ্লেষন করতে হয় সত্যি কি তা বোঝার জন্য। মষ্তিষ্কের যে কোষগুলো বিশ্লেষনের জন্য ব্যাবহৃত হয় ছোট বেলা থেকে অব্যাবহৃত হতে হতে সেটাতো অকেজ হয়ে গেছে । আর সেই সুযোগটা নিয়ে সুবিধাবাদী জোচ্চররা যেমন রাজত্ব করে বেরায় তেমনি ফরহাদ মাঝহার এবং তার গং দের মতো একদল আপাত অর্র্থে স্বাধীন কিন্তু অসৎ চিন্তুকও সমাজে চিন্তার বিষ্ঠা ছরিয়ে বেরায়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

রুমি৯৯ বলেছেন: থলের বেড়িয়ে যাওয়া বিড়াল ম্যাঁও ম্যাঁও করবে বলে

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৫

খেলাঘর বলেছেন:


যারা বিচারের বিপক্ষে, তারা রাজাকারদের চেয়ে বড় অপরাধী।

৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫১

ফা হিম বলেছেন: সবই সিস্টেম, ধর্মের নামে সবাইকে ধোকা দেয়া। বিদেশের পত্রিকায় দেখেছেন? ওদেরকে কিন্তু "ধর্মীয় নেতা" বলা হয়। এই ধর্মের নামেই ওরা টিকে আছে, এবং তাদের ভূমিকা যায়েজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি একাত্তরের ইতিহাস নিয়েও মনগড়া কিছু বিষয় ওদের মগজে ডুকিয়ে দেয়া হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.