![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একক ভাবে যে বিষয়টা আপনার শিশুর আই কিউ অথবা বুদ্ধি বৃত্তিক বিকাশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী প্রভাব রাখে সেটা হচ্ছে আপনার এবং আপনার পাটর্নারের বুদ্ধি কেমন সেটা । মানে একটা শিশু তার বুদ্ধিবৃত্তিক এর 85% নাকি এনহেরিএন্ট মানে অজর্ন করে তার পিতা মাতার জীন থেকে। এর অধের্ক আসে মা থেকে বাকি অর্ধেক বাবা থেকে। এখন যে রিপোর্ট টা পরছিলাম ওখানে বলছে আপনি বুদ্ধিমান শিশু চাইলে প্রথম ডেটে যেয়েই পার্টনারের আই কিউ টেস্ট করে নিতে পারেন । খুবই বাস্তব সম্মত কথা কিন্তু বিষয়টা পরে হাসব না কাদব বুঝতে পাছিলাম না । মানে ভাবুনতো একবার, প্রেম করতে যেয়ে প্রথম ডেটেই আপনার ছেলে বন্ধু অথবা মেয়ে বন্ধুটিকে একটা আই কিউ টেস্ট এর প্রশ্ন পত্র ধরিয়ে দিয়ে বলছেন পূরন করোতো !!!! সমুহ সম্ভাবনা সে আপনাকে পিটিয়ে তক্তা বানাবে । সে যাই হোক কথা হচ্ছিলো আপনার শিশুর বুদ্ধির বিকাশ নিয়ে । যদিও গবেষনা বলছে সন্তানের বুদ্ধির ক্ষেত্রে পিতা মাতার জীনই মূখ্য ভূমিকা পালন করে । কিন্তু বাহিরের স্টিমুলেষনও কম ভূমিকা পালন করে না। আমরা যারা বাবা মা ,শুধু মাত্র শিশুর বাহ্যিক পরিবেশের উপর প্রভাব বিস্তার করে স্টিমুলেষনের ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা পালন করতে পারি। মোটামুটি 0-3 মানে গর্ভ থেকে তিন বছরের মধ্যে একটি শিশুর মস্তিষ্কের গঠন পুরোটাই হয়ে যায় । গর্ভাবস্থায় শিশুর 75 ভাগ ব্রেন ডেভলপমেন্ট হয়ে যায় । ওই জন্যই গর্ভাবস্থায় একজন মার সুস্থ্য থাকা ভালো খাওয়া এবং দুশ্চিন্তাহীণ থাকা এত জরুরি । একটা শিশু যখন জন্মায় 100 বিলিয়নেরও বেশী নিওরন নিয়ে জন্মায় । এবং পরবর্তী তিন বছরে তার মস্তিষ্ক পূর্নাংগ আকার ধারন করে। এই তিন বছরেই নির্ধারিত হয়ে যায় আপনার শিশুর বুদ্ধিমান হওয়ার সম্ভাবনা কতখানি। পরবর্তীতৈ যে নিউরোনগুলো অব্যবহৃত থাকে তা আস্তে আস্তে ক্রিয়াহীন হয়ে পরে। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্যি আমাদের দেশে সবচেয়ে অবহেলিত হচ্ছে এই তিনটি বছর । অবশ্য আমার ধারনা এই কথাগুলো বেশীর ভাগ পিতা মাতাই জানে কিন্তু হয় অসচেতনভাবে আমরা প্রয়োগ করিনা অথবা কেমন করে প্রয়োগ করব তাই বুঝি না । কিছু জানা কথা তাই আবারও বলি গর্ভাবস্থায় প্রটিন এবং ফলিক এসিড হচ্ছে আপনার শিশুর ব্রেইন ডেভলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে মূখ্য ভূমিকা পালন করে। ওই জন্য ফলিক এসিডের ঘাটতি হলে শিশুর বুদ্ধি প্রতিবন্ধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । সাত মাসের মধ্যে আপনার শিশুর শ্রবন ইন্দ্রিয় তৈরি হয়ে যায়। ব্রেইন ডেভলপমেন্টের স্টিমুলেশন হিসেবে এই সময় মা দের কে জোরে জোরে গর্ভে থাকা শিশুর সংগে কথা বলতে, ছরা, গান শোনাতে বলে । গর্ভে থাকা অবস্থায়ই শিশূরা মার কন্ঠ আলাদা করে চিনতে পারে। মজার বিষয় হচ্ছে এই সময় মা যদি কোন গান বার বার শোনে জন্মের পরে শিশু সেই গান শুনলে শান্ত হয়ে যায়, অথবা সেই গান শুনে শিশুদের ঘুম পারানো সহজ হয় । ক্লাসিকাল মিউজিক শুনলে নাকি শিশুদের বুদ্ধি বারে । এতো গেলো 0 বয়সে আপনি কি করবেন তা । এবার আসুন 1-3 এ আপনার কি করনিয়। এই যায়গায়টায় চাইলে আপনি আসলে অনেক কিছু করতে পারেন । আপনার শিশুর ব্যক্তিত্য কিন্তু এই সময়ই তৈরি হয়ে যায়। আপনার সন্তানকে এই বয়সটায় পুতুল বা বাবু হিসেবে ট্রিট না করে একজন র্পূনাংগ মানুষ হিসেবে ট্রিট করুন। অনেক বাবা মা কে বলতে শুনি বাচ্চার সংগে কি ভাবে কমিউনিকেট করবেন তাই বোঝেন না । এই যায়গায় কিছু টিপস দিতে চাই । প্রথম টিপস আপনার শিশুকে মনোযোগ দিন, অখন্ড মনোযোগ দিন। তার প্রতিটা কথায় গুরুত্ব দিন । যতই বিরক্ত লাগুক প্রতিটা কথা এড্রেস করার চেষ্টা করুন । প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করুন। এমন ভাষায় উত্তর দেবেন যেন সেটা তার বোধগম্য হয়। সামাজিক ভাবে আমরা অসম্ভব বাজে একটা জিনিষি বহন করি সেটা হলো ‘না’ বলা। শিশু কিছু করতে চাইলেই প্রথম যে শব্দটা আমরা বলি সেটা হচ্ছে ‘না ’। পিতা মাতা হওয়া নাতে না বলাটা মনে হয় যেন আমাদের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য । কোন কিছু চিন্তা ভাবনা না করেই আমরা বলি না। অথচ শিশুর মানুষিক বিকাশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ক্ষতি করে এই না। এই কচি শিশু টাকে যেন সামাজিক নর্মস শেখানোই আমাদের একমাত্র দায়ীত্ব হয়ে যায়। মানুষের সামনে ইমেজ রক্ষা করাটাই যেন মুখ্য । বাবু ওটা ধরে না ! বাবু ওটা করে না ! ওরকম করো না ! না না না না !!!!!! একটু খেয়াল করে দেখেনতো ওর ভালো লাগে এরকম কোন কাজটা আমরা বাচ্চাটাকে করতে দেই ? আমরা আমাদের যা ভালো লাগে বা আমরা যেটাকে ভালো মনে করি সেটাই তাকে দিয়ে করানোর চেষ্টা করি, এটা যে তার ভালো লাগবেই আপনি কেমন করে বলতে পারেন ? না শোনার মধ্যে দিয়ে শিশুরা শেখে না । বরং নেগেটিভ ব্যক্তিত্য হিসেবে বড় হয়। সবচেয়ে ক্ষতি যেটা হয় সেটা হচ্ছে ওর শেখার প্রক্রিয়াটা ব্যহত হয় । এই বয়সে বাচ্চারা কিন্তু এমনি এমনি কিছু করে না। আমরা ধরে নেই ওরা বোধয় এমনি এমনি করছে । শিশুরা ক্রমাগত এক্সপ্লোর করে এই সময়টায় । ওরা যখন সাউন্ড এক্সপ্লোর করে তখন জিনিষ ভাংগে । খেলনা কিংবা কাজের জিনিষ ভাংগার মধ্যে দিয়ে ওরা শব্দটা ডিসকভার করে, একই সময় ঘটনাটা কি ঘটল এটা বোঝার চেষ্টা করে। খেয়াল করে দেখবেন কোন কিছু ইচ্ছা করে ভাংগার পর বাচ্চাটা কিন্তু চুপচাপ কতক্ষন দারিয়ে থেকে দেখে কি ঘটল। সে বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করে। আমাদের চিৎকার চেচামেচি এইটা কি করলে ? কেন করলা ? এই চিৎকার এর মধ্যে তার সমস্ত শেখার প্রক্রিয়া মোটামুটি ভাবে আমরা মাটির সাথে মিশিয়ে দেই। এর ওনেক পরে একটা স্টেজ আসে যখন আসলে ভংতে ভালো লাগে বলেই ভাংগে। তার মানে কি এই সব ভাংতে দিব? আমি তা বলছি না । যেমন আমার ছেলে যখন জিনিষ মাটিতে ফেলতে পছন্দ করত আমি তখন কাচের জিনিষ বাদ দিয়ে ওর সামনে ন্টিল, প্লাষ্টিকের জিনিষ দিয়ে দিতাম। এতে দুই কূলই রক্ষা হত ওর শেখাটাও নষ্ট হত না আমার জিনিষ ও ভাংতো না । মোট কথা আপনাকে আপনার শিশুটাকে নিয়ে ভাবতে হবে । আপনি তার শারিরীক স্বাস্থ্য নিয়ে যত ভাবেন তার চেয়ে আসলে বেশী ভাবা প্রয়োজন তার মানুষিক স্বাস্থ্য নিয়ে। শরীর ডেভলপমেন্ট পিছিয়ে গেলে ওটা চিকিৎসা করে আগাতে পারবেন কিন্তু মনের ডেভলপমেন্ট পিছিয়ে গেলে কিছু করার থাকবে না । আপনি ফল চাইলে ইর্ফোট আপনাকে দিতেই হবে। এখন আপনি বলতেই পারেন কোন জিনিষ হ্যা বলব আর কোন জিনিষ তাহলে না বলব? আমি খুব সহজভাবে বুঝি । যে কাজ গুলো করলে তার শারীরিক ভাবে আঘাত পাওয়ার সম্ভবনা থাকে শুধু সেগুলোকে না বলুন। বাকি সমস্ত কাজ তাকে করতে দিন। অনেককেই শুনি বাচ্চা খেলনা ভেংগে ফেলে দেখে আফসোস করেন । ওর খেলনা ও ভেংগেছে তাত আপনি রাগ হবেন কেন ? বরং ভাংতে না দিলে ওর রাগার সব ধরনের অধিকার আছে, কারন খেলনাটা ওর । আর যদি ওকে দিয়েই না দেবেন তাহলে খেলনা কিনে দিয়েছেন কেন ? না শোনার মধ্যে দিয়ে এই 100 বিলিয়ন নিউরনস এর কাজ করার বা ক্রিয়াশীল হওয়ার যে স্বাভাবিক গতি শুধু সেটা ব্যহত হয় কাজের কাজ আর কিছু হয় না । এতজোরে চিৎকার করছ কেন ? মানুষ কি বলবে? আরে মানুষ কি বলবে সেটাতো আপনার কনসার্ন ! ওই বাচ্চার কনসার্ন হবে কনে? থাক আর বেশী কিছু বলব না । শুধু কিছু টিপস দেই । আপনার শিশুর দের বছর বয়স হয়ে গেলেই বাজার অনেক সুন্দর সুন্দর রঙিন ছবির বই কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলে কিনে দিন । মজা করে কন্ঠের ওঠা নামা করে, অভিনয় করে গল্প পড়ে শোনান , সাথে করে নিয়ে ছবি আকুন। কাগজ ছিরতে দিন । প্রতিটা জিনিষ সহজ করে ব্যাক্ষা করার চেষ্টা করুন। ছবি আকার মধ্যে দিয়ে ব্রেইনের ক্রিয়েটিভ অংশ সক্রিয় হয়, একাগ্রতা বারে, ফোকাস করতে শিখে । ছড়া গল্পের মধ্যে দিয়ে শিশুর শব্দ ভান্ডার রিচ হবে, নতুন বিষয়ের সাথে পরিচিতি ঘটে, তাকে প্রশ্ন করুন ভাবতে সহযোগীতা করুন এর মধ্যে দিয়ে শিশুর মস্তিষ্কের যে অংশটা বিশ্লেষন করে তা সক্রিয় হয় । সব শেষে “আপনার শিশুকে হ্যা বলুন ।”
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৮
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: প্রচুর টাইপো আছে !!!!!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১২
আলম দীপ্র বলেছেন: অনেকের জন্যই হয়ত বিশেষ দরকারি পোস্ট !
ধন্যবাদ !