নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পথহারা পথিকের মত আমি খুজে চলেছি স্বপ্নের গলি....স্বপ্নের গলির সন্ধান পেতে ছুটে চলেছি শহরের এ গলি থেকে ও গলি, এমন কি বাদ রাখিনি কানা গলি গুলোও। দিন শেষে বিষাদ আর ক্লান্ত দেহ নিয়ে ফিরে যাই আপন নীড়ে...

উন্মাদ বালক

মেতে আছি নষ্টামিতে....নষ্ট লোকেদের ভিড়ে।

উন্মাদ বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিনি ছেলে হতে চেয়েছিলেন! মেয়ে হয়ে জন্মেছিলেন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রূপান্তরিত হলেন ছেলেতে

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৫

বাবা-মা চেয়েছিল ছেলে। কিন্তু মেয়ে হয়ে জন্মেছিলেন তিনি। আর এ কারণেই পরিবারের স্নেহবঞ্চিত হন। পারিবারিক এই বিরূপ পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা তার ওপর প্রভাব ফেলে।

বড় হয়ে সিদ্ধান্ত নেন, তিনি ছেলে হবেন। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রূপান্তরিত হলেন ছেলেতে। কিন্তু সেই অস্ত্রোপচার সফল হয়নি।



পর পর কয়েকটি অস্ত্রোপচার ব্যর্থ হওয়ার পর বেলজিয়ামের সেই নাগরিক বেছে নিলেন স্বেচ্ছামৃত্যু। আর তাতে সহায়তা করেছেন চিকিৎসকরা।



শারীরিক যন্ত্রণা অবসানের বিবেচনায় চিকিৎসকরা তাকে মরতে সহায়তা করেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।



সম্প্রতি বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের ব্রাসেলস হাসপাতালে মারা যান নাথান ভেরহেলস্ট নামের ওই ব্যক্তি।



৪৪ বছর বয়সী ভেরহেলস্ট সাময়িক হতাশায় ভুগছিলেন না বলে নিশ্চিত হয়েছেন দুজন চিকিৎসক। তার মৃত্যুর সংবাদ বেলজীয় গণমাধ্যমে তেমন সাড়া ফেলেনি।



নাথান ভেরহেলস্ট নারী হয়ে জন্মেছিলেন। তার নাম ছিল ন্যান্সি। তার বড় আরো তিন ভাই ছিল।



তিনটি পুত্র সন্তান থাকার পরও তার মা-বাবা আরো একটি পুত্র সন্তান চেয়েছিলেন। কিন্তু পুত্র না হয়ে কন্যা হওয়ায় নবাগত সন্তানের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন তারা। মৃত্যুর আগের দিন একথা জানিয়ে গেছেন ন্যান্সি ওরফে নাথান ভেরহেলস্ট।



জন্মদাতা পিতামাতার এই প্রত্যাখ্যান ন্যান্সিকে লিঙ্গ পরিবর্তন করে ছেলে হতে প্ররোচিত করে। তিনি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করে ছেলেতে রূপান্তরিত হন।



কিন্তু অস্ত্রোপচার পুরোপুরি সফল হয়নি। ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে আরো তিনবার লিঙ্গ পরিবর্তনে অস্ত্রোপচারের মুখোমুখি হতে হয় তাকে। কিন্তু স্বাভাবিক জীবন আর ফিরে পাননি।



শেষ পর্যন্ত শারীরিক যন্ত্রণার কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বেচ্ছামৃত্যুকে বরণ করে নেন তিনি।



“যন্ত্রণাহীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি,” বেলজীয় এক সংবাদপত্রকে বলেন তার চিকিৎসক।



২০০২ সালে গুরুতর অসুস্থদের স্বেচ্ছামৃত্যুকে আইনি বৈধতা দেয় বেলজিয়াম। এই আইনের আলোকে বেলজিয়ামে গত বছর ৫২ জন স্বেচ্ছামৃত্যুকে বেছে নিয়েছেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৩

রসায়ন বলেছেন: বেশী বুঝলে এমনই হয় !

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

উন্মাদ বালক বলেছেন: জী ভাই বেশী বুঝলে এমনই হয় !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.