| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিনমজুর
নাইল্যাকাডা ১ম বর্ষ, ২য় সংখ্যার প্রাপ্তিস্থানঃ আজিজ সুপার মার্কেট ১। বইপত্র/ ২। জনান্তিক/ ৩। শ্রাবণ/ ৪। প্রথমা (একুশে)/ ৫। তক্ষশীলা/ ৬। লিটল ম্যাগ প্রাঙ্গন লোক/ ৭। বিদিত/ ৮। পলল/ ৯।পাঠশালা মুক্তিভবন (পুরানা পল্টন) ১০। জাতীয় সাহিত্য প্রকাশন
জিনোম সিকোয়েন্স বা জিন নকশা উন্মোচন করা মানে কিন্তু কোন জিনের কি কাজ তা বুঝে ফেলা নয়, নকশায় থাকা জিনগুলোর কোনটির কি কাজ অর্থাৎ কোনগুলোর কারণে পাট লম্বা/খাটো হচ্ছে, কম/বেশী পানিতে জন্মাচ্ছে কিংবা সূক্ষ/মোটা আশ তৈরী হচ্ছে সেটি জানতে গেলে আরো পরীক্ষা-নীরিক্ষা ও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু গত ১৬ জুন সরকারী ভাবে পাটের জেনেটিক সিকোয়েন্স আবিস্কারের ঘোষণা দেয়ার সময় সেটাকে পাটের ’জীবন রহস্য উন্মোচণ’ বলে দাবী করা হয় এবং আশাবাদ ব্যাক্ত করা হয় এর মাধ্যমে ’বাংলাদেশ পাটের হারিয়ে যাওয়া গৌরব পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবে, সোনালি আঁশ আবার তার হারানো দিন ফিরে পাবে।’ জীবন রহস্য বা জিন নকশা যাই বলি না কেন জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন নিশ্চিত ভাবেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং যদি মুনাফাবাজী না করে, জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর চটকদার কিন্তু বিপদজনক ফাঁদে পা না দিয়ে এই জিনোম সিকোয়েন্স নিয়ে আরো গবেষণা করা হয়, যদি জিনোম সিকোয়েন্স এর সহায়তায় মার্কার অ্যসিস্টেড সিলেক্টিভ ব্রিডিং(এমএএস) বা ’জেনেটিক মার্কার সহায়তায় নির্বাচনের মাধ্যমে প্রজনন’ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়, তাহলে এর মাধ্যমে পাটের গুণগত মান আরও উন্নত করা অসম্ভব কিছু নয়। কিন্তু এই আশাবাদের সাথে বাংলাদেশের পাটের হারিয়ে যাওয়া গৌরব পুনরুদ্ধারের কি সম্পর্ক? বাংলাদেশের পাটের গৌরব কি উন্নত জাতের পাটের অভাবে হারিয়ে গেছে যে এখন জিন নকশা আবিস্কারের সুবাদে ভালো জাতের পাটের উদ্ভাবন হলেই সেই ’হারানো’ গৌরব পুনরুদ্ধার হয়ে যাবে? তাহলে জিনোম সিকোয়েন্স আবিস্কার না করেই ভারত কি করে পাটের সুদিন এনেছে এবং ধরে রেখেছে?
বাংলাদেশের পাটের দুরবস্থা বোঝার জন্য পাটের জিনোম সিকোয়েন্স নয় বরং শাসক শ্রেণীর জিনোম সিকোয়েন্স, সেই জিন নকশায় বিশ্ব ব্যাংক- আইএমএফ এর জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এদেশের পাট খাতের উপর তার ফলাফলটা লক্ষ করা দরকার। শাসক শ্রেণীর জিন নকশায় গুটিকয়েকের স্বার্থ রক্ষা এবং সাম্রাজ্যবাদের অধীনতার কথাই লেখা আছে ফলে তাদের কাছে লাখ লাখ পাট চাষী কিংবা পাট শ্রমিকের জীবিকা কিংবা সোনালী আশের গৌরবের কোন আবেদন কোন দিনই ছিল না ফলে তারা আদমজীসহ অন্যান্য পাটকল বন্ধকরে দিয়েছে আর তার বাস্তবতা তৈরীর জন্য পাট চাষীর কাছ থেকে সময় মত ন্যায্য দামে পাট না কিনে একদিকে পাট চাষীকে পাট চাষ বিমুখ করেছে অন্যদিকে পরবর্তীতে ফড়িয়াদের কাছ থেকে সেই একই পাট বেশী দামে কিনে, যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন না করে, পাট পণ্যের দেশজ ব্যাবহারের বহুমূখীকরণ না করে এবং সর্বোপরি দুর্নীতি ও লুটপাট চালিয়ে সরকারী পাটকলগুলোকে লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। আর ভারতে পাট শিল্পের বিকাশের কালে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ এর পরমার্শে যখন একে একে পাটকলগুলোকে বন্ধ করা হচ্ছে, বেসরকারী করণ করা হচ্ছে এবং সোনালী করমর্দন দিয়ে শ্রমিকদের বিদায় করে দেয়া হচ্ছে তখনও কিন্তু আজকের মতই সোনালী আঁশের সোনালী দিন ফিরিয়ে আনার কথাই বলা হয়েছিল!
এখন জিন নকশার জ্ঞান কাজে লাগিয়ে উন্নত জাতের, উচ্চ ফলনশীল, লবণাক্ততা সহ্যকারী, কমপানিতে জাগ দেয়ার উপযোগী পাট উৎপাদনের খোয়াব দেখানো হচ্ছে। পাটের জাত উন্নয়ণের চেষ্টা করা হবে ভালো কথা কিন্তু ইতোমধ্যেই যে দেশে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠগুণগত মানের পাট ফলন হয়, সেদেশের পাট চাষী কেন পাটের ন্যায্য দাম পায় না, কেন বছর বছর পাট আবাদী জমির পরিমাণ কমতে থাকে সে প্রশ্নের উত্তর না পেলে তো নতুন জাতের পাট আবিস্কার করেও কোন ফায়দা হবে না! জিনোম সিকোয়েন্স ছাড়াই বাংলাদেশের চেয়ে নিম্ন মানের পাট অপেক্ষাকৃত অনুপযোগী জমিতে ফলিয়েও তো ভারত বর্তমানে সারা দুনিয়ার মধ্যে প্রধান পাট উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে। যে শাসক শ্রেণী ইতোমধ্যে বিদ্যমান পাটের গুণাগুণের সর্বোচ্চ ব্যাবহার করতে জানেনা সেই একই শাসক শ্রেণী যখন পাটের জাত আরও উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলে তখন সেটা সন্দেহের ব্যাপারই বটে। জিনোম সিকোয়েন্স বিষয়ক সরকারী সংবাদ সন্মেলনে সোনালি দিন ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনার কথা বলতে গিয়ে বলা হয়েছে: ”লিগনিন নামক জৈব রাসায়নিক উপাদান বেশি থাকায় পাটের আঁশ মোটা হয়। ফলে তা দিয়ে শুধু দড়ি ও চট তৈরী করা যায়। লিগনিনের পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারলে তা দিয়ে সূক্ষ সূতা তৈরী করা যাবে।” এখন পাট দিয়ে সূতা তৈরীর প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হচ্ছে অথচ বিশ্ববাজারে পাটের চাহিদা না থাকা ও লোকসানের অযুহাতে আদমজী পাটকল বন্ধকরে দেয়ার বছরে (২০০২ সালে) ঘোষিত বাংলাদেশের পাটনীতিতে বলা হয়েছিল: ”এখন পর্যন্ত বিভিন্ন গবেষণা ও উন্নয়ণ কর্মকান্ডের সহায়তায় যেসব পণ্য উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হচ্ছে- ক) নিম্নমানের পাট ও কাঁচাপাট ব্যাবহার করে কাগজ তৈরীর পাল্প খ) পাটের কম্বল গ) কাপড় তৈরীর লক্ষে তুলা ও পাটের সংমিশ্রণে মিহি সুতা ঘ) ঘরের দরজা-জানালার ফ্রেম তৈরীর লক্ষ্যে কাঠের বিকল্প সামগ্রী ঙ) ঘরের ছাদে ব্যাবহারের জন্য সি আই সিটি এর বিকল্প হিসেবে পাট মিশ্রিত করোগেটেড শিট চ) ঘরের অন্যান্য দ্রব্যসহ আসবাবপত্র তৈরীর জন্য জুটো-প্লাস্টিক সামগ্রী ছ) মোটরগাড়ির বডি ও অভ্যন্তরের বিভিন্ন অংশ জ) নদী ও রাস্তার ভাঙন রোধ কল্পে জুট জিও-টেক্সটাইল ঝ) বিভিন্ন প্রকার ডেকোরেটিভ সামগ্রী ট) পাটের তৈরী বিভিন্ন প্রকারের কাপড়।” তাহলে ২০০২ সালে থেকেই পাট পণ্যের যে বহুমুখী ব্যাবহারের কথা শাসক শ্রেণী জানে, পাট শিল্পে তার বাস্তবায়ন না করে, এখন জিনোম সিকোয়েন্স ব্যাবহার করে উন্নত জাতের ও বহুমুখী ব্যাবহার উপযোগী পাট নতুন করে উদ্ভাবনের ফ্যান্টাসী করার মাজেজা কি!
বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সহ গোটা শিক্ষাখাতে ক্রমশ সরকারী ব্যায় সংকোচনের প্রেক্ষপটে এবং অত্যন্ত দুর্বল গবেষণাগারের সীমিত সুযোগ সুবিধা ব্যাবহার করে যে ৭২ জন বিজ্ঞানী ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ পাটের জিনোম সিকোন্সিং এর এই কাজটি করেছেন নি:সেন্দেহে তারা অভিনন্দনের দাবীদার। তাদের এই আবিস্কার দেশের সামগ্রীক উন্নয়ণের প্রয়োজনে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাটিকেই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। কিন্তু এ আনন্দ উদযাপনের বেলায় ভুলে গেলে চলবে না, বিজ্ঞানের যে কোন আবিস্কারের মতোই এই পাটের জিন-নকশা উন্মোচন জনগণের কতটুকু কাজে লাগবে তা নির্ভর করবে এই জিন-নকশা চূড়ান্ত বিচারে কার হাতে থাকবে, কি উদ্দেশ্যে ব্যাবহ্রত হবে তার উপর। ২০০২ সালে ধানের জিন নকশা উন্মোচনের খবর সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশ হওয়ার পর বিশ্ব খাদ্য সংস্থা এক প্রতিক্রিয়ায় উল্ল্যেখ করে:
”জিন নকশার মাধ্যমে ধানের সকল জিন এবং তাদের কার্যাবলী নির্ধারণ করা সম্ভবপর হবে। ’কার্যকরী জিনোমিকস’ এর কাজই হলো এই জিন চিহ্রিত করা এবং তার কার্যনিধারণ করা। বিভিন্ন বৈচিত্রের ধানের জেনিটিক মার্কার আবিস্কার ও সিলেক্টিভ ব্রিডিং এ তা ব্যাবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন কাঙ্খিত বৈশিষ্টের উন্মেষ ঘটানো যায় বা অনাকাঙ্খিত বৈশিষ্টকে সুপ্ত করে দেয়া যায়। আবার বিভিন্ন ধারার জন্য প্রয়োজনীয় জিন চিহ্রিত করে সেগুলোর মাধ্যমে(জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং করে) ট্রান্সজেনিক জাতও তৈরী করা যায়।”
ধানের জিন নকশা কাজে লাগিয়ে সিলিক্টিভ ব্রিডিং কিংবা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং - উভয় ধরনের গবেষণাই চলছে। বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলো দ্রুত মুনাফার লোভে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কে প্রাধান্য দিয়ে বিতর্কিত হলেও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অনেক দেশেই জিন-নকশার সাহায্যে মার্কার অ্যাসিস্টেড সিলেক্টিভ ব্রিডিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের জাত উন্নয়নের চেষ্টা চলছে। যেমন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী অর্থায়নে সেদেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফসল গমের জিন-নকশার জ্ঞান কাজে লাগিয়ে গমের জাত উন্নয়নের জন্য ’মার্কার অ্যাসিস্টেড সিলেকশন ইন হুইট’ নামের একটি গবেষণা চলছে।
আমরা মনে করি বর্তমানে বাংলাদেশে যে মানের পাট উৎপাদিত হয় শিল্প ক্ষেত্রে তার সঠিক ব্যাবহার করাটাই পাটের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনার জন্য যথেস্ট। পাটের সোনলি দিন ফিরে আসা পাটের জিনোম সিকোয়েন্স এর উপর নয় বরং শাসক শ্রেণীর জিনোম সিকোয়েন্স পরিবর্তনের উপর নির্ভর করছে। তারপরও পাটের ক্রমাগত মানোয়ন্নয়ের কাজে পাটের জিন-নকশার কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে আমরা মনে করি যেহেতু জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে বাহির থেকে কৃত্রিম ভাবে জিন প্রবেশ করিয়ে উৎপাদিত জাতের ট্রান্সজেনিক লাইন অর্থাৎ জেনেটিক বৈশিষ্ট স্থির রাখা যায় না, যেহেুতু জেনেটিক দূষণের ঝুকি থেকে যায়, প্রজাতির বৈচিত্র হুমকীর মুখে পড়ে এবং বীজের অধিকার থেকে কৃষক বঞ্চিত হয়, সেহেতু যুগ যুগ ধরে ব্যাবহ্রত হয়ে আসা সিলেক্টিভ ব্রিডিং পদ্ধতিটিতে যদি পাটের জিনোম সিকোয়েন্সের সাহায্য নেয়া হয় এবং তার ফলে উৎপাদিত উন্নত বীজের মালিকানা কৃষকের হাতে থাকে এবং উৎপাদিত পাটের সর্বোচ্চ বহুমুখী ব্যাবহারের জন্য ব্যাপক শিল্পায়ন করা হয় তাহলে সেটাই প্রকৃত অর্থে জনকল্যাণ বয়ে আনবে । কিন্তু যদি এই পাটের জিন-নকশা রাষ্ট্রীয় বা বেসরকারী ভাবে কিংবা বহুজাতিক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের হাতে জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য তুলে দেয়া হয়, যদি এই জিন নকশা কাজে লাগিয়ে উৎপাদিত উন্নত জাতের বীজ কৃষককে আরও বেশী বাজারের উপর নির্ভরশীল করে ফেলে, তাহলে তাতে সাময়িক ভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও এবং জিন-নকশার কংকাল ও তার মালিক শ্রেণীর গায়ে বাড়তি মাংস লাগলেও চূড়ান্ত বিচারে তা কৃষক-শ্রমিকের কংকালের সংখ্যাই বাড়িয়ে তুলবে, পাটের সোনালি দিন পাট চাষী ও পাট শ্রমিকের না হয়ে গুটিকয় শাসক-শোষকের সোনালি দিনে পরিণত হবে।
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৮
দিনমজুর বলেছেন: শুধু সাইফুর রহমান কেন, আওয়ামী লিগ, বিএনপি-জামাত, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সবাই পাট শিল্প ধ্বংসের জন্য দায়ী।
২|
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১০
গিনিপিগ বলেছেন: আসলে আমাদের রাজনীতির মধ্যে পলিটিকস্ ঢুইক্যা গেছে তো তাই একটু সমস্যা ।
Click This Link
৩|
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৬
হুনার মন্দ বলেছেন: সত্য কথা। দিনমজুর....আপনাকে স্যালুট। জিনোম আবিষ্কারের সাথে যে পাটের ঐতিহ্য এবং পুরনো অবস্থান ফিরে আসার সম্পর্ক নাই তা মিডিয়া আর সরকার পক্ষ দু'জনেই সচেতনভাবে এড়িয়ে যায়....কেন আদমজী জুট মিল বন্ধ হবার সাথে সাথে ভারতে ৪টি পাটকল তৈরী হয়...কেন আমার দেশের কৃষকরা পাট উৎপাদনে লাভের মুখ দেখে না...কেন আদমজী বন্ধ করার মাসখানেক পর দেশে পলিথিন নিষিদ্ধ হয় (যখন কিনা পাটের ও পাটজাত দ্রব্যের বাজারীকরণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি ও যৌক্তিক ছিল)...তা যেন প্রশ্নের উর্ধ্বে থাকে...
সত্যি কথা...প্রয়োজন শাসক শ্রেণীর জেনেটিক কোডে পরিবর্তন....নইলে সুদিন খুজতে হবে কৃষকের হাড়ের মজ্জায় মজ্জায়।
ধন্যবাদ।
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৫
দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। যদিও লিখেছি, প্রয়োজন শাসক শ্রেণীর জিনোম সিকোয়েন্সের পরিবর্তন, আসলে বুর্জোয়া শাসক শ্রেণীর জেনেটিক কোড তো আর পরিবর্তন হয় না, তাই রাষ্ট্রের ও সমস্ত উতপাদনের উপকরণের উপর কর্তৃত্বে আসতে হবে ভিন্ন জেনেটিক সিকোয়েন্স অর্থাত ভিন্ন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী শ্রেণীকে।
৪|
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৯
নতুনছেলে বলেছেন: ব্যাপক গবেষণা ধর্মী পোস্ট। আপনাকে প্লাস।
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৮
দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫|
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৩
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বুঝি না । তবে সিনথেটিক সমস্ত কিছু একসময় প্রমাণিত হয়েছে ভয়ংকর । অল্পজ্ঞান নিয়ে এসব ইঞ্জিনিয়ারড পন্য মুনাফা করছে কিন্তু অন্যদিকে বাড়াচ্ছে সমস্যা ।
আমাদের পাট আমাদের প্রকৃতিতে বেড়ে ওঠা পৃথিবীর সেরা তন্তু । এর সম্ভাবনা বিশাল ।
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৩
দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ। জিএম শস্য নিয়ে আমাদের এই লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন:
জিএম শস্যের ভালো মন্দ
Click This Link
৬|
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৩
মাহফুজ ইসলাম বলেছেন: হক কথা।
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৯
দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭|
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৩
নতুন রাজা বলেছেন: পাটের সোনলি দিন ফিরে আসা পাটের জিনোম সিকোয়েন্স এর উপর নয় বরং শাসক শ্রেণীর জিনোম সিকোয়েন্স পরিবর্তনের উপর নির্ভর করছে... একমত...
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৯
দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮|
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ৭২-৭৫ এ বাংলায় পাটকল বন্ধ হইছে আর কলকাতায় নতুন নতু পাটকল স্থাপিত হইছে....আবালরা কয় সাইফূর রহমান!!!
জিনোম সিকোয়েন্স নাটক দেইখ্যা হাসতে হাসতে একজনরে কইছিলাম...
এ্ডা হইল পুলা ছোটকালথে জানেনা জীবন রহস্য কি.. বড় হইয়া আতকা যেদিন জানল কেম্নে বাচ্চা হয়.. সেইরম অনুভীতি!!!
![]()
![]()
২দিন পর পেপারে যখন দেখলাম এই খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্ধ প্রস্তাব -তখন সব দিনের মতো ফকফকা ![]()
![]()
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৮
দিনমজুর বলেছেন: জুজু বুড়ি'র মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে, পাট শিল্প ধ্বংসের সংক্ষিপ্ত একটা ইতিহাস দেয়া দরকার ছিল। কিন্তু পাট শিল্পের ধ্বংসের ইতিহাস নিয়ে যথেস্ট লেখালেখি হয়েছে বলে নতুন করে আর কলেবর বড় করতে চাইনি।
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। ঠিকই বলেছেন,পাট শিল্প ধ্বংস করে এখন সোনালি দিনের জন্য মায়াকান্না বেশ হাস্যকরই বটে।
৯|
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৫
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: প্লাস। সরাসরি প্রিয়তে।
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪০
দিনমজুর বলেছেন: প্রিয়তে রাখার জন্য ধন্যবাদ।
১০|
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৮
মাহফুজ ইসলাম বলেছেন: বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল। পাটের জিন রহস্য সম্পর্কিত অনেক কিছুই শোনা গেল।
বাস্তবে এর কি প্রয়োগ বা আসল সমস্যা সম্পর্কে আলোকপাতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৩
দিনমজুর বলেছেন: শাসক শ্রেণীর জন্য প্রচার-প্রচারণা যত লাভজনক, সত্যিকার অর্থে পাটের সমস্যার সমাধান করার উদ্যোগ ততটাই তাদের জন্য ক্ষতিকর! সেজন্যই বোধ হয় এদের পক্ষে বাগাড়ম্বরই সার।
আপনাকে ধন্যবাদ।
১১|
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৮
ধ্রুবমেঘ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। সময় নিয়ে পড়লাম। আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত।
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
দিনমজুর বলেছেন: সময় নিয়ে পঠনের জন্য ধন্যবাদ।
১২|
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
দিনমজুর বলেছেন: দুইজন মাইনাস উপহার প্রদানকারীকে বলছি, মাইনাসের একটু ব্যাখ্যা-ট্যাখ্যা দিলে আমরা একটু আলোকপ্রাপ্ত হইতাম!
১৩|
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
নাজনীন১ বলেছেন: তাও এতে করে যদি সরকারের মনোযোগ ফিরে পাটের দিকে। আমরা বাঙালীরা শেষ পর্যন্ত হতাশায় ভুগি না, কেবলি আশাবাদী হই।
মাইনাস টাইনাস আমি দেই নাই। ভুল বুইঝেন না আবার।
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:০৮
দিনমজুর বলেছেন: ঠিক আছে, ভুল বুঝলাম না!
১৪|
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৩
সপ্নীল বলেছেন:
হুনার মন্দ বলেছেন: সত্য কথা। দিনমজুর....আপনাকে স্যালুট। জিনোম আবিষ্কারের সাথে যে পাটের ঐতিহ্য এবং পুরনো অবস্থান ফিরে আসার সম্পর্ক নাই তা মিডিয়া আর সরকার পক্ষ দু'জনেই সচেতনভাবে এড়িয়ে যায়....কেন আদমজী জুট মিল বন্ধ হবার সাথে সাথে ভারতে ৪টি পাটকল তৈরী হয়...কেন আমার দেশের কৃষকরা পাট উৎপাদনে লাভের মুখ দেখে না...কেন আদমজী বন্ধ করার মাসখানেক পর দেশে পলিথিন নিষিদ্ধ হয় (যখন কিনা পাটের ও পাটজাত দ্রব্যের বাজারীকরণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি ও যৌক্তিক ছিল)...তা যেন প্রশ্নের উর্ধ্বে থাকে...
সত্যি কথা...প্রয়োজন শাসক শ্রেণীর জেনেটিক কোডে পরিবর্তন....নইলে সুদিন খুজতে হবে কৃষকের হাড়ের মজ্জায় মজ্জায়।
ধন্যবাদ।
সহমত।
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৫৯
দিনমজুর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
১৫|
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:২১
দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: মনে হয়, আপনি সাংবাদিক। তথ্য সংগ্রহ করে লেখালেখির হাত ভালই পাকিয়েছেন। রাজনীতি আর বৈজ্ঞানিক গবেষনা দুটিকে এক কাতারে ফেলা সাংবাদিকদের কমন ভুল। পৃথিবীর সব দেশের সাংবাদিকরাই এই কমন ভুলটা করে। মালয়শিয়ায় একসময় রাবার চাষ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু তারাই আবার রাবার চাষকে তাদের অর্থনীতির মাঝে ফিরিয়ে এনেছে। মালয়শিয়ার দরকার ছিল, উন্নত বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং সঠিক সরকারী নীতি-নির্ধারণ এবং তার বাস্তবায়ন - যা মালয়শিয়া বেশ ভাল ভাবেই করতে সক্ষম হয়েছে। এভাবেই মালয়শিয়া আজ এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি। অনুরূপভাবে, আমরাও পারি পাটকে ফিরিয়ে আনতে। বিজ্ঞানীরা তাদের প্রাথমিক গবেষণার কাজ শেষ করে দিয়েছেন। এবার দরকার যর্থাথ সরকারী নীতি-নির্ধারণ - কিভাবে এই প্রাপ্ত গবেষণাকে সুদূর প্রসারীভাবে দেশের কাজে লাগানো যায়। আমাদের রাজনৈতিক নেতারা যদি সঠিক নীতি নির্ধারণে ব্যর্থ হন, সে দায় ভার কখনওই বিজ্ঞান বা গবেষণার উপর যাবে না। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিরি) দিকে তাকিয়ে দেখুন। তারা নিজেরাই এখন উন্নত জাতের ধানের প্রজাতি উদ্ভাবনে সক্ষম। ধানে এত উন্নতি হয়েছে কারণ আমরা ভেতো বাঙালী। জনসংখ্যার সাথে তাল মেলাতে হলে ধান উৎপাদন বাড়াতেই হবে। তাই সরকারী পৃষ্ঠপোষকতাও মিলেছে। বিশ্বের অনেক দেশই পলিথিনের চেয়ে পাটের ব্যাগ বেশী পছন্দ করে। পাটকেও আমরা ফিরিয়ে আনতে পারি। কেবল দরকার সরকারী উদ্যোগ।
বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলোতেও আপনার জ্ঞান যথেষ্ট কম বলে আমার মনে হয়েছে্। আমি নিজে Toolমার্কার অ্যাসিস্টেড সিলেকশন নিয়ে কাজ করেছি এবয় এখনও করছি। গবেষনা কাজে এটা কত সাহায্যকারী, তা বলে বোঝানো সম্ভব না। "জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে বাহির থেকে কৃত্রিম ভাবে জিন প্রবেশ করিয়ে উৎপাদিত জাতের ট্রান্সজেনিক লাইন অর্থাৎ জেনেটিক বৈশিষ্ট স্থির রাখা যায় না" আপনার একথাটিও চরম ভুল। এটি যদি সত্যিই হত, বিশ্বে ট্রান্সজেনিক গবেষণা অনেক আগেই নিষিদ্ধ হত।
বিজ্ঞান আর সরকারী নীতি দুটো ভিন্ন জিনিষ। এ দুটোকে এক করে ফেলবেন না। আপনার মত কারো একজনের ভুল বিশ্লেষণের জন্যই বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে- এই ঠুনকো অজুহাতে বিনামূল্যে সাবমেরিন লাইন সংযোগ নেন নি। পরবর্তীতে সেই একই সাবমেরিন লাইন অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশকে কিনতে হয়েছে। সেই কেনা লাইনের জন্যই আপনি আজ ব্লগে লিখতে পারছেন। দয়া করে, নিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে অন্যকে বিভ্রান্ত করবেন না। সরকারী নীতির সমালোচনা করুন কিন্ত বিজ্ঞানের নয়। গবেষণা ছাড়া কোন জাতিই এ পর্যন্ত উন্নতি করতে পারে নি, পারবেও না। ধন্যবাদ।
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৪৬
দিনমজুর বলেছেন: প্রথমেই বলি, আপনার সাংবাদিক লেবেল দেয়ার ঢিল তা জায়গামত লাগে নি। অবশ্য সাংবাদিক হলেও সমস্যা ছিল না, সাংবাদিক হলে যে বিজ্ঞানের বিষয়ে লেখা যাবে না, সেরকম তো কোন কথা নেই, তাই না? একই ভাবে, বিজ্ঞান মানেই পবিত্র কিছু, রাজনীতির কলুষ মুক্ত সেটাও পুরা ভুল কথা। আর আপনে যেমন মনে করেছেন, সরকারী নীতি ও বিজ্ঞান এ দুটোকে আমরা এক করে ফেলেছি সেটাও বোধ হয় ঠিক না।
আমরা তো বলেছি, জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন নি:সন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কিন্তু এই বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলটি কোন কাজে ব্যাবহ্রত হবে, কোন প্রযুক্তিতে কাজে লাগানো হবে, কার স্বার্থে কাজে লাগবে- জনগণের নাকি কর্পোরেট কোম্পানির সেটা কিন্ত নিছক বৈজ্ঞানিক বিষয় নয়, এর সাথে রাজনীতি-অর্থনীতি ও শ্রেণীর প্রশ্ন জড়িত আছে। আমরা এখানে ঠিক এই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করেছি। আমাদের আলোচনার ঠিক কোন অংশ দেখে আপনার মনে হয়েছে আমরা বিজ্ঞান ও সরকারী নীতিকে গুলিয়ে ফেলেছি, সেটা একটু ব্যাখ্যা করলে ভাল হতো।
আমরা জিন বিজ্ঞানী নই, ফলে এ বিষয়ে আমাদের জ্ঞানে সীমাবদ্ধতা থাকতেই পারে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে মতামত রাখতে গেলে সে বিষয়ে একেবারে হাতে কলমে কাজ করতেই হবে, তা না হলে কোন মতামত রাখা যাবে না, সেটা আমরা ঠিক মনে করি না। আমাদের জানা বোঝায়, মার্কার এসিস্টেড সিলেক্টিভ ব্রিডিং কে উপযুক্ত মনে হয়েছে বলেই আমরা প্রস্তাব করেছি জিন-নকশার জ্ঞানকে এ কাজে ব্যাবহার করার জন্য। আমরা জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিপক্ষে কেন, সে বিষয়ে স্বতন্ত্র একটি লেখায় আলোকপাত করেছি, এখানে দেখতে পারেন:
Click This Link
আমাদের জানা-বোঝায় ভুল থাকতেই পারে(যেহেতু আমরা বিশেষজ্ঞ নই), যেহেতু হাতে-কলমে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে আপনার,তাই আপনার কাছে প্রত্যাশা থাকবে, স্রেফ আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার অভিযোগ না তুলে, সেই সাথে একটু বুঝিয়ে দেবেন কোথায় আমাদের ভুল হয়েছে, কোথায় আমরা কাকে বিভ্রান্ত করেছি।
১৬|
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:২৭
নেটপোকা বলেছেন: মাইনাস কারা দিয়েছে তা আন্দাজ করতে কষ্ট হয়না। বৈজ্ঞানিক সাফল্যের রাজনৈতিকায়ন করতে পেরে যারা খুশিতে বগল বাজাচ্ছিল, আপনার এই অসাধারণ লেখাতো তাদের বাড়া ভাতে ছাই ঢেলে দিয়েছে। তাই এদের মাইনাসে হতাশ হবেন না।
তবে খারাপ লাগে যখন দেখি মীর জাফর ইকবালদের মত বুদ্ধিজীবিরাও এ সুযোগে চরম তৈলাক্ত, আবেগী লেখা লিখে জাতিকে বিভ্রান্ত করে! উনি এই রেজিমে শাহজালালের ভিসি না হয়ে ছাড়বেন না।
পাটের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনকারী বিজ্ঞানীদল ও আপনাকে প্লাস আর যারা এই সাফল্যটিকে রাজনৈতিকায়ন করেছে এবং যারা আপনার এই পোস্টে মাইনাস দিয়েছে, তাদেরকে মাইনাস।
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৪৮
দিনমজুর বলেছেন: আপনার আলোচনা ভালো লাগলো- বিশেষ করে প্লাস-মাইনাসের বিতরণ!
১৭|
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:৫৩
শয়তান বলেছেন: আপাতত পোস্ট পর্যবেক্ষনে রাখলাম
১৮|
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:১২
এবং আব্দুল্লাহ বলেছেন: ডাক্তারকে যদি বলা হয় হাইকোর্টে সংবিধান বিষয়ক মামলা লড়তে তাহলে সেটা যেমন হবে, জিনোম নিয়ে জাফর ইক বালের কথাবার্তা সেইরকম হইসে। উনার ভাব দেইখা মনে হইসে এটা আবিস্কারের অর্ধেক কৃতিত্ব তার। হিপোক্রেট।
১৯|
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:১৯
প্রলেতারিয়েত বলেছেন: আমাদের সাইফুর মিয়া যখন ওয়ার্ল্ড ব্যংক এর পরামর্শে জুট মিল বন্ধ করতেছিল ঠিক একই সময় ইন্ডিয়া পশ্চিম বংগে নতুন জুট মিলের জাল ছড়াচ্ছিল। আপনাদের কাছে কি এটা নিছকই কাকতাল মনে হয়?
ক্লাইমেট চেঞ্জ এর বায়ুমন্ডল ফুটা হওয়ার রাজনীতির অন্তত একটা সুফল আমরা পেতে পারি আর তা হচ্ছে ডিস্পসেবল পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধিতে আমরা প্রচুর পাটের ব্যগ ও কাপড় তৈরী করতে পারি। ঠিকমত ব্র্যন্ডীং করলে আমাদের এইখাতে লাভ হবে অনেক বেশি।
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:৩৮
দিনমজুর বলেছেন: আপনি প্রশ্নটা কাকে করলেন? যাকেই করুণ বিষয়টা এই সুযোগে একটু আলোচনা করা যাক। আমরা বলছি, পাটের ধ্বংস হওয়াটা কোন কাকতালীয় ঘটনা না, বরং শাসক শ্রেনীর নীতিমালারই ফলাফল! আমরা এটাকে শাসক শ্রেণীর দলগুলোর সাধারণ বৈশিষ্ট ও রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক দর্শন এবং তার সাথে বিশ্বব্যাংক আইএমএফ এর শর্ত ইত্যাদির ফলাফল হিসেবেই দেখেছি। আমরা উপরের লেখায় বলেছি: “শাসক শ্রেণীর জিন নকশায় গুটিকয়েকের স্বার্থ রক্ষা এবং সাম্রাজ্যবাদের অধীনতার কথাই লেখা আছে ফলে তাদের কাছে লাখ লাখ পাট চাষী কিংবা পাট শ্রমিকের জীবিকা কিংবা সোনালী আশের গৌরবের কোন আবেদন কোন দিনই ছিল না ফলে তারা আদমজীসহ অন্যান্য পাটকল বন্ধকরে দিয়েছে আর তার বাস্তবতা তৈরীর জন্য পাট চাষীর কাছ থেকে সময় মত ন্যায্য দামে পাট না কিনে একদিকে পাট চাষীকে পাট চাষ বিমুখ করেছে অন্যদিকে পরবর্তীতে ফড়িয়াদের কাছ থেকে সেই একই পাট বেশী দামে কিনে, যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন না করে, পাট পণ্যের দেশজ ব্যাবহারের বহুমূখীকরণ না করে এবং সর্বোপরি দুর্নীতি ও লুটপাট চালিয়ে সরকারী পাটকলগুলোকে লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। আর ভারতে পাট শিল্পের বিকাশের কালে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ এর পরমার্শে যখন একে একে পাটকলগুলোকে বন্ধ করা হচ্ছে, বেসরকারী করণ করা হচ্ছে এবং সোনালী করমর্দন দিয়ে শ্রমিকদের বিদায় করে দেয়া হচ্ছে তখনও কিন্তু আজকের মতই সোনালী আঁশের সোনালী দিন ফিরিয়ে আনার কথাই বলা হয়েছিল!”
যেহেতু বারবার পাট ধ্বংসে কার কি অবদান, সেই প্রশ্নটা আসছে, তাই আমরা এখানে সংক্ষেপে পাটশিল্পের বিনাশ বৃত্তটি তুলে ধরছি(সূত্র: রাহুগ্রস্ত পাট শিল্প এবং ‘না’ বলার শক্তি-অধ্যাপক আনুমুহম্মদ, পাট:শিল্প ও শ্রমিক, পদাতিক প্রকাশনি, ২০০৮)
৫০ এর দশকের পূর্বে: কাচা পাট উতপাদন ও কলকাতা কেন্দ্রিক
শিল্পে যোগান
৫০ এর দশকে : উতকৃষ্ট মানের পাটের প্রাপ্যতার কারণে সমর্থন ও
ভর্তুকিতে পাটশিল্প প্রতিষ্ঠা
: কোরিয় যুদ্ধের কারণে পাটজাত দ্রব্যের আন্তর্জাতিক
চাহিদা বৃদ্ধি ও বাজার প্রাপ্তি
৬০ এর দশকে : রাষ্ট্রীয় সমর্থন ও ভর্তুকীতে শিল্পের প্রসার
: বোনাস ভাউচার স্কীমের কার্যকর ভূমিকা
: পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি ততকালীন
পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উতস
হিসেবে প্রতিষ্ঠা।
৭০ এর দশকে : পরিত্যাক্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় করণ কর্মসূচীর অধীনে পাটকলও রাষ্ট্রীয় করণ। বিজেএমসি প্রতিষ্ঠা।পরিকল্পনা
ও মনোযোগের অভাব। দুর্বল ব্যাবস্থাপনা।দুর্নীতির মাধ্যমে নব্য ধনীক শ্রেণীর গঠনকাল, শিকার- রাষ্ট্রয়াত্ত খাত।
: রাষ্ট্রায়ত্ত সমর্থন ও ভর্তুকীর পুরানো নিয়মপ্রত্যাহার।
৮০ এর দশকে : নতুন মাত্রায় লোকসান শুরু।
: বিশ্বব্যাংক গোষ্ঠীর কাঠামোগত সমন্বয় কর্মসূচী পরিকল্পিত ভাবে বিরাষ্ট্রীয়করণ শুরু।
: পাটকল শ্রমিকদের সরকারি দলের জমায়েতে ব্যাবহার।
: শ্রমিক নেতা নামে সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের আধিপত্য।
: পাট ক্রয়ের সময়মতো বরাদ্দ দেয়ার রীতি শুরু।
: লোকসান বৃদ্ধি।
৯০ এর দশকে : পাট খাত “উন্নয়ণে” বিশ্বব্যাংকের ১৭০০ কোটি টাকা ঋণ
: শর্ত অনুযায়ী পাটকল বন্ধ, বিরাষ্ট্রীয়করণ, তাতের সংখ্যা হ্রাস, শ্রমিক ছাটাই শুরু।
: বিদ্যুত সমস্যা, পাটকল ক্রয়ে বরাদ্দ না দেয়া অব্যাহ্ত।
: রাষ্ট্রায়ত্ত পাটশিল্প অধিকতর সংকোচন।
: লোকসান বৃদ্ধি।
২০০০ এর পরবর্তী সময়: সরকার কর্তৃক বৃহত্তম পাটকল আদমজী বন্ধ ঘোষণা(২০০২)। বিশ্বব্যাংক, মার্কিন দূতাবাস ও বৃহত রাজনৈতিক দলগুলোর অভিনন্দন।
: পাটনীতি ঘোষণা(২০০২)।
: সময়মত পাটক্রয় বরাদ্দে অর্থ প্রদান না করা অব্যাহত।
: পাটজাত দ্রব্যের রফতানী অনুপাত হ্রাস।
: দিনমজুর ভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগকরে বেসরকারী পাটকল প্রতিষ্ঠা সত্ত্বেও শিল্পের অভূতপূর্ব সংকোচন।
: ভারতে পাটনীতি(২০০৫)। পাটশিল্পের নতুন বিকাশ, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন।
: শ্রমিক ছাটাই ও পাটকল বন্ধের নতুন কর্মসূচি শুরু(২০০৭)।
২০০৭ পরবর্তী সময়: কাচা পাট উতপাদন ও ভারতকেন্দ্রিক পাট-শিল্পে কাচাপাট জোগাননের অবস্থায় প্রত্যাবর্তন?
২০|
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৪২
দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: সাংবাদিক হলে যে বিজ্ঞানের বিষয়ে লেখা যাবে না, এমনটি নি, বলেছি, সাংবাদিকরা রাজনীতি আর বৈজ্ঞানিক গবেষনা এক কাতারে ফেলে নিজের মত করে বিশ্লেষণ করে। একই বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে বহুবিধ কাজে লাগানো যায়। নির্ভর করে, আপনি কোন কাজে লাগাচ্ছেন। দোষ বিজ্ঞানের না, যারা এর ব্যবহার করছে তাদের। পাটের জিনোম সিকোয়েন্স খুব সহজেই আমরা আমাদের কাজেই লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখতে পারি, পাটকে পুনরোদ্ধার করতে পারি কিন্তু দরকার সরকারী সঠিক নীতি নির্ধারণ। সরকারের অদূরদর্শীতার কারণে যদি তা কর্পোরেট কোম্পানির হাতে চলে যায়, এ ব্যর্থতা সরকারের। আর সরকারী নীতিই যদি আপনার মূল বক্তব্য হয়, তাহলে শুরুতেই নেগেটিভ সমালোচনা না করে পাটের জিনোম সিকোয়েন্সকে কিভাবে দেশের সর্বোচ্চ ব্যবহারে আনা যায়, তা নিয়েও লেখুন। তাহলে সরকারও একটা গাইড লাইন পাবে।
বিশেষজ্ঞ না হয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে মতামত রাখতে গেলে ভুল ব্যাখ্যার সমূহ সম্ভাবনা থাকে, এটাই আপনার পোস্টে সবচেয়ে দূর্বল দিক। আর ভুল ব্যাখ্যার ক্ষতিকর দিকটি বোঝাতেই সাবমেরিন কেবলের উদাহরণ দিয়েছি। সেই-ই সাবমেরিন ক্যাবল এল, কিন্তু বিনে পয়সাতে নয়, অর্থের বিনিময়ে। সরকারের এ ব্যর্থতার একমাত্র কারণ, তথাকথিত কলামিষ্ট বা বুদ্ধিজীবি যারা বিশেষজ্ঞ না হয়েও প্রযুক্তি বিষয়ে নেগেটিভ মতামত দিয়েছিল - যার কারণে পরবর্তী সরকারকে একই কাজে দেশের মানুষের শত কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছিল।
আরেকটি উদাহরণ, আপনার পূববর্তী লেখা। খুব সহজভাবেই বলি, পৃথিবীর গোটা কতক মানুষ জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জিএমও এর বিপক্ষে লিখলেই জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং গবেষণা বা জিএমও বন্ধ করে দেয়া যাবে না। বরং আরো গবেষণা করে জিএমওর নেতিবাচক দিকগুলোকে দূর করতে হবে। বাজারে যে ইনসুলিন পাওয়া যায়, সেটিও জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে তৈরী। তাহলে ডায়বেটিকস হবার পরও জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে তৈরী ইনসুলিনেরও বিরোধিতা করা শুরু করে দিন।
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৫৪
দিনমজুর বলেছেন: একটা বিষয় বোধহয় পরিস্কার করা দরকার- আমরা কিন্ত আমাদের লেখার কোথাও পাটের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনের সমালোচনা করছি না, আমরা সমালোচনা করছি সরকারের এইটা নিয়ে প্রচারণার রাজনীতিটার। সরকার এমন একটা ভাব করছে যেন, এই জিনোম সিকোয়েন্সের উপরই নির্ভর করছে পাটের সোনালী দিন ফিরে আসাটা। আমরা এই ব্যাপারটার বিরোধীতা করে বলছি, পাটের জিনোম সিকোয়েন্সকে নি:সন্দেহে পাটের জাতের উন্নয়ণের কাজে লাগানো যাবে(যদি সঠিক ভাবে এবং জনগণের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে ব্যাবহার করা হয় এবং কর্পোরেট কোম্পানির হাতে তুলে দেয়া না হয়,) কিন্তু বর্তমানে যে জাতের পাট উতপন্ন হয়, সেটাও যদি শিল্পে সঠিক ব্যাবহার করা হতো, যদি আদমজীসহ অন্যান্য পাটকলগুলো বন্ধ করণ/বেসরকারীকরণ করা না হতো, তাহলে পাটের এই দুর্দিন হতো না। পাটের সোনালি দিন ধ্বংস হওয়াটা পাটের জাতের সমস্যা ছিল না, ছিল একটা রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক নীতিমালার বিষয়। মূল কারণ অর্থাত সেই নীতিমালার বিষয়টাকে আড়াল করে চলছে জাত-উন্নয়ণ নিয়ে নাচানাচি। একদিকে কাচা পাটের সর্বোচ্চ ব্যাবহার নিশ্চিত না করার সকল আয়োজন জারি রাখা আবার অন্যদিকে জাত উন্নয়ণ নিয়ে ফ্যান্টাসি করা- এই দ্বৈতনীতির সমালোচনা করা আমাদের ১ম উদ্দেশ্য।
আমাদের ২য় উদ্দেশ্য ছিল, যে ভাবে পাটের জিন নকশার সবোর্চ্চ ব্যাবহার হতে পারে, সে বিষয়ে আমাদের মতামত হাজির করা(আপনিও বোধ হয় এই এপ্রোচের কথাই বলছেন!)। আমরা সারা দুনিয়ায় জেনিটিক্যালী ইঞ্জিনিয়ারড শস্য যেমন: গোল্ডেন রাইস, বিটি কটন, বিটি ব্রিঞ্জাল ইত্যাদির অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফলে উতপন্ন ফসলের ট্রান্সজেনিক লাইনের অস্থিতিশীলতা, হরাইজেনটাল ও ভারটিক্যাল জেনেটিক পলিউশান(ইনসুলিন কারখানার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে উতপন্ন হয়, ফলে ইনসুলিনের সাথে মুক্ত পরিবেশের সাথে প্রতিক্রিয়ার সুযোগ আছে এরকম ফসলের ট্রান্সজেনিক লাইনের অস্থিতিশীলতার তুলনাকরা উপযুক্ত হবে না) ইত্যাদি বিষয় এবং এর পেছনের কর্পোরেট স্বার্থের বিষয়টি মাথায় রেখে মার্কার এসিস্টেট সিলেক্টিভ ব্রিডিং এর পক্ষে আমাদের মতামত প্রকাশ করেছি।
আর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে আপনি ‘সাধারণ ভাবে’ গুটিকয়েক মানুষের বিরুদ্ধতার কথা বললেও ব্যাপারটি মোটেও সাধারণ নয়, যতদিন না জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ঋণাত্মক দিকগুলো দূর হচ্ছে, ততদিন এটাকে আমরা নিরাপদ প্রযুক্তি বলে গ্রহন করার পক্ষপাতি নই। আপনি ঢালাও ভাবে আমাদের “দুর্বলতা” আবিস্কার না করে, ঠিক কোথায়, কোন কোন যুক্তি গুলো কি কারণে দুর্বল সেটা দেখালে বরং সেটা কার্যকর আলোচনা হতো।
২১|
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:০৭
নাজনীন১ বলেছেন: @ দূরের আকাশের নীল তারা, আমি একটু আপনার আর পোস্ট লেখকের মাঝে নাক গলাই। আসলে আমি কৌতুহলবশত একটু বুঝতে চাচ্ছি।
"বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলো দ্রুত মুনাফার লোভে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কে প্রাধান্য দিয়ে বিতর্কিত হলেও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অনেক দেশেই জিন-নকশার সাহায্যে মার্কার অ্যাসিস্টেড সিলেক্টিভ ব্রিডিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের জাত উন্নয়নের চেষ্টা চলছে। যেমন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী অর্থায়নে সেদেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফসল গমের জিন-নকশার জ্ঞান কাজে লাগিয়ে গমের জাত উন্নয়নের জন্য ’মার্কার অ্যাসিস্টেড সিলেকশন ইন হুইট’ নামের একটি গবেষণা চলছে। "
--- পোস্টের আন্ডারলাইন করা অংশেই কি আপনার আপত্তি?
আপনি যদি এ লেখক্ত্রয়ের আগেকার পোস্টগুলো পড়ে থাকেন, তাহলে বুঝতে পারবেন, তাদের মূল আপত্তি আসলে "বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলো দ্রুত মুনাফার লোভ" -- এখানে। আমি অন্ততঃ তাই বুঝি। ভুল হলে লেখক প্লীজ শুধরে দিবেন।
আর আপনি যেমন ইঞ্জিনিয়ার, এ পোস্টের লেখকও ইঞ্জিনিয়ার বলেই জানি। আর ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সাথে মার্কেটিং, একাউন্টিং, ম্যানেজমেন্ট, রাজনীতি, অর্থনীতি সব জড়িয়ে থাকে, এটা তো ইঞ্জিনিয়ারদের আরো বেশি জানবার কথা। আপনি কেন সেটা বুঝতে পারছেন না?
আর এতোদিন যে আমাদের পাটের দুর্দশা ছিল সেটা কি জিন আবিষ্কার হচ্ছিল না বলে মনে হয় আপনার কাছে? নাকি সরকারী নীতি-নির্ধারণে সমস্যা ছিল? কোনটা মনে হয় আপনার কাছে? যদি পরের কারণটার সাথে একমত হোন তাহলে পোস্ট লেখকের সাথে আসলে আপনার কোন দ্বিমত নাই।
আর যদি প্রথমটা মনে করেন, তাহলে
উন্নত প্রযুক্তির সুষ্ঠ ব্যবহার দেশের অর্থনীতিকে বা শিল্পখাতকে এগিয়ে নিয়ে যায়, এটা নিয়ে মনে হয় আপনার আর লেখকের কোন আপত্তি নাই। লেখক শুধু পারিপার্শ্বিক ব্যাপারগুলো নিয়ে ভাবেন আদর্শগত কারণে।
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:০০
দিনমজুর বলেছেন: সহযোগীতার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২২|
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:২৬
নাজিম উদদীন বলেছেন: খুবই দুঃখজনক, সরকারীভাবে পাটের বারোটা বাজিয়ে এখন সরকারী খরচে পাটের জিনোম সিকোয়েন্স বের করা হল। বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক সাফল্যে আমিও গর্বিত, কিন্তু এর সঠিক প্রয়োগ হতে হবে। এ বিষয়ে আলোকপাত করার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাদের পত্রিকার নাম দেখছি 'নাইল্যাকাডা', কাকতালীয়। ![]()
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৫৯
দিনমজুর বলেছেন: আরে তাই তো! অনেক জায়গায় পাটকে নাইল্যা বলা হয়- সেই নাইল্যা বা পাট কাটে যে শ্রমিক সে যখন কাজ না পেয়ে শহরে আসে, যখন রিকশা চালাতে গিয়ে ঠিক ঠাক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না, তখন চারিদিক থেকে গালি আসে- ধুর বেটা নাইল্যাকাডা!!
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
২৩|
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৪২
প্লাটো বলেছেন: ভাল লিখেছেন।প্লাস।
@দূর আকাশের নীল তারা , এই পোস্টের কন্টেক্সট বা মুল সুরটা আপনাকে আরেকবার বোঝার জন্য অনুরোধ করবো।
গাছের গোড়াটা কেটে আগায় যতই বৈজ্ঞানিক পন্থায় পানি ঢালেন,তাতে গাছের কোন উপকার হয়না। এদেশের পাট শিল্পের গোড়াটা যে কাটা পড়েছে সেটার কারন রাজনৈতিক,পাটের ফলন বা কোয়ালিটি নয়।আর তাই এই পাটশিল্পের সমস্যা কে আড্রেস করতে হলে সমস্যার মূলে হাত দিতে হবে। নৌকা যদি চড়ায় আটকায়, তবে তলা যে জায়গায় আটকে গেছে হাতটা ঠিক সেখানে রেখে ঠেলা না দিলে, সেই নৌকা কোনদিন নড়বেনা।
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:০৩
দিনমজুর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সহজ ভাবে এই কথাগুলো বলার জন্য। ঠিক এই জায়গাটাই এড্রেস করতে চাইছি আমরা।
২৪|
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৪২
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: প্রিয়তে!
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:৪৬
দিনমজুর বলেছেন: প্রিয়তে রাখার জন্য ধইন্যা!
২৫|
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৪৮
যাচ্ছেতাই বলেছেন: পাটের জিনোম সিকোয়েন্স ৬ মাসের প্রজেক্টে শেষ হয়েছে, কিন্তু বিভিন্ন বৈশিষ্টের জন্য দায়ী জিন সনাক্ত করে জিনোম মডিফাই করে অথবা নতুন জিন ঢুকিয়ে উন্নত জাত উদ্ভাবন করার মত কাজের কাছে জিনোম সিকোয়েন্স খুবই সাধারণ কাজ। কিন্তু মিডিয়া এমনকি ড: জাফর ইকবালও ব্যাপারটাকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যেন বিশাল কাজটিই হয়ে গেছে এখন আমাদের যে কোন বৈশিষ্টের পাট বানানো কেবল সময়ের ব্যাপার, যেন আমরা চাইলেই যখন তখন কম লিগনিন যুক্ত পাট, লবণ সহনশীল পাট , অধিক উৎপাদনশীল পাট যখন তখন তৈরী করতে পারি।
বাস্তবিকপক্ষে জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে আমরা উন্নত পাট উদ্ভাবনের পথে প্রথম পদক্ষেপ দিলাম, কিন্তু সামনে বিশাল পথ এখনো পড়ে আছে।কিন্তু শুরুতেই যেভাবে এটাকে অতিরঞ্জিত করে রাজনৈতিক সাফল্য নেয়ার আর তৃতীয় পক্ষের বিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষক সাজার অপচেষ্টা দেখলাম তাতে শেষ পর্যন্ত এই জিনোম সিকোয়েন্স আমরা কতটুকু কাজে লাগাতে পারি তা দেখার বিষয়।
লেখক বলেছেন 'কিন্তু যদি এই পাটের জিন-নকশা রাষ্ট্রীয় বা বেসরকারী ভাবে কিংবা বহুজাতিক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের হাতে জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য তুলে দেয়া হয়, '
এ প্রসংগে বলছি, জিন-নকশা উম্মোচন হওয়ার পর এটি এখন কোন জার্ণালে প্রকাশিত হলেই তা সবার জন্য উম্মুক্ত বিষয়। যে এটাকে মাঠ পর্যায়ে কাজে লাগাতে পারবে সেই সফল।সরকার যদি কাজে লাগাতে পারে তাহলে সেটা দেশ ও দেশের কৃষকের জন্য ভাল, কিন্তু যদি কোন বহুজাতিক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান তার ব্যাবসায় কাজে লাগায় তাহলে তা আমাদের দুর্ভাগ্য।অতীত বিবেচনায় এটাও অসম্ভব নয় যে আমাদের এই জিন নকশা কাজে লাগিয়ে ভারত হয়ত কোন নতুন প্রজাতির পাট উড্ভাবন করে তাদের পাটশিল্পকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে আর আমাদের সরকার এটা নিয়ে রাজনীতি করতে থাকবে।
আমি লেখকের সাথে সম্পূর্ন একমত যে, বাংলাদেশের পাটের গৌরব উন্নত জাতের পাটের অভাবে হারিয়ে যায়নি এবং উন্নত জাতের পাটের উদ্ভাবনে সে গৌরব ফিরেও আসবেনা।গবেষণায় যেমন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার তেমনি শিল্পের বিকাশেও দরকার। গবেষণালব্ধ ফলাফলকে শিল্পে কাজে লাগাতে না পারলে তা রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়।
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:০৫
দিনমজুর বলেছেন: বিষয়টিকে খুব ভালো ব্যাখ্যা করেছেন। ধন্যবাদ মতামতের জন্য।
২৬|
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:১২
রোবোট বলেছেন: অফটপিক:
বাংলাদেশে পাটশিল্প অর্থনীতিতে একটা বিরাট অবদান রাখতে পারতো। বিশেষত পরিবেশ সহায়ক পণ্য তৈরী করে বলে। বাংলাদেশে পাটের অবস্থা খারাপ হওয়া শুরু হলো কবে?
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:৪২
দিনমজুর বলেছেন: এই মাত্র উপরের ১৯ নং মন্তব্যের উত্তরে এই ধ্বংস হওয়ার সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত দিয়ে এলাম।
ফলে এখানে সেটা কপি পেস্টকরে আর মন্তব্য দীর্ঘায়িত করছি না। উপরের মন্তব্য থেকে একটু দেখে নিন প্লিজ।
২৭|
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:১৫
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: জিনোম সিকোয়েন্সটাই এখনো পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি!![]()
![]()
এর মধ্যে আবার রাজনীতি-অর্থনীতি ঢুকে গিয়ে তো আমার মাথায় আউলিয়ে দিলো!![]()
![]()
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:৪৫
দিনমজুর বলেছেন: ভাইজান একটু কষ্ট করেন, কি আর করা যাবে, জিনোম সিকোয়েন্স বলুন আর যাই বলুন, রাজনীতি-অর্থনীতির পেজগি থেইকা মুক্তি নাই!
২৮|
২২ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:৪৭
রোবোট বলেছেন: হুমম দেখলাম। এটা নিয়েও কিন্তু একটা পোস্ট হতে পারে।
২৩ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:২৭
দিনমজুর বলেছেন: হ্যা, সেটা হতে পারে। তবে, ইতোমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই অনেক আলোচনা করেছেন। আমরা নতুন করে সেকারণে আলোচনা না করে, সেগুলোর অনলাইন কালেকশান করতে পারলে ভালো হয়।
২৯|
২৩ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:৩৩
টেকিবাবা বলেছেন: আমার কাছে ১টা স্বাস্থ্যবান গরু ছিলো। পাড়ার মোড়ল জোরজবরদস্তি করে আমার কাছ থেকে গরুটা কিনে নিলো। তার ক্ষমতার কাছে পারব না বলে আমিও বাধ্য হলাম তার কাছে বেচে দিতে। এইদিকে মোড়ল গরু জবাই দিয়ে মাংস বিতরণ করল, নিজে ভুরিভোজ করল, আমাকেও কিছু মাংস দিল। গরু খাওয়া শেষ। যে গরু থেকে আমি বছর বছর বাছুর পেতাম দুধ পেতাম তা একদিনের ভুরিভোজে শেষমেষ পরিণতি পেল মনুষ্যবর্জ্যে....এর কিছুদিন পর মোড়ল গরুর খুড়ারোগের ওষুধ বেচার ডিলারশিপ পেল, সে আমাকে ডেকে কয়েক বোতল ওষুধ দিয়ে বলল, "নে তোরে ফ্রি দিলাম, তোর গরু থাকলে খাওয়াইতে পারতি"। এইখানে পাটের জিনোম নিয়ে ঠিক এই ধরনের ব্যাপার হয়েছে। এইটা যেন গাছের গোড়া কেটে আগাতে পানি ঢালা!!!
২৩ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:৫৬
দিনমজুর বলেছেন: ভালো বলেছেন, গোড়া কেটে আগাতে পানি ঢালা!
৩০|
২৩ শে জুন, ২০১০ সকাল ৮:০৫
মোমেন বলেছেন: বিজ্ঞানকে রাজনীতির বাইরে বা ধর্মকে বিজ্ঞানের বাইরে এই জাতীয় আবাল কথাবার্তা আর কত দিন?
যখন কোনকিছু আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয় তখন তার সামগ্রিকতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
২৩ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১:৫১
দিনমজুর বলেছেন: পুজি সবকিছুকে কম্পার্মেন্টালাইজ করে ফেলে, আলাদা আলাদা কম্পার্টমেন্টের দক্ষ শ্রমিক কিংবা বিশেষজ্ঞ তৈরী করে। পুজির কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়া কর্ম্পাটমেন্টাল বিশেষজ্ঞরা যা বলবে তা-ই সবাইকে মানতে হবে। আমরা বিজ্ঞানী নই, ফলে বিজ্ঞান বিষয়ে কোন কথা বলা মানে আমরা লোকজনকে বিভ্রান্ত করছি, আমরা জ্বালানী বিশেষজ্ঞ নই, ফলে জ্বালানী নিয়ে, উন্মুক্ত খনন নিয়ে কোন কথা বলা মানে উন্নয়ণ বিরোধীতা করা ইত্যাদি লেবেলিং তো চলছেই।
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
৩১|
২৩ শে জুন, ২০১০ সকাল ১০:০৮
স্বল্পজ্ঞানী বলেছেন: খুবই হক কথা।
৩২|
২৩ শে জুন, ২০১০ সকাল ১০:৪০
কানুপা বলেছেন: একটা গুরুত্্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরার জন্য প্লাস
কিন্তু লেখাটার প্রথম অংশে সুরটা ভিন্ন হবার দরকার ছিল, বুঝতে বুঝতে ২-১ প্যারা যেতে হয়, আশা করি বুঝতে পারছেন। আপনাদের লেখাতে শুরুতেই তো সেটা আশা করি ![]()
৩৩|
২৩ শে জুন, ২০১০ সকাল ১০:৫৬
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে।
৩৪|
২৩ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:১৭
জাতি জানতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ, বিষয়টা দারুনভাবে গুছিয়ে দেয়ার জন্য! চরম বিদ্যুত সংকট ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রবনতাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য মিডিয়ার পরিচিত অংশ সরকারকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য যেভাবে একের পর এক ডিজিটাল মূলা দেখিয়ে যাচ্ছে, আর বাঙ্গাল সেটা নিয়া সর্বত্র যেভাবে নাচানাচি করতাছে, তা বড়ই বিপদের কথা!
৩৫|
২৩ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:৫৩
সাপিয়েন্স বলেছেন: Many a slip twixt cup and the lip.
পাটের জীনোম আবিষ্কারের ফলেই আমরা উন্নত জাতির পাট অবিলম্বে চাষ করতে পারব, এবং তা বাজারজাত করে দেশের অর্থনীতি বদলাতে পারব, এটা আশা করা অর্থহীন। কোন জিন থেকে কোন প্রোটিন আসবে তা বলা গেলেও , তা অপরিচিত অণু হলে তার গঠন ও কার্যকারিতা কি হবে, এ সব এখনও আমাদের জানার উপায় নেই। সুতরাং অর্জিত এই মৌলিক জ্ঞান থেকে কোন ব্যবহার উপযোগী ফলাফলের সময় এখনো সুদূরে। আর জীনোম বার করা এখন একটা রুটিন প্রক্রিয়া, যদিও সময়সাপেক্ষ, স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র সত্ত্বেও।
শাসক শ্রেণীর জীনোম!!! মজা পেলাম। বাংলাদেশে সামাজিক মোবিলিটি বেশ ভালো। তাই সেরেস্তাদারের মেধাহীন পৌত্রী আজীবন আত্মীয় স্বজন নিয়ে ক্ষমতায় থাকার আশা রাখে এবং তা উত্তরাধিকারীদের মধ্যেও বন্টনের পরিকল্পনা করে। অন্য পক্ষেও একই অবস্থা। রাস্তার সন্ত্রাসী ও তস্কর পরম বিত্তশালী ও রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী।
দোষ মেরুদণ্ডহীন জাতির। বাঙালী জাতির জীনোম বার করা দরকার, যাতে মেরামত করা যায়।
৩৬|
২৩ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৩৮
নাজনীন১ বলেছেন: "আর ভারতে পাট শিল্পের বিকাশের কালে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ এর পরমার্শে যখন একে একে পাটকলগুলোকে বন্ধ করা হচ্ছে, বেসরকারী করণ করা হচ্ছে এবং সোনালী করমর্দন দিয়ে শ্রমিকদের বিদায় করে দেয়া হচ্ছে তখনও কিন্তু আজকের মতই সোনালী আঁশের সোনালী দিন ফিরিয়ে আনার কথাই বলা হয়েছিল!”
--- এ প্রসঙ্গে কিছু কথা জানতে চাচ্ছি। ভারতের পাটকলগুলো কি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব? সেখানে কি ভর্তুকী দেয়া হয়, হলে কেমন হারে?
আর যেখানে সরকারী পাটকলগুলো সঠিক নীতিনির্ধারণ, পরিকল্পনার ও দুর্নীতির কারণে দিনের পর দিন লস দিচ্ছিল, সেখানে বেসরকারীকরণ কেন ভুল পদক্ষেপ ছিল? যদি বলছেন সেটা আইএমএফের পরামর্শে, তবুও একটা সরকারী প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি তূলনামূলকভাবে কম থাকার কথা যেহেতু তারা নিজের পয়সায় চলে, জনগণের মাগনা ট্যাক্সে চলে না।
যদিও বলবেন তারা শ্রমিকদের যথাযথ মুজুরী দেয় না, এটাও সবসময়ে ঠিক না, কারণ শ্রমিক অসন্তোষ বাড়তে থাকলে একটা কারখানা বেশিদিন চলতে পারে না, আর যারা প্রকৃতই ব্যবসা বোঝে তারা চাইবে না তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসন্তুষ্ট করতে। বিভিন্ন মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানীগুলো দেখলে দেখা যায় সরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে তারা ভাল মজুরীই পায়। যদিও লাভের বেশির ভাগ মালিকপক্ষ নিজের পকেটে রাখে, কিন্তু এতে করে কল-কারখানা বন্ধ করে দেয়ার মতো কুচিন্তা তাদের মাথায় কেন আসবে? এতে করে তো তাদের নিজেদেরও লস? নাকি এর মাঝে আরো হিসাব-নিকাশ আছে?
যে পাটকলগুলো বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল, তাদের মালিকরা কি এদেশী নাকি বিদেশী ছিল?
আর ভর্তুকী ছাড়া কেন আমরা চিন্তা করতে পারি না? ভর্তুকী ছাড়া কেন একটা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না? পণ্যের দাম বেড়ে যাবে বলে নাকি এতে করে মালিকপক্ষের লাভ যেন আরো বেশি থাকে তার একটা ব্যবস্থা করা? আমাদের ব্যবসায়ী মালিকপক্ষরা দেশের প্রতি কতটা দায়বদ্ধ নাকি শুধু শর্টটার্মে শুধু নিজের উদরপূর্তিই বোঝেন?
সরকারী পাটকলগুলোতে যে দুর্ব্যবস্থা, দূর্নীতি, সেটা দূর হবে কিভাবে? এদেশের ব্যবসায়ীদের কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বেসরকারী পাটকলগুলোতে সরকারী মনিটরিং থাকতে পারে বা থাকা উচিত। সরকার নিজেও ব্যবসায় আসতে পারে। কিন্তু ভর্তুকী দিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কারখানা কেন জানি শেষ বিচারে আমার ভাল মনে হয় না, মনে হয় জনগণকে সামনাসামনি কম দামের মূলো দেখানো হচ্ছে, আর পিছন দিক দিয়ে অতিরিক্ত করের বোঝা বা ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। অবশ্য করও যদি ঠিকমতো আদায় হতো!
২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪০
দিনমজুর বলেছেন: ভারতের পাটকলগুলো কি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব? সেখানে কি ভর্তুকী দেয়া হয়, হলে কেমন হারে?
পুজিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে ভারত কে আদর্শ মনে করি না আমরা। তারপরও ভারতকে উদাহরণ হিসেবে হাজির করার কারণ হলো বাংলাদেশে যখন একের পর এক পাট কল বিরাষ্ট্রীয়করণ করা হচ্ছিল ভারত তখন রাষ্ট্রয়াত্ব পাট শিল্পে গুরুত্বপ্রদান করছিল। ২০০২ সালে বাংলাদেশের বৃহত্তম আদমজী বন্ধ করার ৩ বছর পর ২০০৫ সালে ভারতে যে পাটনীতি গ্রহন করা হয় তাতে বলা হয়:
C. Public Sector Enterprises
Efforts will be made to restructure and revitalize the existing Public Sector Undertakings in the Jute Sector, namely the Jute Corporation of India and the National Jute Manufactures Corporation. Procurement of raw jute by the Jute Corporation of India will continue and the Government will continue to compensate the Jute Corporation of India for procurement of jute under the Minimum Support Price (MSP scheme).The Government has already initiated steps to revive the Khardah and Kinnison units of the National Jute Manufactures Corporation Ltd.
http://www.worldjute.com/jute_policy/njp.html
ভারতের পাট নীতির সবকিছুই আমাদের কাছে আদর্শ মনে হয় তা না, কিন্ত এই পাট নীতি থেকে আপনি ধারণা পাবেন কেমন করে ভারত আজকে পাট শিল্পের ১নং দেশে পরিণত হয়েছে।
আর যেখানে সরকারী পাটকলগুলো সঠিক নীতিনির্ধারণ, পরিকল্পনার ও দুর্নীতির কারণে দিনের পর দিন লস দিচ্ছিল, সেখানে বেসরকারীকরণ কেন ভুল পদক্ষেপ ছিল?
আপনার প্রশ্নের মধ্যেই আছে “সঠিক নীতিনির্ধারণ, , পরিকল্পনার ও দুর্নীতির কারণে” পাটকল গুলো লস হচ্ছিল। তাহলে সেকারণগুলো দূর না করে বেসকারীকরণ অবশ্যই ভূল পদক্ষেপ ছিল। সরকারগুলো তো পুরো বাংলাদেশের কোন কিছুই ঠিক ঠাক চালাতে পারছেনা- আইন-প্রশাসন, শিল্প, কৃষি, সামরিক-বেসামরিক কার্যক্রম সবকিছুই তো “সঠিক নীতিনির্ধারণ, , পরিকল্পনার ও দুর্নীতির কারণে” বেঠিক ভাবে চলছে। অথচ সরকারের কাজ ছিল এগুলো সঠিক ভাবে সম্পন্ন করা যেন জনগণের সর্বোচ্চ কল্যাণ হয়। সরকারী পাটকলের লসের সমস্যা দূর না করে বেসরকারী করণের ফলে কি জনগণের সর্বোচ্চ কল্যাণ সম্ভব হয়েছে নাকি কখনও হওয়া সম্ভব? বেসরকারীকরণের ফলে যদি কারখানাগুলো খুব ভালো ভাবেও চলতো, তাহলেও জনগণের সর্বোচ্চ কল্যাণ সম্ভব হতো না কারণ বেসরকারী কারখানার মুনাফা যাবে মালিকের হাতে-শ্রমিক পাবে কেবল মজুরী(তাও যদি ঠিক ভাবে সময়মত দেয়), রাষ্ট্র পাবে সেই মুনাফার একটা অংশ ট্যাক্স হিসেবে(তাও যদি কেউ দয়া করে ঠিক ঠাক মত দেয়) আর সরকারী কারখানা লাভজনক হলে শ্রমিকের মজুরীর সাথে সাথে বাড়তি যেটা পাওনা সেটা হলো মুনাফাটা রাষ্ট্রের কাছে যাওয়া যার ফলে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রকর্তৃক সেই মুনাফা আবার জনগণের শিক্ষা-চিকিতসা-বাসস্থান ইত্যাদির কাজে ব্যাবহার করা-অর্থাত শ্রমিকের উতপাদিত পণ্যের মুনাফা প্রকারন্তরে শ্রমিকের কাছেই ফিরে আসা- বেসরকারীকরণে যেটা কখনই সম্ভব নয়।
এখন প্রশ্ন হলো: “যদিও লাভের বেশির ভাগ মালিকপক্ষ নিজের পকেটে রাখে, কিন্তু এতে করে কল-কারখানা বন্ধ করে দেয়ার মতো কুচিন্তা তাদের মাথায় কেন আসবে? এতে করে তো তাদের নিজেদেরও লস? নাকি এর মাঝে আরো হিসাব-নিকাশ আছে?”
বাংলাদেশের বুর্জোয়া শ্রেণীর বিকাশের ধরন ধারন দেখলে আপনি দেখবেন এখানকার পুজি গঠন হয়েছে লুটপাটের মাধ্যমে। যেকারণে এদেরকে বলতে পারেন লুটেরা বুর্জোয়া। উতপাদনের চেয়ে লুন্ঠন, চোরাচালান, সরকারী ভর্তুকী, নানান ইনসেন্টিভ ইত্যাদির দিকেই এদের ঝোক বেশী। ফলে সরকারগুলো নানান ভাবে কারখানাগুলোকে লোকসানী বানায়, পানির দরে লোকসানী কারখানা বিক্রি করে, তারপর সেগুলোর আর কোন হদিস নাই। কারণ উতপাদনমুখী কাজকর্ম করে মুনাফা করার চেয়ে এদের ঝোক বেচাবিক্রি, আমদানী, রপ্তানি, চোরচালানী ইত্যাদি।
লুটপাট যদি নাও হয়, যদি বেসরকারী কারখানা ঠিক ভাবেও চলে, তারপরও আমরা বেসরকারী করণের বিপক্ষে। আমাদের অবস্থান পরিস্কার করার জন্য বেসরকারী করণ এবং তার ফলাফল নিয়ে একটা সিরিস লিখেছিলাম, পড়ে দেখতে পারেন:
প্রাইভেটাইজেশান
Click This Link
বিনিয়োগ-১
Click This Link
বিনিয়োগ-২
Click This Link
প্রাইভেটাইজেশান এবং বিনিয়োগ-৩
Click This Link
প্রাইভেটাইজেশান এবং বিনিয়োগ-৪
Click This Link
“যে পাটকলগুলো বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল, তাদের মালিকরা কি এদেশী নাকি বিদেশী ছিল?”
কিছু পাট কল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল আর কিছু বেসরকারীকরণ করা হয়েছিল। নয়া মালিকেরা দেশীয় পুজিপতি। কিন্ত আমরা যে কারণে বেসরকারী করণের বিরোধীতা করি, সেই কারণটা যদি মাথায় রাখি, তাহলে কারখানা দেশী না বিদেশী পুজিপতির কাছে বেচা হলো সেটা মূল প্রশ্ন থাকে না।
“আর ভর্তুকী ছাড়া কেন আমরা চিন্তা করতে পারি না? ভর্তুকী ছাড়া কেন একটা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না? পণ্যের দাম বেড়ে যাবে বলে নাকি এতে করে মালিকপক্ষের লাভ যেন আরো বেশি থাকে তার একটা ব্যবস্থা করা?”
সরকারী খাতের শিল্পে ভর্তুকী দেয়া এক কথা আর বেসরকারী খাতে ভর্তুকী দেয়া আরেক কথা। প্রথম ক্ষেত্রে কোন একটি দুর্বল শিল্প বা কৃষি খাত কে শক্তিশালী করে তুলার জন্য ভর্তুকী দেয়ার মধ্যে কোন সমস্যা দেখিনা-কারণ সরকারী কারখানায় ভর্তুকীর মানে জনগণের টাকা জনগণের কাছেই থাকা-শুধু এক খাত থেকে আরেক খাতে যাওয়া। অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, পণ্যমূল্য প্রতিযোগীতা মূলক করা ইত্যাদি যাই অযুহাত দেয়া হোক না কেন, বেসরকারী শিল্পের সুবিধা ভোগী প্রকৃত অর্থে ঐ শিল্পের মালিক শ্রেনীই। ফলে আমরা সরকারী শিল্পে ভর্তুকীর পক্ষপাতি হলেও বেসরকারী শিল্পের নই। আর সরকারী শিল্পের ব্যাবস্থাপনা ও নীতিমালা সঠিক হলে, একটা পর্যায়ে আর ভর্তুকীর কোন প্রয়োজন থাকে না। কাজেই ভর্তুকী ভালো না মন্দ সেটা নির্ভর করছে সেটা কার কাজে লাগছে কিংবা আদৌ কারও কোন কাজে লাগছে কি-না তার উপর।
৩৭|
২৩ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:৩৫
কাকপাখি ২ বলেছেন: ভাল লিখছ দিনমজুর, পিলাস দিলাম
৩৮|
২৩ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৬
আউটসাইডার_আউটসাইডার বলেছেন: "বাংলাদেশের পাটের দুরবস্থা বোঝার জন্য পাটের জিনোম সিকোয়েন্স নয় বরং শাসক শ্রেণীর জিনোম সিকোয়েন্স, সেই জিন নকশায় বিশ্ব ব্যাংক- আইএমএফ এর জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এদেশের পাট খাতের উপর তার ফলাফলটা লক্ষ করা দরকার"
- সহমত
৩৯|
২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১:৩৭
জিতু বলেছেন: BNP destroyed Jute sector.
২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪৭
দিনমজুর বলেছেন: As we said previously, it would be mistaken to thought the destriction of jute sector had been caused by only one party say BNP or AL or JP or Jamat. It is the bourgeoise of our country, which as a class, in collaboration with the imperialist agency WB and IMF, had destroyed the Jute Sector.
Please see again the reply given against comment 19.
৪০|
২৫ শে জুন, ২০১০ ভোর ৫:০৪
আলী প্রাণ বলেছেন: জিতু বলেছেন: BNP destroyed Jute sector.
৪১|
২৫ শে জুন, ২০১০ ভোর ৫:২১
'লেনিন' বলেছেন: বাংলাদেশের পাটের দুরবস্থা বোঝার জন্য পাটের জিনোম সিকোয়েন্স নয় বরং শাসক শ্রেণীর জিনোম সিকোয়েন্স .... খুবই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।
-------------------------------------------
হাইব্রিড/জিন বদল করণের মাধ্যমে বিলুপ্তকৃত আদিজাতগুলো আবার ২০/৪০বছর পরে খোঁজা হবে এমন কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে।
৪২|
২৬ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৫৩
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: আপনার মূল কথাটির সাথে একমত। আমাদের দেশী জাতের পাটের জন্য পর্যাপ্ত জমি ও আবহাওয়া দুটোই আছে কিন্তু কৃষকের ন্যায্য দাম পাওয়ার নিশ্চয়তা নাই। সেক্ষেত্রে জিনোম সিকোয়েন্স কি বিপ্লব নিয়ে আসবে সেটা স্পষ্ট নয়।
৪৩|
২৭ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:৫২
শুভ রহমান বলেছেন: ১০০ভাগ সহমত। মূলবক্তব্যের সাথে। পাটের জিনোম আবিষ্কার করা একটা বড় মৌলিক গবেষণা হয়েছে। এটাকে আগে স্বীকার করতে হবে।
৪৪|
২১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ২:৫৩
ছায়াপাখির অরণ্য বলেছেন: সংগ্রহে রাখছি।
৪৫|
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: হুম...
৪৬|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৩
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: খুবই চমৎকার কাজ প্রিয় দিনমজুর...
আবারো এলাম...
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১০
জুজু বুড়ি বলেছেন: পাট ধ্বংস করছে সাইফুর রহমান।