নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রশ্নবোধক এই জীবনের কাছে হাজারো প্রশ্নের একই উওর না না না না......

দিপংকর মল্লিক

দিপংকর মল্লিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পতিতা এবং আমাদের মানসিকতা

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৮

নিষিদ্ধ পল্লীর অন্ধকার জগতে বাস করা পতিতাও স্বপ্ন দেখতে জানে।
স্বপ্ন দেখে বেঁচে থাকার।
অপরাধ একটাই,তারা তাদের দেহের বিনিময়ে উপাজর্ন করে কিছু টাকা। আর একারনেই আমাদের কথিত সুশীল সমাজের মাঝে থাকা জ্ঞানীগুনি হাজারো সুধীজন তাদেরকে পতিতা বেশ্যা ইত্যাদি নেমপ্লেটে ভূষিত করে।
নারী যদি দেহের বিনিময়ে টাকা উপাজর্ন করে পতিতা হয়,তবে যে সকল পুরুষ টাকা দিয়ে সেসব পতিতাকে কিছুমূহুতের্র জন্য ভোগ করে,তারা কি হবে...! সুশীল সমাজ সেটা কখনোই বলে না।
-------পতিতার নাকি জাত নাই,ধমর্ নাই,পতিতা মানে পতিতাই। আসলেই কি এমনটা...!
আচ্ছা,পতিতা হয়ে কেউ কি কখনো পৃথিবীতে আসে...?
নাকি পৃথিবীতে আসার পর পতিতা হয়..?
সুশীল শিক্ষিত সমাজের সুধীজন বলবে, জন্মের পর দারিদ্র্যের অভাবে অথবা কারো প্ররোচরনায় প্ররোলচিত হয়ে অথবা দালালের জালে আটকে পড়েই এই পতিতাবৃত্তির পথে আসে।
সাধারনত নারী স্বপ্ন দেখে সুন্দর জীবনের,স্বপ্ন দেখে ছোট্ট একটি ঘরের,বাবা মা স্বামী সন্তান ইত্যাদির।
পতিতা হবার স্বপ্ন কেউ ইচ্ছা করেও দেখে না।
অনিচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোর করে দেখানো হয়,দেখতে বাধ্য করা হয়।

®পতিতা মানে হাজার লোকের সাথে শারীরিক সম্পকের্ নিজেকে জড়ানো।
যদি এমনটাই হয় তবে তো,ঘরে ঘরে পতিতার দেখা মিলবে।
পতিতার দেখা মিলবে পাকের্, সিনেমা হলে অথবা স্কুল কলেজের একই বেঞ্চে বসে থাকা হাজারটা সুন্দরী বান্ধবীর মাঝে।
এমনকি সেটা আপনার প্রেমিকা,মানে যার সাথে কথা বলছেন তার মাঝেও।
প্রমান চান...!
নিজেই যাচাই করুন,আপনি প্রেম করে যতগুলো চুমা খাবি খেয়েছেন,রিলেশনটা ব্রেকআপ হবার পর যখন আপনার প্রেমিকা অন্য রিলশনে জড়াবে ঠিক সেখানেও ততগুলো চুমা খাবি খাবে।
এটা চলমান চেইন বিক্রিয়ার মতোই।
তাহলে নিজেই বলুন তো,পতিতা কি...?
পতিতালয়ে থাকলেই পতিতা..?
আর যে পতিতা লয়ে না থেকে সুশীল সমাজের চাদরে লুকিয়ে পতিতার কাজ করে সে কি..!
:p :p :p

হাস্যকর ব্যাপার হলো,ধমর্প্রান অনেক সুন্দর রমন অথবা সুন্দরী রমনী আছেন যারা আমার এসব লেখা শোনার পর লেখা দেখার পর নিজেকে আলাদা বলে দাবী করবেন।
তাদের জন্য বলছি,
মানুষের আসলে বিবেক বলে কিছু থাকে না।
একারনেই বিবেকবুদ্ধিহীন মোটা মস্তিষ্কে নিজেকে বড় করে অন্যকে ছোট করার প্রবনতা কাজ করে।
একারনে একটা ছোট্ট আয়নার সামনে নিজেকে দাড় করিয়েই নিজেই প্রশ্ন করুন,দেখবেন বুক ধড়ফড় করছে। উওরটা পেয়ে যাবেন।

পতিতালয়ের গল্পগুলো এমনই হয়। যৌনকামনায় ছুটে আসা পতিতাখোর হাজারটা পুরুষকে ক্ষনিক শান্তি দিয়ে কিছু টাকা নিয়ে নিজেকে সমাজের বুকে বেঁচে থাকা নাম হয় বেশ্যাগিরি।
আর শান্তি নিয়ে যারা ফিরে যায় তারা পুনরায় ঠাই পাই সুশীল সমাজের বুকে।
:) :) :)
এই তো আমাদের মানসিকতা।

নিষিদ্ধ পল্লীর অন্ধকার জগতে কখনো আলো পৌছায় না।
আসলে আমরাই এই সুশীল সমাজ সেখানে আলো পৌছাতে দেই না।
কখনো কলমের খোচায়,কখনো আবার আইন নামক এক অদৃশ্য শক্তির খেলায়,কখনো আবার নিজেদের কথা ভেবে।
--[]__[]--

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: সমাজের জন্য দরকারী খারাপ জিনিস!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.