নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাইল্যাকাডা

দিনমজুর

নাইল্যাকাডা ১ম বর্ষ, ২য় সংখ্যার প্রাপ্তিস্থানঃ আজিজ সুপার মার্কেট ১। বইপত্র/ ২। জনান্তিক/ ৩। শ্রাবণ/ ৪। প্রথমা (একুশে)/ ৫। তক্ষশীলা/ ৬। লিটল ম্যাগ প্রাঙ্গন লোক/ ৭। বিদিত/ ৮। পলল/ ৯।পাঠশালা মুক্তিভবন (পুরানা পল্টন) ১০। জাতীয় সাহিত্য প্রকাশন

দিনমজুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিনিয়োগ-১

২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৩৬

"প্রাইভেটাইজেশন" শীর্ষক পোস্টের ( Click This Link) পর থেকে.....



গত পোস্টে দেখেছিলাম কিভাবে বেসরকারীকরণের নামে আমাদের শিল্পগুলো ধ্বংস করা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। এটাকে "ধ্বংস" বলাটাই উত্তম, কেননা আজ পর্যন্ত ব্যক্তিমালিকানায় ছেড়ে দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ৬০% এর অধিকই অস্তিত্বহীন এবং বাকি ৪০% রুগ্ন ("বিদ্যমান ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন"- জানে আলম, সহ সভাপতি- বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স ফেডারেশন)! সুতরাং, বিরাষ্ট্রীয়করণের ফল তাই এখানে শুধু রাষ্ট্রীয় মালিকানার হস্তান্তরই নয়- একটি জ্বলজ্যান্ত প্রতিষ্ঠানের নাই হয়ে যাওয়া।



গত পোস্টের শেষে প্রশ্ন রেখেছিলামঃ "তাহলে প্রশ্ন হলো- তালিকার শিল্পগুলো বাদে আমাদের আর কি অবশিষ্ট থাকে? আমাদের শিল্প গুলো ধংস করে, আমরা কি গড়ে তুলেছি? আমাদের দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি কি তাহলে?"



এসব প্রশ্নের জবাব খুজতে আবারো বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটের (http://www.boi.gov.bd/) কাছে ধর্না দেই। তাদের শোনানো সাফল্য গাঁথা শুনি, তাদের দেখানো সম্ভাবনাময় খাতগুলো দেখি।



ওয়েব পেজের শুরুতেই দেখা যায় ইউকে রিসার্চ ফার্ম কর্তৃক বাংলাদেশকে one of 'hottest' emerging markets হিসাবে চিহ্নিত করার খবর। আমাদের দেশ- বাংলাদেশ one of 'hottest' emerging markets। Investor Chronicle নামের ইউকে বেসড এই রিসার্চ অরগানাইজেশনটির সার্টিফিকেট, সাথে ইউএসএ বেসড বিনিয়োগ ব্যাংক JP Morgan and Goldman Sachs এরও সার্টিফিকেট দেখে বাঙালি আনন্দে আত্মহারা হবে এটাই স্বাভাবিক। Investor Chronicleএর তালিকায় পাকিস্তান, ইউক্রেন, কাজাখাস্তান, মিশর, নাইজেরিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে বাংলাদেশকেও হটেস্ট এমার্জিং মার্কেট হিসাবে "মর্যাদা" দেয়া হয়েছে। আর JP Mor gan তাদের 'Frontier Five' group এর মধ্যে নাইজেরিয়া, কাজাখাস্তান, কেনিয়া এবং ভিয়েতনামের পাশে বাংলাদেশকেও রেখেছে। এ গর্বের কথাতো বিনিয়োগ বোর্ড ফলাও করে প্রচার করবেই! কিন্তু তথাকথিত এই one of 'hottest' emerging markets এবং 'Frontier Five' group সদস্য আমাদের দেশটির প্রকৃত অবস্থাটি কেমন তা বুঝতে আমাদের কিছু তথ্য উপাত্তের দিকে দৃষ্টি দেয়া দরকার।



বিনিয়োগ বোর্ড কথিত সাফল্য গাঁথার দিকে তাকালে দেখি কাফকো, হোলসিম, বিওসি বাংলাদেশ, ব্রিটশ আমেরিকান টোবাক্যো বাংলাদেশ, গ্রামীণ ফোনের নাম। এছাড়াও শেল, ইউনোকল, মবিল, এইচএসবিসি, সিটিব্যাংক, স্যামসাং, তোশিবা, সিমেক্স, সিংটেল, ওরাসকম এসব মাল্টিন্যাশনালদের নামও বিভিন্ন সময়ে আসে।



...... (চলবে)

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৪৮

আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: হুমমমম...........

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৪৯

ব্রহ্মপুত্র বলেছেন: পড়লাম

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:২১

কানা বাবা বলেছেন:
আপনাকে ম্যালাদিন পর দেখতে পেয়ে ভাল্লাগছে...
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:২০

উরনচণ্ডী বলেছেন: দেশের সরকারী শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গুলি কেন দিন পর দিন লস খাচ্ছে এবিষয়ে একটু বিষদ ভাবে লিখলে ভাল লাগত। সমস্ত লেখাটা শুধু কেন সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলি বেসরকারী হচ্ছে তার বর্ণনা। আমার জানামতে সরকার এখনো কোন লাভজনক প্রতিষ্ঠান বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেয়নি (অল্প কিছু বাদে যাদের শেয়ার সরকারের হাতে ছিল)। আর পানির দানে সোনা বিক্রি এটা তো পুরানো কথা। যে প্রতিষ্ঠান বৎসরের পর বৎসর লস খায় তাকে লাভজনক করা সহজ কথা নয়।

তাছাড়া সরকারের কাজ নয় ব্যবসা করা।
সরকার থাকবে পলিসি মেকিং এ।

২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৭

দিনমজুর বলেছেন: সরকারের কাজ ব্যবসা নয়- সরকারের কাজ পলিসি মেকিং !! খুব চটকদারী কথা নিসন্দেহে- কিন্তু অন্তসারশূন্য।

সরকার পলিসি মেক করে, মেক করে সে পলিসি এক্সিকিউটও করে। সে তার পলিসি নিয়ে চলে। সে তার দৃষ্টিভঙ্গী অনুযায়ীই পলিসি মেক করে। সেই দৃষ্টিভঙ্গী অনুযায়ীই সে ঠিক করে কোন পলিসি কার পক্ষে চলবে বা যাবে।

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সরকারের বেসিক একটা কাজ। কেননা অর্থনীতিই রাষ্ট্রের মূল চালিকা শক্তি। সরকারকে বছরে আয় ব্যয়ের হিসাব করতে হয়- মানে বাজেট প্রণয়ন করতে হয়। তাকে বিভিন্ন খাত ওয়ারি পরিকল্পনা করতে হয়- এসবই সেই পলিসির অন্তর্গত।

সরকার আসলে কি? তার কাজ কি এবং কেন? সরকার আর জনগণের সম্পর্ক কি? জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণ করা রাষ্ট্র তথা সরকারের জন্য আবশ্যক কিনা- এসবের সাথে সরকারের কাজের প্রসঙ্গটি জড়িত।

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন জনগণের নানাবিধ অধিকার নিশ্চিত করতে, নানা সেবা সুলভে ও সহজে প্রদান করতে। রাষ্ট্র নিজ উদ্যোগে ও গরোজে তার কৃষি ও শিল্প গড়ে তোলে, কারণ এদুটিই তার অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এটাকে ব্যবসা বললে ব্যবসা- কিন্তু এই ব্যবসা বাদ দিয়ে সরকার-ই চলবে না, মুখ থুবড়ে পড়বে।

আর, শিল্প নিজ হাতে রাখার উদ্দেশ্য একটি স্বয়ংসম্পুর্ণ অর্থনীতি গড়ে তোলা- নচেৎ তা হয় ভঙ্গুর-ভিক্ষাবৃত্তির অর্থনীতি।

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:২৫

উরনচণ্ডী বলেছেন: আপনার পূর্বের লেখায় মালয়েশিয়ার কথা দেখলাম। মালয়েশিয়ায় বেসরকারীকরণ হয়েছে পুরো দমে। এমনও প্রতিষ্ঠান আছে যা শুধু ১ রিংগিতে ব্যক্তিমালিকানায় তুলে দেয়া হয়েছে। কারণ সরকার চায় প্রতিষ্ঠানটি চলুক শ্রমিকরা কাজ পাক।

২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:০৬

দিনমজুর বলেছেন: মালয়েশিয়ার গল্প আমি করিনি, করার সামান্যতম সম্ভাবনাও নেই।

২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৭

দিনমজুর বলেছেন:
এটাই হলো ফ্যাক্ট- বিদেশী বিনিয়োগ যেসব দেশে গেছে, সেসব দেশে বিনিয়োগকারীরা চেয়েছে অবাধ বাণিজ্য- যার পূর্বশর্তই হলো প্রতিযোগীতাহীন একটি পরিবেশ। বিনিয়োগকারীদের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে- সাবসিডি দেয়া প্রতিষ্ঠানের সাথে কমপিট করা সবসময়ই অপছন্দের। তাই তারা চায় - অনেক জোরালো গলায় চায় প্রাইভেটাইজেশন।


মালয়েশিয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। যখন ১ রিংগিতে বা এমন পানির দরে ব্যক্তিমালিকানায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানকে তুলে দেয়া হয়- তখন বুঝতে হবে কয়েকটি বিষয়ঃ ১। ঐ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগীতা আর করতে হচ্ছে না। ২। পাবলিক মানি প্রাইভেট মানিতে পরিণত হলো।

এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি চলুক বা শ্রমিকেরা কাজ পাক এ ধরণের সরকারের চাওয়ার কথা কাল্পনিক!

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:২৯

ফারহান দাউদ বলেছেন: সাফল্য গাঁথায় দেখি দারুণ সব প্রতিষ্ঠানের নাম:)

৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:০০

উরনচণ্ডী বলেছেন: আমি আমার দেশের প্রেক্ষাপটে প্রাইভেটাইজেশন ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি। আজ দেশের প্রায় ১০০ সরকারী শিল্প/বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ। শ্রমিকরা বেকার। ঐ সব প্রতিষ্ঠান যদি বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেওয়া হয় তবে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হত। উৎপাদন হলে মালিক/শ্রমিক দুজনই বাচত।

এক্ষেত্রে যদি বিদেশী বিনিয়োগ হয় তবে ত ভাল, আশার কথা। যেখানে আমরা মূলধনের অভাবে শিল্প চালাতে পারছি না। ঋণের দায়ে শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

সাবসিডি দেওয়া প্রতিষ্ঠান কখনই ভাল চলতে পারে না। আপনি এদেশে একটি প্রতিষ্ঠানও দেখাতে পারবেন না। সাবসিডি দেওয়া প্রতিষ্ঠানের লোকের সাবসিডি-তে চলতে চলতে এক সময় পঙ্গু হয়ে যায়।

সাবসিডি দেওয়া প্রতিষ্ঠান এ সাবসিডি দেওয়ার টাকা আসবে কোথা থেকে ঋণ টাকায় নাকি গৌড়ি সেনের টাকা থেকে।

রাষ্ট্রয়াত্ব প্রতিষ্ঠানের সাথে কে প্রতিযোগিতা করতে যায় গ্রামীণ ফোন আর টেলিটক দেখেও কি বোঝেন না।

২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

দিনমজুর বলেছেন:
সাবসিডি দেয়া প্রতিষ্ঠান কখনোই ভালো চলতে পারে না- একথা সম্পূর্ণ ভুল ও বাজে কথা। সাবসিডি এবং নানাধরণের সুবিধা অব্যাহত নিয়েই আজকের প্রাইভেট ওনারশিপাররা ভালো চলছে। আপনি ইনভেস্টরদের ইনসেনটিভ প্যাকেজ গুলো দেখেন- তাহলে বুঝতে পারবেন। যে কাফকোকে বিওআই তাদের সাফল্য গাঁথার লিস্টে এক নাম্বারে দেখায়, সেই কাফকো কতখানি সুযোগ - সুবিধা আদায় করেছিল স্বৈর শাসকের কাছ থেকে খবর নিয়েন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার কাকে সাবসিডি প্রদান করবে- সেটা। মূলত এটা নির্ভর করে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গীর উপর। তবে বুঝতে হবে যে, সরকার যখন নিজেকে মানে কোন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানকে সাবসিডি দেয় তখন সেটা লস নয়, নিজের টাকাই এক খাত থেকে আরেক খাতে এলোকেট করা- বরং সরকার যখন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ করে বিদেশী কোম্পানীকে সাবসিডি দেয়, তখন সেটা হয় সরাসরি ক্ষতি।

অথচ, মজার ব্যাপার হলো- মুক্তবাজার অর্থনীতির বদৌলতে আমরা ভিন্নটা জানি। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে কিছু এলোকেট করলে সেটা হয় ভর্তুকি/সাবসিডি, যা প্রচণ্ড আপত্তিকর, আর প্রাইভেট কোম্পানীকে করলে সেটা হয়ে যায় ইনসেনটিভ, এট্রাক্টিভ প্যাকেজ, যা সবসময়ই প্রশংসিত।

২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১২

দিনমজুর বলেছেন:
আপনি কি মনে করেন, গ্রামীণ ফোন-বাংলালিংক এগুলো আমাদের অর্থনীতির জন্য পজিটিভ রোল প্লে করছে?? এদের কল্যানে আমরা ডেলী কত টাকা হারাচ্ছি, জানেন?


আসলেই এরা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগীতায় যেতে চায় না। আপনি মনে করেন, টেলিটক যদি ফুল সুইং এ নামতো- এরা কেউ টিকতে পারতো????

৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

তপন চৌধুরি বলেছেন: বিদেশি বিনিয়োগ পরে, আগে দেশি লোকদের বিনিয়োগের সুজোগ দেন৷ দিনমজুর ভাই ত পুরা সমাজতন্ত্রী যা কিনা একটা ফুটা পয়সার (সমাজতন্ত্র) চেয়ে কম্দামি৷

৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১০:৫৫

উরনচণ্ডী বলেছেন: টেলিটক যদি ফুল সুইং এ নামতো- এরা কেউ টিকতে পারতো????

টেলিটক কেন সুইং এ নামত পারছে না।
গ্রামীণ ফোন অলরেডি ৩০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। আমরা কি পারব শুধু মাত্র একটা খাতে এত টাকা বিনিয়োগ করতে। সরকারের টাকা কৈ। যেখানে সরকারকে প্রতিনিয়ত ঋণের উপর চলতে হচ্ছে। আপনি হয়ত জানেন শুধু মাত্র টাকার অভাবে আমরা বাপেক্সকে কাজে লাগাতে পারছিনা। যদিও বাপেক্স এর প্রকৌশলীরা অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে বিশ্বমানের। বিদেশী কোম্পানীর দ্বারা তেল গ্যাস উঠাতে গিয়ে সরকারকে কত টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে।

আপনি সাবসিডির স্বপক্ষে যুক্তি দেখালেন তা সত্যি দুঃখজনক।

আমি একটা উদাহরণ দেই। ৩-৪ বৎসর আগে খুলনার কিছু পাট কল ক্রমাগত লোকশানের দরুন প্রাইভেটাইজ করার জন্য দেয়া হয়। কারণ ব্যাংক গুলোও আর লোন দিচ্ছিল না। কিন্তু কিছু সাংসদ অর্থমন্ত্রীকে বোঝাতে সক্ষম হলো যে, ঐ সব পাট কল বেসরকারীকরণ করলে তারা ভোট পাবে না। শেষে অর্থমন্ত্রী প্রায় ৪০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করে। কিন্তু আপনি দেখেন ঐ টাকাও শেষ মিলগুলি আবার লেঅফ হয়ে বসে আছে। তারপর বিশাল গ্যাঞ্জাম গীতি আরার চাকরি গেল। ইত্যাদি ইত্যাদি

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:০৪

দিনমজুর বলেছেন: আপনি প্রশ্ন করেছিলেন, টেলিটক কেন ফুল সুইং এ নামতে পারছে না। তার ঠিক পরেই আপনি একটি কারণও উল্লেখ করেছেন: গ্রামীণ ফোন অলরেডি ৩০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে- আমরা কি পারবো একটা খাতে এত টাকা বিনিয়োগ করতে পারতে?

.........>>>

১। এখানে বিনিয়োগ সামর্থ্যের বিষয়টি গৌন।
২। টেলি কমিউনিকেশনে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এত এগ্রেসিভলি কেন এখানে বিনিয়োগ করেছে? একটাই কারণ এই সেক্টর থেকে রিটার্ণের দারুন ও নিশ্চিন্ত সুযোগ। আমার আগের একটি পোস্ট ( Click This Link) দ্রষ্টব্য।
৩। গ্রামীণ ফোন তার ইনিশিয়াল ইনভেস্ট বছর খানিক আগেই তুলে নিয়েছে। সেটা এখানকার জনগণের পকেট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার মধ্য দিয়েই। ফলে চিন্তা করুন- আপনি যে ৩০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা বলছেন, সেই টাকার বেশী টাকা অলরেডি আমাদের দেশের মানুষের পকেট থেকে অলরেডি খোয়া গেছে!!
৪। কয়েক বছর থেকেই- গ্রামীণ তার টার্ণ ওভারের বড় অংশ এখানে বিনিয়োগ করছে। অর্থাৎ, এই বিনিয়োগ তারা বাইরে থেকে আনছে না। এটা এ দেশের মানুষের পকেট থেকে হাতিয়ে নিয়ে এখানেই বিনিয়োগ করছে- উদ্দেশ্য আরো বেশী টাকা হাতিয়ে নেয়া।
৫। বাংলালিংকও এতদিনে তার ইনিসিয়াল ইনভেস্ট তুলে ফেলতে পারতো, (বর্তমানে সে মার্জিনের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে)- কিন্তু কমপিটিশনে খুব ভালোভাবে থাকার উদ্দেশে সে তার টার্ণ ওভারের পুরোটাই এখন পর্যন্ত রিইনভেস্ট করছে- সেটারো উদ্দেশ্য আরো বেশী টার্ণ ওভার।
৬। বেশী বিনিয়োগ করা মানে বেশী টার্ণ ওভার। মানে- বেশী সুইচ-বিটিএস-বিএসসি- টিআরএক্স- মানে বেশী কল ক্যাপাসিটি- বেশী গ্রাহক- বেশী কল- বেশী টাকা।
৭। গ্রামীণ ফোনের ইয়ারলি অপারেটিং প্রোফিট (খরচাপাতি) ৮০০ মিলিয়ন ইউএসডি , আর বাংলালিংক ও একটেলের প্রত্যেকের প্রায় ২০০ মিলিয়ন ইউএসডি। ৪/৫ বছর আগে (৭টাকা/মিনিটের যুগে) গ্রামীণ ফোনের মান্থলি অপারেটিং প্রোফিটই ছিল প্রায় ২০০ মিলিয়ন ইউএসডি। (ভিতরে ভিতরে যে আরো অনেক বেশী আয় এদের ছিল এবং এখনো আছে- ভিওআইপির ট্যাক্স ফাঁকির মত- সেটা সাম্প্রতিক ঘটনায় স্পষ্ট )।

এবারে আসি টেলিটকের ব্যাপারে......
৮। টেলিটক/বিটিটিবি মোবাইল মার্কেটে আসার আগেই এর খুব গুরুত্বপূর্ণ দুটি সুবিধা ছিলঃ
ক) অলরেডি প্রিপায়ারড একটা মার্কেট- টেলিটক সিম বাজারে আসার ঘোষণার আগে থেকে সিম কেনার লম্বা লাইন দ্রষ্টব্য, যেটা অন্যান্য অপারেটরদের অর্জন করতে বেশ কিছু বছর পার করে দিতে হয়েছিল।
খ) বিটিটিবির অলরেডি প্রিপায়ারড একটা অবকাঠামো- যা তার ইনিসিয়াল বিনিয়োগকে অর্ধকের বেশী কমাতে সক্ষম।
৯। বাংলাদেশের মার্কেট পোটেনশিয়াল উপরের আলোচনায় যদি বুঝতে পারেন, তবে এটাও বুঝার কথা যে, কলের টাকা থেকেই রিইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে এই খাতে টেলিটক/বিটিটিবি আগাতে পারতো।
১০। একটেল, গ্রামীণ ফোন, বাংলা লিংক এরা যেসব ভেণ্ডর থেকে ইকুয়েপমেন্ট নেয় তার বড়ই অংশই নেয় বাকিতে। হুওয়াই এর সাথে একটেলের চুক্তি বা রিসেন্ট জিপির সাথে হুওয়াইয়ের চুক্তি দেখলে বুঝবেন। ফলে ইনিসিয়াল ইনভেস্টমেন্ট এখন আরো কম, কেননা- এর মানে দাঁড়ায় ব্যবসা করার পর- মুনাফা থেকে ইকুয়েপমেন্টের মূল্য পরিশোধ করার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। টেলিটক এ ধরণের কন্ট্রাক্টে গেলে, তার জন্য ইনিসিয়াল ইনভেস্টমেন্ট তাহলে কতখানি দরকার?
১১। এখনো এই ঢিলেতালে চলার মধ্যেও টেলিটক কিন্তু প্রতিবছর ভালোই আর্ণ করছে।

ফুল সুইং এ চলে না মানে.....

১২। সরকার থেকে এক্সট্রা এলোকেট নয়- তার ইয়ারলি টার্ণ ওভারকেই রি ইনভেস্টই এরা ঠিক ভাবে করে না।
১৩। যতখানি নেটওয়ার্ক তারা গড়ে তুলেছে, সেটিকেও ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে না- এতদিনেও নিজস্ব এক্সপার্টিজ গড়ে তোলেনি।
১৪। বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে লসের পরিমাণ বাড়িয়েছে। তার মধ্যে একটি উদাহরণ দেইঃ সিমেন্স বাংলালিংকে যে দামে ইকুয়েপমেন্ট বেচে- একই ইকুয়েপমেন্ট তার কয়েকগুনে টেলিটকের কাছে বেচে।

প্রশ্নগুলোর জবাব কি হতে পারে ভেবেছেন কি?
১৫। কেন- ফুল সুইং এ চালানো হয় না?
১৬। কেন, টেলিটক সিম বাজারে আসতে এত সময় নেয়া হয়? গ্রামীণ ফোন ও বাংলালিংক মার্কেটে একটা স্ট্যাবলিশড কণ্ডিশনে যাবার পরেই কেন টেলিটক বাজারে আসবে?
১৭। এসবে কাদের লাভ হয়েছে বা এখনো হচ্ছে?

এমন হলে জিপি/বিএল রা কোথায় যেত?
১৮। সিটিসেল/জিপি যে সময় মার্কেটে এসেছিল- সে সময় থেকেই যদি বিটিটিবি মোবাইল মাঠে নামতো?
১৯। বিটিটিবির প্রস্তুত অবকাঠামোতে খুব অল্প খরচে নেটওয়ার্ক স্ট্যাবলিশ করতে জিপি বা বি এল এর তুলনায় অনেক কম সময় কি লাগতো না? (যেখানে জিপি বিটিটিবির- রেলওয়ের ব্যাকবোন নামমাত্র মূল্যে লীজ নিয়ে সেখান থেকে বেআইনি ভাবে সাবলিজ দিয়ে ব্যবসা করতে পারে!)
২০। গুড উইল ধরে রাখার জন্য সামান্য চেস্টা করা কি যেত না?

পরিশেষে.....
২১। জিপি/বিএল রা টেলিটকের সাথে প্রতিযোগীতায় টিকতে পারতো না।
২২। বিদেশী বিনিয়োগকারীরা সবসময়ই এটাই চায়- একটা অবাধ প্রতিযোগীতাহীন মার্কেট।
২৩। সেজন্যই তাদের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান নিয়ে এত এলার্জী।
২৪। সেকারণেই বিশ্বব্যাংকের প্রথম ও প্রধান শর্তই থাকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারী করতে হবে। গ্যাটস চুক্তিরো মূল ধারাই প্রাইভেটাইজেশন!
২৫। এখানে নোবেল বিজয়ী, আমাদের তথাকথিত গর্ব (!!) ইউনুস, মোর্শেদ সহ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের নানাধরণের দালালেরা, সরকারে থাকা সুবিধাভোগীরা, ওদের কেনা গোলাম আমলারা- তাদের হয়ে একাজটি সহজ করে দিয়েছে; ওদের কারণেই টেলিটক বাজারে আসতে এত দেরী হয়, জিপি-বিএল রা এত সহজে আরামে এবং এত সুবিধা নিয়ে এখানে অবাধে ব্যবসা করে যেতে পারে!!

১০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৪৩

দিনমজুর বলেছেন: আপনি বলেছেন: "আপনি হয়ত জানেন শুধু মাত্র টাকার অভাবে আমরা বাপেক্সকে কাজে লাগাতে পারছিনা। যদিও বাপেক্স এর প্রকৌশলীরা অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে বিশ্বমানের। বিদেশী কোম্পানীর দ্বারা তেল গ্যাস উঠাতে গিয়ে সরকারকে কত টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে"।

.....>>>


এখানেও আপনার তথ্যের ভুল অথবা জানার ভুল অথবা বুঝার ভুল আছে। বাপেক্সকে নিষ্ক্রিয় করার পেছনে একমাত্র এবং শুধু একমাত্র রাষ্ট্রযন্ত্র তথা সরকারের পলিসিই দায়ী। এখানেও বিদেশী বিনিয়োগ, বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ এসবের ভূমিকা প্রধান।

বিস্তারিত পরে আরেক সময়ে বলা যাবে- এবার আপনার নিজের কমেন্ট থেকেই আপনি ভেবে দেখুন তোঃ
১। আপনি বলেছেনঃ শুধু মাত্র টাকার অভাবে আমরা বাপেক্সকে কাজে লাগাতে পারছিনা।
২। আবার আপনি এটাও বলেছেনঃ বিদেশী কোম্পানীর দ্বারা তেল গ্যাস উঠাতে গিয়ে সরকারকে কত টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে
৩। এদুটি কি পরষ্পর বিরোধী নয় ??
৪। এটিই হলো কমনলি সরকারের পলিসিঃ বিদেশী কোম্পানীর কাছে গচ্ছা দেয়ার সময় টাকার অভাব ঘটে না, যত অভাব ঘটে নিজের প্রতিষ্ঠানের বেলায়!!!

১১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫১

দিনমজুর বলেছেন: আপনি বলেছেন, "আপনি সাবসিডির স্বপক্ষে যুক্তি দেখালেন তা সত্যি দুঃখজনক।

আমি একটা উদাহরণ দেই। ৩-৪ বৎসর আগে খুলনার কিছু পাট কল ক্রমাগত লোকশানের দরুন প্রাইভেটাইজ করার জন্য দেয়া হয়। কারণ ব্যাংক গুলোও আর লোন দিচ্ছিল না। কিন্তু কিছু সাংসদ অর্থমন্ত্রীকে বোঝাতে সক্ষম হলো যে, ঐ সব পাট কল বেসরকারীকরণ করলে তারা ভোট পাবে না। শেষে অর্থমন্ত্রী প্রায় ৪০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করে। কিন্তু আপনি দেখেন ঐ টাকাও শেষ মিলগুলি আবার লেঅফ হয়ে বসে আছে। তারপর বিশাল গ্যাঞ্জাম গীতি আরার চাকরি গেল। ইত্যাদি ইত্যাদি"


----------->>>>

সাবসিডির পক্ষে যুক্তি করা দেখে আপনি দুঃখ পেলে করার কিছু নেই।

কিন্তু আমার যুক্তিতে আমি বুঝি- রাষ্ট্র সাবসিডি দেয় মানে জনগণের টাকাই সে এলোকেট করে। কেননা রাষ্ট্রের টাকা মানে জনগণেরই টাকা। আবার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মানেও কিন্তু জনগণেরই প্রতিষ্ঠান। ফলে, জনগণের প্রতিষ্ঠানকে ভালো করে চালাতে যদি জনগণের টাকা সাবসিডি আকারে যায়, আমি আপত্তির কিছু দেখি না। কিন্তু জনগণের টাকা যদি- ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে যায়- বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে যায়- সেটা অনেক আপত্তিকর। সেটা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।

বেশী কিছু বলার নেই, এই সিরিজের অন্যান্য পোস্ট গুলো পড়ার আহবান জানাই....

১২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৮

গরীব বলেছেন: পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম

১৩| ২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:১৪

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: গ্রেট রাইটিংস!!

১৪| ২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:১৪

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: গ্রেট রাইটিংস!!

১৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪০

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: হুম....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.