![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করা অবস্থায় আমার এক সিনিয়র আপু ছিলো । তারা দম্পতি হিসেবে খুবই সুখি কিন্তু কোন ছেলেপুলে নেই। আমি একদিন গাধার মতো তাকে প্রশ্ন করলাম আল্লাহ আপু কেন? নৃবিজ্ঞানে পড়া অসম্ভব স্মার্ট একজন ভদ্র মহিলা । বললেন ওরে বাবা একজন মানুষের সারাজীবনের দায়ীত্ব নেয়ার জন্য আমার মানুষিক প্রস্তুতি নেই। এইটা আমার কাছে ছিলো সম্পূর্র্ন নতুন একটা কনসেপ্ট। আসলেইতো !একটা শিশূ জন্ম দেয়া মানে আস্ত একটা মানুষের সারা জীবনের দায়ীত্ব নিজের ঘারে নেয়া !এভাবেতো কখনো ভাবিনি। মানে কথা খুব সহজ আপনার যদি প্রস্তুতি না থাকে মা হওয়ার জন্য তাহলে বাচ্চা নেবেন না । এর মধ্যে দোষের কিছু নাই। ১৬ কোটি জনগনের দেশে বরং বেবী না নেয়ার জন্য আপনাকে এপ্রিশিয়েটই করা উচিত । এবং এইটা শুধুমাত্র একজন স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যেকার ভীষণ রকম ব্যক্তিগত ব্যাপার, ইনফ্যাক্ট এইটা নিয়ে কথা বলাটাই সভ্যতার পর্য়ায় পড়ে না এই সহজ জিনিষটাই আমাদের মাথায় থাকে না অথবা আমরা জানিনা । এবং আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এতখানিই এগিয়ে গেছে যে মোটামুটি শিক্ষাদিক্ষাহীন দম্পতির জন্যও ইচ্ছার বিরুদ্ধে বেবী নেয়াটা কঠিণ। সে যাই হোক মা হওয়ার প্রস্তুতিটা এত জরুরি কেন? বাবার কথা এখানে বললাম না কেন? কারন একজন মা, মা হওয়ার মধ্য দিয়ে তার হরমোনাল কিছু পরিবতর্ন হয় যা তার সন্তানকে সব ধরনের প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা করার জন্য অনুপ্রানিত করে। যেটাকে আমরা মাদারলী ইনসটিংট বলি। প্রকৃতি নিজেই তার প্রজাতি রক্ষা করার জন্য এই ব্যবস্থা করে রেখেছে। একজন মার অবতর্মান একটা শিশু কে যতখানি ক্ষতি করবে একজন বাবার অনুপস্থিতি তত খানি ক্ষতি করে না, কারন মা তার সন্তানের কোন ক্ষতি হতে দেয় না । এইটা সাধারন চর্চা। আমি ব্যতিক্রমে যাচ্ছি না । এখন জাতি হিসেবে যে জাতি যত উন্নত তারা মাতৃত্বকে তত সুন্দরভাবে এড্রেস করেছে। ইউরোপের অনেক দেশেই মাতৃত্বকালীন ছুটি দুই বছর এবং এটা পেইড, চাইলে ননপেইড আরো একটা বছর নেয়া যায় । তিন বছর হলে ডে কেয়ার বাচ্চার দায়ীত্ব নেয়।আর আমাদের দেশে বস্তিতে যে মারা থাকে তারা আক্ষরিক অথের্ই কয়েকমাসের বাচ্চাকে একা ঘরে ফেলে রেখে কাজে যেতে বাধ্য হয় নইলে তার এই দুধের শিশূকেই দূধ কিনে দিতে পারবে না। এটা আমার বানানো কথা না, সেভ এর এক সিচুয়েশনাল স্টাডি ফাইনডিংস।আমি অত কঠিনে যেতেই চাই না। শিক্ষিত মধ্য বিত্ত অংশের কথাই বলি। এটা ঠিক আমাদের সমাজে অর্নৈতিক কন্ট্রিবিউশন ছাড়া নারীর আলাদা কোন মযার্র্দা নেই । এটা আমাদের সামাজিক দৈন্যতা। এর জন্য কোনভাবেই মাতৃত্ব দায়ী হতে পারে না । একই সময়ে মার দায়ীত্ব পালন করা আর প্রফেশনাল কেরিয়ার পারসু করা প্রায় অসাধ্য । কিন্তু সেটাতো সামাজিক ব্যবস্থা, রাস্ট্রিয় ব্যবস্থার দৈন্যতা! সেটার জন্যতো কোনভাবেই মাতৃত্ব দায়ী হতে পারে না । কারন এইটা স্মপূর্র্ন প্রাকৃতিক এবং আদিমতম একটি প্রক্রিয়া ! কেন ব্যক্তি হিসেবে আমার আইডেনটিটি একটা বড় চাকরগিড়ি অথবা বেশী টাকা আয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হতে হবে? আমি একজন চমৎকার মা এইটা কেন আমার আইডেনটিটি হতে পারে না? আমিার অফিসরে ইডি এর চেয়ে আমার হাউজওয়াইফ মা কেন কম সম্মানিত হবে? অজর্ন তিন রকমের হয় ব্যক্তিগত অজর্ন, সামাজিক অজর্ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক অজর্ন । একটা আরেকটার উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে কিন্তু অজনর্তো অজর্নই ! একটা আরেকটার চেয়ে ছোট অজর্ন অথবা বড় অজর্ন সেটা কিভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি? নারী প্রগতি যদি মাতৃত্বের পথে অন্তরায় হয়ে দারায় সে প্রগতি কখনই স্থায়ী এবং প্রকৃত প্রগতি হতে পারে না । মাতৃত্ত্বের অনুভূতি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান অবেগীয় অনুভূতি। একে চেরিস করতে হয় অবহেলা না ।
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০১
ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: সম্পুর্ন কথার মন্তব্য প্রয়োজন হয়না,
ভালো থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: নারী প্রগতি যদি মাতৃত্বের পথে অন্তরায় হয়ে দারায় সে প্রগতি কখনই স্থায়ী এবং প্রকৃত প্রগতি হতে পারে না । মাতৃত্ত্বের অনুভূতি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান অবেগীয় অনুভূতি। একে চেরিস করতে হয় অবহেলা না । সহমত ...